Good For Health

Good For Health Health care

15/11/2025

#স্বাস্থ্য_সচেতনতা
বাঁচতে হলে জানতে হবে ।

পচে গলে যাওয়া কিডনিও সুস্থ হবে যা কয়েকদিন খেতে পারলে। কিডনি সুস্থ করতে পারে যেসব খাবার।

আপনার শরীরের ভেতরে এমন দুটি অঙ্গ আছে, যেগুলো নিঃশব্দে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে— কিন্তু আপনি তার কথা প্রায় ভুলেই যান। এগুলো হলো কিডনি। এক মুহূর্তের জন্যও কিডনি থেমে থাকলে, পুরো শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আজকের যুগে কিডনির সমস্যা ভয়াবহ হারে বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে অন্তত ৩ জন কোনো না কোনোভাবে কিডনি দুর্বলতায় ভুগছেন।

অনিয়মিত খাবার, অতিরিক্ত লবণ, কম পানি পান করা, ঘুমের অভাব, ব্যথার ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার— এইসবই ধীরে ধীরে কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। প্রথমে বুঝা যায় না, কিন্তু একসময় শরীরে পানি জমা, চোখ ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, শরীর ভারী লাগা— এগুলো সবই কিডনি দুর্বলতার লক্ষণ।

কিন্তু সুখবর হলো, প্রাকৃতিকভাবে কিডনিকে আবারও শক্তিশালী করা সম্ভব। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত কিডনিও কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজেকে পুনর্গঠন করতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেন, কিডনি এমন একটি অঙ্গ, যার কোষগুলোর “রিজেনারেশন” ক্ষমতা রয়েছে— অর্থাৎ এটি নিজে থেকেই নতুন কোষ তৈরি করতে পারে, যদি তাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেওয়া হয়।

আজকের এই গবেষণাধর্মী লেখায় আমরা জানব, কিডনি সুস্থ রাখতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি পুনরুদ্ধারে কোন খাবারগুলো সবচেয়ে কার্যকর।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কিডনি প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার রক্ত ছেঁকে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। কিন্তু যখন এই ফিল্টার সিস্টেমে টক্সিন জমে যায়, তখন কিডনির কোষগুলো ধীরে ধীরে কাজ বন্ধ করে দেয়। তাই প্রথম ধাপ হলো— কিডনি পরিষ্কার করা।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর উপাদান হলো “ধনেপাতা পানি”। গবেষণায় দেখা গেছে, ধনেপাতা কিডনির মধ্যে জমে থাকা ইউরিক অ্যাসিড, ইউরিয়া ও টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা কাপ ধনেপাতা সেদ্ধ পানি পান করলে কিডনির ভেতরের জমে থাকা বর্জ্য দ্রবীভূত হয়ে বেরিয়ে যায়।

দ্বিতীয় শক্তিশালী উপাদান হলো “তরমুজ”। তরমুজে প্রায় ৯২% পানি থাকে, যা শরীরের অতিরিক্ত লবণ ও টক্সিন বের করে দেয়। এটি প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে— অর্থাৎ এটি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে কিডনিকে বিশ্রাম দেয়। প্রতিদিন একবেলা তরমুজ খেলে কিডনির ওপরের চাপ কমে, এবং রক্ত পরিষ্কার থাকে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো “কালোজিরা”। আয়ুর্বেদে কালোজিরাকে বলা হয় “শিফা”, অর্থাৎ নিরাময়ের দানা। কালোজিরার তেলে রয়েছে থাইমোকুইনন, যা কিডনির কোষের প্রদাহ কমায় এবং নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। এটি কিডনির অভ্যন্তরীণ দেয়াল পরিষ্কার রাখে, ফলে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে।

কিডনিকে পুনর্জীবিত করতে যেসব খাবার আশ্চর্য কাজ করে, তার মধ্যে “আপেল”, “লাল বিট”, এবং “আমলকি” রয়েছে। আপেলে আছে পেকটিন নামক একটি ফাইবার, যা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে কিডনিকে সুরক্ষা দেয়। লাল বিটে রয়েছে বিটেইন, যা রক্তে জমে থাকা টক্সিন ভেঙে দেয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়।

আমলকি বা ভারতীয় গোসবারি কিডনির জন্য এক অসাধারণ টনিক। এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্ত পরিশুদ্ধ করে এবং কিডনির টিস্যুগুলোকে মেরামত করে। প্রতিদিন সকালে এক চামচ আমলকির রস খেলে কিডনি দীর্ঘদিন শক্তিশালী থাকে।

এছাড়া “বেল পাতা” ও “তুলসি পাতা” কিডনির প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকর। তুলসির রস ইউরিক অ্যাসিড কমায়, যা কিডনি স্টোনের অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতিদিন সকালে ৫-৬টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে বা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করলে শরীরের টক্সিন কমে যায়।

অনেক সময় কিডনি ক্ষয়ের মূল কারণ হয় শরীরের পানিশূন্যতা। যারা দিনে কম পানি পান করেন, তাদের রক্ত ঘন হয়ে যায়, ফলে কিডনিকে সেই রক্ত ফিল্টার করতে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। তাই দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এক গ্লাস উষ্ণ পানি পান করলে কিডনির ফিল্টার সিস্টেম সক্রিয় হয়।

“নারকেল পানি” কিডনির জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ। এতে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট, যা শরীরের অ্যাসিড-বেজ ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি কিডনির ভেতরের পাথর ভাঙতে সাহায্য করে এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়।

অন্যদিকে “ডালিম” কিডনির কোষে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ডালিমের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো কিডনির কোষে রক্তপ্রবাহ উন্নত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, কিডনি রোগীদের মধ্যে যারা নিয়মিত আদা, রসুন ও হলুদ খেতেন, তাদের কিডনি ফাংশন দ্রুত উন্নত হয়েছে। কারণ এই তিনটি উপাদানই শরীরের প্রদাহ কমায়, রক্তে টক্সিন জমতে দেয় না, এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।

বিশেষ করে “হলুদ”-এর কারকিউমিন যৌগ কিডনির ভেতরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে পুনর্জীবিত করে। প্রতিদিন এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে কিডনি ও লিভার উভয়ই পরিষ্কার থাকে।

এছাড়া “লাউয়ের রস” কিডনির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়, এবং শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

যাঁরা কিডনি দুর্বলতায় ভুগছেন, তাদের খাবারে প্রোটিন ও লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। অতিরিক্ত প্রোটিন (বিশেষ করে লাল মাংস) কিডনির ওপর চাপ ফেলে, কারণ প্রোটিন ভাঙার পর তৈরি হওয়া ইউরিয়া কিডনির মাধ্যমে বের হতে হয়। তাই সপ্তাহে ১-২ দিন নিরামিষ খাবার খেলে কিডনি বিশ্রাম পায়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন, কিডনি দুর্বল হলে শরীরে ফসফরাস জমে যায়, যা হাড় ক্ষয় করে ও রক্তচাপ বাড়ায়। তাই সফট ড্রিংকস, ফাস্ট ফুড, এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারে বন্ধ করা উচিত।

অন্যদিকে, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও ঘুম কিডনি পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাতে অন্তত ৭ ঘণ্টা গভীর ঘুম না হলে কিডনির ফিল্টারিং প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।

সৃষ্টিকর্তা মানুষের শরীরকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন, যাতে প্রকৃত খাবার ও প্রাকৃতিক জীবনধারা মেনে চললে এমনকি দুর্বল কিডনিও নিজে নিজে সেরে উঠতে পারে।

তাই এখনই শুরু করুন কিডনির যত্ন। সকালে খালি পেটে ধনেপাতা পানি, দুপুরে তরমুজ বা ডালিম, রাতে কুসুম গরম দুধে হলুদ— এই তিনটি অভ্যাসই আপনার কিডনিকে নতুন জীবন দিতে পারে।

মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শরীর হালকা লাগবে, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে যাবে, ফোলা ভাব দূর হবে। কিডনি আবার তার পুরনো শক্তি ফিরে পেতে শুরু করবে।

এটাই প্রমাণ করে, সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি শরীর নিজেই সবচেয়ে বড় ওষুধ— যদি আমরা তাকে সঠিক পুষ্টি, বিশ্রাম ও যত্ন দিই।
@কপি

 #স্বাস্থ্য_সচেতনতা মূলক পোস্ট হাঁটা বন্ধ করবেন না যেন ------------------------মস্তিষ্ক নয়, ডিমেনশিয়া শুরু হয় আপনার পা থ...
28/10/2025

#স্বাস্থ্য_সচেতনতা মূলক পোস্ট
হাঁটা বন্ধ করবেন না যেন
------------------------
মস্তিষ্ক নয়, ডিমেনশিয়া শুরু হয় আপনার পা থেকে!
বিশ্বজুড়ে বয়স্ক মানুষের অক্ষমতা ও নির্ভরশীলতার প্রধান কারণ হিসেবে ডিমেনশিয়া এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতা। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন, এবং প্রতিবছর নতুন করে আরও প্রায় ১ কোটি মানুষ এতে ভোগেন। অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, মস্তিষ্ক সচল রাখাই ডিমেনশিয়া প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি। কিন্তু ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস) প্রশিক্ষিত স্নায়ুশল্য বিশেষজ্ঞ ডা. অরুণ এল. নাইক জানালেন চমকপ্রদ তথ্য—ডিমেনশিয়ার সূত্রপাত নাকি মস্তিষ্কে নয়, পা থেকেই!

ডিমেনশিয়া কী?

ডিমেনশিয়া কোনো একক রোগ নয়; এটি স্মৃতি, চিন্তাশক্তি ও দৈনন্দিন কাজের সক্ষমতাকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করে এমন একাধিক স্নায়ুরোগের সামষ্টিক নাম। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং জীবনের মান নষ্ট করে দেয়। তবে সময়মতো নির্ণয়, যত্নশীল পরিচর্যা, জীবনযাপনে পরিবর্তন ও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর অবস্থা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ডিমেনশিয়া শুরু হয় পা থেকে

ডা. নাইক এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আপনি কি জানেন, ডিমেনশিয়া আসলে শুরু হয় আপনার পা থেকে? শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা পায়ের পেশিকে দুর্বল করে, যার ফলে স্যারকোপেনিয়া বা পেশি ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে। এখানেই শুরু হয় বিপদ। গবেষণায় দেখা গেছে, দুর্বল পায়ের কারণে জ্ঞানগত ক্ষমতা দ্রুত হ্রাস পায় এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন, শরীরের সক্রিয় পেশি এমন রাসায়নিক উৎপাদন করে যা মস্তিষ্ককে সচল রাখে। এই
রাসায়নিকগুলোর নাম ব্রেইন-ডিরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF), যা মস্তিষ্কের স্মৃতিনির্ভর অংশ হিপোক্যাম্পাসে সংযোগ বৃদ্ধি করে। শক্তিশালী পা শুধু ভারসাম্য বজায় রাখে না, বয়স বাড়লেও পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমায়। “৬৫ বছরের পর পড়ে যাওয়াই সবচেয়ে বিপজ্জনক,” বলেন ডা. নাইক।

তিনি ২০২০ সালের Neurology সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণার উদাহরণ দেন, যেখানে দেখা গেছে, যাদের হাঁটার গতি কম, তাদের মস্তিষ্কের আকারও ছোট এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা হ্রাসের ঝুঁকি বেশি। “হাঁটা শুধু শরীরচর্চা নয়, এটি পুরো মস্তিষ্কের এক অনুশীলন,” যোগ করেন তিনি।

কীভাবে হাঁটা মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখে

হাঁটা এমন এক সহজ ব্যায়াম যা শরীর ও মস্তিষ্ক দুটিকেই সক্রিয় রাখে। ডা. নাইক বলেন, “প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত থাকে মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব, সেরিবেলাম, স্পাইনাল কর্ড ও স্নায়ু প্রতিক্রিয়ার সমন্বয়।” হাঁটা রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ সরবরাহ করে এবং টক্সিন দূর করে।

তিনি আরও বলেন, “হাঁটার ধরনে বা ভারসাম্যে পরিবর্তন দেখা গেলে সেটি মস্তিষ্কের আগাম সতর্ক সংকেত। এটি প্রায়ই স্মৃতি সমস্যার বছরখানেক আগেই দেখা দেয়।”

হাঁটা নিউরোপ্লাস্টিসিটির এক জীবন্ত উদাহরণও বটে। “হাঁটার সময় শরীরে BDNF সক্রিয় হয়, যা নিউরনগুলোর সংযোগ শক্তিশালী করে,” বলেন ডা. নাইক।

কীভাবে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করবেন
ডা. নাইক কয়েকটি সহজ অভ্যাসের পরামর্শ দিয়েছেন, যা নিয়মিত চর্চা করলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় থাকে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন।

ভারসাম্য রক্ষার ব্যায়াম যেমন এক পায়ে দাঁড়ানো বা সরলরেখায় হাঁটার অভ্যাস করুন।

হাঁটার সময় কথা বলা বা হালকা মানসিক কাজ করুন—এটি মস্তিষ্কের সমন্বয় ক্ষমতা বাড়ায়।

নিয়মিত পায়ের পেশির ব্যায়াম করুন, এটি মস্তিষ্কের জন্য একপ্রকার ‘বিমা’।

দীর্ঘ সময় বসে থাকা পরিহার করুন; প্রতি ঘণ্টায় কিছুটা নড়াচড়া করুন।

তিনি বলেন, “যখন আপনার পা ধীরে ধীরে কাজ হারায়, তখন মস্তিষ্কও তার পথ অনুসরণ করে। আপনার হাঁটার গতি বজায় রাখুন, তাহলেই সুরক্ষিত থাকবে মস্তিষ্ক।”

ডা. নাইক আরও পরামর্শ দেন, পেশির গঠন রক্ষায় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। তার মতে, কখনোই দেরি হয়ে যায় না। “গবেষণায় দেখা গেছে, ষাট বছর বয়সেও হাঁটা ও ব্যায়াম শুরু করলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। মনে রাখবেন, শক্ত পা মানেই তীক্ষ্ণ মস্তিষ্ক। স্যারকোপেনিয়া মাথা পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই সচেতন হোন—চল্লিশের কোঠা থেকেই শুরু করুন।”

সর্বোপরি, সক্রিয় থাকা শুধু চলাফেরার বিষয় নয়; এটি মস্তিষ্ককে তরুণ রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য—এই তিন অভ্যাসই হতে পারে বার্ধক্যের ডিমেনশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ।
World Vision (বিশ্ব দর্শন)ঢ়

 #সচেতনাতামূলোক_পোষ্টকামরাঙ্গার বিষাক্ততা সম্পর্কে এতদিন শুধু শোনেছি। নেফ্রলজি ডিপার্টমেন্টে আসার পর নিজ চোখে এর ভয়াবহতা...
25/10/2025

#সচেতনাতামূলোক_পোষ্ট

কামরাঙ্গার বিষাক্ততা সম্পর্কে এতদিন শুধু শোনেছি। নেফ্রলজি ডিপার্টমেন্টে আসার পর নিজ চোখে এর ভয়াবহতা দেখলাম।
কামরাঙ্গাতে caramboxin নামক এক ধরণের বিষ থাকে।

সাধারণত সুস্থ কিডনি তা দেহ থেকে বের করে দিতে পারে, কিন্তু chronic kidney disease এর রোগীর ক্ষেত্রে তা শরীরে জমা হয়ে রক্তের সাথে মস্তিষ্কে চলে যায়। এই বিষ মস্তিষ্কে যাওয়ার পর যা হতে পারে : ১) হেঁচকি ২) অবশতা ও দুর্বলতা ৩) বমি বমি ভাব ৪) মানসিক অস্থিরতা ৫) মেন্টাল কনফিউশন ৬) খিঁচুনি এবং সবশেষে ৭) মৃত্যু।

গতকাল যে রোগী আসলো এই সমস্যাগুলোর বেশিরভাগই তার মধ্যে ছিল। এখন শুধু ৭ নং টা বাকি, ICU তে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। নেফ্রলজির রেজিস্ট্রার Dr. Sadik Sadi ভাই কামরাঙ্গার কথা জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই রোগীর আত্মীয় উত্তর দিলেন, হ্যা উনি কিছুদিন আগেই কামরাঙ্গা খেয়েছেন।

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, 'আমার তো কিডনির সমস্যা নাই, তাহলে আমি কি কামরাঙ্গা খেতে পারব?' উত্তর হল : প্রথমত, আপনি হয়তো জানেন না আপনার কিডনিতে কোন সমস্যা আছে কি না; দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধই উত্তম পন্থা। জেনেশুনে কেন বিষ খাবেন?

পোস্টটা পড়ে থাকলে নিজে সাবধান হোন
আপনজনকেও এই বিষ থেকে রক্ষা করেন।

(collected)

09/10/2025

*লিপিড প্রোফাইল কী?*

একজন বিখ্যাত ডাক্তার খুব সুন্দরভাবে লিপিড প্রোফাইল ব্যাখ্যা করেছেন এবং একটি অনন্য উপায়ে এটি ব্যাখ্যা করে একটি সুন্দর গল্প শেয়ার করেছেন।

কল্পনা করুন যে আমাদের শরীর একটি ছোট শহর।

এই শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা সৃষ্টিকারী হল - *কোলেস্টেরল*

তার কিছু সঙ্গীও আছে।

অপরাধে তার প্রধান অংশীদার হল - *ট্রাইগ্লিসারাইড*

তাদের কাজ হল রাস্তায় ঘোরাঘুরি করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং রাস্তা অবরোধ করা।

*হৃদয়* এই শহরের কেন্দ্রস্থল।

সব রাস্তা হৃদয়ের দিকে নিয়ে যায়।

যখন এই সমস্যা সৃষ্টিকারীরা বাড়তে শুরু করে, তখন আপনি কল্পনা করতে পারেন কী ঘটে।

তারা হৃদয়ের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে।

কিন্তু আমাদের দেহ-শহরেও একটি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে - *এইচডিএল* (উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন - ভালো পুলিশ)

ভালো পুলিশ এই সমস্যা সৃষ্টিকারীদের ধরে জেলে রাখে *(লিভার)*।

তারপর লিভার তাদের শরীর থেকে বের করে দেয় - আমাদের ড্রেনেজ সিস্টেমের মাধ্যমে।

কিন্তু
একজন খারাপ পুলিশও আছে - *LDL* যে ক্ষমতার জন্য লোভী।

LDL এই দুষ্কৃতীদের জেল থেকে বের করে রাস্তায় ফিরিয়ে আনে।

যখন ভালো পুলিশ *HDL* পড়ে যায়, তখন পুরো শহরটা স্তব্ধ হয়ে যায়।

এমন শহরে কে থাকতে চাইবে?

তুমি কি এই দুষ্কৃতীদের কমাতে এবং ভালো পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে চাও?

*হাঁটা* শুরু করো!

প্রতিটি পদক্ষেপের সাথে *HDL* বাড়বে, এবং *কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড* এবং *LDL* এর মতো দুষ্কৃতীরা কমবে।

তোমার শরীর (শহর) আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

তোমার হৃদয় - শহরের কেন্দ্র - দুষ্কৃতীদের *(হার্ট ব্লক)* থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

আর যখন হৃদয় সুস্থ থাকবে, তখন তুমিও সুস্থ থাকবে।

তাই যখনই সুযোগ পাবে - হাঁটা শুরু করো!

*সুস্থ থাকুন...*
এবং *আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি*
*এই প্রবন্ধটি আপনাকে HDL (ভালো কোলেস্টেরল) বৃদ্ধি এবং LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায় সম্পর্কে বলবে
অর্থাৎ হাঁটা।*

প্রতিটি পদক্ষেপ HDL বৃদ্ধি করে। তাই – *আসুন, এগিয়ে যান এবং চলতে থাকুন।*

এই জিনিসগুলি কমিয়ে দিন:-

১. লবণ
২. চিনি
৩. ব্লিচ করা রিফাইন্ড ময়দা
৪. দুগ্ধজাত দ্রব্য
৫. প্রক্রিয়াজাত খাবার

*প্রতিদিন এই জিনিসগুলি খান:-*

১. শাকসবজি
২. ডাল
৩. মটরশুটি
৪. বাদাম
৫. ঠান্ডা চাপযুক্ত তেল
৬. ফল

*তিনটি জিনিস ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন:*

১. আপনার বয়স
২. আপনার অতীত
৩. আপনার অভিযোগ

*চারটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস গ্রহণ করুন:*

১. আপনার পরিবার
২. আপনার বন্ধুবান্ধব
৩. ইতিবাচক চিন্তাভাবনা
৪. পরিষ্কার এবং স্বাগতপূর্ণ বাড়ি

*তিনটি মৌলিক জিনিস গ্রহণ করুন:*

১. সর্বদা হাসুন
২. আপনার নিজস্ব গতিতে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করুন
৩. আপনার ওজন পরীক্ষা করুন এবং নিয়ন্ত্রণ করুন

*ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ জীবনযাত্রার অভ্যাস আপনার গ্রহণ করা উচিত:*

১. জল পান করার জন্য তৃষ্ণার্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।

২. বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।

৩. চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য অসুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করো না।

৪. অলৌকিক ঘটনার জন্য অপেক্ষা করো না, ঈশ্বরের উপর আস্থা রাখো।

৫. নিজের উপর কখনো বিশ্বাস হারাবে না।

৬. ইতিবাচক থাকুন এবং সর্বদা একটি ভালো আগামীর আশা করুন।

পুরুষদেরও হতে পারে
30/08/2022

পুরুষদেরও হতে পারে

ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ। আজকাল প্রচলিত একটি ক্যান্সার হচ্ছে স্তন ক্যান্সার। বিশ্বে প্রতি ৬টি মৃত্যুর মধ্য...

25/07/2022

কোন রোগের জন্য কি টেষ্ট করা হয়ঃ
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
🔴CBC যে যে রোগে করা হয়ঃ
"""''''''''""""""""""""""'"''"'""""'''''''''"
⏩জ্বর হলে কি কারণে হচ্ছে তার ধারণা নেয়ার জন্য।অনেক সময় blood culture করতে হয়।
⏩শরীরে রক্তের পরিমাণ কেমন আছে জানার জন্য।
⏩রক্তের ঘাটতি থাকলে সেটা আয়রণ বা ভিটামিনের অভাবে হচ্ছে কিনা জানার জন্য।
⏩শরীরে এলার্জি কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।
⏩রক্তে ইনফেকশন বা প্রদাহ কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।
⏩রক্ত জমাট বাধার উপাদান কি পরিমাণ আছে তা জানা যায়।
⏩ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা তার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
🔵Urine R/E প্রস্রাব টেস্ট যে যে কারনে করা হয়ঃ
""'''''''''''''''''''''''''''""""""""""""""""""
👉ইনফেকশন আছে কিনা,থাকলে সিভিয়ারিটি কতটুকু
👉ডায়াবেটিস আছে কিনা
👉প্রোটিন যায় কিনা
👉রক্ত যায় কিনা
👉কিডনীতে পাথর আছে কিনা
🔴RBS-Random Blood Sugar: ডায়াবেটিস আছে কিনা তার ধারণা করার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।
🔵Serum Creatinine:যেইসব রোগীর কিডনীর সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হয় এ টেস্ট তাদের করা হয়।(প্রেশার ও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বাধ্যতামূলক টেস্ট। ব্যথার ঔষধ দেয়ার আগেও এটেস্ট করা উচিত)
🔴Lipid profile: রক্তে চর্বির পরিমাণ বুঝার জন্য এটা করা হয়।হার্টের ও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর জন্য এটা খুব জরুরি।
🔵Serum Bilirubin: জন্ডিস আছে কিনা দেখা হয়।একদম প্রাথমিক টেস্ট।জন্ডিস হয়ে গেলে আরো টেস্ট করতে হয়।
🔴SGPT/SGOT: লিভারের কন্ডিশন বুঝার জন্য এটা করা হয়।লিভার কতটুকু এনজাইম উৎপন্ন করছে তা দেখা হয়।
🔵Serum Electrolyte: রক্তে খনিজের পরিমাণ জানার জন্য এটা করা হয়।শরীর দূর্বল লাগলে,বেশীবমি, ডায়রিয়া এসব ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা করা হয়।
🔴HBsAG: জন্ডিস এবং লিভার কন্ডিশন বুঝার জন্য এ পরিক্ষা করা হয়।
🔵HBA1c: ডায়বেটিস বা রক্তে গ্লুকোজ নির্ণয়ের জন্য করা হয়।
🔵LFT: লিভারের সমস্যা বুঝতে এ পরিক্ষা করা হয়।
🔴BT CT: রক্তরােগের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
🔵Via Test: সার্ভিক্সের ইনফেকশন বা ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এ পরিক্ষা করা হয়।
🔴TSH: Thyroid stimulating hormone এই পরিক্ষা হরমন নির্ণয়ের জন্য করা হয়।
🔵EcG: হৃদরােগের অবস্থা বুঝার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।
🔴ChestX-ray: বুকের ও হার্টের কন্ডিশন বুঝার জন্য করা হয়।
© Collected

06/06/2021

উপদেশটা প্রায়ই শুনতে হয়- বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান। কিন্তু এই বেশি মানে কত বেশি? কেউ যদি লাগামছাড়া ভিটাম.....

হাড়ের ব্যথা কমাতে
17/05/2021

হাড়ের ব্যথা কমাতে

বাঙালির হাড়ের ব্যথাটা রীতিমতো মজ্জাগত। এর জন্য দায়ী আমাদের গতানুগতিক ডায়েট। কেবল মাছে-ভাতে হলে তো এখন চলে না। চা.....

29/01/2021

রোজ খান দুধ-মিছরি, এক সপ্তাহে মিলবে হাতেনাতে ফলাফল - Health - operanewsapp

19/01/2021

ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আগে শরীরে যে ৬টি সিগনাল দেয় - Health - operanewsapp

12/01/2021

মারাত্মক ক্ষতিকর স্বাদের ধনেপাতা - Health - operanewsapp

Address

Rangpur

Telephone

+8801719464926

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Good For Health posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Good For Health:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram