08/10/2025
সেক্স ডিউরেশন কিভাবে ইনফিনিট (এক্সটেন্ডেড স্টেট অব মাইন্ড) করা যায়? অনেকেই আমাকে এ প্রশ্নটি করে থাকেন। তাদের জন্য আমার সহজ সল্যুশন হলো “পয়েন্ট অব নো রিটার্ন” সম্পর্কে জানুন। একজন পুরুষ পেনিট্রেশন করার সময় এমন একটি টাইম আসে যখন সে তার ইজ্যাকুলেশন কন্ট্রোল করতে পারে না। পয়েন্ট অব নো রিটার্নে প্রবেশের পর তাকে দ্রুতগতিতে পেনিস সরিয়ে নিতে হবে। এ সময় মেয়েটির কাজ হলো ছেলেটির পেনিস শক্ত করে ধরে হালকা মোচড় দেয়া ও ছেলেটির ব্যাকসাইডে খামচি দেওয়া। এ বিন্দুতে প্রবেশের পর পুরুষটিকে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে হবে ও অনুভূতির তীব্রতা সমগ্র দেহে ছড়িয়ে দিতে হবে। মেয়েটির যদি কোনো ইস্যু না থাকে, সে এ সময় পুরুষের পেনিস সাক ও হালকা কামড় দিতে পারে, তারপর আবার পেনিট্রেশন শুরু করতে পারে। ব্যাপারটা এমন মেয়েটি পুরুষের পেনিসকে স্নেহ ও মমতা দিয়ে কুল ডাউন করার চেষ্টা করছে, ঠিক যেমনি একজন পুরুষ এগ্রেসিভ হয়ে গেলে প্রেমিকা কান্নাকাটি করে তাকে কুল ডাউন করে। এভাবে এ প্রক্রিয়া বারবার রিপিট হবে। প্রথম প্রথম পয়েন্ট অব নো রিটার্ন থেকে ফিরে আসা কঠিন। কিন্তু বারবার প্রাক্টিসের পর পুরুষের মাল্টিপল অর্গ্যাজম তৈরির ক্ষমতা তৈরি হয় অর্থাৎ তার ইজ্যাকুলেশনের হাইপ আসার পরও তার ইজ্যাকুলেশন হবে না কিন্তু তার সমগ্র দেহে ইজ্যাকুলেশনের নিউরোকেমেস্ট্রি ছড়িয়ে পড়বে। এভাবে পুরুষ মাল্টিপল অর্গ্যাজম করার ক্ষমতা অর্জন করবে ও সে সুপারস্ট্যার হয়ে উঠবে।
একবার বিজ্ঞানী ইভান পাভলব কুকুরের উপর একটি এক্সপেরিমেন্ট করেছিল। আমরা জানি কুকুরকে খাবার দিলে কুকুরের মুখ থেকে লালা নিঃস্বরণ হয়। ইভান প্রতিদিন কুকুরকে খাবার দেয়ার পূর্বে ঘন্টা বাজাতেন। আর তারপর খাবার দিতেন। এভাবে এ ঘটনা এক সপ্তাহ রিপিট করার পর কুকুরের মস্তিষ্কে একটি নিউরাল কানেকশন তৈরি হয় আর তা ছিল, ঘন্টা মানেই খাবার। আর এরপর থেকে ঘন্টা বাজালেই তার লালা নিঃস্বরণ হয়। একইভাবে পেনিস যখন বুঝবে “নো রিটার্ন মানে রিটার্ন”, তখন মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস, লিম্বিক সিস্টেম, এবং প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে কোটি কোটি নতুন কানেকশন তৈরি হবে আর এতে করে স্ট্রেস ও পেইন রিসিভ করার ক্ষমতা উন্নত হবে। তারা বার বার অর্গ্যাজম হবে কিন্তু ইজ্যাকুলেশন হবে না।
এ প্রসঙ্গে একটি বিখ্যাত বই আছে "The Multi-Orgasmic Man: S*xual Secrets Every Man Should Know"!
বইটির প্রধান তত্ত্ব হলো—অর্গ্যাজম ও ইজ্যাকুলেশন দুটি সম্পূর্ণ আলাদা নিউরোফিজিওলজিক্যাল ঘটনা। অর্গ্যাজম মানে নিউরোইলেকট্রিক এনার্জির বিস্ফোরণ, কিন্তু ইজ্যাকুলেশন মানে বায়োলজিক্যাল ডিসচার্জ। পুরুষ যদি ইজ্যাকুলেশন ছাড়াই অর্গ্যাজম করতে শেখে, তাহলে তার যৌনশক্তি ও মানসিক এনার্জি সংরক্ষিত থাকে। এ বইতে বলা হয়েছে, কুকুরের মতোই পেনিসকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাল্টিঅর্গ্যাজমিক করা যায়।
আমরা যখন প্রথম প্রথম স্কেটিং করি, আমরা পড়ে যাই। একসময় আমরা এমনভাবে স্ক্যাটিং করি, আমরা বুঝতেই পারি না যে আমরা স্ক্যাটিং করছি। কারণ প্রাক্টিস আমাদের মস্তিষ্কে নতুন নিউরাল কানেকশন তৈরি করে আর তখন অভিজ্ঞতা আমাদের আনকনসাস মেশিনারীর অংশ হয়ে যায়, অভিজ্ঞতা হয়ে যায় আমাদের হার্ডওয়্যার। তখন আমাদের আর সচেতনভাবে স্কেটিং করতে হয় না। একইভাবে আপনি যদি ৩-৪ মাস এভাবে নো-রিটার্ন পয়েন্ট থেকে ফিরে আসা প্রাক্টিস করেন, তাহলে আপনার সেক্স ডিউরেশন আনলিমিটেড হবে। আপনি ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন, আপনার প্রেমিকার ৩-৪ বার অর্গ্যাজম হয়ে যাবে কিন্তু আপনার কোনো ইজ্যাকুলেশন হবে না। আপনি নিউরোপ্লাস্টিসিটির ক্ষমতা ব্যবহার করে আপনার পেনিসকে সুপারস্ট্যার করতে পারবেন। পুরুষের পেনিসের পারফর্ম্যান্স সরাসরি তার সামাজিক প্রভাব ও প্রতিপত্তির সাথে জড়িত। পুরুষ যদি নারীকে অর্গ্যাজম দিতে না পারে, সে মানসিকভাবে ডাউন হয়ে যায়। এজন্য প্রতিটি নারীর উচিত পুরুষের নিউরোপ্লাস্টিসিটি তৈরি করতে সহযোগিতা করা।
সেক্স একটি যুদ্ধ, আর আপনার প্রেমিকা হলো আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী। আপনি যদি তার কাছে নিজের ক্ষমতা প্রমাণ করতে না পারেন, তখন আপনি দেখবেন তার সত্যিকার রূপ। কিন্তু আপনি যদি এ যুদ্ধটাকে পারমাণবিক যুদ্ধ হিসেবে নেন, তাহলে বিশাল প্রবলেম, কারণ এ যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র মিউজিক। প্রত্যেক গানকে আপনি যদি ওয়েভফর্মে দেখেন, দেখবেন “পিক” (শীর্ষবিন্দু) ও “ট্রাফ” (নিচের বিন্দু) আছে।
একইভাবে, যৌন উত্তেজনা বা অ্যারোজাল কার্ভ একটা ওয়েভফর্ম। এটা লিনিয়ার না—এটা ক্রমাগত ওঠা-নামা করে, যেমন: বেসলাইন → বিল্ড-আপ → পিক → রিলিজ → রিকভারি। এটা হচ্ছে সঙ্গীতের “Verse → Chorus → Drop → Bridge → Outro” স্ট্রাকচারের মতোই। অধিকাংশ মানুষ সেক্সকে মিউজিক হিসেবে না দেখে, দেখে রাফ এন্ড রাফ পেনিট্রেশন হিসেবে।
মেয়েরা মনে করে, একজন ছেলে অসীম ক্ষমতাধর হবে, তার কোনো দুর্বলতা থাকবে না। কিন্তু এ ধারণা ভুল। হুট করে যেমন একটি মিউজিককে ভার্স থেকে আউট্রোতে নেয়া যায় না, একইভাবে আকস্মিক কোনো পুরুষ রাফ এন্ড টাপ পেনিট্রেশন করতে পারে না। প্রিম্যাচিউর ইজ্যাকুলেশন কোনো প্রবলেম নয়, এটি দক্ষতা ও সহযোগিতার অভাব। একজন নারী চাইলে তার পুরুষকে সুপারস্ট্যার করে তুলতে পারে, আর এজন্য তার উচিত ভালোবাসার মানুষকে হাল্ক (Hulk) না ভেবে রক্ত মাংসের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা আর তার অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলো বোঝা। দুজন মানুষের মধ্যে প্লেটোনিক ও প্রপার কানেকশন থাকলে আনলিমিটেড টাইম অর্জন করা কোনো ব্যাপারই না। এজন্য সেক্স করার পূর্বে দুজন দুজনের সাথে মানবিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। আর এ সম্পর্ক ইগো নয়, সহানুভূতি দ্বারা পরিচালিত হবে।
রিসার্চ-
1. Repetitive transcranial magnetic stimulation via the hippocampal brain-derived neurotrophic factor-tyrosine kinase receptor B pathway to affect sexual behavior and neuroplasticity in rapid ej*******on rats
Liu et al., Andrology, 2024 — rTMS প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রুত ইজ্যাকুলেশন (rapid ej*******on) মোকাবেলায় হিপোক্যাম্পাসে BDNF–TrkB পথ সক্রিয় করার কথা বলা হয়েছে।
2. Altered brain activity associated with premature ej*******on improved by electroacupuncture in rats
PMCID: PMC11365699 — ইলেকট্রো-অ্যাকুপাংচার কীভাবে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অঞ্চলের কার্যকলাপ পরিবর্তন করে এবং ejaculatory latency বাড়ায় তা দেখানো হয়েছে।
3. Aerobic exercise improves ejaculatory behaviors and complements dapoxetine treatment by upregulating the BDNF-5-HT duo: a pilot study in rats
Rats-এ করা এই গবেষণায় বলা হয়েছে, এ্যারোবিক এক্সারসাইজ ও dapoxetine একসাথে প্রয়োগ করলে ej*******on latency বাড়ে এবং 5-HT, BDNF স্তর বাড়ে।
4. Central neurophysiology and dopaminergic control of ej*******on
একটি রিভিউ যা ইজ্যাকুলেশনের কেন্দ্রীয় স্নায়ুবিজ্ঞানের (neurophysiology) দিক এবং ডোপামিন সিগন্যালিংয়ের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে।
5. Central Neural Correlates During Inhibitory Control in Lifelong Premature Ej*******on Patients
LPE (lifelong premature ej*******on) রোগীদের inhibitory control নেটওয়ার্কে (ব্রেইনের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায়) পার্থক্য রয়েছে কি না তা fMRI ও functional connectivity বিশ্লেষণ করে।
6. Premature Ej*******on: From Physiology to Treatment
রিভিউ আর্টিকেল যা PE (premature ej*******on) এর ফিজিওলজি, প্রকৃতি থেকে শুরু করে উপলব্ধ চিকিৎসা ও behavioural কৌশল আলোচনা করে।
7. Effects of a new functional-sexological treatment for premature ej*******on
একটি গবেষণা যা behavioural treatment (সেনসেট ফোকাস, স্টপ-অ্যান্ড-স্টার্ট, স্কুইজ মেথড) এবং নতুন functional-sexological কৌশলগুলি ব্যবহার করে ইজ্যাকুলেশন নিয়ন্ত্রণের উন্নতি দেখায়।
8. The relationships among ejaculatory control, ejaculatory latency, and attempts to prolong heterosexual in*******se
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে করা একটি গবেষণা যা ejaculatory latency, দক্ষ নিয়ন্ত্রণ (control), এবং in*******se prolong করার বিভিন্ন প্রচেষ্টা সংক্রান্ত পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে।
9. The postejaculatory refractory period: a neurophysiological study in the human male
জনস্বাস্থ্য ও মনস্তত্ত্বের দিক থেকে, ej*****te করার পর শরীর ও স্নায়ুবিক রিঅ্যাকশন (refractory period) পরিবর্তন ও সেনসরি থ্রেশহোল্ড কেমন হয় তা পরীক্ষা করা হয়েছে।
10. Treatments for delayed ej*******on: a narrative review
Delayed ej*******on (DE) নিয়ে একটি সাম্প্রতিক রিভিউ যা DE এর সম্ভাব্য কারণ, মনস্তাত্ত্বিক ও চিকিৎসাগত কৌশল, এবং রোগীদের জন্য প্রস্তাবিত ব্যবস্থাগুলি আলোচনা করে।