Physio Afsana Mimi

Physio Afsana Mimi Physical Therapist Rangpur

12/04/2025

১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!
নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!

২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!!
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!

৩. ভুলঃ ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার!
নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।

৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!
নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!!

৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।

৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।

৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।

৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।
নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।

৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!
নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।

১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।
নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।

১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা!!!
নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।

১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা।
নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।

১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।

১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।
নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।

১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।
নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।।

এ ধরণের আরো অনেক ধরণের গুজব বা কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত, যেগুলোর কোনো ভিত্তি বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

পারকিনসন ডিজিজ (parkinson disease):-আমরা প্রায় হাত বা মাথা কাপা অনেক মানুষ দেখে থাকি। আমরা অনেকেই জানিনা এমনটা কেন হয়।...
22/01/2025

পারকিনসন ডিজিজ (parkinson disease):-

আমরা প্রায় হাত বা মাথা কাপা অনেক মানুষ দেখে থাকি। আমরা অনেকেই জানিনা এমনটা কেন হয়।এটা এক ধরনের নিউরো-ডিজেনারেটিভ বা স্নায়বিক রোগ যাকে আমরা পারকিনসন ডিজিজ বলে জানি।

পারকিনসনে আক্রান্ত ব্যক্তি চেনার উপায়:

১. দূর্বলতা।
২. মাথায় কিংবা হাতে মৃদু কম্পন অনুভব করা।
৩. বিষাদগ্রস্ত।
৪. ভাবলেশহীন অভিব্যক্তি এবং চোখের পাতায় কম কম্পন।
৫. পেশির অনমনীয়তা।
৬. ধীরগতিতে চলাফেরা।
৭. ভারসাম্য রক্ষায় অপারদর্শিতা।
৮. বিশ্রামের সময় মাথায় কিংবা হাতে মৃদু কম্পন অনুভব করা।
৯. বিভ্রান্তি এবং স্মৃতীশক্তির বিলোপ।

আধুনিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় পারকিনসন থেকে অনেকটাই সুস্থ হওয়া সম্ভব।

22/01/2025

🏋️‍♀️ফিজিওথেরাপি বনাম ব্যথার ওষুধ🏋️‍♀️

✅✅ঔষধ খাবেন যতদিন ভালো থাকবেন ততদিন। ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিলেই আগের অবস্থায় ফিরে আসবেন।
ঘাড়, কোমর, হাঁটু ব্যাথা সহ যে কোন ব্যাথায় বর্তমানে এ অবস্থা বিরাজমান।

এখন চিকিৎসার উদ্দেশ্য কেবল রোগ ভালো করা নয়, একটি রোগ ভালো করতে গিয়ে যাতে শরীরের অন্য ক্ষতি না হয়ে যায় সে দিকেও খেয়াল রাখেন চিকিৎসকরা। যেমন শারীরিক ব্যথা; ব্যথাবিরোধী ওষুধগুলো আমাদের শরীরে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে, যা অনেক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

সুতরাং ব্যাথার শুরুতেই সঠিক জায়গা
থেকে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক এর আন্ডারে থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিন, সুস্হ থাকুন, অর্থ অপচয় রোধ করুন।

আর নয়তো ঘুরতে ঘুরতে পকেটের টাকা শেষ হয়ে যাবে কিন্তুু সমাধান মিলবে না।

24/10/2023

যে সকল রোগের ফিজিওথেরাপি সেবা নিবেন :-

১)স্ট্রোক পরবর্তী প্যারালাইসিস।
২)পারকিনসন্স ডিজিজ।
৩)সেরিব্রাল পালসি বা প্রতিবন্ধী।
৪)ঘাড়ে ব্যথা।
৫) হাঁটু ব্যথা।
৬)PLID বা কোমর ব্যথা।
৭)ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধে ব্যাথা।
৮)বেলস পালসি বা মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া।
৯) অটিজম।
১০)অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথা।
১১) হাত পা অবশ বা ঝিনঝিন হওয়া।
১২)মাংস পেশিতে ব্যথা।
১৩)জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত।
১৪) নিউরোলজিক্যাল ফিজিওথেরাপি।
১৫)অর্থোপেডিক ফিজিওথেরাপি।
১৬) Tenis elbow বা কনুই ব্যাথা।
১৭)Upper back pain বা পিঠে ব্যাথা।
১৮) Cervical Spondolosis বা ঘাড়ে ব্যথা।
১৯)Planter Fascitis বা পায়ের গোড়ালি ব্যাথা।
২০)Cervicogenic Headeach বা মাথায় ব্যাথা।
২১)Ankylosing Spondolytis।
২২)MND বা মোটর নিউরন ডিজিজ।
২৩)CTS বা Carpal Tunnel Syndrome।
২৪) মাংসপেশীতে টান পড়া।
২৫) লিগামেন্ট ইনজুরি।
২৬) স্পোর্টস ইনজুরি।
২৭) ডিএমডি (ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রোফি)
২৮) ডায়ালাইসিসের পর ফিজিওথেরাপি
২৯) COPD
৩০) বুকের ফিজিওথেরাপি যাদের গুরুতর হাঁপানি আছে
৩১) Golfers elbow
৩২) ট্রান্সভার্স মাইলাইটিস বা প্যারাপ্লেজিয়া
৩৩.Scoliosis
৩৪. অপারেশনের পর কনুই শক্ত হওয়া
৩৫. অপারেশনের পর হাঁটুর জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া।
৩৬.Motor Delay
৩৭.ADHD
৩৮.অটিজম
৩৯. পেশী দুর্বলতা
৪০. পেশী ব্যথা।
৪১.- প্লাষ্টার জনিত কারতে হাত বা পায়ের
জয়েন্ট ভাজ করতে না পারা।
৪২.মহিলাদের সিজারিয়ান পরবর্তী সময়ের
ফিজিওথেরাপী চিকিৎসা।

বিশেষদ্রষ্টব্য;

ব্যাথার ওষুধ কে না বলুন,
ফিজিওথেরাপি নিয়ে সুস্থ থাকুন।
ব্যাথার ওষুধে কিডনি ক্ষতি হয় !

25/09/2023

✅জিবিএস রোগ কি ?
গুলেন বারি সিনড্রোম ( Guillian Barre Syndrome) কে সংক্ষেপে বলে জিবিএস (GBS) ।
জিবিএস রোগ এক ধরনের নিউরোলজিক্যাল ডিজিজ , এটা হলে সাধারনত শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভুল করে শক্র ভেবে শরীরের অন্যান্য অংশ বিশেষ করে হাত পা, বুকের নার্ভ গুলো ( পেরিপেরাল নার্ভ ) কে আক্রমন করে । যেই কারনে জিবিএস হলে হাত পা ঝিন ঝিন করে , প্রথমে পা , পরে হাত , পুরো শরীর আস্তে আস্তে অবশ হয়ে যায় । আক্রমন তীব্র হলে বুকের মাসল দুর্বল হয়ে শ্বাস প্রশ্বাসে বাঁধা গ্রস্ত করে যার , সেই ক্ষেত্রে জিবিএস এর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন ।

✅জিবিএস এর চিকিৎসা

⭕জিবিএস কেন হয়
জিবিএস কেন হয় , এটার একেবারে সঠিক কারণ এখনো জানা যায় নাই । বিজ্ঞান এখনো বলতে পারে নাই , জিবিএস ভাইরাস কেন কিছু লোকের হয় , আবার কেন এটা অন্যদের হয় না । তবে এটা কোন সংক্রামক রোগ নয় বা বংশগত কোন রোগ নয় ।

সাধারনত আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম শরীরে কোন রোগ জীবানু ঢুকলে তাকে আক্রমন করে শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করে । কিন্তু দু;খজনক বিষয় হল , এখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম শরীরের অন্যান্য পার্টকে বিশেষ করে পেরিপেরাল নার্ভ ( হাত পায়ের নার্ভ বা স্নায়ু ) কে শক্র ভেবে আক্রমন করে । তবে ব্রেইন এবং স্পাইনাল কর্ড আক্রমন করে না । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জিবিএস লক্ষণ দেখা যায় এ বিশেষ করে পাতলা পায়খানা এবং ফুসফুসের ইনফেশনের পর ( ভাইরাল ইনফেকশন ) । জিবিএস এর চিকিৎসা সময় মত হওয়া প্রয়োজন , সমস্যা বেশি হলে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় ।





✅জিবিএস রোগের লক্ষণ
জিবিএস এর চিকিৎসা দেরি হওয়ার মূল কারণ অনেক সময় রোগীর আত্নীয়স্বজন বুঝতেই পারে না রোগীর কি হয়েছে । তাই জিবিএস রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আমাদের সবার কম বেশ ধারনা থাকা উচিত ।
জিবিএস রোগ এর মূল লক্ষণ হল হঠাৎ করে হাত পা ঝিন ঝিন করা , ব্যথা , প্রথমে পা অবশ শুরু হয়ে যায় , পরে আস্তে আস্তে হাতও অবশ হয় । রোগী হাঁটতে অপারগতা প্রকাশ করে , প্রথমদিক হাঁটতে কষ্ট হয় , পরে আস্তে আস্তে হাঁটাও বন্ধ হয়ে যায় । আস্তে আস্তে বুকের মাংসপেশি গুলোও দুর্বল হতে থাকে , শ্বাসকষ্ট হয় , খাবার গিলতে অসুবিধা হয় । চোখের পাতাও দুর্বল হয়ে যায় , দেখতেও সমস্যা হতে পারে ।
জিবিএস হলে কেন হাত পায়ের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায় , হাত পা ঝিন ঝিন করে
আমাদের শরীরে পেরিপেরাল নার্ভ বা স্নায়ুগুলো অনেকটা বাড়ির ঘরের ইলেকট্রিক তারের মত । তারের উপর যেমন একটা রাবারের কভার থাকে , ভিতরে তারটা থাকে ; ঠিক তেমনি নার্ভের উপরেও এইরকম একটা কভার থাকে যাকে আমরা বলি মায়োলিন সিথ , জিবিএস হলে এই মায়োলিন সিথ ধ্বংস হয়ে যায় । ফলে ব্রেইন সঠিকভাবে কোন সিগনাল হাত পা কে দিতে পারে না , সেইজন্য হাত পা দুর্বল হয়ে যায় । নার্ভ ডেমেজের কারণে সঠিকভাবে কোন সিগনাল হাত পা থেকে ব্রেইনেও যেতে পারে না , উলটা পালটা সিগনাল যাওয়ার কারনে হাত পা ঝিন ঝিন বা ব্যথা করে । নার্ভগুলো ভাল হতে সময় লাগে , যেই কারনে জিবিএস এর চিকিৎসা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ।
জিবিএস কিভাবে ডায়াগনোসিস করতে হয়
প্রথম দিকে লক্ষন গুলো দেখে জিবিএস ডায়াগনোসিস করা কঠিন বিষয় । কারণ একই লক্ষন আরো অনেক রোগেরই হয়ে থাকে । তাই অনেক সময় বেশি কিছু পরীক্ষা করতে হয় , অনেক সময় ডায়াগনোসিস করতেও সময় লাগে । তবে জিবিএস ডায়াগনোসি করার জন্য রোগীর আত্নীয়স্বজনের কথা বার্তাও গুরুত্বপূর্ন । রোগের লক্ষন এবং রোগের ইতিহাস শুনেই অধিকাংশ ডায়াগনোসিস সম্ভব । কারণ জিবিএস এর সঠিক চিকিৎসা করতে হলে সঠিক ডায়াগনোসিস গুরুত্বপূর্ন ।
জিবিএস এর চিকিৎসা
জিবিএস রোগের জন্য গবেষনায় প্রমানিত কোন চিকিৎসা নেই , যেই চিকিৎসা দিলে রোগী ভাল হয়ে যাবে । যাই হোক , কিছু থেরাপি আছে , যেইগুলো দিলে রোগের তীব্রতা কমে আসবে এবং রোগী কম সময়ে ভাল হবে । বিশেষ করে জিবিএস এর সমস্যা বেশি হলে রোগীর শ্বাসকষ্ট সহ বেশ কিছু সিরিয়াস সমস্যা দেখা দেয় , সেইগুলোর উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয় । জিবিএস এর চিকিৎসা দুইভাবে দিতে হয় । একিউট কেয়ার , পুনবার্সন সেবা ।





⭕একিউট কেয়ার
একিউট কেয়ার হল রোগীকে হাসপাতালে নিলে সাথে সাথে যেই চিকিৎসা দেওয়া হয় সেটাই । সাম্প্রতিক সময়ে জিবিএস এর রোগীকে হাসপাতালে নিলে কমন দুইটা চিকিৎসা দেওয়া হয় , নার্ভ বা স্নায়ু ডেমেজ বাধাগ্রস্ত করতে ।

একটা হল প্লাজমা এক্সচেইঞ্জ ( প্লাজমাপেরেসিস ) , অন্যটা হল উচ্চ মাত্রার ইমিনোগ্লোবিন থেরাপি । রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারলে দুইটাই সমান কার্যকরী । তবে ইমিনোগ্লোবিন দেওয়া টা অনেকটা সহজ প্লাজমা এক্সচেইঞ্জের চেয়ে । একজনকে দুইটা চিকিৎসা একত্রে দিলে কোন লাভ হয় না ।



✅রিহ্যাবিলিটিশন বা পুনবার্সন
জিবিএস এর একিউট কেয়ার শেষ হলে রিহ্যাবিলিটেশনে ওয়ার্ডে পাঠানো হয় । জিবিএস চিকিৎসার অনেক বড় একটা ধাপ পুনবার্সন বা রিহ্যাবিলিটেশন। জিবিএস এর রোগীকে পুনবার্সন করতে ফিজিওথেরাপি , অকুপেশনাল থেরাপি দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়োজন হয় । রোগীকে শোয়া থেকে বসানো , দাঁড়ানো , হাটানো সব কিছু থেরাপিস্ট ধাপে ধাপে করে থাকে ।





⭕জিবিএস ভাল হতে কতদিন সময় লাগে
জিবিএস ভাল হতে কতদিন সময় লাগে সেটা নির্ভর জিবিএস এর চিকিৎসার উপর । সঠিক একিউট কেয়ার এবং পুনবার্সন ভাল হলে ৭০% জিবিএস রোগী সম্পূর্ন ভাল হয়ে যায় । সেটা কয়েক সপ্তাহ থেকে দুই বছরও লাগতে পারে । কারো কারো ক্ষেত্রে ৩ বছরও লাগতে পারে । ১৫% এর ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের হাতে সাপোর্ট দিয়ে হাঁটতে হয় । কাউকে কাউকে হুইল চেয়ারও ব্যবহার করতে হয়

12/09/2023

স্ট্রোকঃ ফিজিওথেরাপিস্ট দেখাতে গিয়ে টেকনিশিয়ান দেখাচ্ছেন না তো!

বর্তমান সারা বিশ্বে দিন দিন স্ট্রোক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রধানতম মৃত্যুর কারন হলো- স্ট্রোক। স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে রোগীকে প্রাথমত জরুরি বিভাগে নিতে হবে। রোগীর ভাইটালস তথা রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন, অক্সিজেন সাচুরেশন স্বাভাবিক ও উন্নতি হলে রোগীকে সাথে সাথে বেড মোবিলিটি থেকে শুরু করে ফুসফুসের ফিজিওথেরাপি এবং পরবর্তীতে
পুনর্বাসন চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে।

বর্তমানে ফিজিওথেরাপির নামে কিছু অসাধু টেকনিশিয়ান অপচিকিৎসা দিচ্ছে (যেমন-মেশিন ব্যবহার), যা কিনা উপকার এর চেয়ে অপকার বেশি হচ্ছে। বেশিরভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে অপচিকিৎসার ফলে Shoulder Hand Syndrome, Shoulder Sublaxation, Hypertonicity, Myositis Ossificans সমস্যাগুলো দেখা দেয়।

সুতরাং ফিজিওথেরাপিস্ট নামে টেকনিশিয়ান দেখাচ্ছেন কি না সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।একজন ফিজিওথেরাপিস্ট ইভিডেন্স ছাড়া দিবেন না, ফিজিওথেরাপিস্ট অবশ্যই বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে। যেমন-

- Bobath technique
-Carr and Shepherd (Motor Relearning Program)
-PNF
-Bilateral Arm Training
-Mirror Therapy (Biofeedback)

সুতরাং, ফিজিওথেরাপিস্টের নামে কোন টেকনিশিয়ান নয়, ফিজিওথেরাপিস্টটের পরামর্শ ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহন করুন এবং সুস্থ থাকুন।

31/08/2023

আর্থ্রাইটিস / বাতের ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছেন? জেনে নিন কীভাবে মুক্তি পাবেন !

আর্থ্রাইটিস কি? এ সম্পর্কে প্রথমে দু’একটি কথা বলা প্রয়োজন।
এতো অল্প পরিসরে অবশ্যই বেশি কিছু আলোচনা করা সম্ভব নয়,কিন্তু কিছু ধারণা দেয়া যেতে পারে।
সেইসাথে এর প্রতিকার নিয়েও পরামর্শ দেয়ার চেস্টা করবো আজকের এই পোস্টে।

আর্থ্রাইটিসকে বাংলায় সাধারনত ‘বাত’ বলা হয়। কিন্তু শুধু বাত বলে একে সরলীকরণ করা যাবে না। মোটামুটিভাবে বলা যেতে পারে , আর্থ্রাইটিস মানে দেহের বিভিন্ন অস্থি বা হাড়ের জোরায় ব্যথা। তবে এটি একক কোন রোগ নয় বরং বেশ কিছু জটিলতার সমন্বয়।
যেকোন বয়সের নারী ও পুরুষের এবং শিশুরা এই কঠিন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে নারীরা এ জটিলতায় বেশি আক্রান্ত হন। এ ছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে হাড়ের বিভিন্ন জোড়ায় ব্যথা হয়,হাঁটাচলায় কষ্ট হয়,হাত বা পায়ের গিটগুলো শক্ত হয়ে বা ফুলে যেতে পারে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে কষ্ট হয়। তবে ব্যথা হলেই যে আর্থ্রাইটিস হয়ে গেছে এমন মনে করা যাবে না।
চিকিৎসক দেখিয়ে নির্দিষ্ট পরিক্ষা -নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে।

আর্থ্রাইটিস এর প্রকারভেদঃ
বিভিন্ন ধরণের আর্থ্রাইটিস রয়েছে । এরমধ্যে যেসব আর্থ্রাইটিসে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায় সেগুলো হলো-
• অস্টিও আর্থারাইটিস (Osteoarthritis ) সাধারণত , মধ্য বয়সে কোমড় , হাঁটু ও বুড়ো আঙ্গুলে ব্যথা ।

• রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটি (Rheumatoid arthritis) আঙ্গুল,হাতের কব্জি ও পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা।

• গাউট বা গেঁটে বাত ( Gout) ইউরিক অ্যাসিড সংক্রান্ত জটিলতা,পায়ের গোড়ালি ও হাঁটু ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথা করে।

• এঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস (Ankylosing spondylitis) সাধারণত যুবকরা আক্রান্ত এতে মেরুদণ্ডে ব্যথা হয়।

• সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস ( Psoriatic arthritis) সোরিয়াসিস আক্রান্তদের নখে ক্ষয় হয় ।

• ফাইব্রোমায়ালজিয়া ( Fibromyalgia) পেশিতে টান ও ব্যথা ।

• জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস ( Juvenile idiopathic arthritis) শিশু- কিশোরদের বিভিন্ন জোড়ায় প্রচণ্ড ব্যথা।

• রিএকটিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis)অন্ত্র সংক্রমণ থেকে বিভিন্ন জোড়ায় প্রদাহ সৃষ্টি করে।
এই ধরনের সমস্যার স্থায়ী আরোগ্যের জন্য ফিজিওথেরাপি হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি।

আপনার এই শারীরিক সমস্যা সমাধানে আমরা আছ আপনার পাশে

22/07/2023
10/08/2017 প্রথমআলো
22/07/2023

10/08/2017 প্রথমআলো

PLID( মেরুদন্ডের দুই হাড়ের মধ্যবর্তী  অংশটি সরে যাওয়া)-----------------------------------------------------------------...
02/11/2022

PLID( মেরুদন্ডের দুই হাড়ের মধ্যবর্তী অংশটি সরে যাওয়া)
----------------------------------------------------------------------------------

1) আপনার কি দুই হাত অথবা দুই পায়ে অবশ অবশ ভাব,ঝি ঝি ধরা কিংবা জ্বালাপোড়া অনুভব হয়?

2) আপনি সামনের দিকে ঝুঁকলে কি কোমর ব্যথা অনুভব হয় কিংবা ব্যথা বেড়ে যায়?

3) আপনার ব্যথা কি কোমড় থেকে হাঁটুর নিচ কিংবা আঙ্গুল পর্যন্ত আসে?

4) একটু বেশি সময় হাঁটলে কিংবা বসে থাকলে কি আপনার কোমড় ব্যথা বেড়ে যায়?

🔷তাহলে আপনি পি এল আই ডি(PLID) জনিত রোগে/ সমস্যায় ভুগছেন কিংবা ঝুঁকিতে আছেন।

🔶এই ধরনের সমস্যার স্থায়ী আরোগ্যের জন্য ফিজিওথেরাপি হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি।

👉 আপনার এই শারীরিক সমস্যা সমাধানে আমরা আছি আপনার পাশে।

খেলার মাধ‌্যমে শিশুর পে‌শি সঞ্চালন!
27/10/2022

খেলার মাধ‌্যমে শিশুর পে‌শি সঞ্চালন!

Address

Rangpur

Opening Hours

09:00 - 17:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Physio Afsana Mimi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram