Goodhealth Hospital Limited

Goodhealth Hospital Limited Goodhealth Hospital Limited; since its inception in June 2015; this is one of the pioneer’s. In future, it is upgrade 30-Bed premise.

Nature of Company
Private Limited Company
Type of Business
Health Care Services
Category of Business
Hospital & Diagnostic services
Hospital Premise
This is currently one of a number of leading Hospitals with a 10-Bed Premise. Diagnostic Services
24 hours Medical Diagnostic & Investigation Service (Pathology, Radiology & Imaging) with Accident & Emergency Department supported by a modern diagnostic facility. Motto
“Save the life, Save the People”

//ভুল-নির্ভুল //১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি ...
18/05/2023

//ভুল-নির্ভুল //

১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!

নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!

২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!!

নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!

৩. ভুলঃ ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার!

নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।

৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!

নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!!

৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।

নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।

৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।

নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।

৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।

নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।

৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।

নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।

৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!

নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।

১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।

নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।

১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা!!!

নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।

১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা।

নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।

১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....

নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।

১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।

নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।

১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।

নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।।

।। সিজোফ্রোনিয়া ।।[১] ইদানিং 'আত্মহত্যা' শব্দটি মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাহলে কী আমি সিজোফ্রোনিয়ায় আক্রান্ত? চলুন ...
02/05/2023

।। সিজোফ্রোনিয়া ।।

[১] ইদানিং 'আত্মহত্যা' শব্দটি মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাহলে কী আমি সিজোফ্রোনিয়ায় আক্রান্ত? চলুন সিফোফ্রোনিয়া সম্পর্কে একটু জেনে নিই।

[২] গবেষণায় দেখা যায়, সিজোফ্রেনিয়া একটি মারাত্মক মানসিক ব্যাধি, ক্রমশ সে ঝুঁকির দিকে এগিয়ে যায়। এই অবস্থায় অন্যতম বিপদ হলো আত্মপরিবর্তনের প্রবণতা। সে ধীরে ধীরে নিজেকে আত্মঘাতীর দিকে নিয়ে যায়। চিকিৎসার পরিসংখ্যান অনুসারে সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত ১০ভাগ এরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে।

[৩] আরো বলা যায়, এটি চিন্তার একটি রোগ। নামটাই সিজোফ্রেনিয়া বা স্কিজোফ্রেনিয়া। এটা একটি জার্মানি শব্দ। স্কিজ শব্দের অর্থ হলো ভাগ হয়ে যাওয়া। চিন্তার জায়গাটা যখন ভাগ হয়ে যায়, মানুষ যেটি দেখছে, সেটার সঙ্গে যখন কো রিলেট করতে পারে না, তখন সমস্যাটা হয়।

[৪] স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই রোগজনিত অক্ষমতার প্রথম ১০টি কারণের একটি হচ্ছে সিজোফ্রেনিয়া। তাঁরা সম্মানহীন হয়ে পড়েন। বন্ধুহীন হয়ে পড়েন। আত্মীয় স্বজনহীন হয়ে পড়েন। চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকেন, অভাব অনটন আঁকড়ে ধরে, সন্তানের মুখে দুধ তুলে দিতে পারেন না, স্ত্রীর ভোরন পোষনে ব্যর্থতা, এ নিয়ে সংসারে নানা টানাপোড়েন, ধীরে ধীরে ড্রাগ আসক্ত হয়ে পড়েন, জীবনের প্রতি মোহ লোপ পায়, অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধে, সামাজিক বন্ধন ছিঁড়ে যায়, সকলের কাছে সে অবজ্ঞার পাত্র হয়ে পড়ে, সর্বোপরি ভবিষ্যৎ জীবনের স্বপ্ন বলে আর তার কিছু থাকে না। তখনই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কখনো নিজে, কখনো বৌ বাচ্চা নিয়ে।

।। হাঁটা, হাসি আর সুরের সাথে নীরোগ জীবনের কাহিনী ।।দেহ ঘড়ি সচল রাখার জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে নিয়মিত হাঁটা, সাথে যদি ১৫ম...
17/07/2022

।। হাঁটা, হাসি আর সুরের সাথে নীরোগ জীবনের কাহিনী ।।

দেহ ঘড়ি সচল রাখার জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে নিয়মিত হাঁটা, সাথে যদি ১৫মিনিট প্রাণখোলা হাসির চর্চা করেন- হৃদরোগ আপনাকে সরি বলবে। এই হাঁটা এবং হাসির সাথে যদি সঙ্গীতের সংমিশ্রণ ঘটানো যায় তাহলে আপনি নীরোগ দীর্ঘায়ু লাভ করবেন। বিশ্বাস না হলে আপনি আজই শুরু করে দেখতে পারেন । প্রমাণ পাবেন হাতে নাতে।

।। খাদ্যাভ্যাস ।।হার্টের অসুখের ক্ষেত্রে ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কি করা উচিত? আসুন জেনে নিই।যাদের হ...
17/04/2022

।। খাদ্যাভ্যাস ।।

হার্টের অসুখের ক্ষেত্রে ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কি করা উচিত?

আসুন জেনে নিই।

যাদের হার্টের সমস্যা আছে বা যাদের এরকম রিস্ক আছে তাদের এগুলো মেনে চলা উচিত ।

সাধারণতঃ বাড়ীর রান্নায় তেল ঘির ব্যবহার কমিয়ে দিন। তেলে ভাজা খাবার বেশী খাবেন না।
রান্নার সবজি ছাঁকা তেলে ভেজে রান্না করবেন না।
রান্নায় নুন, মিষ্টি দেওয়া কমান ও কাঁচা নুন খাওয়া বন্ধ করুন।

দৈনিক খাবারে ফল ও শাকসবজির পরিমাণ বাড়ান।
ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এরম খাবার যেমন মিষ্টি জিনিস, ভাত রুটি ও অন্যান্য কার্বহাইড্রেটের পরিমাণ অল্প রাখুন। প্রোটিনের মধ্যে মাছ, ডিম, চিকেন পরিমিত ব্যবহার করুন। ডাল ও সয়াবিন ভালো ভেষজ প্রোটিনের কাজ করে। বাইরের খাবার, প্রসেসড ফুড, ফাস্ট ফুড খুব কমাতে হবে। Cereal, ফ্যাটছাড়া দুধ, কাগজিবাদাম (almond),আখরোট, পেস্তা, ঘরে মাখা মুড়ি, ফ্যাটছাড়া টক দই, ফল ইত্যাদি দিয়ে জলখাবার খান।
সাধারণ ফলের মধ্যে পেঁপে, বেদানা, কমলালেবু, মুসমবী, পেয়ারা, শশা, লাল আঙুর,আপেলের ব্যবহার বেশী করুন কারণ আম, কলা ইত্যাদির মধ্যে ক্যালোরি বেশী থাকে।

সাদা চালের পরিবর্তে যদি সম্ভব হয় তো ব্রাউন রাইস খান।
ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলুন। সুস্থ থাকুন।

- খালিদ খলিল

।। আপনার স্বাস্থ্য ।। প্রেগনেন্সি ও আল্টাসনোগ্রাফী ।।- পিরিয়ড বন্ধ হওয়া মানেই প্রেগনেন্সি নয়। প্রস্রাবে প্রেগনেন্সি ক...
10/03/2022

।। আপনার স্বাস্থ্য ।। প্রেগনেন্সি ও আল্টাসনোগ্রাফী ।।

- পিরিয়ড বন্ধ হওয়া মানেই প্রেগনেন্সি নয়। প্রস্রাবে প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে অথবা রক্ত পরীক্ষা করে শিউর হতে পারেন।

- পিরিয়ড বন্ধ যতদিন ঠিক ততদিনই প্রেগনেন্সি এটাও সবসময় ঠিক নয়। মিসড পিরিয়ড অন্য কারণেও হতে পারে।

- ইউরিনে প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ হলেও প্রথম দিকে আল্টাসনোগ্রাফীতে কিছু নাও দেখা যেতে পারে। অথবা রিপোর্ট আসতে পারে Bulky Uterus (জরায়ু অল্প বড় হয়ে গেছে)।

- আল্টাসনোগ্রাফীতে ষষ্ঠ সপ্তাহের আগে পরিমাপ যোগ্য কোন কিছু পাওয়া যায় না।

- ৩২ সপ্তাহের আগে বাচ্চার পজিশন (Presentation)
জানতে চাওয়া বোকামি। এই সময় পর্যন্ত বাচ্চা ফ্রিলি পজিশন চেইঞ্জ করে। ৩২ সপ্তাহের পর সাধারণত আর পরিবর্তন হয় না।

- অনেকে দুই মাসের গর্ভবতী হয়েই ছেলে মেয়ে জানতে চান অথবা ডেলিভারীর আগে নয় মাসের সময় বা পানি ভাঙার পর জানতে চান। তখন ভালো বোঝা যায়
না।

- ছেলে মেয়ে সবচেয়ে ভালো বোঝা যায় ২৮ থেকে ৩৪ সপ্তাহ পর্যন্ত যখন পানি (Amniotic Fluid) বেশি থাকে। ছেলে মেয়ে সব সময়ই বোঝা যাবে এমন নয়। বাচ্চার অবস্থানগত কারণে দুই পায়ের মাঝখানে দেখা না গেলে ছেলে মেয়ে বোঝা যাবে না।

- বাচ্চার কতমাস হয়েছে (Gestational Age) কিছু পরিমাপ থেকে বের করা হয়। বাচ্চার মাথা, উরু এবং পেটের পরিধির পরিমাপ। অর্থাৎ বাচ্চাটির সাইজ অনুযায়ী তার বয়স নির্ধারণ করা হয়। ঠিক কবে আপনার পেটে বাচ্চার তৈরী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা থেকে হিসাব করা যায় না।

- ডেলিভারীর একটি সম্ভাব্য তারিখ দেওয়া থাকে যেটাকে EDD (Expected Date of Delivery) বলে।
আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিনে ৪০ সপ্তাহ (২৮০ দিন/
ক্যালেন্ডারের যে কোন নয় মাস + ৭ দিন) হিসাব করে ডেট প্রেডিক্ট করে।

- আমাদের দেশে বেশিরভাগ মায়েরই পুরো সময় পেটে বাচ্চা থাকে না। ৩৫ সপ্তাহের পরই একটা বড় অংশের ডেলিভারি হয়ে যায়। অথবা পানি ভেঙে যায়। তাই আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট অনুযায়ী বাচ্চা না হলে অবাক হবার কিছু নেই।

পৃথিবীর অনেক দেশে এবং আমাদের কিছু প্রতিবেশি
দেশেও আইন করে পেটে থাকা অবস্থায়
আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ছেলে মেয়ে বলা নিষিদ্ধ করা
হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে মানুষ প্রেগনেন্সির সময় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে আসে শুধু এটা জানার জন্যই।

02/02/2022

//আপনার স্বাস্থ্য//

➕স্ট্রোকের লক্ষণ জানা জরুরি➕

আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় হঠাৎ করেই আসে যে কোনো ধরনের অসুস্থতা। কিন্তু কিছু কিছু অসুস্থতা রয়েছে- যার কবলে একবার পড়লে বেঁচে বর্তে থাকা প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্ট্রোক তেমনি ধরনের অসুস্থতা। জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনে অনেকাংশে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই জানা দরকার এর লক্ষণসমূহ।

স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এতে আক্রান্ত হওয়া মানেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যাওয়া। রোগী একদিকে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যেতে থাকেন, আরেকদিকে তাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে থাকেন আত্মীয়-স্বজন-চিকিৎসকেরা। সবচেয়ে পরিচিত স্ট্রোকের মধ্যে পড়ে মস্তিষ্কের শিরায় রক্ত জমাট বেধে যাওয়া। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের ওই শিরার আশপাশের কোষগুলো দ্রুত মারা যেতে শুরু করে। এমন রোগীর বেশির ভাগই মারা যান।

তবে প্রাথমিক অবস্থায় স্ট্রোকের লক্ষণ চিহ্নিত করা গেলে প্রাণঘাতী এ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আর স্ট্রোক প্রতিরোধের এটাই অন্যতম উপায়। কোন লক্ষণগুলো দেখলে এক মুহূর্তও দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

স্ট্রোকের ধরনভেদে এর লক্ষণও ভিন্ন হতে পারে। তবে এ রোগের কিছু লক্ষণ প্রায় একই। যেমন- চলাফেরায় অনীহা, ভারসাম্যহীনতা, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা, কথায় জড়তা চলে আসা, এমনকি পুরোপুরিভাবে কথা বলতে অক্ষম হয়ে পড়া স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ। মুখ, ঠোঁট ও বিশেষত দেহের একটি অংশ অসাড় হয়ে পড়াও স্ট্রোকের লক্ষণ। প্যারালাইসিস, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ও অতিরিক্ত হতাশা স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।

স্ট্রোক একজন ব্যক্তির জীবনে যেকোনো সময় আসতে পারে। তবে কিছু ব্যক্তির জন্য এটা বেশি হুমকি তৈরি করে। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। ৫৫ বছরের বেশি বয়সী ও ধূমপায়ীরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা স্ট্রোকের একটি চিকিৎসা হচ্ছে ‘থ্রম্বোলাইটিক থেরাপি’, যে চিকিৎসায় ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রুত মস্তিষ্কের জমাট বাঁধা রক্ত গলে যায়। রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক হয়। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে গেলে ভিন্ন বিষয়) উভয় ক্ষেত্রেই এই থেরাপি বা ওষুধের মাধ্যমে জমাট বাঁধা রক্ত গলিয়ে ফেলা হয়। স্ট্রোক হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই থেরাপি দেওয়া হলে মস্তিষ্কের ক্ষতি কম হয়। প্যারালাইসিস বা দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতা তৈরির বিষয়গুলো কমে যায়। নিউরোলজিস্ট বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা স্ট্রোকের চিকিৎসার বিষয়টিকে বলেন, ‘টাইম ইজ ব্রেইন’।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর জন্য চর্বিবহুল খাদ্য বর্জন ও বেশি বেশি হাঁটা চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শরীর ও মন সুস্থ থাকলে সহজে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

30/01/2022

Address

Sardah
Rajshahi
6271

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Goodhealth Hospital Limited posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Goodhealth Hospital Limited:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category