27/11/2025
হার্টের অসুখ বা হৃদ্রোগে খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবার হৃদ্যন্ত্রকে সুরক্ষা দিতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং রক্তচাপ কম রাখতে সাহায্য করে। নিচে সহজভাবে কিছু প্রমাণভিত্তিক খাবার–সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হলো:
⸻
যে খাবারগুলো নিয়মিত খাবেন
১) ফল ও শাকসবজি
• প্রতিদিন ৪–৫ সার্ভিং লক্ষ্য করুন।
• বিশেষ উপকারী: আপেল, বেরি, কমলা, পেঁপে, ব্রোকলি, পালং, করলা, গাজর।
২) পূর্ণ শস্য (Whole Grains)
• ব্রাউন রাইস, ওটস, লাল আটা, ডালিয়া।
• এগুলো রক্তের শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভালো।
৩) ভালো মানের প্রোটিন
• মাছ বিশেষভাবে ভালো (যেমন রুই, কাতলা, স্যামন, সার্ডিন — ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ)।
• চিকেন (চামড়া ছাড়া), ডিমের সাদা অংশ, ডাল, ছোলা, মসুর, সয়াবিন।
৪) স্বাস্থ্যকর চর্বি
• অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, বাদাম, আখরোট, চিয়া ও ফ্ল্যাক্স সিড।
• এগুলো “ভালো চর্বি” (unsaturated fat) যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
৫) কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার
• স্কিম মিল্ক, লো-ফ্যাট দই, দুধের বদলে দই নেওয়া ভালো।
⸻
যে খাবারগুলো কম খাবেন বা এড়িয়ে চলবেন
❌ ট্রান্স ফ্যাট ও অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট
• ভাজা খাবার, ফাস্টফুড, প্যাকেটের কেক-পেস্ট্রি, ডালডা/বানস্পতি।
❌ অতিরিক্ত লাল মাংস
• গরু, খাসি, খাসির কলিজা—এগুলো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
❌ অতিরিক্ত লবণ
• প্রতিদিন ৫ গ্রামের কম (১ চা চামচের কম)।
• আচার, প্যাকেট স্ন্যাকস, ফাস্টফুড কম খাবেন।
❌ চিনি ও পরিশোধিত শর্করা
• সফট ড্রিংক, মিষ্টি, সাদা রুটি, পরোটা, বিস্কুট।
❌ ধূমপান ও অ্যালকোহল
• হৃদ্রোগের অন্যতম বড় ঝুঁকির কারণ।
⸻
খাবার গ্রহণের উপায় ও অভ্যাস
• ছোট ছোট ভাগে দিনে ৪–৫ বার খাবেন।
• প্রতিদিন ৩০–৪৫ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)।
• পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করুন।
• রান্নায় বেশি তেল ব্যবহার করবেন না (প্রতিদিন ৩–৪ চা চামচের বেশি নয় একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য)।
• রাতে ভারী খাবার এড়ান।
⸻
হার্টের রোগ থাকলে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখুন
• উচ্চ রক্তচাপ থাকলে লবণ কমানো অত্যন্ত জরুরি।
• উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে তেল-চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
• ডায়াবেটিস থাকলে শর্করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফলের পরিমাণও সচেতনভাবে নিতে হবে।
আগামীকাল শুক্রবার ।
সারাদিন চেম্বার।
সিরিয়াল: 01924-243337 ,+8801704262926