বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র/Bangladesh Homoeo Health Service

  • Home
  • Bangladesh
  • Panchagarh
  • বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র/Bangladesh Homoeo Health Service

বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র/Bangladesh Homoeo Health Service Health care

***ডায়বেটিস ও তার হোমিও চিকিৎসা ***-----------------------------------------------------আসুন আমরা প্রথমে জানব ডায়াবেটিস...
21/08/2022

***ডায়বেটিস ও তার হোমিও চিকিৎসা ***
-----------------------------------------------------

আসুন আমরা প্রথমে জানব ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি ? এবং ডায়াবেটিসের ধরন ।

মানুষের শরীরে কোন কারণে ইনসুলিন নামক হরমোনের অভাব হলে ক্ষারের কার্যকারিতা হ্রাস পেলে অথবা এ দুটোরই ফলশ্রুতিতে দেহে শর্করা, আমিষ ও ফ্যাট জাতীয় খাদ্যের বিপাক ক্রিয়ার অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায় । এরকম অবস্থাকেই ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা বহুমূত্র অথবা সংক্ষেপে ডায়াবেটিস বলে
ডায়াবেটিস মেলিটাস এমন একটা রোগ যাতে রক্তে শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে বেড়ে যায় । আপনার আমার পেটের মাঝের অংশে রয়েছে অনেকটা গাজরের মতো দেখতে একটি গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি । তার নাম প্যাংক্রিয়াস বাংলায় অগ্ন্যাশয় । এই অগ্ন্যাশয়ের আবার দুটি অংশ – অন্তঃস্রাবী ( Endocrine ) ও বহিঃস্রাবী ( Exocrine ) ।
অগ্ন্যাশয়ের বহিঃস্রাবী অংশ থেকে বার হয় কয়েক ধরনের উৎসেচক বা এনজাইম । এই সব উৎসেচক প্রোটিন, শ্বেতসার-শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবারকে হজম করায় ক্ষুদ্রান্ত্রের ভেতর । এই উৎসেচকগুলো অগ্ন্যাশয় থেকে প্যাংক্রিয়াসের নালী বা প্যাংক্রিয়াটিক ডাকটের মাধ্যমে পাকস্থলীর পরবর্তী অংশ ডিওডেনামে ( গ্রহণী ) এ গিয়ে খাবারের সঙ্গে মিশে কাজ করতে থাকে । অগ্ন্যাশয়ের এই নালীযুক্ত বহিঃস্রাবী অংশ নানা ধরনের খাদ্যের হজমের পক্ষে অপরিহার্য হলেও, ডায়াবেটিস রোগ সৃষ্টিতে এর কোনও ভুমিকা নেই ।
অগ্ন্যাশয়ের অন্তঃস্রাবী বা অনাল ( Ductless ) অংশ ডায়াবেটিস রোগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত । এই অংশ থেকে দুটি হরমোন সরাসরি রক্তে গিয়ে মেশে । হরমোন দুটি হল ইনসুলিন আর গ্লুকাগন । অগ্ন্যাশয়ের দ্বীপপুঞ্জের মতো দেখতে আইলেট কোষ ( বিটা সেল ) থেকে আসে ইনসুলিন । আর অন্য কোষগুলো ( আলফা সেল ) থেকে গ্লুকাগন । এই দুই হরমোন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে । ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায় গ্লুকাগন বাড়ায় ।
ডায়াবেটিস মেলিটাস রোগে অগ্ন্যাশয়ের আইলেট কোষপুঞ্জ থেকে ইনসুলিনের নিঃসরণ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বা স্বাভাবিকের চাইতে কমে আসে । শরীরে প্রোটিন, শ্বেতসার-শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের বিপাকের কাজে সঠিকমাত্রায় ইনসুলিন অপরিহার্য । ইনসুলিন নিঃসরণ কমে গেলে বা একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে শরীরের স্বাভাবিক বিপাকীয় কাজকর্মে বিপর্যয় দেখা দেয় । এই বিপর্যয় একটানা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে চক্ষু , বৃক্ক ( Kidney ), স্নায়ু ( Nerves ) ও হৃদযন্ত্রে তৈরি হয় নানা জটিলতা ।
শরীরে বিপাকীয় কাজক্রমে ভাঙা ( Catabolism ) আর গড়া ( Anabolism )-র স্বাভাবিক একটা ভারসাম্য রয়েছে । ইনসুলিনের অভাবে ভাঙা আর গড়ার এই স্বাভাবিক ছন্দে বিঘ্ন ঘটে শরীরী ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় ।
খাবার খাওয়ার পর অন্ত্র থেকে গ্লুকোজ রক্তে গিয়ে গ্লুকোজের মাত্রাকে বাড়ীয়ে দেয় হঠাৎ করে । অগ্ন্যাশয় থেকে সঙ্গে সঙ্গে ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ে । ইনসুলিন শরীরে প্রান্তিক কোষগুলোতে গ্লুকোজের প্রবেশ ও কোষের মধ্যে গ্লুকোজকে কাজে লাগানোর স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সাহায্য করে । প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেনে পরিণত করে অসময়ের জন্য লিভারে জমা করার কাজটিও ইনসুলিনের । এক কথায়, শরীরের কোষে কোষে গ্লুকোজকে ঠিকঠিক কাজে লাগানো ও অতিরিক্ত গ্লুকোজকে অসময়ের জন্য লিভারে জমা করে রাখার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে ইনসুলিন ।
ফ্যাট বা প্রোটিনের ক্ষেত্রেও ইনসুলিনের ভুমিকা একইরকম গঠনমূলক । শরীরে “ ফ্যাটসেল ” গুলোর
মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিডকে কাজে লাগানো ও অতিরিক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডকে ট্রাইগ্লিসারাইড হিসাবে জমা করে রাখতে সাহায্য করে ইনসুলিন । প্রোটিন জাতীয় খাবার থেকে তৈরি হওয়া অ্যামাইনো অ্যাসিডকে কোষে প্রবেশ করিয়ে ইনসুলিন তা থেকে প্রোটিন তৈরি করার কাজে সাহায্য করে ।
শরীরে ইনসুলিনের অভাব দেখা দিলে বিপাকের এই স্বাভাবিক ছন্দটিতে বিঘ্ন ঘটবেই । ইনসুলিনের অভাবে কোষে গ্লুকোজের প্রবেশ ও ব্যবহার ( Utilisation ) কমে । কমে গ্লাইকোজেন তৈরি, এর পাশাপাশি লিভারের জমা থাকা গ্লাইকোজেন ভেঙে তৈরি হয় গ্লুকোজ । গ্লুকোজ তৈরি হয় কার্বোহাইড্রেট নয় এমন উৎস থেকেও ।
একদিকে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোতে গ্লুকোজের প্রবেশ ও ব্যবহার কমে, অন্যদিকে গ্লাইকোজেন ও অন্য সূত্র থেকে ভেঙে গ্লুকোজ এসে জমা হতে থাকে রক্তে । ইনসুলিনের অভাবে তাই রক্তে থিকথিক করতে থাকে গ্লুকোজ । অথচ শরীরে কোষগুলো যথেষ্ট পরিমাণ গ্লুকোজ না পেয়ে ভুগতে শুরু করে অপুষ্টিতে । ডায়াবেটিস তাই “ প্রাচুর্যের মধ্যেও দুর্ভিক্ষ ” । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাসায় “ স্টারভেশান অ্যামিস্ট প্লেনটি ”
ডায়াবেটিসে এর পাশাপাশি ইনসুলিনের অভাবে শরীরের কোষে কোষে প্রোটিন ভাঙতে থাকে । ফ্যাট বা চর্বির ক্ষেত্রে ট্রাইগ্লিসারাইড ভেঙে যেতে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিডে । ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকলে প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের বিপাকে ইনসুলিন গঠনমূলক ভুমিকা নেয় । ডায়াবেটিসে ইনসুলিনের অভাবে সেই গঠনের প্রক্রিয়া বাঁধা পায়, বাড়ে ভাঙন । অনিবার্যভাবে স্বাভাবিক শরীরী ভারসাম্যটি যায় নষ্ট হয়ে ।

ডায়াবেটিসের ধরন !

ডায়াবেটিস মেলিটাস প্রাথমিকভাবে দুরকম । টাইপ ওয়ান বা ইনসুলিন-নির্ভর ডায়াবেটিস ( IDDM ; Insulin Dependent Diabetes Mellitus ) আর টাইপ টু বা ইনসুলিন- নিরপেক্ষ ডায়াবেটিস ( NIDDM ; Non – Insulin dependent diabetes mellitius ) ।
টাইপ ওয়ান বা ইনসুলিন-নির্ভর ডায়াবেটিস ( IDDM ; Insulin Dependent Diabetes Mellitus ) – টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয়ের আইলেট কোষগুলো নষ্ট হয়ে গিয়ে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় । টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর পক্ষে বেঁচে থাকতে হলে নিয়মিত ইনসুলিনের ইঞ্জেকশান নেওয়া তাই আবশ্যিক ।
টাইপ টু বা ইনসুলিন- নিরপেক্ষ ডায়াবেটিস ( NIDDM ; Non – Insulin dependent diabetes mellitius ) - টাইপ টু ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন বার হওয়া কমে গেলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় না । টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে তাই বাইরে থেকে ইনসুলিন নেওয়া একান্ত আবশ্যিক নয় ।

আমরা প্রথমে জানলাম ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি ? এবং ডায়াবেটিসের ধরন । এবার আমরা জানব টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর পক্ষে যে কৃত্রিম ইনসুলিন ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব নয় সেই ইনসুলিন আবিস্কারের কথা –
১৯২২ সালে ৩ মে ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাসে শুধু নয়, সভ্যতার ইতিহাসে এই দিনটির কথা চিরকাল লেখা থাকবে সোনার অক্ষরে । ওই দিনটিতে ক্যানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন গবেষকের একটি দল মানুষের শরীরে ব্যবহারের উপযোগী ইনসুলিন আবিস্কারের কথা প্রথম ঘোষণা করেন । ওয়াশিংটনে আমেরিকান চিকিৎসকদের সংগঠনের সভায় প্রথম পেশ করা ওই আনুষ্ঠানিক গবেষণাপত্রের শিরোনাম ছিল – “ ডায়াবেটিসের রোগীদের ওপর অগ্ন্যাশয়ের নির্যাসের প্রভাব ’ । গবেষণাপত্রটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এটি > ‘ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কারগুলোর অন্যতম ’ হিসেবে বিপুল সমাদর লাভ করে ।
ইনসুলিন আবিস্কারের ইতিহাস শুরু হয়েছিল ১৯২০ সালে, টরেন্টো শহরে । বিজ্ঞানীদলের প্রধান ফ্রেডরিক ব্যানটিং ছিলেন যশস্বী এক শল্যচিকিৎসক । ডায়াবেটিস রোগ বা গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ব্যাপারে তেমন কোনও উৎসাহ বা জ্ঞান ছিল না ব্যানটিংয়ের । অগ্ন্যাশয়ের গঠন নিয়ে পড়াশোনা করতে করতে আকস্মিকভাবেই আবিস্কারপ্রিয় ও উদ্যমি ব্যানটিংয়ের মাথায় ডায়াবেটিসের রোগীদের বাঁচাতে ইনসুলিন আবিস্কারের ইচ্ছা চেপে বসে । ব্যানটিং সাহায্যের আশায় ছুটলেন টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরবিদ্যার অধ্যাপক জে, জে আর ম্যাকলিঅডের কাছে । ম্যাকলিঅড সঙ্গে সঙ্গে ব্যানটিংকে গবেষণাগার, পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কুকুর ও একজন সহায়ক ছাত্র দিয়ে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন । ম্যাকলিঅডের একজন ছাত্র চার্লস বেস্ট নির্বাচিত হন ব্যানটিংয়ের গবেষণার সহায়ক হিসেবে ।
১৯২১ সালের গ্রীষ্মে টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে শুরু হল ব্যানটিং ও বেস্টের গবেষণার কাজ । প্রথমদিকে কিছুটা বিপথচালিত হয়ে আগস্টের শুরুতে কুকুরের অগ্ন্যাশয় শুকিয়ে, ঠাণ্ডায় জমিয়ে তার নির্যাস জীবন্ত কুকুরের ওপর প্রয়োগ করতে শুরু করেন ব্যানটিং ও বেস্ট । গবেষণা চলছিল অধ্যাপক ম্যাকলিঅডের তত্বাবধানে ।
ওই নির্যাস শরীরে যাওয়া কুকুরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে আসতে থাকে । বারবার এই পরীক্ষা সফল হলেও অগ্ন্যাশয়ের নির্যাস থেকে বিশুদ্ধ ইনসুলিন আবিস্কারের তখনও অনেকটাই বাকী । এ ব্যাপারে একজন অভিজ্ঞ রসায়নবিদের সাহায্য নেওয়া দরকার মনে হওয়ায় এই দলে জেমস, বি, কলিপ নামের একজন জৈব রসায়নবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয় । ডিসেম্বর মাসে গবেষণার কাজে যোগ দেন কলিপ ।
১৯২১ সালের ডিসেম্বরের শেষে আমেরিকার শরীরতত্ববিদদের সংগঠনের সভায় ডায়াবেটিসের রোগীদের ওপর অগ্ন্যাশয়ের নির্যাসের প্রভাব নিয়ে প্রথম গবেষণাপত্রটি পেশ করেন ব্যানটিং ও বেস্ট । এই গবেষণার ব্যাপারে সভায় শারীরবিদরা মুখর হয়ে ওঠেন । শারীরবিদদের মুল অভিযোগ ছিল, ওই অশুদ্ধ নির্যাস মানুষের ওপর প্রয়োগ করা অসম্ভব । কেন না কুকুরের শরীরেই এটি নানাধরনের বিষক্রিয়া তৈরি করছে ।
অগ্ন্যাশয় থেকে নির্যাস বার করার উন্নততর পদ্ধতি ও ওই নির্যাসের শুদ্ধকরণে কলিপ ইতিমধ্যে এগিয়ে গেছেন অনেকটাই । ১৯২২ সালের প্রথম দিনটিতে অগ্ন্যাশয়ের এরকম আংশিক শুদ্ধ নির্যাস প্রথম প্রয়োগ করা হল ১২ বছর বয়সী মৃত্যু পথযাত্রী এক শিশুর শরীরে । টরেন্টোর জেনারেল হাসপাতালে লিওনাদ থম্পসন নামের ওই শিশুর ডায়াবেটিসের উপসর্গ কমাতে ব্যর্থ হয় ব্যানটিং ও বেস্টের এই ঔষধ । হতোদ্যম না হয়ে ২৩ জানুয়ারি আরও শুদ্ধ একটি ঔষধ ওই শিশুটির শরীরেই আবার প্রয়োগ করা হল । এবার কিন্তু ঔষধের কাজ হল ।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগন উপরের আলোচ্য অংশটুকু সংগ্রহ করা হয়েছে, ডাঃ শ্যামল চক্রবর্তীর লেখা গ্রন্থ “ হাতের মুঠোয় ডায়াবেটিস ” হইতে এবার আমরা জানব “ Insulin এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ” ও “ Antidiabetic ট্যাবলেটের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ” “ ডাঃ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ > চেয়ারম্যান ডায়াবেটিক এন্ড কিডনি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক এন্ড কিডনি ফাউন্ডেশন ও কিডনিরোগের গবেষক ও অলটারনেটিভ মেডিসিন/ আবিস্কারক – এর লেখা গ্রন্থ চিকিৎসা তথ্য হইতে ।

Insulin এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঃ – Insulin গ্রহণে শরীরে দুর্বলতা, মাত্রাতিরিক্ত ক্ষুধা, মাথা ধরা, মাথা ব্যাথা, মাথা ঝিমঝিম করা, অতিরিক্ত ঘাম নিঃসরণ, অতিরিক্ত ক্ষুধার অনুভুতি, বুক ধড়পড় করা, অস্বস্থিকর অবস্থার সৃষ্টি, স্নায়বিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে । অনির্ধারিত স্থানিক বিক্রিয়া Injection দেয়া স্থানে দেখা দেয় । এলারজিক বিক্রিয়া যেমন Skin rashes, Urticaria, Pruritus এবং Angioneurotic মাঝে মধ্যে দেখা দিতে পারে । মাত্রারিক্ত কৃত্রিম ইনসুলিন গ্রহণে Hypoglycaemic coma অথবা Shock দেখা দেয় এতে রোগী জ্ঞান হারায়, সঠিক ব্যবস্থা না নিলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে । ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে Insulin সঠিকভাবে ত্বকের নীচের থেকে শোষিত হয় না । এছাড়া কৃত্রিম Insulin বিষণ্ণতা দূরীকরণ ঔষধের ক্রিয়া প্রতিহত করে ( Ref ; Martindele Pharmacopoeia thedition ) ।

Antidiabetic ট্যাবলেটের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঃ- বমি-বমিভাব, বমি হওয়া, Epigastric pain, Eosinophilia , Jaiundice, Skin rash, Blood disorder Including Leucopenia, Thrombocytopenia, Aplastic anaemia, Granulacytosis, Haemolytic, Liver damage প্রভুতি ঘটনা সংঘটিত হয় । Metformin HCL সেবনকারীদের ক্ষেত্রে B 12 শোষণ হয় না Haemoglobin এর মাত্রা কমে যায়, Megalopastic anaemia দেখা দেয় এবং Lactic acidosis হয় ।

বিপরীত নির্দেশনা ( Clntra indication ): Diabetes mellitus এর সাথে জ্বর, গ্যাংগ্রিন, গর্ভাবস্থায়, কিডনি ও লিভারের কাজ সঠিকভাবে না করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ট্যাবলেট সেবন করা যায় না । Cardiovascular collapse, congestive heart failure , acute MI ( Mayocardiac Infarction ) এর ক্ষেত্রে Metformin HCL সেবন নিষিদ্ধ ( Ref : Martindale Pharmacopeia, 28th edition ) ।

প্রিয় পাঠক বন্ধু এপর্যন্ত আমরা যাহা জানলাম তাহা হইল যে শুধুমাত্র ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে আমাদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ কখন যে হারিয়ে যাবে তাহা কেহই জানে না । তবে মনে প্রশ্ন জাগে
আরোগ্যের মূল উৎস কোথায় ?

চাষী অতি উৎকৃষ্ট বীজ সংগ্রহ করিল, অতি উত্তমরূপে জমিটি চাষ করিল, যথাসময়ে বীজগুলি বপন করিল, কিন্তু দৈব বিরোধী হইলেন, যথোপযুক্ত বারিপাত হইল না – চাষীর সকল পরিশ্রম, সকল চেষ্টা, সকল আশা বৃথা হইল, তাহার পরিশ্রমের ফলস্বরূপ শস্য প্রাপ্তি ঘটিল না । তদ্ররুপ রোগীর চিকিৎসায় কোন ক্রটি নাই। উৎকৃষ্ট চিকিৎসকদিগের হাতে চিকিৎসা চলিতেছে, ঔষধও ভাল এবং বিশিষ্ট ঔষধ – বিক্রেতার নিকট হইতে ক্রয় করিয়া প্রয়োগ চলিতেছে, সেবা , যত্ন তদ্বিরাদির কোনও প্রকারেই অঙ্গহানি নাই, অথচ রোগীর পীড়ার কোনও উপশম নাই – চিকিৎসকগন কহিতেছেন, কি জানি কেন , রোগীর উপকারের সম্ভাবনা দেখা যাইতেছেনা, বোধ হয় জীবনীশক্তি নাই, অতএব কি আর করা যাইবে ? এখানেও প্রকৃতি সাহায্য না করিলে
ফলোদয় হয় না, হইলও না ।
ইহার উত্তর নিম্নে প্রদান করিতেছি । সাংসারিক কাজের যে নীতি, চিকিৎসা কাজের পশ্চাতেও সেই একই নীতি অবলম্বন করিলে তবেই চিকিৎসা কার্যটি সার্থক হইতে পারে, নতুবা কোনও আশা নাই । একই নীতির উপর জগতের প্রত্যেক ঘটনা, প্রত্যেক ব্যাপার সংঘটিত ও পরিচালিত হইতেছে । আমাদিগকে যে কোনও কাজে কৃতকার্যতা লাভ করিতে হইলে, সেই একমাত্র নীতির বশে কাজ করিতে হইবে ।
এস্থলে প্রশ্ন হইবে, তবে কি আরোগ্য বিষয়ে চিকিৎসকের কোনও কর্তব্য বা ক্ষমতা নাই ? আমার জীবনের ৩২ বছর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কাজে ব্যয় করিয়া কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছি, সেই চিকিৎসাকার্য সম্পর্কে নিজেদের পুরুস্কারের শক্তির প্রভাব কতটুকু, তাহা অন্তঃকরনের সহিত যথেষ্ট ভাবে হৃদয়ঙ্গম করিয়াছি, এবং অতিশয় দৃঢ়তা ও বিশ্বাসের সহিত তাহা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ভ্রাতাদিগের এবং আমাদের অধীনে যাহারা চিকিৎসা করাইবার প্রয়াসী তাহাদিগকে বুঝাইতে পারি তবে নিজেকে ধন্য মনে করিব ।
আপনি যদি প্রাকৃতিক নিয়ম লঙ্ঘন না করে থাকেন তবেত ব্যাধিদুঃখ আসিতেই পারে না, তাই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্পূর্ণ নির্ভর করে প্রাকৃতিক লক্ষণ সমষ্টির উপর, রোগ লক্ষণের উপর নয় । আপনি চিন্তা করিয়া দেখিবেন – রোগীকে আরোগ্য করিবার বাহ্য সাধন বা উপায় – আপনার দ্বারা শুনির্বাচিত ঔষধ প্রয়োগ । ঔষধ নির্বাচন করিবার পূর্বে আপনার রোগীতে লক্ষণ সমষ্টি থাকা চাই । এই লক্ষণ-সমষ্টিই রোগীর আভ্যন্তরীণ পীড়ার বাহ্য প্রতিরূপ । ফলত এই প্রতিরূপটি প্রাপ্ত না হইলে, আপনার ঔষধ নির্বাচন অসম্ভব এবং রোগীর বাঞ্ছিত আরোগ্যটিও সুদূরপরাহত । সুতরাং আপনার বুঝিতে বিলম্ব হইবে না যে, আপনার ক্ষমতাটি অতি সসীম, অতি ক্ষুদ্র ও সঙ্কীর্ণ, যেহেতু প্রতি পদে আপনাকে রোগীর লক্ষণ সমষ্টির উপরেই ঔষধ নির্বাচন করিতে হয় এবং এই লক্ষণ সমষ্টি দ্বারা সঠিক রোগীলিপি প্রস্তুতের উপরেই আপনার কৃতকার্যতা বা অকৃতকার্যতা নির্ভর করিতেছে ।

চিকিৎসা ঃ-

নিম্নলিখিত ঔষধগুলির মধ্য হইতে রোগীর লক্ষণানুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করিতে হইবে ।

ইনসুলিন ( Insulin ) = ক্রনিক অন্ত্রের ( হজম শক্তির ) গোলমালে বিশেষত যদি উদরাময় ও লিভার বেড়ে যাওয়া ( হেপাটোমেগালি = Hepatomegaly ) লক্ষণ থাকে । উদরাময় যত বেশী ইনসুলিনের প্রয়োজনও বেশী হয় । সংক্রামক, রোগে ভুগে ক্ষত, ফোঁড়া, ব্রণ, শয্যাক্ষত বেশী হতে থাকে ঐ সাথে লিভার বড় হয় ।
Dr . K . P . Mozumder বলেন – ইনসুলিন ৩০ বা ২০০ শক্তি দিনে তিনবার সেবনে রক্তে ব্লাড সুগার লেভেল দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে । আরও কিছু লক্ষণ এলেনস কী নোটস –এ দেখবেন ।
এই ঔষধে Blood Sugar – এর পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে ও প্রস্রাবের শর্করা বার হওয়া রোধ করে – Boericke ।
* এসেটিক অ্যাসিড ( Acetic Acid ) ,
* অ্যাসিড কার্বলিক ( Acid Carbolicum ) ,
* আর্জেন্ট মেটালিকাম ( Argent Met ) ,
* আর্সেনিক ( Arsenic Album ) ,
* বোভিষ্টা ( Bovista ) ,
* ক্যানাবিস ইন্ডিকা ( Cannabis Indica ) ,
* কষ্টিকাম ( Causticum ) ,
* কলোসিন্থ ( Colocynth ) ,
* অ্যাসিড ফস্ফরিকাম ( Acid Phos ) ,
* এমন - এসেটিকাম ( Ammon Aceticum ) ,
* ইউরেনিয়ম নাইট্রিকাম ( Uranium Nitricum ) ,
* সিজিজিয়াম ( Syzygium Jambolinum ) ,
* আর্সেনিক - ব্রোমাইড ( Arsenic Bromide ) ,
* অ্যাসিড ল্যাকটিক ( Acid Lacticum ) ,
* ক্যালি নাইট্রিকাম ( Kali Nitricum ) ,
* হেলোনিয়াস ( Helonias Dioica ) ,
* রস – এরোম্যাটিক ( Rhus Aromatica ) ,
* ক্রিয়োজোট ( Kreosotum ) ,
* মস্কাস ( Moschus ) ,
* ন্যাট্রাম- সালফ ( Natrum Sulphuricum ) ।

লক্ষণ সাদৃশ্যে চিকিৎসায় হইল আমাদের প্রধান হাতিয়ার তাই লক্ষণ সাদৃশ্য হইলে মেটিরিয়া মেডিকার সকল ঔষধই প্রয়োজন হইতে পারে । তবে জটিল রোগীর, রোগের চিকিৎসায় মায়াজমের দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে চিকিৎসা শুরু করিলে খুব সহজেই সফল হওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস । সকল পাঠকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই সমাপ্ত ।
বিঃ দ্রঃ – যে কোন পরামর্শের জন্য নীচের ঠিকানায় যোগাযোগ
করুন।
বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র
Bangladesh Homoeo Health Service Centre

বিঃদ্রঃ এখানে অর্জিনাল জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান, ইন্ডিয়ান ও বি,টি ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

সিরিয়াল ও যাবতীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৭৫৩-৩১৯৪১৭, ০১৯১৫০৬০৬৭৮

ঠিকানা: উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, বোদা বাজার জামে মসজিদের পশ্চিম পার্শে, মাতৃসদন রোড, বোদা।

***** আপনার সম্ভবত আই বি এস ( ibs) হয়েছে :------অসস্থিকর পেটের অসুখ কে আইবি এস বলে1)তলপেটে ব্যথা হয়। ব্যথা মোচড় দিয়ে...
17/08/2022

***** আপনার সম্ভবত আই বি এস ( ibs) হয়েছে :------

অসস্থিকর পেটের অসুখ কে আইবি এস বলে

1)তলপেটে ব্যথা হয়। ব্যথা মোচড় দিয়ে শুরু হয় এবং পায়খানা করার পর ব্যথা কমে যায়।

2) পেটের মধ্যে সারা দিন বুদবুদ আওয়াজ হতে থাকে। মনে হয় পেটের মধ্যে গ্যাস ভরে আছে।

3) কখনো পাতলা পায়খানা, কখনো কষা পায়খানা (কনস্টিপেশন) হয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে সব সময় পাতলা পায়খানা বা কষা পায়খানা হয়।

4) যাদের সব সময় পাতলা পায়খানা হয় তাদের ক্ষেত্রে প্রথমে পেটে ব্যথা হয় এবং পরে পাতলা পায়খানা হওয়ার পর তা কমে আসে। ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হয় এবং প্রতিবার খুব অল্প পরিমাণে পায়খানা হয়।

5) ঘুমের মধ্যে সাধারণত কখনোই পায়খানার বেগ হয় না।

6) পায়খানার সময় প্রচুর পরিমাণে আম বা মিউকাস যায়। আম যায় বলে অনেকে অজ্ঞতাবশত একে আমাশয় বলে।

7 যাদের কষা পায়খানার প্রবণতা বেশি তারা পেটে ব্যথা নিয়ে টয়লেটে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেও অতৃপ্তি নিয়ে টয়লেট থেকে বের হতে হয়।

8 পায়খানা সমস্যা থাকলেও এসব রোগীর ওজন তেমন হ্রাস পায় না।

9) পায়খানার সমস্যার পাশাপাশি এসব রোগীর ক্ষুধামন্দা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, মাথা ব্যথা, পিট ব্যথা, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।

10) কোন ঔষধে কাজ হয়না, খেতে খুত

খুতে ভাব ইত্যাদি আই বি এস সমস্যা।

আই বি এস পরিপাকতন্ত্রের রোগ হলেও

মানসিক চাপে এই বি এস হয়, এবং বাড়ে।

**** সকল প্রকার রোগের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করুন, সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন, শুভ কামনা অবিরাম....

প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য সমূহ:
স্বল্প খরচে সর্বাধুনিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসস সেবা।
পরাতন জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা সেবা, মেডিকেল বোর্ড গঠন করে প্রদান করা হয়।

বিঃদ্রঃ এখানে অর্জিনাল জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান, ইন্ডিয়ান ও বি,টি ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
সিরিয়াল ও যাবতীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৭৫৩-৩১৯৪১৭, ০১৯১৫০৬০৬৭৮

ঠিকানা: উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, বোদা বাজার জামে মসজিদের পশ্চিম পার্শে, মাতৃসদন রোড, বোদা।

"হোমিওপ্যাথির দ্বারে এলে, কঠিন রোগের মুক্তি মিলে"
বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে

****** কিডনি নষ্ট হওয়ার কিছু বিষয়:----কিডনি মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। পিঠের নিচের দিকে মেরুদণ্ডের দুই ...
15/08/2022

****** কিডনি নষ্ট হওয়ার কিছু বিষয়:----

কিডনি মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। পিঠের নিচের দিকে মেরুদণ্ডের দুই পাশে একটি করে দুটি শিম বিচির আকৃতির অঙ্গটিই কিডনি বা বৃক্ক, যার আকৃতি ৮ থেকে ১২ সেন্টিমিটারের মতো। প্রতিটি কিডনির ভিতরে লাখ লাখ কোষ থাকে, যা নেফ্রন নামে পরিচিত।

এই নেফ্রনগুলো শরীরের রক্ত ছেঁকে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বিপাকীয় আবর্জনাগুলো বের করে দেয়, তাই কিডনিকে আমাদের শরীরের পরিশুদ্ধির অঙ্গ বলা চলে।

কিডনি অকেজো হলে শরীরে দূষিত পদার্থ জমে যায়, ফলে নানান উপসর্গ দেখা দেয়, কিডনির কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ভয়ের কারণ রয়েছে, তবে চিকিৎসার মাধ্যমেও কিডনির রোগ নিরাময় করাও সম্ভব এবং কিছু পদক্ষেপ নিলে কিডনি রোগের প্রতিরোধ সম্ভব।

কিডনি নষ্ট হওয়া কে কিডনি ফেইলিউ/বিকল হওয়া বলে। কিডনি রোগের মধ্যে সবচেয়ে জটিলতম হলো দুটি কিডনি ফেইলিউর বা বিকল হওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া। এ রোগকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয় :
১. আকস্মিক বা একিউট কিডনি ফেইলিউর।
২. দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর।

হঠাৎ করে কিডনি আক্রান্ত হয়ে তার কার্যক্ষমতা নষ্ট হলে, তাকে বলে একিউট কিডনি ফেইলিউর। সময়মতো যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা নিরাময়যোগ্য।
অন্যদিকে ধীরে ধীরে, মাস বা বছরের মধ্যে কিডনির কার্যক্ষমতা হারালে তাকে বলে ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ। একবার এ অবস্থা হয়ে গেলে সাধারণ চিকিৎসায় পুরোপুরি ভালো হয় না, তবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। আরও বেশি জটিলতা হলে ডায়ালাইসিসের দরকার হয়, এমনকি কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।
যে যে কারণে কিডনি ফেইলিউর রোগ হয় :

একিউট কিডনি বিকল/ ফেইলিউর হওয়ার কারণঃ

* অতিরিক্ত ডায়রিয়া, বমি বা মাত্রাতিরিক্ত ঘামের মাধ্যমে শরীরে পানিশূন্যতা।
* অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে,
* বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে।
* পাশাপাশি নেফ্রাইটিস বা জীবাণুজনিত ইনফেকশন, সেপটিক শক, ডেঙ্গু জ্বর, * * * * ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়া এবং গর্ভকালীন জটিলতায়ও আকস্মিক কিডনি রোগের কারণ।

****** ক্রনিক কিডনি রোগ/ ফেইলিউরের কারণঃ

* অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিস
* উচ্চ রক্তচাপের জন্য।
* ক্রনিক নেফ্রাইটিক সিনড্রমের।
* ধূমপান
* অতিরিক্ত ওজন/ মোটা হওয়া যার ফলেও কিডনি ফেইলিউর হতে পারে
* ফ্যামেলি হিস্ট্রেরি/ বংশগত কারনে।
* দীর্ঘদিন ধরে ব্যাথার ঔষধ সেবন করলে।

**** সকল প্রকার রোগের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করুন, সুস্থ থাকুন সুন্দর থাকুন শুভ কামনা রইলো সবার জন্য।

"হোমিওপ্যাথির দ্বারে এলে, কঠিন রোগের মুক্তি মিলে"           বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র    Bangladesh Homoeo H...
13/08/2022

"হোমিওপ্যাথির দ্বারে এলে, কঠিন রোগের মুক্তি মিলে"
বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র
Bangladesh Homoeo Health Service Centre

অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দ্বারা ২০১৭ সাল হতে পরিচালিত একটি গণমুখী চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান।

"অধিক এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকুন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করুন"

নিম্নোক্ত হোমিওপ্যাথিক রেজিস্ট্রার চিকিৎসকগন চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেনঃ

ডা. মো: আব্দুল মান্নান
ডি এইচ এম এস, বি এইচ বি, রেজি নং : ২৭০৪৭
নিউরোসাইকোলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, (ঢাবি)
কামিল/ এম এ (ঢাআ)
প্রতিষ্ঠাতা: বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র
মা হোমিও চেম্বার, শ্যামলী, ঢাকা।
রোগী দেখার সময়: প্রতি সোমবার দুপুর ২ টা হতে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
মঙ্গল ও বুধবার সকাল ১০ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।

ডা.মো: বেলাল হোসেন
বি এইচ এম এস- ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল।
বি.টি.সি.এস (সাইকোলজি) ডি.ইউ;
সি.এম.ই হতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
গভ: রেজি নং এইচ- ১১৬৬ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা।
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ঠাকুরগাঁও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
রোগী দেখার সময়: শুক্রবার সকাল ১০ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।

ডা.মো: জাহিদুর রহমান
ডি এইচ এম এস (ঢাকা)
রেজি নং: ২৬২১৬
কামিল/এম এ, ইবি
এইচ এইচ এম এ (খুলনা)
রোগী দেখার সময়: শনি রবিবার সকাল ১০ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।

ডা. মোছা: মাহবুবা আক্তার
বি এইচ এম এস (ঢাবি)
রেজি নং: ৯৯২
পভাষক: ঠাকুরগাঁও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
রোগী দেখার সময়: বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা হতে ২ টা পর্যন্ত।

যে সকল পুরাতন রোগের রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়ঃ

পাইলস, ফিস্টুলা, এনালফিসার, গ্যাস্ট্রিক-আলসার, ডায়াবেটিস, কানপাঁকা, চোখের যাবতীয় সমস্যা, মানসিক সমস্যা, পেটের যাবতীয় পুরাতন রোগ, ক্যান্সার, টনসিলাইটিস, নাকের পলিপ (পলিপাস), বাত ব্যথা, কোমর ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, আঘাতের ব্যথা, হার ক্ষয়ের ব্যথা, মাথার ব্যথা, মাদকাসক্ত, উচ্চরক্তচাপ, মেসতা ও ব্রণ, হাঁপানি, এলার্জি, হার্টের সমস্যা, কিডনি পাথর, আঁচিল, মূত্র পাথর, পিত্ত পাথর, টিউমার, জরায়ু টিউমার, মাথায় খুসকি ও চুল পরা, একজিমা, যাবতীয় যৌন সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ ভুঁড়ি, জরায়ু নিচে নেমে আসা
মহিলাদের যাবতীয় সমস্যা সহ বন্ধ্যাত্ব, মা ও শিশুর যাবতীয় রোগের সু-চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।

ব্যথার জন্য ঔষধ ছাড়াও হিজামা (কাপিং) থেরাপির ব্যবস্হা রয়েছে, হিজামা স্পেশালিষ্ট দ্বারা হিজামা প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য সমূহ:
স্বল্প খরচে সর্বাধুনিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসস সেবা।
পরাতন জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা সেবা, মেডিকেল বোর্ড গঠন করে প্রদান করা হয়।

বিঃদ্রঃ এখানে অর্জিনাল জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান, ইন্ডিয়ান ও বি,টি ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
সিরিয়াল ও যাবতীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৭৫৩-৩১৯৪১৭, ০১৯১৫০৬০৬৭৮
ঠিকানা: উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, বোদা বাজার জামে মসজিদের পশ্চিম পার্শে, মাতৃসদন রোড, বোদা।

🔲🔲🔲Sinusitis :(সাইনুসাইটিস)ঃ                   সাইনুসাইটিস হলো এক যন্ত্রণাদায়ক রোগের নাম। আমাদের মুখমন্ডলে নাসাগহ্বরের ...
12/08/2022

🔲🔲🔲Sinusitis :(সাইনুসাইটিস)ঃ
সাইনুসাইটিস হলো এক যন্ত্রণাদায়ক রোগের নাম। আমাদের মুখমন্ডলে নাসাগহ্বরের ২পাশে বায়ুপূর্ণ ৪জোড়া ফাঁপা জায়গা আছে তাকে Sinus (সাইনাস)বা Paranasal sinus বলে।এগুলো হলো---

01.Maxillary sinus(ম্যাক্সিলারি সাইনাস)ঃ ম্যাক্সিলারি সাইনাস গালে অবস্থিত থাকে।

02.Frontal sinus(ফ্রন্টাল সাইনাস):Frontal sinus চোখের উপরে কপালে অবস্থিত।

03.Ethnoid sinus(ইথময়েড সাইনাস)ঃদু চোখের মাঝখানে অবস্থিত।

04.Sphenoid sinus(স্ফেনয়েড সাইনাস).ঃএথময়েড সাইনাসের পিছনে অবস্থিত Sphenoid sinus.

🔲🔲🔲Sinusitisঃ সাইনাস সাধারনত বায়ুপূর্ণ Mucous membranous দ্বারা আবৃত থাকে।এবং ক্ষুদ্র নালীর মাধ্যমে নাসাগহ্বর ( Nasal cavity) বা শ্বাসনালীর সাথে যুক্ত থাকে।।

এসব Sinus যদি বাতাসের পরিবর্তে তরল (ফ্লুইড) পদার্থে পূর্ন থাকে এবং এই তরল যদি ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকে সংক্রমিত হয় তখন Sinus এর মিউকাস মেমব্রেনে Inflammation হয়।

ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমনে বা এলার্জিজনিত কারণে Sinus এর মিউকাস মেমব্রেনে যে প্রদাহের (Inflammation) সৃষ্টি হয় তাকে Sinusitis বলে।

🔲🔲🔲Type of Sinusitis ঃ 2 types
""""""""''''''''''''''''''''''"""""""""""""""
স্থায়িত্বের উপর ভিত্তি করে সাইনুসাইটিস ২ধরনের হয়।

01.Acute sinusitis ( অচির /নতুন সাইনুসাইটিস) ঃসাইনুসাইটিস এর স্থায়িত্ব ৪-৮সপ্তাহ হলে তাকে Acute sinusitis বলে।

02.Chronic Sinusitis (চির /পুরাতন সাইনুসাইটিস)-- সাইনুসাইটিস এর স্থায়িত্ব ২মাসের বেশি হলে তাকে Chronic Sinusitis বলে।

🔲🔲🔲সাইনুসাইটিস এর কারণঃ
""""""""""''''''''''''''''''''''"""""""""""""""""""
◾সাইনাসগুলো বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস,যেমন- Human respiratory syncytial virus,Parainflueza virus,Metapneumo virus, এবং Streptococcus pneumoniae,Haemophilus influenzae ব্যকটিরিয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে ছত্রাকে আক্রান্ত হলে Sinusitis হতে পারে।

◾ঠান্ডা বা এলার্জির কারণে sinusitis হতে পারে।

◾নাকে পলিপের কারনে নাসাগহ্বরের মিউকোসা ষ্ফীত জয়ে নাসাপথ সরু হয়ে chronic sinusitis হতে পারে।

◾.দাঁতের ইনফেকশন থেকে বা দাঁত তুলতে গিয়েও sinus এ সংক্রম হতে পারে।

◾যারা হাঁপানির সমস্যায় ভোগে তাদের Chronic sinusitis দেখা যায়।

◾ঘরের পোকামাকড়, ধুলাবালি, পেস্ট,তেলাপোকা যেসবে এলার্জি থাকে সেগুলোর কারণেও sinusitis হতে পারে।
◾নাকের হাড় বাঁকা থাকলে Sinusitis হতে পারে,।

◾.অপুষ্টি, পরিবেশ দূষণ ও ঠান্ডা স্যাঁতসেঁতে
পরিবেশে বসবাসের কারণেও Sinusitis হতে পারে।

🔲 🔲🔲Sinusitis এর লক্ষন ঃ
""""""''''''""""""""""""""""""""""""""""""
◾নাক থেকে হলদে বা সবুজ বর্ণের ঘন ডিসচার্জ বের হয়।এতে পূঁজ বা রক্ত থাকতে পারে।

◾.দীর্ঘ ও বিরক্তিকর তীব্র মাথা ব্যথা লেগেই থাকে যা sinus এর বিভিন্ন অঞ্চলে হতে পারে।

◾মাথা নাড়াচাড়া করলে,হাঁটলে বা মাথা নিচু করলে ব্যথার তীব্রতা আরো বেড়ে যায়।

◾জ্বরজ্বর ভাব লাগে,কোনো কিছু ভালো লাগেনা,অল্পতেই ক্লান্ত লাগে।

◾.নাক বন্ধ থাকে, নিশ্বাসের সময় নাক দিয়ে বাজে গন্ধ বের হয়।

◾.মাথা ব্যথার সময় দাঁতে ব্যথাও হতে পারে

◾.কাশি হয়,রাতে কাশির তীব্রতা বাড়ে,স্বরভঙ্গ দেখা দেয়।

◾.ঘ্রান শক্তি কমে যায়,খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।

🔲🔲চিকিৎসা ঃহোমিওপ্যাথিতে লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা করা হয়,তাই

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহন করুন,,
সুস্থ সুন্দর জীবন উপভোগ করুন।।

🔲🔲🔲করণীয়ঃ
চিকিৎসার পাশাপাশি যা করবেন
◾গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে,চিপড়ে প্রতিদিন বারবার মুখমণ্ডল চেপে ধরতে পারেন।
◾গরম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে ,বা গরম বাষ্প নিতে হবে।
প্রচুর

🔲🔲🔲বর্জনীয় ঃ
◾চিকিৎসার পাশাপাশি, ঠান্ডা ও স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে বসবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
◾দীর্ঘ সময় পানিতে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

◾আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে।
◾ধুলাবালি এবং এলার্জিটিক ফুড বর্জন করতে হবে।

◾অনেকের ফুলে এলার্জি থাকে তাই ফুলের ঘ্রাণ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

"হোমিওপ্যাথির দ্বারে এলে, কঠিন রোগের মুক্তি মিলে"
বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র
Bangladesh Homoeo Health Service Centre

বিঃদ্রঃ এখানে অর্জিনাল জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান, ইন্ডিয়ান ও বি,টি ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

সিরিয়াল ও যাবতীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৭৫৩-৩১৯৪১৭, ০১৯১৫০৬০৬৭৮
ঠিকানা: উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, বোদা বাজার জামে মসজিদের পশ্চিম পার্শে, মাতৃসদন রোড, বোদা।

*****লাইপোমা Lipoma :----বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র    Bangladesh Homoeo Health Service Centreএকটি নির্দোষ টি...
11/08/2022

*****লাইপোমা Lipoma :----

বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র
Bangladesh Homoeo Health Service Centre

একটি নির্দোষ টিউমার যা চর্বিযুক্ত টিস্যু দিয়ে গঠিত। এটি আবার ফ্যাটি টিউমার নামেও পরিচিত। নরম টিস্যু টিউমারগুলোর মধ্যে লাইপোমা হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ ধরন। লাইপোমাগুলোতে হাত দিয়ে স্পর্শ করলে নরম অনুভূত হয়, সাধারণত নড়ানো চড়ানো যায় এবং সাধারণভাবে এগুলো ব্যথাহীন। অনেক লাইপোমা ছোট আকারের, সাধারণত এক সেন্টিমিটার ব্যাসের কম; কিন্তু কোনো কোনো লাইপোমা ছয় সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় আকারের হতে পারে। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সে লাইপোমা বেশি দেখা দেয়, তবে শিশুদেরও এটা হতে পারে।

**** বিভিন্ন টাইপের লাইপোমা রয়েছে, যেমন-

* অ্যানজিওলাইপোমা: ত্বকের নিচে ব্যথাপূর্ণ গোটা। লাইপোমায় অন্য সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

* অ্যানজিও লাইপো লিওমায়োমা : এটি অর্জিত লাইপোমা। একক। উপসর্গবিহীন গোটা। ত্বকের নিচে গোলাকার টিউমার। পরীক্ষা করলে নরম মাংসপেশি কোষ, রক্তনালি, সংযোজক কলা ও চর্বি পাওয়া যায়।

* নিউরাল ফাইব্রোলাইপোমা: নার্ভ ট্রাংক বরাবর ফাইব্রো-ফ্যাটি টিস্যুর অতিরিক্ত বৃদ্ধি। নার্ভে চাপ পড়ে।

* কনড্রয়েড লাইপোমা: মহিলাদের পায়ের গভীরে হয়। শক্ত, হলুদ টিউমার।
স্পিনডল-সেল লাইপোমা: উপসর্গবিহীন। বয়স্ক পুরুষদের পিঠ, ঘাড় ও কাঁধের ত্বকের নিচে হয়। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে।

* প্লিওমরফিক লাইপোমা: স্পিনডল-সেল লাইপোমার মতো এই লাইপোমাগুলো বয়স্ক পুরুষদের পিঠের বেশিরভাগ জায়গায় ও ঘাড়ে হয়ে থাকে।

* ইন্ট্রাডার্মাল স্পিনডল সেল লাইপোমা: এই লাইপোমা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের হয়। সচরাচর মাথা, ঘাড়, পেট, বুক, পিঠ এবং হাত ও পায়ে হয়ে থাকে।

* হাইবারনোমা: এই লাইপোমাতে থাকে বাদামি চর্বি। লাইপোমার সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো সুপারফিসিয়াল সাবকিউটেনিয়াস লাইপোমা, অর্থাৎ ত্বকে ঠিক নিচে অবস্থানকারী লাইপোমা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো বুক, পিঠ, পেট, উরু এবং হাতে দেখা যায়।

**** লাইপোমা টিউমার - চিকিৎসা::::::

এই রোগে আক্রান্ত হলে ভয় পাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কারন অনেকেরই এটি হয় এবং অনেকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও বুঝতে পারে না। টিউমারগুলোতে ব্যথা না করলে কিংবা হাঁটাচলার অসুবিধা না হলে সাধারণত লাইপোমার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। সৌন্দর্যগত কারণে এগুলো অপসারণ করা যেতে পারে। সাধারণত অপারেশনের মাধ্যমে লাইপোমা ফেলে দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে অপারেশনের পরেও আবার লাইপোমা দেখা দিতে পারে ৷ তবে এর আরেকটি স্থায়ী চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। এর জন্য আপনাকে অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে- সকল প্রকার রোগের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করুন সুস্থ থাকুন সুন্দর থাকুন শুভ কামনা রইলো।
বিঃদ্রঃ এখানে অর্জিনাল জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান, ইন্ডিয়ান ও বি,টি ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

সিরিয়াল ও যাবতীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৭৫৩-৩১৯৪১৭, ০১৯১৫০৬০৬৭৮
ঠিকানা: উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, বোদা বাজার জামে মসজিদের পশ্চিম পার্শে, মাতৃসদন রোড, বোদা।

01/08/2022

বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে....

যে সকল পুরাতন রোগের রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়ঃ

পাইলস, ফিস্টুলা, এনালফিসার, গ্যাস্ট্রিক-আলসার, ডায়াবেটিস, কানপাঁকা, চোখের যাবতীয় সমস্যা, মানসিক সমস্যা, পেটের যাবতীয় পুরাতন রোগ, ক্যান্সার, টনসিলাইটিস, নাকের পলিপ (পলিপাস), বাত ব্যথা, কোমর ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, আঘাতের ব্যথা, হার ক্ষয়ের ব্যথা, মাথার ব্যথা, মাদকাসক্ত, উচ্চরক্তচাপ, মেসতা ও ব্রণ, হাঁপানি, এলার্জি, হার্টের সমস্যা, কিডনি পাথর, আঁচিল, মূত্র পাথর, পিত্ত পাথর, টিউমার, জরায়ু টিউমার, মাথায় খুসকি ও চুল পরা, একজিমা, যাবতীয় যৌন সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ ভুঁড়ি, জরায়ু নিচে নেমে আসা
মহিলাদের যাবতীয় সমস্যা সহ বন্ধ্যাত্ব, মা ও শিশুর যাবতীয় রোগের সু-চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য সমূহ:
স্বল্প খরচে সর্বাধুনিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসস সেবা।
পরাতন জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা সেবা, মেডিকেল বোর্ড গঠন করে প্রদান করা হয়।

বিঃদ্রঃ এখানে অর্জিনাল জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান, ইন্ডিয়ান ও বি,টি ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
সিরিয়াল ও যাবতীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৭৫৩-৩১৯৪১৭, ০১৯১৫০৬০৬৭৮

ঠিকানা: উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, বোদা বাজার জামে মসজিদের পশ্চিম পার্শে, মাতৃসদন রোড, বোদা।

"হোমিওপ্যাথির দ্বারে এলে, কঠিন রোগের মুক্তি মিলে"           বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র    Bangladesh Homoeo H...
27/07/2022

"হোমিওপ্যাথির দ্বারে এলে, কঠিন রোগের মুক্তি মিলে"
বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র
Bangladesh Homoeo Health Service Centre

"অধিক এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকুন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করুন"

এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেছিলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। ফ্লেমিং স্যার বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি লোক বেঁচে যাবে। অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবেনা। তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।''
:
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''।
:
ধরি, আমার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। খেলাম আমি ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেলো। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করলো নিজেরা নিজেরা।
:
তারা ভাবলো, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। অতএব আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকেনা এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়।
এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করেনা।
:
সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়া গুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকেনা। তিনি হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ঐ এন্টিবায়োটিক কাজ করেনা। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে।
:
আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করেনা, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হসপিটাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবেনা। সামান্য সর্দীতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।
:
উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। 'মেডিসিনের বাইবেল' নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে,
"This organism is registrant against this Drugs in Indian subcontinent''
:
টিভি পত্রিকায় নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। বাথরুম করে হাত ধুতে হবে, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে, নিরাপদ পানি খেতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এন্টিবায়োটিক নিয়ে কোনো কিছু আজও চোখে পড়েনি। অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়েও জরুরী। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে এত সচেতনতা দিয়েও আর লাভ হবেনা।
আগুন নিয়ে খেলছে ফার্মেসিওয়ালারা
--------------------------------------------------
রোগী ফার্মেসীতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই ফার্মেসীতে বসে থাকা সেই লোকটি দিয়ে দিচ্ছে Ezithromycin or,cefixime or cefuroxime or levofloxacin নামক কিছু নামকরা দামী এন্টিবায়োটিক, কিন্তুু কতো দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর করে বলে দেয় এই ওষধটি ১ ডোজ খাবেন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে Resistance হচ্ছে সব এন্টিবায়োটিক।
:
চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।
অতএব আপনার শরীর সুস্থ রাখতে,পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক গ্রহন করুন....

Address

Upazila Muktijoddha Complex Bhaban, Boda Bazar, Boda
Panchagarh
5010

Telephone

+8801753319417

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র/Bangladesh Homoeo Health Service posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to বাংলাদেশ হোমিও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র/Bangladesh Homoeo Health Service:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram