Tashfiya - Center for Ruqyah Shariyah

Tashfiya - Center for Ruqyah Shariyah একটি শরিয়তসম্মত রুকইয়াহ সেন্টার। পরামর্শ ও রুকইয়ার প্রয়োজনে মেসেজে কথা বলুন।

29/10/2025

প্রশ্নঃ

রুকইয়াহ সেশনের ভিডিও অর্থাৎ যেসব ভিডিওতে জিন আক্রান্ত রোগীর বিভিন্ন মুভমেন্ট দেখায় আর রাকি তিলাওয়াত করতে থাকে, এরকম ভিডিও কি আদৌ রুকইয়াহর প্রচারের জন্য প্রয়োজন আছে?

উত্তরঃ

১।
না, কোনও প্রয়োজন নেই। বরং এতে সামগ্রিকভাবে উম্মাহর ক্ষতিই নিয়ে আসে। এসব ভিডিও দেখে একটি অথর্ব জিন-জাদু আক্রান্ত জাতি তৈরী হয়। আমি যেহেতু সরাসরি এই ফিল্ডের সাথে সম্পৃক্ত, তাই আমি সাধারণ জনগণ যাদের দ্বীনের মৌলিক জ্ঞানটুকু নেই তাঁদের দেখেছি তাঁরা আমাদের কাছে ভিডিওর এই রাকির মতো জিন হাজির করে জিনকে বের করে দিতে বলে(লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)!! আমাদের কাছে আসে কারণ ঐজন্য যে ঐ রাকিদের শিডিউল পাচ্ছে না তাই! তখন ৯০% রোগীদের বোঝানো অসম্ভব হয়ে যায়, কারন তাঁদের অন্তরে রাকির প্রতি মোহ তৈরী হয়েছে যা ঐ রাকির সাথে সাক্ষাৎ করা ছাড়া যাবে না।

আর এসব ভিডিও দেখে যারা রুকইয়াহ করতে আসে, তাঁরা কি রুকইয়াহ শারইয়াহর শর্তগুলো জেনে বুঝে রুকইয়াহ করতে আসে নাকি রাকিকে বিশেষ ক্ষমতাধর মনে করে আসে। অবশ্যই তাঁরা ভিডিও দেখে ইতোমধ্যে রাকির প্রতি মুগ্ধ হয়েই এসেছে এবং রাকির উপর এমন আস্থা তৈরী হয়েছে যে রাকি আমার শরীরের সমস্যাগুলো দূর করে দিতে পারবে। ফলে রুকইয়াহ জায়েজ হওয়ার প্রথম শর্ত যে- আল্লাহই যা করার করবে রাকি শুধু প্রচেষ্টাকারী বা আল্লাহর কালাম আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কাজ করে না সেই শর্ত নষ্ট হয়ে যায়।

২।

এসব ভিডিও করে ভাইরাল হওয়া রাকিদের বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগ বেশি থাকে এবং এখানে এদের জন্য ও আরো কিছু দেশে একই টাইপের রাকির জন্য রুকইয়াহ ফিল্ডটাই ক্ষতির স্বীকার হয় বা হচ্ছে, কারন কি? কারন এটাই যে জনগণ তাঁদের বিশেষ কিছু মনে করেই গিয়েছিলো। যাওয়ার পর দেখে সেখানে আরো অনেক বিপরীত বিষয় আছে যা তাঁরা ভিডিওতে দেখায় না। ফলে অন্তরে রোগ ভরা এমন মুসলিমরা পুরো রুকইয়াহ সেক্টরকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। কারন এই রাকিগুলো শুধু জিন হাজিরের মূহুর্ত দেখিয়ে জনগণকে একটি ভূল তথ্য দেয় যে এভাবে তিলাওয়াত করলেই শরীরে থাকা জিন হাজির হয়ে যায় বা চলে যায় (সেটা তাঁরা মুখে না বললেও জনগণ এমন মেসেজই নিচ্ছে)। অথচ এমন অগণিত রোগী আছে যাদেরকে কেয়ামত পর্যন্ত রুকইয়াহ করলেও জিন হাজির হবে না।

আর জিন হাজির হলেই কি রোগী সুস্থ হয়ে যায়? কিংবা রুকইয়াহর উদ্দেশ্য কি জিন হাজির করা!? এসব কি ধরনের কাজ যার উদ্দেশ্য বা মাকসাদ আজও কেউ স্পষ্ট করতে পারলো না। বলবে কুরআনের মুজিজা দেখানো, আরে ভাই এটা তো মানুষ কুরআনের মুজিজা হিসেবে নিচ্ছে না, কারন যদি তাঁরা কুরআনের মুজিজাও মনে করতো তাহলে রাকির থেকে সাপোর্টে সুস্থ না হয়ে রাকির প্রতি অভিযোগ না করে নিজের প্রতি অভিযোগ করতো যে আমার কুরআনের সাথে সম্পর্ক ভালো না, তাই সুস্থতা বিলম্বিত হচ্ছে বা কুরআন বলছে আমার ব্যক্তিগত এই এই বিষয় ঠিক করতে হবে, না হলে আমি জালিম। আর এটা জালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।

আর যারা রুকইয়াহ বিষয়ক জ্ঞান অর্জন ও তাঁর প্রায়োগিক শিক্ষার মাধ্যমে প্রচার করে তাঁদের আশেপাশে এমন অস্থির বা রাকিমুগ্ধ টাইপের রোগীও দেখা যায় না বা তাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রোগীরা দাঁড় করায় না যে রুকইয়াহ ফিল্ডকেই অপদস্ত করে ছাড়ে।

এজন্য এই দ্বীন আমাদের শেখায় আল্লাহমুখী হতে, এবং শেখায় দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করে যেতে। নিজের নামকে প্রতিষ্ঠা করতে দ্বীন শেখায় না, (তবে আল্লাহ কারো প্রতি দয়া করে মানুষের অন্তরে তার বিষয়ে আকর্ষণ সৃষ্টি করলে সেটা আল্লাহর অনুগ্রহ মাত্র)।

লিখেছেন – Farhad Hussain,

09/10/2025

একটা অতি চমৎকার দুআ শেখাব। তবে তার আগে একটু ভূমিকা টানি এই দুআর। ভূমিকাটার দরকার খুব একটা নেই। তবুও বলা আর কি...

আমার মায়ের ইন্সমনিয়া আছে। যাকে বলে অনিদ্রা রোগ। দীর্ঘ বছর যাবত ঘুম হয় না। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। কতশত চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। ডাক্তার-কবিরাজ সব দেখানো শেষ। শেষমেশ সারা শরীর ও মাথায় যন্ত্রপাতি বসিয়ে স্লিপ টেস্ট করে জানা গেলো আম্মু ঘুমানোর সময় তার ব্রেইনের কিছু নার্ভ জেগে থাকে। ফলে ঘুমালেও সেই ঘুম তিনি অনুভব করেন না। এমন ঘুম আসলে না ঘুমানোর মতই।

জিনগতভাবে এই রোগের কিছুটা আমিও পেয়েছি। ঘুম হয় না। এমনও হয় যে আমি টানা জার্নি করে এসে শুইলাম কিন্তু ঘুম কিছুতেই আসছে না। নার্ভ এক্টিভ থাকে। নানা পরিকল্পনা অথবা কোনো শিডিউল মাথায় ঘুরতে থাকে। অথবা কোনোকিছু জানা বা পড়া দরকার। ডিস্টার্বিং এলেমেন্টস ঘুমাতে দিচ্ছেই না। আবার ঘুমালেও ঘুমের ব্যাপারটা আয়োজন করে করতে হয়। সারা ঘর অন্ধকার করে শীতল করে গায়ে পাতলা কাঁথা টেনে পিনড্রপ সাইলেন্টে ঘুমুতে হয়। অনেক দূরের ইট ভাঙার শব্দও কানে এলে গভীর ঘুম ভেঙে যায়। এমনিতেও ঘুম যে আসে না তা না। কিন্তু সেই ঘুম হয় আধখ্যাচড়া। কিছুটা অভ্যাসজনিত কারণও আছে। বায়োলজিক্যাল ক্লক সেট হয়ে আছে এভাবেই।

তো এই লম্বা কেচ্ছা বিশেষ জরুরী না। এই যে অনিদ্রা রোগ এটা শুধু আমাদের না। সাহাবাদেরও ছিলো। তারাও তো মানুষ ছিলেন। মানসিক চাপ বা অন্যান্য কারণে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হতো। তাদের সমস্ত সমস্যার একমাত্র সমাধান ছিলো নবী আলাইহিস সালামকে খুলে বলা। আল্লাহর নবীও তাদেরকে কোনোকিছুরই সমাধান না দিয়ে ফেরাতেন না। ঠিক তেমনি ঘুমের সমস্যা নিয়ে যায়েদ ইবনে সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু গেলেন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে। বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাতে অনেক চেষ্টা করি। ঘুম আসে না। বিছানায় শুধু গড়াগড়ি করি। কী করতে পারি?

রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রিয় সাহাবীর সমস্যা শুনে কি চমৎকার একটা দুআ শেখালেন দেখুন! বললেন: যায়েদ! বলো...

اَللّٰهُمَّ غَارَتِ النُّجُوْمُ، وَهَدَأَتِ الْعُيُوْنُ، وَأَنْتَ حَيٌّ قَيُّوْمٌ، لاَ تَأْخُذُكَ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ أَهْدِئْ لَيْلِيْ، وَأَنِمْ عَيْنِيْ

আল্লা-হুম্মা গা-রাতিন নুজুম, ওয়া হাদাআতিল উ’য়ুন, ওয়া আনতা ‘হাইয়ুন ক্বাইয়ুম, লা তাঅ্খুযুকা সিনাতুউ ওয়ালা নাওম, ইয়া ‘হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ুম, আহদিঅ্ লাইলী ওয়া আনিম ‘আইনি।

হে আল্লাহ! তারকারাজি নিভে গেছে। (মানুষের) চোখগুলো (ঘুমে) শান্ত হয়ে গেছে। আর আপনি তো চিরঞ্জীব-চিরস্থায়ী—তন্দ্রা ও নিদ্রা যাকে স্পর্শ করতে পারে না। হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমার রাতকে শান্তিময় করুন এবং আমার চোখে ঘুম দিন।

[ইবনে হিব্বান, তাবারানী]

এরপর থেকে যায়েদ ইবনে সাবিত আর কখনোই ইন্সমনিয়ায় আক্রান্তই হননি। সীরাতে আসলে নাই কী! ঘুম না এলে কী করতে হবে তাও নবী আলাইহিস সালাম শিখিয়ে দিচ্ছেন। ভাবা যায়!
©

08/10/2025

বান্দা যদি সূরাহ ফাতিহা দ্বারা ভালোভাবে চিকিৎসা করে, তাহলে আরোগ্য লাভে সে সেটার আশ্চর্যজনক প্রভাব দেখতে পাবে।
___
ইমাম ইবনু কায়্যিমিল জাওযিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ আদ দাউ ওয়াদ দাওয়া : ১/৮ ]

07/10/2025

স্বপ্নে খাওয়াদাওয়া করার সমস্যা নিয়ে অনেক প্রশ্ন পাই। প্রায় প্রতিটা লাইভে দেখা যায় কেউ না কেউ জিজ্ঞেস করছে, ইনবক্সেও মাঝেমাঝে মেসেজ আসে এটা নিয়ে।
এই বিষয়ে সংক্ষেপে কয়েকটা কথা বলছি, বাকি বিস্তারিত কমেন্টে দেয়া লিংকে পড়ে নিন।
---
১. এমনিতে যদি আপনার জিনজাদুর সমস্যা না থাকে, তাহলে স্বপ্নে কিছু খেতে দেখলেই চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।
২. যদি জিন জাদু সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, আর স্বপ্নে ক্ষেত্রে দেখার পরে অসুস্থতা বাড়ে মনে হয়। তাহলে একটু সাবধান হওয়া উচিত।
রুকইয়াহ এবং হিফাজতের আমল ঠিকমত করা উচিত। দিনে ঘুমালে দিনেও কিছু আমল করা উচিত। কমেন্টের লিংকে পাবেন বিস্তারিত।
৩. তবে ভাই, এটা নিয়ে বেশি আপসেট হওয়া উচিত না। অতিরিক্ত চিন্তা করলে হয়তো শয়তান স্বপ্ন না দেখাইলেও আপনি দেখবেন, কারণ মানুষ যেটা নিয়ে বেশি চিন্তা করে সেটা স্বপ্ন দেখে। নুসুস ও সালাফদের কওল থেকে যেসব স্বপ্নের কথা পাওয়া যায়, তার মাঝে নিজের ভাবনা থেকে তৈরি স্বপ্নও একটা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিফাজত করুক। আমিন।

27/09/2025

যাদুর পেশেন্ট'রা যাদুর আসবাব যেখানে আছে বা যাদুর স্থানের কাছাকাছি যতবেশি থাকবেন ততবেশি কষ্ট অনুভব করবেন এবং সমস্যা ফেইস করবেন।

যেমন : অনেক পেশেন্ট নিজের রুমে, নিজের বাসায় থাকলে কষ্ট বেশি হয়। কিন্তুু বাসার বাইরে থাকলে সুস্থবোধ করেন। তাই জাদুর জিনিস খোঁজার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।

25/09/2025

আমাদের সেন্টারের একজন রাকি আজকে সৈয়দপুর,নীলফামারী এবং কালকে রংপুরে অবস্থান করবে। ইনশাআল্লাহ। কারো ইমার্জেন্সি রুকইয়াহ হোম সার্ভিস + সেন্টার সার্ভিস দরকার পড়লে ইনবক্সে নক দিতে পারেন৷

21/09/2025

বরই পাতার গোসল যা জাদু নস্টের ক্ষেত্রে অন্তত কার্যকর। অনেকেই লেখা পড়ে বুঝেন না কিভাবে বরই পাতার গোসল করবেন। তাদের জন্য সহজ করে দেয়া হয়েছে ভিডিওতে।
আপনারা তিনকুল কুরসির সাথে সিহরের আয়াত(আরাফ ১১৭-১২২, ত্বহা ৬৯, ইউনুস ৮১-৮২) আয়াত গুলোও পড়ে নিবেন ১/৩ বার করে। আর গোসল বাথ রুমে করতে সমস্যা নাই। এখানে বরই পাতার অবশিষ্ট পানি বাথরুমে ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে।

20/09/2025

সামনে দুর্গাপূজা শয়তানদের খুশির দিন আসছে। জ্বিন জাদুর রোগি যারা আছেন আগে থেকেই নিরাপত্তা বাড়িয়ে নিন। প্রতিরক্ষার দোয়া গুলো ঠিকভাবে পালন করুন। সমস্যা বেশি হলে৷ রুকইয়াহ ডিটক্স করুন। না পারলে অন্তত ১৫/৩০ দিনের টার্গেট নিয়ে সুরা বাকারাটা একবার শেষ করুন। আর পুজার দিনগুলোতে বাইরে বের হবেন না যথা সম্ভব। ঢোল,বাদ্যযন্ত্রের শব্দ অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।

14/09/2025

যারা শুধু মাত্র রাকীর উপর নির্ভর করেন। নিজেরা কোনো সেলফ রুকইয়াহ করেন না। এরকম রোগি হলে আমাদের এখানে সিরিয়াল নিবেন না। রুকইয়াহ মানে শুধু ফু দিয়ে সুস্থ করে দেয়া নয়৷

ঝাড়ফুঁক জায়েজ তাই তাবিজও জায়েজ?---------কুফরি তাবিজের ব্যাপারে বলতে লাগলেই আমাদের যেসব ভাইয়েরা ঝাড়ফুঁকের কথা টেনে ওটাকে ...
08/09/2025

ঝাড়ফুঁক জায়েজ তাই তাবিজও জায়েজ?
---------
কুফরি তাবিজের ব্যাপারে বলতে লাগলেই আমাদের যেসব ভাইয়েরা ঝাড়ফুঁকের কথা টেনে ওটাকে জায়েজ করার চেষ্টা করেন। তাদেরকে আমি সচরাচর কিছু প্রশ্ন করে থাকি-

ঝাড়ফুঁকের ব্যাপারে মুসলিম শরিফে যাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. এর সাফ হাদিস আছে, রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। এরপর যাচাই করার পর শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছেন।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে,
১. আজকাল যেসব "২৪৬৮ ৭৬৮ ৫৮০ ইয়া ফিরাউন ইয়া জিবরাইল" তাবিজ আমাদের হুজুররা লেখে। এসব তাবিজের ব্যাপারে রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবে অনুমতি দিয়েছেন?

২. আপনারা শর্ত সাপেক্ষে তাবিজ জায়েজ বলেন - ভালো কথা। তো তাবিজ জায়েজ হওয়ার শর্তের সাথে মিলে এরকম তাবিজ জীবনে কয়টা দেখেছেন?

৩. যেসব তাবিজের চর্চা হয়, এর শতকরা ৯৯.৯৯% আপনাদের ফাতওয়ার হিসেবেই হারাম কুফর। এরপরেও এই ফিতনার ব্যাপারে আপনারা নিশ্চুপ কেন? ফিতনার দরজা বন্ধ করা না ওয়াজিব?

৪. গাইরে মাহরামের সাথে অহেতুক চ্যাট করা, পত্রালাপ করা, ফোনে কথা বলা - এটার হুরমত তো নফসান বা ক্বাত'আন না, তবুও আলেমরা এটা নিষিদ্ধ বলেন কেন? কারণ এটা হচ্ছে হারাম কাজে পৌঁছানোর রাস্তা, শুরুতেই ফিতনার দরজার বন্ধ না করলে এটা যিনা পর্যন্ত পৌছাবে। সবাই তো আর যিনা করে না, তবুও ফোনে প্রেম করা হারাম বলেন কেন? কারণ এটা হারাম পর্যন্ত পৌঁছানোর মাধ্যম। খুতুওয়াতিশ শাইত্বান।
তাবিজের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, আপনি প্রথমে না থামালে তাঁরা কুফরি-শিরকি তাবিজে পৌঁছাবে। আর এমনটাই হচ্ছে আমাদের সমাজে।

৫. এক মাযহাব মানা আবশ্যক বলেন, কারণ সাধারণ মানুষকে ইচ্ছামত মাযহাব মানতে দিলে তাঁরা ফিতনার জন্ম দিবে। আওয়ামরা উসুল বুঝবে না, একেক মাজহাবের সব সহজ বিষয় নিয়ে ধর্মকে জগাখিচুড়ী বানাবে। তা ভাই আপনার তাবিজের উসুলগুলা কজন আওয়াম বুঝে? তাদেরকে যে ফিতনার রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছেন, এরপর যখন সে স্বয়ং শয়তানের লেখা তাবিজ নিবে, তখন এর দায় আপনি নিবেন? দোষ তো আপনার! ফিতনার দরজা খালি মাজহাবের সময়েই বন্ধ করেছেন, তাবিজের সময় আরও রাস্তা দেখাইছেন।

রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝাড়ফুঁকের ক্ষেত্রেও বলেছেন- "তোমাদের ঝাড়ফুঁক করার মন্ত্র আমাকে দেখাও, যদি শিরক না থাকে সমস্যা নাই" (মুসলিম)
তখনও কুফরি শিরকির প্রচলন ছিল বিধায় ঝাড়ফুঁকের ক্ষেত্রে রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাচাই করে তারপর অনুমতি দিয়েছেন আমভাবে দেননি। সাহাবায়ে কিরাম সুরা ফাতিহা দিয়ে রুকইয়াহ করেও নিশ্চিত হননি, রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জিজ্ঞেস করেছেন- কাজটা ঠিক হয়েছে তো?
আমার প্রশ্ন হচ্ছে,

৬. আপনারা তাবিজ নিলে কি সেটা যাচাই করেন? উম্মতকে কখনও বলেন যাচাই করার কথা? নাকি উল্টা পরামর্শ দেন "সমস্যা হইছে? কবিরাজের কাছে যান!"

৭. শেষ প্রশ্ন, আপনারাও তো কবিরাজদের কাছে যান। তাবিজ নেন। জীবনে কয়টা তাবিজ ভেঙ্গে দেখেছেন এটা জায়েজ নাকি নাজায়েজ?
অথচ আল্লাহ তা'আলা বলেছেন -
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا
হে ইমানদাররা! কোন পাপাচারী ব্যক্তি যখন তোমাদের কাছে কোন সংবাদ নিয়ে আসে তখন সেটা যাচাই কর। ভেরিফাই কর। (সুরা হুজুরাত-৬)

তাবিজের ব্যাপারে আমার দর্শন উস্তায মুহাম্মাদ তিম হাম্বলের অনুরূপ।
আমি বলব, তাবিজ পাইলে সবার আগে ভাঙবেন! দেখবেন ভেতরের লেখাটা কি খালি কোরআনের আয়াত, নাকি সাথে প্রাইমারির ২৪৬৮ নামতা লেখা আছে? খালি কোরআন আঁকা আছে, নাকি সাথে যাদুকরদের নকশাও আছে? খালি আল্লাহর যিকর আছে, নাকি চিপা দিয়ে ফেরাউন শয়তানের যিকরও আছে। যদি কোন সমস্যা না পান, অস্পষ্ট কিছু না থাকে। তখন আপনার সিদ্ধান্তে ছেড়ে দিলাম সেটা যা ইচ্ছা করতে পারেন।
আল্লাহ যেন আমাদের হিদায়াত দেয়।

03/09/2025

পড়াশোনা সংক্রান্ত সমস্যায় করনীয়ঃ

গ্রুপে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারার রুকইয়াহ জানতে চেয়ে পোস্ট আসে প্রায়ই। আর যখন পোস্টগুলো এপ্রুভ করা হয় অসংখ্য কমেন্ট জমতে থাকে। আজও এমন একটি পোস্ট মুছে দিতে হলো। এই প্রেক্ষিতে দুটো কথা বলা দরকার মনে হচ্ছে।

রুকইয়াহ মূলত জ্বিন, যাদু, বদনজর, ওয়াসওয়াসা এসব সমস্যার জন্য ইসলাম সম্মত উপায়ে কুরাআন হাদিসের আয়াত, দুয়া পড়ে ঝাড়ফুক করার নাম। রাস্তাঘাটে কিছু কবিরাজের লিফলেট চোখে পড়ে যারা কিনা “সব সমস্যার সমাধান” করে দেয়। পড়ায় অমনোযোগ, প্রেমে ব্যর্থতা থেকে শুরু করে সবকিছুর নাকি তারা সমাধান দেয়। রুকইয়াহ সেরকম কিছু নয়।

তাহলে কী করণীয়?

পড়াশোনায় যদি মনোযোগহীনতা আসে তবে সবার আগে কারণ খুজে বের করতে হবে। কারণ যদি হয় মোবাইল আসক্তি, তাহলে প্রতিকার কী? প্রতিকার আপনিও জানেন। প্রতিকার হলো মোবাইল আসক্তি কমানো। প্রতিকার রুকইয়াহ করা নয়। একইভাবে কারণ যদি কোন বিয়ে বহির্ভুত রিলেশন হয় (যেটা কিনা গুনাহের কাজ) তবে প্রতিকার হবে সেই রিলেশন তাওবা করে ত্যাগ করা, ইস্তেগফার করতে থাকা। কারণ যদি কম ঘুমানো হয় তবে বাড়াতে হবে ঘুম। যদি পারিবারিক অশান্তি হয় তবে চেষ্টা করতে হবে সেই অশান্তি দূর করার।

হ্যাঁ, পড়ায় মনোযোগহীনতার বাহ্যত এমন কোন কারণই যদি পাওয়া না যায়, তাহলে চিন্তা করতে হবে কোন প্যারানরমাল কারণ আছে কিনা। হতে পারে কারো বদনজর লেগেছে। বিশেষ করে আগে বেশ মনযোগী ছিল, এখন মনোযোগ দিতেই পারছে না এমন হলে। সেক্ষেত্রে রুকইয়াহ করতে হবে বদনজর নষ্টের।

আবার যাদুর জন্যও এমন হতে পারে। সেক্ষেত্রে শারিরিক মানসিক আরো অনেক ধরনের চেইঞ্জ আসে। লক্ষনগুলো চেক করে তবে তার জন্যও রুকইয়াহ করতে হবে।

যদি বদনজর, যাদু ইত্যাদি কিছুই না হয়?

হ্যাঁ। হতে পারে বদনজরও নাই, যাদুও নাই, আবার বাহ্যিক কোন কারণও নেই। সেক্ষেত্রে পরামর্শ হবে আপনি পড়ায় বসার পর কিছুক্ষন দুরুদ শরিফ পড়বেন। আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রজিম পড়বেন। রব্বী যিদনী ইলমা (رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا) আর রব্বিশ রাহলি সদরি….. (رَبِّ اشْرَحْ لِيْ صَدْرِيْ وَيَسِّرْ لِيْ أَمْرِيْ وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِيْ يَفْقَهُوْا قَوْلِيْ) এই দুয়াটা পড়বেন। কিছুক্ষন কুরআনও তিলাওয়াত করতে পারেন। কেননা তিলাওয়াত অন্তরকে প্রশান্ত করে।

চেষ্টা করবেন মাথায় একটুও না ঢুকলেও পড়া সামনে নিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকতে। যে জিনিসগুলো আপনার মনোযোগ নষ্ট করে (যেমন মোবাইল) সেসব দূরে রেখেই পড়তে বসবেন। পড়ার টেবিলে বেশি জিনিস রাখবেন না। জাস্ট যেটা পড়বেন সেই বই, দরকারি নোট খাতা, কলম এসব রাখবেন। যত বেশি জিনিস সামনে রাখবেন তত মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হবে। একটানা এভাবে ১৫-২০ মিনিট বসে থাকুন জোর করেই। এরপরে খানিক্ষন বিরতি দিয়ে আবার পড়তে বসেন। আস্তে আস্তে এই সময়টা বাড়াতে থাকুন।

অনেক সময় একই সাবজেক্ট নিয়ে পড়ে থাকলেও বোরিং লাগতে শুরু করে যেটা মনোযোগহীনতা ঘটায়। এমন হলে ভিন্ন টপিকের কোন বই পড়তে পারেন অল্প সময়। এই ধরনের বিভিন্ন টিপস একটু খোজাখুজি করলেই পেতে পারেন, যেগুলো বেশ ফলদায়ক।

আশা করি, এই লেখাটি পড়ায় মনযোগহীনতার সমস্যা নিয়ে দেয়া সব পোস্টগুলোর উত্তর হিসেবে যথেষ্ট হবে। পরামর্শগুলো ফলো করলে ইনশা আল্লাহ সমস্যাটি অনেকটাই কমে যাবে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝার তাওফিক দিন। সবাইকে সুস্থ ও নিরাপত্তার জীবন দান করুন। আমিন।

সাম্প্রতিক সময় কিছু বিষয় সামনে এসেছে যাতে করে আমার মনে হচ্ছে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে শয়তানের বিশেষ টিম মাঠে নেমেছে। একমাত্র উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে তাদের পারিবারিক জীবনে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে দ্বীনের পথে চলা থেকে মাহরুম করে ফেলা। আল্লাহ চাইলে শয়তানের এই চক্রান্ত সফল হবে না।

আপনারা যারা মাদ্রাসায় পড়ছেন বা পড়াচ্ছেন, তাদের উচিত হেফাজতের আমলসমূহে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। তাহলে ইন শা আল্লাহ শয়তানের চক্রান্ত থেকে হেফাজতে থাকতে পারবেন। পাশাপাশি আপনাদের পরিবারস্থ লোকদেরকেও ফরয ও মাসনুন আমলে মনোযোগী হতে বলবেন। পরিবারের কেউ শয়তানে আক্রান্ত হয়ে যেন আপনার মেহনতে ব্যাঘ্যাত সৃষ্টি না হয়। আপনার সহপাঠি/ওস্তাদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে রুকইয়াহর কথা বলবেন।

27/08/2025

প্রশ্নঃ ওরা কিভাবে ভবিষ্যতের কথা বলে দেয়? হুজুর যা বলেছিল হবে, সেটাই হয়ে গেছে! কিভাবে সম্ভব?

উত্তরঃ যখন আল্লাহ কোন সিদ্ধান্ত নেন তখন সেটা ফেরেশতাদের জানিয়ে দেন। ফেরেশতারা আল্লাহর ভয়ে ডানা ঝাপটাতে থাকেন তারপর নিজেরা আল্লাহর সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে থাকেন। এভাবে আল্লাহর সিদ্ধান্ত উপরের দিকে থাকা ফেরেশতা থেকে নিম্ন আসমানের দিকের ফেরেশতাদের কাছে আসে। উনারা বলাবলি করতে থাকেন, আমাদের রব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন!

শয়তানরা একজনের উপর আরেকজন উঠে মইয়ের মত করে উপরের দিকে উঠতে থাকে। উপরে উঠে তারা নিম্ন আকাশের দিকে থাকা ফেরেশতাদের কথা শুনার চেষ্টা করে। দুয়েকটা কথা শুনেও। তবে এরা উপরের দিকে উঠলেই আগুনের উল্কা এদের দিকে নিক্ষেপ করা হয়। তাই বেশি কথা শুনতে পারেনা। এরা যা শুনে সেটা সত্যি কথা। এরা এই সত্যের সাথে আরো কয়েকশ মিথ্যা মিশিয়ে যাদুকর/গণককে বলে দেয়। যাদুকর সেটা বলে মানূষকে চমকে দেয়। মানুষও যখন দেখে যাদুকরের কথামত কিছু কথা মিলে যাচ্ছে তখন সেটা বিশ্বাস করে! যাদুকর/গণক/জ্যোতিষী এদের কাছে গিয়ে নিজের ভবিষ্যত জানতে চাওয়া অনেক বড় ধরনের গুনাহ। গায়েবের খবর একমাত্র আল্লাহ জানেন। সকল কাজে একমাত্র আল্লহর উপরই ভরসা করা উচিত।

Address

Northern Mor, Adorsho School Theke (vodrar Dike Jete) 100m Uttore Bus Garage Er Pechone
Rajshahi
6000

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 21:00
Thursday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Telephone

+8801326040006

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tashfiya - Center for Ruqyah Shariyah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram