Bengal Homoeopathic Laboratory

Bengal Homoeopathic Laboratory Stay connecte with us, Genuine & Authentic Product are Available Because Health is Matter.

  #হোমিওপ্যাথিকমেডিসিন
13/11/2025


#হোমিওপ্যাথিকমেডিসিন


09/11/2025

#ডাঃনীলমনি ঘটকের কিছু ইন্টারেস্টিং কেস তুলে ধরা হলো____[একক ঔষধের দ্বারা আরোগ্য কেস, যেরকম প্রেসক্রিপশন করা হোমিওপ্যাথির নিয়ম]

👉👇 সিঙ্গেল মেডিসিন, মিনিমাম ডোজ কিভাবে যে অনেক কঠিন অসুখ সারাতে পারে, তা দেখানোর জন্য দিলাম। আশা করি এসব দেখে অপহোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা ব্যক্তিরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মূলস্রোতে ফিরে আসার চেষ্টা করবে।


( এ্যাব্রোটেনাম )

( মেটাসটেসিস)

২২ বছর বয়সী একজন মহিলা রোগীর হৃদপিন্ডে দারুন ব্যথা। নড়াচড়ায় ব্যথার বৃদ্ধি দেখে আমি প্রথমে ব্রায়োনিয়া ও পরে রাস টকস দিয়েছিলাম। কোন উপকার না পাওয়ায় ভালো করে কেস হিস্ট্রী পর্যালোচনা করে জানতে পারলাম ২/৩ বছর আগে রোগীনির বাতের ব্যথা আরম্ভ হয়েছিল। তখন এ্যালোপ্যাথিক অনেক ব্যথার মলম লাগানো হয়েছিল এবং ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল।

আমার ধারণা দৃঢ় হল রোগিনীর বাতের ব্যথা চাপা পড়ে হৃদযন্ত্র আক্রমণ হয়েছে , অর্থাৎ মেটাসটেসিস। -- বাত থেকে হৃদযন্ত্র আক্রমন।

মডালিটি বা হ্রাসবৃদ্ধির কথা জিজ্ঞাসায় জানলাম হৃদপিন্ডের ব্যথা রাত্রে বাড়ে, ঠান্ডায় বাড়ে।

সব সিমপটমস মিলিয়ে এ্যাব্রেটেনাম দেওয়ার পক্ষে আমি কোন বাধা মনে করলাম না।

আমি রোগিনীকে এ্যাব্রোটেনাম ১০০০ শক্তির ৪/৫ টি গ্লেবিউলস একটি শিশিতে জলের মধ্যে দিলাম। ১ ঘন্টা অন্তর মাত্র তিনটি মাত্রা দিয়েছিলাম। দুইদিন পরে খবর দিতে বলি।

দুইদিন পরে রোগিনীর বুকের ব্যথা একেবারেই কমে যায়, তবে বুকের অর্থাৎ হৃদপিন্ডের ব্যথা কমার সাথে সাথে তার আগের বাতের ব্যথা প্রকাশ পায়।

Acid
( এ্যাসেটিক এ্যাসিড )

( শোথ )

একজন বয়স্ক পুরুষ ভয়ানক শোথ রোগে আক্রান্ত হয়। তার পা দুটি ছাড়া পুরুষাঙ্গ ও অন্ডকোষ ভীষণভাবে ফুলে ওঠে।

তার অত্যন্ত পিপাসা ছিল। তার সাথে ছিল রক্তহীনতা, গরম অত্যন্ত বেশি, স্নান না করলে থাকতেই পারে না, ঠান্ডা খোলা বাতাসে উপশম, ইত্যাদি লক্ষণে এ্যাসেটিক এ্যাসিড প্রথমে ৩, এবং পরে ৬, ও ৩০ শক্তির ঔষধ দিয়ে নির্মল ভাবে তাকে আরোগ্য করি। শেষে সালফার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়েছিল।

Nap
( এ্যাকোনাইট ন্যাপ)

( সেপটিক ফিভার )

২৩ বছর বয়স্ক ভদ্রমহিলার প্রসবের পরে সেপটিক জ্বর আরম্ভ হয়। অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু জ্বর কমছিল না। জ্বর আরম্ভ হওয়ার ১৪ দিন পরে আমি ডাক পাই।

দেখলাম রোগী পূর্ণ উন্মাদিনী , সর্বদাই অস্থির, ভয়ানক পিপাসা, এবং মনের কিছু ঠিক নেই।

এ্যাকোনাইটের সব লক্ষণ পেলেও ঔষধটি দেওয়ার পূর্বে কিছুটা ইতস্তত করছিলাম, কারণ যেহেতু এ্যাকোনাইট রোগের একেবারে প্রথমে অর্থাৎ প্রারম্ভিক অবস্থায় ব্যবহৃত হয় , কিন্তু এখানে তো ১৪ দিন পার হয়ে গেছে।

কিন্তু সব লক্ষণ মিলছে বলে আমি এ্যাকোনাইট ১০০০ শক্তির একমাত্র দিই। ঐ এক মাত্রা এ্যাকোনাইটে রোগিণীর অধিকাংশ রোগ লক্ষণ অপসারিত হয়েছিল। কেবল শুকনো কাশি থাকাতে ২/৩ দিন পরে স্কুইলা ৩০ কয়েক ডোজ দিয়েছিলাম ।

Hip
( ইস্কুলাস হিপ)

( কোমরে ব্যথা )

১৯১৮ সালের জুলাই মাসে এক বিকালে আমি পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধের উপর হাঁটছিলাম।

দেখলাম এক ভদ্রলোক কিছুটা হাঁটছেন তারপর আবার বসে পড়ছেন, আবার কিছুটা হাঁটছেন, আবার বসে পড়ছেন। কারণ কি তাকে জিজ্ঞাসা করাতে জানলাম, কোমরে ভীষণ ব্যথা, এবং এই কোমরের ব্যথা তার বহুদিনের। রাস্তায় সামান্য একটু চললেই মনে হয় কোমরটা ভেঙ্গে যাবে। আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ, তাই ভালো ডাক্তারও দেখাতে পারি না। এর সাথে অর্শও আছে।

আমি ভদ্রলোককে বললাম তিনি যেন আমার বাড়ীতে দেখা করেন, আমি তাকে ঔষধ দেবো, কোন টাকা লাগবে না।

ভদ্রলোক দেখা করলে আরও কিছু লক্ষণ সংগ্রহ করে তাকে ইস্কুলাস ২০০ শক্তি সপ্তাহে একবার করে তিন মাত্রা দিয়েছিলাম। দুই মাস ভালো থাকার পর পুনরায় একটু বৃদ্ধি হলে ১০০০ শক্তির একমাত্রা দিয়েছিলাম। তার কোমরের ব্যথা সম্পূর্ণ সেরে গিয়েছিল।

Cynapium
( ইথুজা সাইনেপিয়াম )

কনভালসন বা তড়কা )

পুরুলিয়ার বিখ্যাত এক উকিলের মাত্র ১০ দিনের এক বাচ্চা রোগী । বাচ্চাটি জন্ম দেওয়ার সাত দিনের মাথায় তার মা মারা গেছে।

দেখলাম ছেলেটির সর্বাঙ্গ একেবারে শক্ত হয়ে আছে। শরীরটা ধনুকের মতন বেঁকে গেছে। মুখে ফেনা, জ্বর ১০৩ ডিগ্রী, মাঝে মাঝে দুর্গন্ধ জমাট বাঁধা ছানা কাটার মতন বমি করছে। বমির সময় বাচ্চাটার যা কষ্ট হচ্ছে তা চোখে দেখা যায় না। নিশ্বাসেও বড় কষ্ট, মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে। ৮ ঘন্টা প্রস্রাব হয়নি, সারাদিনে মলত্যাগও করেনি।

ইথুজা ২০০ শক্তির দুইটি বড়ি একটা কাঁচের গ্লাসে মিশিয়ে ঐ গ্লাস থেকে মাত্র ২/৩ ফোঁটা জল মিশ্রিত ঔষধ প্রত্যেক বারের খিঁচুনির পর আমি নিজে বসে থেকে দিতে থাকলাম। ২ ঘণ্টার মধ্যে সকল লক্ষণের উন্নতি দেখে ঔষধ বন্ধ করি।

সন্ধ্যা ৭ টায় আমি গিয়েছিলাম। সারাক্ষণ পাশে বসেছিলাম। রাত ১ টার সময় ছেলেটির সব কষ্ট কমে যায় এবং সে ঘুমিয়ে পড়ে। তার আর কোন অসুবিধা হয়নি। তখন আমি বাড়ী ফিরি।

ছেলেটির জীবনের আশা সকলেই ত্যাগ করেছিল।

Muscarius
( এগারিকাস মাসকেরিয়াস )

( ডিলিরিয়াম৷)

একটা কলেরা রোগীকে প্রচন্ড অবসন্ন ভাব এবং তার পায়ের ডিমে ভয়ানক আক্ষেপ, ইত্যাদি লক্ষণে কুপ্রাম মেট প্রয়োগ করি। কিছু আরাম হলো বটে, কিন্তু ৪ / ৫ ঘণ্টা পরে রোগীর ডিলিরিয়াম বা বিকার আরম্ভ হয়।

চোখগুলো লাল হয়েছে, বিড়বিড় করে নানান রকম বাজে বাজে কথা বলছে, এবং সর্বদা জোর করে বিছানা থেকে উঠতে চাইছে। জোর করে বিছানা থেকে এমনভাবে উঠতে চাইছে যে রোগীকে বিছানায় রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠলো।

বিছানা থেকে সর্বদা জোর করে উঠতে চায় ---এটা এ্যাগারিকাসের একটি অদ্ভুত লক্ষণ। এই লক্ষনটাকেই জোর দিয়ে আমি এ্যাগারিকাস ২০০ শক্তি, ১৫ মিনিট অন্তর ৩ মাত্রা দিই।

রোগী ঘুমিয়ে পড়ে, এবং প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘুমের পরে সে উঠে অনেকটা প্রস্রাব করে। তার আর কোন অসুবিধা হয়নি, এবং সকল কষ্টের উপশম হয়।

সংগৃহীত
#হোমিওপ্যাথিকমেডিসিন
#হোমিওপ্যাথিকচিকিৎসা

25/10/2025

(রাস টক্স) — এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হোমিও ঔষধটি কোন কোন রোগে কাজ করে (৫০টি রোগের তালিকা) এবং এর ১০টি প্রধান লক্ষণ (Key Symptoms) বিস্তারিতভাবে দিচ্ছি 👇

🌿 Rhus Toxicodendron (রাস টক্স)

উৎস: Poison Ivy (একটি বিষাক্ত উদ্ভিদ)
প্রকৃতি: ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে, বৃষ্টির আবহাওয়ায় উপসর্গ বাড়ে, কিন্তু নড়াচড়া করলে আরাম হয়।
মূল কাজ: মাংসপেশি, জয়েন্ট, চামড়া, স্নায়ু ও রিউমাটিক সমস্যায় অসাধারণ ফলদায়ক।

---

🩺 Rhus Toxicodendron যে ৫০টি রোগে কাজ করে

1. রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস

2. জয়েন্টে ব্যথা ও শক্ত হয়ে যাওয়া

3. ঘাড় ব্যথা (Cervical spondylosis)

4. কোমর ব্যথা (Lumbago)

5. সায়াটিকা (Sciatica)

6. পেশির টান বা মচকানো

7. হাঁটু ব্যথা ও ফুলে যাওয়া

8. হাত-পায়ের ব্যথা ও জড়তা

9. বৃষ্টি বা ঠান্ডায় ব্যথা বেড়ে যাওয়া রোগ

10. ফ্রোজেন শোল্ডার

11. ইনফ্লুয়েঞ্জা (Flu) সহ শরীর ব্যথা

12. ঠান্ডা লাগার পরে জ্বর

13. ভাইরাল জ্বরের ব্যথাযুক্ত অবস্থা

14. চামড়ার ফুসকুড়ি (Eczema)

15. চুলকানি ও জ্বালাযুক্ত দাগ

16. পানিতে হাত ভিজলে চুলকানি

17. হারপিস (Herpes zoster)

18. গায়ে ফোস্কা ও জ্বালা

19. চামড়ায় ফাটল ও জ্বালাপোড়া

20. আর্দ্র এলাকায় চুলকানি

21. মুখে ঘা ও জ্বালাযুক্ত ক্ষত

22. ঠোঁটে ফাটা বা ফুসকুড়ি

23. ঠোঁটে ফোস্কা (Cold sore)

24. জিহ্বায় আলসার

25. চোখে প্রদাহ ও জ্বালা (Conjunctivitis)

26. কান ব্যথা ও প্রদাহ

27. সর্দি সহ মাথাব্যথা

28. ঘাড়ে কড়াভাব

29. বুকের পেশিতে টান

30. কাশি ও ঠান্ডাজনিত ব্যথা

31. ঘাম সহ জ্বর, শরীর ব্যথা

32. রাতে ঘাম ও দুর্বলতা

33. ঘুমের ঘোরে পেশিতে টান

34. ঘুমাতে না পারা, ব্যথায় ঘুম ভেঙে যাওয়া

35. নার্ভ পেইন (Neuralgia)

36. টেন্ডিনাইটিস (Tendon inflammation)

37. বারবার মচকানো সমস্যা

38. শীতল বাতাসে ব্যথা বেড়ে যাওয়া রোগ

39. পেট ব্যথা ঠান্ডা লাগার পরে

40. ত্বকে পুঁজযুক্ত ফোস্কা

41. হাঁটতে গেলে ব্যথা বাড়ে, একটু নড়াচড়ায় কমে

42. হাড়ে ব্যথা (Bone pain)

43. চুলকানি, ত্বকে জ্বালা ও লালচে ভাব

44. ঠান্ডা স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় সব উপসর্গ বেড়ে যাওয়া

45. কাঁধ, পিঠ, কোমর, হাঁটু—যে কোনো জয়েন্ট ব্যথা

46. হাতের কবজিতে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া

47. ঘাম হলে অস্থিরতা কমে

48. টনসিলের প্রদাহ

49. মুখে ঘা ও ঠোঁটের আলসার

50. ঠান্ডায় হাঁপানি বা কাশি

---

🌼 Rhus Toxicodendron-এর ১০টি প্রধান লক্ষণ (Key Symptoms)

1. বিশ্রামে ব্যথা বাড়ে, নড়াচড়া করলে আরাম হয়
– এটি রাস টক্সের সবচেয়ে বড় লক্ষণ।

2. ঠান্ডা ও ভেজা আবহাওয়ায় উপসর্গ বাড়ে
– বৃষ্টি বা ঠান্ডা বাতাসে ব্যথা বাড়ে।

3. গরমে বা উষ্ণ জিনিসে আরাম পাওয়া যায়

4. শরীরে জড়তা, পেশিতে টান বা মোচড়

5. রাতে ব্যথা বেড়ে যায়, নড়াচড়ায় আরাম হয়

6. ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, জ্বালা ও ফোস্কা ওঠা

7. ঠান্ডা জায়গায় বসে থাকলে ব্যথা বা জ্বর শুরু হয়

8. মানসিক অস্থিরতা – এক জায়গায় থাকতে পারে না, হাঁটে হাঁটে ঘোরে

9. ঘাম ও উষ্ণতা এলে ব্যথা বা চুলকানি কমে যায়

10. ঘুম থেকে উঠলে বা সকালে জড়তা, একটু হাঁটলে আরাম

---

💊 ডোজ (সাধারণভাবে ব্যবহৃত মাত্রা):

Rhus Tox 30C – দিনে ২ বার (তীব্র ব্যথায়)।

Rhus Tox 200C – দিনে ১ বার বা রাতে ঘুমানোর আগে (রিউমাটিক বা ক্রনিক ক্ষেত্রে)।

Rhus Tox Q (Mother tincture) – সাধারণত বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ (মচকানো বা ফুসকুড়িতে, পানিতে মিশিয়ে)।

#হোমিওপ্যাথিকঔষধ #হোমিওপ্যাথিকচিকিৎসা #হাঁটুরব্যথা #পেশিরব্যথা #রিউমেটিকআর্থ্রাইটিস

🤷‍♂️🌷সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করা উচিৎ নয়।

15/10/2025

#খনিজউৎসের ৩০টি হোমিও ঔষধ ও লক্ষণ~

খনিজ (Mineral origin) থেকে প্রাপ্ত ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ — প্রতিটির উৎপত্তি (source) ও প্রধান লক্ষণ (key symptoms) সহ

হোমিও ঔষধের নাম উৎস (Source) প্রধান লক্ষণ (Symptoms)

1️⃣ Calcarea carbonica ক্যালসিয়াম কার্বনেট (ঝিনুকের খোলস) ঠান্ডা লাগলে অসুস্থতা, স্থূল দেহ, ঘামে ভেজা মাথা, হাড়ের দুর্বলতা
2️⃣ Natrum muriaticum সোডিয়াম ক্লোরাইড (লবণ) রাগে চুপ থাকা, অতীত স্মৃতিতে কষ্ট, ঠোঁট ফাটা, মাথাব্যথা রোদে
3️⃣ Kali carbonicum পটাশিয়াম কার্বনেট দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, পিঠে ব্যথা, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যথা
4️⃣ Ferrum metallicum লোহা রক্তস্বল্পতা, দুর্বলতা, মুখ ফ্যাকাশে, হালকা পরিশ্রমে ক্লান্তি
5️⃣ Silicea সিলিকা (বালি বা কোয়ার্টজ) ক্ষত শুকায় না, ঘাম বেশি, পুঁজ জমে, হাড় ও নখ দুর্বল
6️⃣ Magnesia phosphorica ম্যাগনেশিয়াম ফসফেট ক্র্যাম্প বা খিঁচুনি ব্যথা, উষ্ণতা দিলে আরাম
7️⃣ Calcarea phosphorica ক্যালসিয়াম ফসফেট হাড়ের দুর্বলতা, দাঁত উঠতে দেরি, বৃদ্ধিতে সমস্যা
8️⃣ Natrum sulphuricum সোডিয়াম সালফেট আর্দ্র আবহাওয়ায় কাশি, লিভার সমস্যা, দুঃখবোধ
9️⃣ Kali bichromicum পটাশিয়াম বাইক্রোমেট ঘন শ্লেষ্মা, সাইনোসাইটিস, আলসারযুক্ত গলা
🔟 Arsenicum album আর্সেনিক ট্রাইঅক্সাইড অস্থিরতা, ভয়, জ্বালা, রাতের দিকে দুর্বলতা
11️⃣ Sulphur সালফার (গন্ধক) চুলকানি, গরমে বাড়ে, অহংকারী মনোভাব, অলসতা
12️⃣ Phosphorus ফসফরাস রক্তপাত, ভয়, অতি সংবেদনশীলতা, ক্লান্তি
13️⃣ Antimonium tartaricum অ্যান্টিমনি টারট্রেট কফ জমে শ্বাসকষ্ট, শিশুদের কাশি, দুর্বলতা
14️⃣ Mercurius solubilis পারদ জিহ্বা মোটা, মুখে দুর্গন্ধ, ঘাম, সংক্রমণ
15️⃣ Hepar sulphuris গন্ধক ও চুনের সংমিশ্রণ ক্ষতস্থানে সংবেদনশীলতা, পুঁজ সৃষ্টি, ঠান্ডা সংবেদন
16️⃣ Aurum metallicum সোনা বিষণ্নতা, আত্মহত্যার চিন্তা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ
17️⃣ Plumbum metallicum সীসা পেশী দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ু ক্ষয়
18️⃣ Cuprum metallicum তামা খিঁচুনি, ক্র্যাম্প, নীলচে ঠোঁট, দুর্বলতা
19️⃣ Zincum metallicum দস্তা স্নায়ু দুর্বলতা, অবসাদ, পা নাড়ানোর ইচ্ছা
20️⃣ Graphites গ্রাফাইট (কার্বন খনিজ) ত্বক মোটা ও ফাটা, একজিমা, স্থূল দেহ
21️⃣ Baryta carbonica বেরিয়াম কার্বনেট শিশুর মানসিক বা শারীরিক বিকাশে বিলম্ব, বৃদ্ধদের দুর্বলতা
22️⃣ Stannum metallicum টিন বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, কাশি
23️⃣ Alumina অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড কোষ্ঠকাঠিন্য, শুষ্ক ত্বক, মন্থর চিন্তা
24️⃣ Manganum aceticum ম্যাঙ্গানিজ হাড়ে ব্যথা, কণ্ঠস্বর দুর্বল, গলা ব্যথা
25️⃣ Natrum phosphoricum সোডিয়াম ফসফেট এসিডিটি, অজীর্ণ, জিহ্বায় হলুদ আস্তরণ
26️⃣ Kali sulphuricum পটাশিয়াম সালফেট ত্বকে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে শ্লেষ্মা
27️⃣ Ferrum phosphoricum লোহা ফসফেট প্রাথমিক জ্বর, প্রদাহ, দুর্বলতা
28️⃣ Magnesia carbonica ম্যাগনেশিয়াম কার্বনেট হজমে গোলমাল, গ্যাস, পেটে টান
29️⃣ Calcarea sulphurica ক্যালসিয়াম সালফেট পুরনো পুঁজযুক্ত ক্ষত, ত্বকে ফোঁড়া
30️⃣ Natrum carbonicum সোডিয়াম কার্বনেট সূর্যের আলোতে দুর্বলতা, মাথাব্যথা, হজমে সমস্যা

#হোমিওপ্যাথিকচিকিৎসা #হোমিওপ্যাথিকঔষধ হ

06/10/2025

#হোমিওপ্যাথিকঔষধ #হোমিওপ্যাথিকচিকিৎসা
#টিউবারকিউলিনাম #প্রাণীজহোমিও
প্রাণী হতে প্রাপ্ত ৫০টি হোমিও ঔষধ – উৎস ও প্রধান ব্যবহার ~

১ Lachesis mutus সাপের বিষ উচ্চ রক্তচাপ, বাম দিকের সমস্যা, গলা ব্যথা
২ Crotalus horridus সাপের বিষ রক্তক্ষরণ, সেপটিসেমিয়া
৩ Crotalus cascavella সাপের বিষ হেমোরেজ, মানসিক বিভ্রম
৪ Bothrops lanceolatus সাপের বিষ রক্ত জমাট বাঁধা, স্ট্রোক
৫ Elaps corallinus সাপের বিষ শীতলতা, রক্তক্ষরণ, কালো বমি
৬ Naja tripudians সাপের বিষ হৃদরোগ, বুক ধড়ফড়
৭ Vipera সাপের বিষ শিরায় ব্যথা, ভ্যারিকোজ ভেইন
৮ Bungarus সাপের বিষ খিঁচুনি, স্নায়বিক দুর্বলতা
৯ Apis mellifica মৌমাছি ফোলা, লালচে, জ্বালা
১০ Vespa crabro বোলতা অ্যালার্জি, প্রস্রাবের জ্বালা
১১ Vespa vulgaris বোলতা ফোলা ও ব্যথা
১২ Formica rufa পিঁপড়া বাত, সন্ধি ব্যথা
১৩ Cantharis স্প্যানিশ ফ্লাই প্রসাবে জ্বালা, পুড়ে যাওয়া
১৪ Tarentula hispanica মাকড়সা অস্থিরতা, নাচতে ইচ্ছে
১৫ Mygale lasiodora মাকড়সা খিঁচুনি, স্প্যাজম
১৬ Theridion মাকড়সা মাথা ঘোরা, শব্দে সংবেদনশীল
১৭ Latrodectus mactans ব্ল্যাক উইডো মাকড়সা হার্ট পেইন, বুকে চাপ
১৮ Aranea diadema মাকড়সা কাঁপুনি, শীতলতা
১৯ Scorpio বিচ্ছু বিষ স্নায়বিক ব্যথা
২০ Pediculus উকুন চুলকানি, ত্বকের সমস্যা
২১ Sepia officinalis কাটলফিশের কালি মহিলা রোগ, গর্ভাশয়ের সমস্যা
২২ Ambra grisea হোয়েল সিক্রেশন লাজুক, বৃদ্ধদের দুর্বলতা
২৩ Medusa জেলিফিশ অ্যালার্জি, ত্বকের ফুসকুড়ি
২৪ Spongia tosta সামুদ্রিক স্পঞ্জ শুকনো কাশি, ক্রুপ
২৫ Asterias rubens স্টারফিশ স্তনের গুটি, ক্যান্সার প্রবণতা
২৬ Oleum jecoris (Cod liver oil) মাছ হাড়ের দুর্বলতা, শিশুদের সমস্যা
২৭ Homarus লবস্টার বাত, স্নায়বিক সমস্যা
২৮ Echinus সি আর্চিন রক্তশূন্যতা, টিউমার
২৯ Bufo rana ব্যাঙের বিষ মৃগী রোগ, যৌন দুর্বলতা
৩০ Lac caninum কুকুরের দুধ গলা ব্যথা, নার্ভাসনেস
৩১ Lac vaccinum গরুর দুধ হজম সমস্যা, মাথাব্যথা
৩২ Lac felinum বিড়ালের দুধ মানসিক পরিবর্তন, উত্তেজনা
৩৩ Lac equinum ঘোড়ার দুধ শারীরিক দুর্বলতা
৩৪ Lac humanum মানব দুধ শিশুদের রোগ, স্নায়বিক দুর্বলতা
৩৫ Castoreum বিবারের স্রাব খিঁচুনি, অস্থিরতা
৩৬ Moschus হরিণের মস্ক অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, স্নায়বিক সমস্যা
৩৭ Sanguis humanus মানব রক্ত দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা
৩৮ Fel tauri ষাঁড়ের পিত্ত হজম সমস্যা, যকৃতের রোগ
৩৯ Oophorinum প্রাণীর ডিম্বাশয় নারীর হরমোনজনিত সমস্যা
৪০ Thyroidinum প্রাণীর থাইরয়েড হাইপোথাইরয়েডিজম
৪১ Adrenalinum অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি শক, নিম্ন রক্তচাপ
৪২ Pancreatinum অগ্ন্যাশয় হজমের সমস্যা
৪৩ Insulinum প্রাণীর অগ্ন্যাশয় ডায়াবেটিস
৪৪ Cholesterinum প্রাণীজাত ফ্যাট লিভার ও গলব্লাডারের রোগ
৪৫ Ornithogalum (Pigeon milk) কবুতরের দুধ পেটের আলসার
৪৬ Lac defloratum স্কিমড দুধ মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য
৪৭ Hepar suis শুকরের লিভার লিভার রোগ
৪৮ Medorrhinum নোসোড (গনোরিয়া) যৌন রোগ, অস্থিরতা
৪৯ Psorinum নোসোড (স্ক্যাবিস) ত্বকের চুলকানি, ঠান্ডা লাগা
৫০ Tuberculinum নোসোড (টিবি) পরিবর্তনশীল লক্ষণ, দুর্বলতা।

29/09/2025

#হোমিওপ্যাথিকঔষধ
#হোমিওপ্যাথিকচিকিৎসা
#বেসিলিনাম

#টিউবারকিউলিনাম

টিউবারকিউলোসিস রোগের মূলে যে একটি জীবানু তা প্রথম আবিষ্কার করেন রবার্ট কচ ১৮৮২ সালে। তা জানার পরে আমেরিকার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ সোয়ান একটি গরুর লিম্ফ গ্লান্ড থেকে কিছু টিসু নিয়ে টিউবারকিউলিনাম ঔষধটি তৈরি করেন।

পরে ডাঃ কেন্ট একই ফর্মুলায় নিজের তত্ত্বাবধানে একজন পশু চিকিৎসককে দিয়ে টি বি আক্রান্ত একটি ষাঁড়ের লিম্ফ গ্লান্ড থেকে টিসু কালেকশন করে ফিলাডেলফিয়ার বোরিক এ্যান্ড ট্যাফেল কোম্পানিকে দিয়ে আলাদাভাবে টিউবারকিউলিনাম ঔষধ তৈরি করান, এবং স্কিনার মেশিনে ৩০,২০০, ১০০০, ইত্যাদি উচ্চশক্তি বানান। কেন্ট তার তত্ত্বাবধানে তৈরি হওয়া টিউবারকিউলিনামের নাম দিলেন টিউবারকিউলিনাম বোভাইনাম। কারণ, বোভাইনাম ইংরাজি শব্দের অর্থ ষাঁড় জাতীয় গরু। যেহেতু ষাঁড়ের লিম্ফ গ্লান্ড থেকে তিনি ঔষধটি তৈরি করিয়েছিলেন তাই এই নামটি তিনি দিয়েছিলেন।

তবে টিউবারকিউলিনাম আর টিউবারকিউলিনাম বোভিনাম মোটামুটি একই ভাবে একই রকম কাজ করে।

এর বেশ কিছুদিন পরে লন্ডনের ডাঃ বার্নেট টি বি হওয়া একজন মানুষের ফুসফুসের অংশ কালেকশন করে নিজের তত্ত্বাবধানে ট্রাইটেশন করিয়ে 1X শক্তি তৈরি করান এবং পরে জাম্পিং পোটেনসির মাধ্যমে ৩০, ২০০, ১০০০, ইত্যাদি শক্তি বানান। তিনি এই প্রিপারেশনের নাম দেন ব্যাসিলিনাম। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় লক্ষন মোটামুটি ঐ টিউবারকিউলিনামের মতন পাওয়া গেল।

তবে এই সব প্রিপারেশনগুলি ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা হয়েছে। কোন প্রিপারেশন হ্যানিম্যানিয়ান পদ্ধতিতে প্রুভিং হয়নি।

ক্লার্কের ডিকসনারি অব মেটিরিয়া মেডিকা বা বোরিকের বইয়ের টিউবারকিউলিনাম ঔষধের রিলেশনে টিউবারকিউলিনাম কচ, টিউবারকিউলিনাম এ্যাভেরি, ইত্যাদি নামে কিছু ঔষধ দেখতে পাওয়া যায়। তবে এগুলি মোটেই নির্ভরযোগ্য নয়। ডাঃ পিয়ার স্মিথ তার Defective illness বইয়ে কিছু নোসোডস আলোচনা প্রসঙ্গে এইসব নতুন প্রিপারেশন সম্বন্ধে পরিষ্কারভাবে বলেছেন --As for the other Tuberculinum preparations, the indications we have are theoretical, arbitrary, conventional and empirical.

যাইহোক টিউবারকিউলিনাম এবং টিউবারকিউলিনাম বোভিনামের ক্লিনিক্যালি পাওয়া লক্ষণগুলি মোটামুটি একই রকম ----

★ প্রায় সর্দি কাশি লাগে, খুব সাবধানে থাকলেও কিভাবে যে সর্দি লাগে, কোথা থেকে লাগে, কেমন ভাবে লাগে, তা মোটেই বোঝা যায় না। দুই চার দিন অন্তর শুধু ঠান্ডা বা সর্দি কাশি লেগেই চলে। তাই মজা করে বলা যেতে পারে -- টিউবারকিউলিনাম রোগীর বিয়ের রাতে ঠান্ডা লাগলে তা সারে তার হানিমুন সফর শেষ হলেও সারে না।

( সহজে সর্দি লাগে -- ব্যারাইটা কার্ব, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, হিপার, কেলি কার্ব, নেট্রাম মিউর, নাইট্রিক এ্যাসিড, সোরিনাম, সাইলিসিয়া )

★ প্রচন্ড দুর্বলতা। দুর্বলতার কারণও বোঝা যায় না, খিদে ভালো, খায়-দায় ভালো, অথচ শরীরে ভীষণ দুর্বলতা। সবরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও খারাপ কিছু রোগ ধরা পড়ে না, কিন্তু শরীরে ভীষণ দূর্বলতা।

( ভীষণ দুর্বলতা --- আর্সেনিক, জেলস ) ,

★ শরীর দিন দিন শুকিয়ে যায়, অর্থাৎ রোগা হতে থাকে, ওজন কমতে থাকে। খায় দায় অথচ শরীর শুকিয়ে যেতে থাকে, গায়ে মোটেই মাংস লাগে না, চেহারার কোন উন্নতি নেই

( এ্যাব্রোটেনাম, আয়োডাম, নেট্রাম মিউর, স্যানিকিউলা, টিউবার, )

★ লম্বা রোগাটে চেহারা, বুকের ছাতি প্রশস্ত নয়, কাঁধ দুটি যেন ভিতরের দিকে ডেবে থাকে।

★ পরিচ্ছন্ন, আর্টিস্টিক এবং শিল্পী মনের --- এরা খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বা টিপটপ থাকতে ভালোবাসে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে বেড়াতে ভালোবাসে। বাচ্চারা বড়দের হাত ধরে টেনে টেনে বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে চায়।

★ গান-বাজনা খুব একটা পছন্দ করে না।

★ অ্যাডভেঞ্চার টাইপের মানসিকতা ---কোন কিছু চিন্তা ভাবনা করে না, যখন যা মনে হয় তাই করে । হঠাৎ ডিসিশন নিয়ে কোন জায়গায় বেড়াতে বেরিয়ে পড়ে। অফিসে জানালো না, স্ত্রীর সাথে কোন আলোচনা করলো না, কোথায় থাকবে, কিছু অসুবিধা হবে কি না , এসব চিন্তা করার কোন মানসিকতা থাকে না। কুইক ডিসিশন, কুইক স্টার্ট।

★ যে খাবারে রোগ বৃদ্ধি সেই খাবার খেতে চায়, যে কারণে রোগবৃদ্ধি সেই কারণকে কোনরকম গুরুত্ব দিতে চায় না,

★ ঝড়-বৃষ্টি মেঘলা আবহাওয়া ভালোবাসে, এইরকম আবহাওয়ায় মনে রোমাঞ্চ অনুভব করে।
( কার্সিনোসিন, সিপিয়া)

( ঝড় বৃষ্টি মেঘলা আবহাওয়া ভালোবাসে না, ভয় পায়,বা শরীর খারাপ করে --- জেলস, নেট্রাম কার্ব, মেডো, নেট্রাম মিউর, নাইট্রিক এ্যাসিড, ফসফরাস, সোরিনাম, রানানকিউলাস , রডোডেনড্রন,)

★ ভীষণ রাগ, জেদ --- অতি সহজেই রেগে যায়, রাগ কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারে না, রাগের চোটে জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে বা ভেঙে ফেলে। অতিশয় রুক্ষ, ও অসন্তুষ্ট৷ কোন ব্যাপারে কোনরকম উৎকন্ঠ থাকে না।

★ মনের বড় পরিবর্তনশীলতা ---বৈচিত্রতাই এদের জীবনের অঙ্গ। এক জায়গা বেশিদিন ভালো লাগে না, এক চাকরি বেশিদিন ভালো লাগে না, একই জায়গায় থাকতে বেশি দিন ভালো লাগে না, একই রকম জামা প্যান্ট পরতে বেশি দিন ভালো লাগে না, এক বন্ধু বেশিদিন ভালো লাগেনা, একজন ডাক্তারকে বেশীদিন দেখাতে চায় না --দুই চার দিন পরেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। এদের সাথে যারা প্রেম করে তাদের কপালেও দুঃখ জোটে, হয়তো মেয়েটি স্বপ্ন দেখছিল ঘর বাঁধার, কিন্তু তার স্বপ্ন দেখার মাঝেই পাখি অন্য ডালে বসতে আরম্ভ করে!

( সবকিছুতে পরিবর্তনশীলতা নয়, শুধু যৌনসংসর্গ অর্থাৎ সহবাস করার জন্য বা সেক্স ডিজায়ার চরিতার্থ করার জন্য নিত্য নতুন পার্টনার চায়, সম্পর্ক একবার হয়ে গেলে আর যোগাযোগ রাখতে চায় না --- ফ্লুওরিক এ্যাসিড )

★ বড় আশবাদী ----নানান রকম রোগে ভুগলেও, এবং ভীষণ শারীরিক দুর্বলতা থাকলেও এরা খুব আশাবাদী, কোনরকম নৈরাশ্যবোধে ভোগে না, সহজে হতাশ হয় না।

( মোটেই আশাবাদী নয়, সহজে হতাশ বা আশাহত হয় -- সোরিনাম )

★ রোগের পরিবর্তনশীলতা ---এই ঔষধে শুধু একজন মানুষের মনের পরিবর্তন হয় তা নয়, একজন মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগেরও পরিবর্তন দেখা যায়, রোগ এক অর্গান থেকে অন্য অর্গানে, বা এক সিস্টেম থেকে অন্য সিস্টেমে ধাবিত হয়। যেমন কিছুদিন রেসপিরেটরি সিস্টেমের শ্বাসকষ্টের রোগ চলার পরে ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের পাকস্থলী বা ইনটেসটিনের রোগ আরম্ভ হয়। কিছুদিন পর পর রোগের এইরকম সিস্টেমের পরিবর্তন হওয়ার পিছনে আপাতগ্রাহ্য কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।

★ টিউবারকিউলার ডায়াথেসিসের উন্নতি হয় ---- টিউবারকিউলার ডায়াথেসিস রোগীদের ঠিক করতে বা সুস্থ রাখতে এই ঔষধের উচ্চশক্তির দুই এক ডোজ লক্ষন মিলিয়ে দিলে রোগীদের অত্যন্ত উপকার হয়।

ব্যাপারটা কি? ডায়াথেসিস কথার অর্থ হলো প্রবণতা বা টেন্ডেন্সি। যেমন, রোগীর টি বি হয়নি। বাহ্যিক কোন পরীক্ষা নিরীক্ষায় টি বির কোন জার্ম পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু টি বি রোগ হলে যে সব কমন সিমপটমসগুলি দেখা যায়, সেইরকম কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যেমন --শরীরে জ্বর জ্বর ভাব থাকছে বিশেষ করে রাতের দিকে, খিদে কম হচ্ছে, চেহারা শুকিয়ে যাচ্ছে , ওজন কমে যাচ্ছে, প্রায়ই সর্দি কাশি লাগছে, রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরে অল্পস্বল্প ঘাম হচ্ছে, ঘাড়ের লিম্ফ গ্লান্ড দুই একটা ফুলে থাকছে, ইত্যাদি।

এ্যলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা এমন স্টেজে টি বির মতন লক্ষণ পেলেও যেহেতু সব রিপোর্ট নেগেটিভ, তাই টি বির কোন ঔষধ দিতে পারবে না, আর দিলেও তা মারাত্মক ক্ষতিকর হবে। এই ক্ষেত্রে আমাদের শক্তিকৃত টিউবারকিউলিনাম রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে পারে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে -- রক্তে টি বির জার্ম নেই, তবু এমন টি বি, রোগের লক্ষনের মতন ভাব হচ্ছে কেন? উত্তর হচ্ছে -- রোগীর শরীরে টিবির জার্ম ঢুকেছে, তারা শরীরে অবস্থান করছে, কিন্তু জীবণী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে ঠিক মতন আক্রমণ সানাতেতে পারছে না। রোগের এই অবস্থাকে বলা যেতে পারে সুপ্ত প্যাথলজি বা ডাইনামিক প্যাথলজি। বাজারে যেসব প্যাথলজি বা প্রাকটিস অব মেডিসিন বই পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন কোর্সে পড়ানো হয়, যা চিকিৎসকরা জানে, পড়ে, মানে, তা হচ্ছে সবই ডায়নামিক প্যাথলজির পরের স্টেজ, অর্থাৎ গ্রস প্যাথলজি, অর্থাৎ স্ট্রাকচারাল প্যাথলজি। ডায়নামিক প্যাথলজির কথা কোন প্রাকটিস অব মেডিসিনে বইয়ে বলা নেই।

★ মাংস, ও মিষ্টি পছন্দ করে, পাতে কাঁচা নুনও অনেকে খেতে চায়৷ তবে মাংস কখনো অপছন্দের তালিকায়ও থাকে।

★ রোগী শীতকাতর কি গরম কাতর তা পরিষ্কার বোঝা যায় না, তবে কিছুটা গরম কাতর বলা যেতে পারে,তাই এই বিষয় নিয়ে বেশি মাথা না ঘামানোই ভালো।

★ সামান্য চলাফেরায় বা পরিশ্রমে শরীরে খুব ঘাম হয়, তার সাথে থাকে দুর্বলতা।

★ রোগীর আগে একবার টি বি হয়েছিল, ঔষধ খেয়েছিল, ঔষধের কোর্স কমপ্লিটও করেছিল। কিন্তু তারপর থেকেই শরীরটা ভালো যাচ্ছে না, প্রায় সর্দি কাশি লাগছে, ঘাড়ের কাছে গ্লান্ড ফুলছে, খিদে ভালো হচ্ছে না, এমন ক্ষেত্রে টিউবারকিউলিনাম উচ্চশক্তির দুই এক ডোজ ঐ রোগীকে সুস্থ করে।

★ সব লক্ষণ মিললেও সুনির্দিষ্ট ঔষধে কোনো কাজ হচ্ছে না, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন ঔষধ দিতে থাকলেও স্যাটিশফ্যাক্টরি বা আশাতীত ফল পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু বংশে কারুর টি বি ছিল, তা সে মায়ের বাড়ির দিকেই হোক বা বাবার দিকেই হোক, এমন ক্ষেত্রে টিইবারকিউলিনাম উচ্চশক্তির এক ডোজ প্রয়োজন হতে পারে, এবং দ্রুত রোগী উন্নতির দিকে যেতে পারে।

★ ট্যাকিকার্ডিয়া, অর্থাৎ হার্ট রেট কারুর কারুর বেশি হতে পারে।

★ জিভের উপরটা অনেকের লিচু ফলের বা স্ট্রবেরি ফলের বাইরের মতন ডুমো ডুমো দেখা যায়। একে বলা হয় Strawberry tongue.

★ পিপাসা ভালো, ঠান্ডা জল খেতে চায়।

★ ক্ষুধা পরিবর্তনশীল, কখনো ভালো ক্ষুধা, আবার কখনো একেবারেই ক্ষুধা থাকে না।

★ অনেক লক্ষণ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

★ যদি কিছু চরিত্রগত লক্ষন মেলে তবে উপকার পাওয়া যেতে পারে নিম্নলিখিত ক্লিনিক্যাল কন্ডিশনগুলিতে --

* মহিলাদের ব্রেস্ট টিউমারে ,

* মহিলাদের মাসিকের সময় পেট ব্যথায়,

* মর্নিং ডায়েরিয়া অর্থাৎ সকালের দিকে পাতলা পায়খানা চলতে থাকলে ,

* তীব্র মাথা যন্ত্রণায়, বিশেষ করে ডান দিকের, এবং স্কুলে যাওয়া মেয়েদের ,

* বহুদিন ধরে ভুগতে থাকা #টনসিলাইটিস রোগে,

* বিষফোঁড়া যখন দলে দলে বের হয়, ( সালফার )

* শরীরের স্থানে স্থানে #একজিমা হতে থাকলে

★ টিউবারকিউলার #মেনিনজাইটিস রোগে , ইত্যাদি।

সংগৃহীত

 #হোমিওপ্যাথিক      #স্নায়বিকদুর্বলতা  #মানসিকঅবসাদ  #স্মৃতিশক্তিকমেযাওয়া  #হতাশা
10/09/2025

#হোমিওপ্যাথিক

#স্নায়বিকদুর্বলতা #মানসিকঅবসাদ #স্মৃতিশক্তিকমেযাওয়া #হতাশা

25/08/2025

এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না! যার এই সমস্যা নেই। আজকে অল্প সময়ের মধ্যে অসহ্য চুলকানির হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে আলোচনা করব।

অসহ্য চুলকানির হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য সঠিক ঔষধ নির্বাচন করতে রোগীর নির্দিষ্ট উপসর্গ, চুলকানির ধরন, কারণ, এবং শারীরিক-মানসিক অবস্থা বিবেচনা করা জরুরি। হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা ব্যক্তিগতকৃত হয়, তাই কোনো যোগ্য হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে, সাধারণ কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যা চুলকানির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

/ সালফার
উপসর্গ: ত্বকে তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে বা উষ্ণতায় বাড়ে। ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ, এবং লাল হতে পারে। রোগী সাধারণত উষ্ণতা সহ্য করতে পারে না।
ব্যবহার: ত্বকের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বা অ্যালার্জির ক্ষেত্রে উপকারী।

Toxicodendron/ রাস টক্স
উপসর্গ: চুলকানির সাথে জ্বালাপোড়া, ছোট ফোসকা বা লাল দাগ। চুলকানি ঠান্ডায় বা স্ক্র্যাচ করলে কমে, কিন্তু উষ্ণতায় বাড়ে।
ব্যবহার- একজিমা, অ্যালার্জি বা বিষাক্ত উদ্ভিদের কারণে চুলকানির জন্য।
Mellifica/ এপিস মেল-
উপসর্গ- ত্বকে ফোলাভাব, লালচে ভাব, এবং জ্বালাপোড়ার সাথে চুলকানি। ঠান্ডা প্রয়োগে আরাম লাগে, কিন্তু উষ্ণতায় অস্বস্তি বাড়ে।
ব্যবহার- পোকার কামড়, হাইভস (উর্টিকেরিয়া), বা অ্যালার্জিক চুলকানির জন্য।

Urens / আর্টিকা ইউরেন্স
উপসর্গ: হাইভস বা অ্যালার্জির কারণে তীব্র চুলকানি, জ্বালাপোড়া, এবং ত্বকে লাল দাগ। খাবার বা পরিবেশগত অ্যালার্জির ক্ষেত্রে উপযোগী।
ব্যবহার- অ্যালার্জি বা ত্বকের জ্বালাপোড়ার জন্য।

Album/ আর্সেনিক এল্বাম-
উপসর্গ: শুষ্ক, খসখসে ত্বকে চুলকানি, বিশেষ করে রাতে বাড়ে। রোগী অস্থির, উদ্বিগ্ন এবং ঠান্ডায় অস্বস্তি বোধ করে।
ব্যবহার- দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের সমস্যা বা সোরিয়াসিসের ক্ষেত্রে।

/ গ্রাফাইটিস-
উপসর্গ-ত্বক শুষ্ক, ফাটা, এবং চুলকানির সাথে আঠালো নিঃসরণ। চুলকানি সাধারণত ত্বকের ভাঁজে বা মোটা ত্বকে বেশি হয়।
🌱 ব্যবহার- একজিমা বা দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের সমস্যার জন্য।

🌱 সাধারণ পরামর্শ:
ডোজ- #হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সাধারণত 6C, 30C বা 200C পটেন্সিতে ব্যবহৃত হয়। তবে ডোজ এবং পটেন্সি নির্ভর করে রোগীর অবস্থার উপর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করবেন না।
অ্যালার্জি এড়ানো- চুলকানির কারণ (যেমন খাবার, ধুলো, পশম) চিহ্নিত করে তা এড়িয়ে চলুন।
👉ত্বকের যত্ন- ত্বক পরিষ্কার রাখুন, হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন, এবং কৃত্রিম সুগন্ধিযুক্ত সাবান বা লোশন এড়িয়ে চলুন।
👉 ডায়েট: পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার (যেমন মশলাদার খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার) কম খান।

🍁 গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ -
- চুলকানি যদি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই একজন যোগ্য হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা রোগীর পূর্ণ ইতিহাস নিয়ে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করবেন।
- স্ব-চিকিৎসা এড়িয়ে চলুন, কারণ হোমিওপ্যাথিতে ভুল ঔষধ বা পটেন্সি উপসর্গকে আরও জটিল করতে পারে।
#হোমিওপ্যাথি

01/08/2025



#হোমিওপ্যাথি
চোঁখের ছানি থেকে মুক্তির হোমিও চিকিৎসা ও মেডিসিন :-
কোনিয়ম (Comium) : চোখের ছানি রোগের উৎকৃষ্ট ঔষধ ।চক্ষু খুলিলেই চক্ষু হইতে গরম জল পড়ে ।আলোর দিকে তাকাইতে পারে না ।গরম প্রিয় রোগীর বেলায় ইহা ।অধিক উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল দিনে দিুই মাত্রা ।পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি ।

ন্যাপথালীন (Napthaline) : চোখের ছানি পীড়ায় অস্পষ্ট দৃষ্টিতে ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x বা 30 প্রত্যহ দুই মাত্রা ।

সেনেগা (Sengea) ; একটি বস্তু দুইটি দেখে চক্ষুর সম্মুখে অগ্নি কনার মত দেখা যায় ।ছানি রোগে চক্ষুতে অল্প যন্ত্রনা করা ফলে নানা প্রকার উপসর্গে এই ঔষধ উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই মাত্রা ।

সিপিয়া (Sepia) : নাতিশীতোষ্ণ প্রিয় উদাসীন ক্রন্দশীলা জরায়ু পীড়া প্রন্থ রোগীদের চোখের পাতায় ছোট ছোট কুস্ফুরী ।চক্ষু হইতে জল পড়ে ।চোখে ছানি ঝপসা দেখে ।চোখের ভিতরে চক্ষুতে অস্ত্র করার ফলে নানা প্রকার উপসর্গে এই ঔষধ ।কাযকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল দিনে দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগে 1m,10m বা আরো উচ্চ শক্তি ।

সিনেরেরিয়া (Ceneraria) : ছানি রোগে ইহা একটি ইহা একটি উত্তম ঔষধ ।বৃদ্ধ বয়সে ছানি রোগে এই ঔষধ ব্যবহারে করিয়া বহু রোগী আরোগ্য হইয়াছে সিনেরিরেয়া Q এক ভাগ নয় ভাগ ডিস্টিল ওয়অটারের সাথে মিশ্রিত করিয়া ২/৩ ফোটা প্রত্যহ দিনে তিন বার চক্ষুতে বাহ্যিক ব্যবহারে কালীন লক্ষন অনুযায়ী কোন ধৈয় সহকারে কয়েক মাস ক্রমাগত সেবন করিলে উপকার পাওয়া যায় ।

ইউফবিয়াম (Euphorbium) : চক্ষের মতিয়া বিন্দু রোগে অথাৎ চক্ষুর মনি সাদা হইয়া গেলে এই ঔষধ উত্তম উপকারী ।রোগের প্রথম বস্থায় অল্প আলোতে কিছু দিতে পায় ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 200 দিনে দুই মাত্রা কিছু অধিক দিন সেবন করিতে হয় ।

কোলোস্টেরিনাম (Cholosterinum) : এই ঔষধটির ওচক্ষুর মনির ভিতর সাদা হইয়া গেলে কিছু অধিক দিন সেবন করিলে এই দূরারোগ্য পীড়া আরোগ্য হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x বা 6x এক বা দুই গ্রেন মাত্রা দিনে তিন বার ।

কষ্টিকাম (Causticum) : শীত কাতরে রোগী চক্ষুতে ছানি পড়ার প্রথমবস্থায় যখন ঝপসা দেখা আরম্ব করে তখন বারে চোখ রগড়ায় ।ইত্যাদি লক্ষনে ইহা কিছুদিন সেবন করিলে হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দিনে তিন মাত্রা ।সম্পূর্ণ উপকার না হইলে ২০০ বা 1m ব্যবস্থায় ।

ফসফরাস (Phosphorus) : লম্বা চিপ চিপে হাটিতে সামনে নুইয়া চলে ।অভিমানী শীত কাতর ধাতু বিশিষ্ট রোগী কোন প্রকার বলক্ষয় পীড়ায় ভুগিয়া চোখে ঝপসা দেখে ।বাতির আলো দিগুন বা রামধনুর মত দেখায় ।মাঝে মাঝে চোখের সামনে কালো মাছির মত উড়িতে দেখে ।এই সম্ত লক্ষনে ফসফরাস উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দিনে তিন মাত্রা ।পুরাতন রোগে 200 সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।
বাইওকেমিক চিকিৎসা
ক্যালকেরিয়া ফ্লোর (Calcarea Flour) : লেখা পড়া বা সেলাইয়ের কাজ করিয়া চোখে ঝাপসা দেখে চোখের সামনে অগ্নি কনার মত উড়িতে ধেখা যায় ।ইত্যাদি লক্ষনে শক্তি দুর্বল কুয়াশার মত দেখা যায় ।

সেবন বিধি : শক্তি 12x হইতে আরো উচ্চ শক্তি । ২-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দিনে দুই মাত্রা ।

সাইলেসিয়া (Silicea) : চোখে স্নান বিক বেদনা আলোর দিকে তাকাইতে পারে না ।দুষ্টি কুয়াশায় দেখা যায় ।

সেবন বিধি : শক্তি 12x,30x বা 200 সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

 #হোমিওপ্যাথি           #আঘাতে হোমিওপ্যাথি
29/07/2025

#হোমিওপ্যাথি

#আঘাতে হোমিওপ্যাথি

29/07/2025

#তুলসী
বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum Sanctum
একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসী গাছ লামিয়াসি পরিবারের অন্তর্গত একটি সুগন্ধী উদ্ভিদ। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসাবে পরিচিত।

তুলসীপাতার উপকারিতাঃ

মানসিক চাপঃ
তুলসী পাতা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। কারণ তুলসী পাতায় রয়েছে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আবার তুলসী পাতা খেলে আমাদের শরীরের কার্টিসেল মাত্রা কমে যায় এবং মানসিক চাপ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়। সুতরাং, মানসিক চাপ কমাতে তুলসী পাতা খেতে পারেন।

সর্দি, কাশি ও জ্বর নিরাময়ঃ
জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে তুলসির পাতা খেলে রোগগুলো নিরাময় হয়ে থাকে। জ্বর নিরাময়ে তুলসী পাতা + এলাচ + পানি ফুটিয়ে পান করলে জ্বর ভালো হয়ে যায়। আবার তুলসী পাতা খেলে কাশি নিরাময় করে থাকে। কাশি নিরাময়ের জন্য তুলসী পাতা + মধু + আদার রস মিশিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়। সর্দি থেকে রক্ষা পেতে তুলসী পাতার রস অনেক উপকারী। তাই জ্বর, সর্দি-কাশি থাকলে তুলসী পাতার বা তুলসী পাতার রস খেতে পারেন।

ওজন কমাতেঃ
ওজন কমাতে তুলসী পাতা হচ্ছে উত্তম একটি খাবার। কারণ রক্তে থাকা কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা তুলসী পাতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই আপনি তুলসী পাতা খাওয়ার মাধ্যমেই ওজন কমাতে পারবেন।

দাঁতের স্বাস্থ্যঃ
দাঁত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ-সবল রাখতে তুলসী পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে মাইক্রোবিয়াল ও এন্টি-ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান, যা আমাদের দাঁতকে শক্ত রাখে এবং দুর্গন্ধ মুক্ত করে।

ব্রণ দূর করতেঃ
ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে তুলসী পাতার উপকারিতা রয়েছে। তুলসী পাতার পেস্ট বানিয়ে সাথে চন্দন মিশিয়ে মুখে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। এরপর জল দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এর ফলে ব্রণ থেকে মুক্তি পুরোপুরি মুক্তি পেতে পারেন।

ত্বক পরিষ্কার রাখতেঃ
তুলসী পাতা ত্বকের সংক্রমণ ও পরিষ্কার রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ তুলসী পাতায় রয়েছে এন্টি-বায়োটিক উপাদান। যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া এবং আর্থাসিস দূর করতে সহায়তা করে।

চোখের সমস্যা সমাধানেঃ
চোখের সমস্যা সমাধানে তুলসী পাতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ তুলসী পাতায় রয়েছে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা আমাদের চোখের সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই চোখের কোনো সমস্যা থাকলে তুলসী পাতা বা রস খেতে পারেন।

মাথাব্যথা কমাতেঃ
মাথা ব্যথা দূর করতে দৈনিক ১-২ বার তুলসী পাতা খেতে পারেন। মাথা ব্যথা কমাতে তুলসী পাতার উপকারিতা অনেকগুণ থাকায় আপনি চাইলে তুলসী পাতা খেয়ে মাথা ব্যথা পুরোপুরি দূর করতে পারেন।

কিডনি পরিষ্কার রাখতেঃ
কিডনি সুস্থ-সবল রাখতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী। কারণ তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে কিডনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচল রাখে। সুতরাং কিডনি সুরক্ষায় দৈনিক তুলসী পাতা খেতে কখনোই ভুলবেন না।

হার্টের সুরক্ষায়ঃ
হার্টের সমস্যা সমাধানে তুলসী পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কারণ তুলসী পাতা রক্তের জমাট বাধা দূর করে পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহযোগিতা করে। ফলে হার্ট সুস্থ ও সুরক্ষা মধ্যে থাকে।

ক্যান্সার নিরাময়ঃ
তুলসী পাতায় রেডিও প্রটেক্টিভ জাতীয় উপাদান রয়েছে যা টিউমারের কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতায় ফাইটো- কেমিক্যাল উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে তুলসী পাতা অনেক বেশিই উপকারিতা রয়েছে। কারণ তুলসী পাতার খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যায়। সেইসাথে তুলসী পাতা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধের মতো কাজ করে থাকে। সুতরাং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তুলসী পাতা খেতে পারেন।

পেট পরিষ্কারেঃ
পেট পরিষ্কার রাখতে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তুলসী পাতা খুবই উপকারী। পেটে ব্যথা থাকলে তুলসী পাতা ভালোভাবে গরম পানিতে ফুটিয়ে খেলে পেট ব্যাথা পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।

লিভার ঠিক রাখতেঃ
তুলসী পাতায় রয়েছে হেপাটো-প্রটেক্টিভ উপাদান যা লিভার ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিভারে কোনো প্রকার বিষক্রিয়া থাকলে তুলসী পাতা সেটা দূর করে দেয়। লিভারের সমস্যা সমাধানের জ১ন্য আগে চিকিৎসকেরসাথে পরামর্শ করে, পরে তুলসী পাতা বা তুলসী পাতার রস খেতে পারেন।

ব্যথা ও ফোলা ভাব দূর করতেঃ
তুলসী পাতা আমাদের শরীরের সকল ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতায় ইউক্যালিপটাস নামক এক ধরণের উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের ফোলা ভাব দূর করে অর্থাৎ তুলসীপাতাকে‘পেইনকিলার’ওবলাহয়।

রক্তনালী পরিষ্কারেঃ
রক্তনালী পরিষ্কারে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম। কারণ তুলসী পাতায় ইনফ্লেমেটরি নামক উপাদান রয়েছে যা রক্তনালী পরিষ্কার ও রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে।

তুলসী পাতার ব্যবহার:

আমাদের দেশে ছেলেমেয়েদের সর্দি-কাশিতে তুলসী পাতার রস ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। এসব ক্ষেত্রে কয়েকটি তাজা তুলসী পাতার রসের সাথে একটু আদার রস ও মধুসহ খাওয়ানো হয়। বাচ্চাদের সর্দি-কাশিতে এটি বিশেষ ফলপ্রদ।
san.

Address

Beniapotty
Pabna
6600

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Friday 09:00 - 13:30
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bengal Homoeopathic Laboratory posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram