11/07/2025
সাপের বিষ (Snake venom) মূলত কয়েক ধরনের প্রাণঘাতী বিষাক্ত উপাদান নিয়ে গঠিত, এবং এগুলোর প্রভাব শরীরে ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করে।
সাপের বিষের ৪টি প্রধান ধরন:
সাপের কামড় মানেই মৃত্যু নয় — কিন্তু কোন বিষ কাজ করছে তা জানা জরুরি। নিচে জেনে নিন সাপের বিষের ধরণ ও প্রভাব:
---
1️⃣ নিউরোটক্সিন (Neurotoxin)
🧠 আক্রমণ করে স্নায়ুতন্ত্রে
⚠️ লক্ষণ: চোখের পাতা নামা, শরীর অবশ, শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া
💀 মৃত্যু: শ্বাস বন্ধ হয়ে
🐍 উদাহরণ: কোবরা, ক্রেইট
---
2️⃣ হেমোটক্সিন (Hemotoxin)
🩸 আক্রমণ করে রক্তে
⚠️ লক্ষণ: রক্তপাত, কালো রঙের প্রস্রাব, কিডনি বিকল
💀 মৃত্যু: অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে
🐍 উদাহরণ: রাসেল ভাইপার, স-স্কেল ভাইপার
---
3️⃣ সাইটোটক্সিন (Cytotoxin)
🧫 আক্রমণ করে কোষ ও টিস্যু
⚠️ লক্ষণ: কামড়ের জায়গা পচে যাওয়া, গলা মাংস
💀 মৃত্যু: ইনফেকশন বা সেপসিসে
🐍 উদাহরণ: মোচাকার কোবরা (Spitting Cobra)
---
4️⃣ কার্ডিওটক্সিন (Cardiotoxin)
❤️ আক্রমণ করে হৃদপিণ্ডে
⚠️ লক্ষণ: বুক ধড়ফড়, হৃৎস্পন্দন কমে যাওয়া
💀 মৃত্যু: হার্ট অ্যাটাকে
🐍 উদাহরণ: কিছু কোবরা প্রজাতি
---
🧪 অনেক সাপের বিষে একাধিক ধরনের টক্সিন থাকে — যেমন:
পদ্মগোখরা = নিউরোটক্সিন + সাইটোটক্সিন
রাসেল ভাইপার = হেমোটক্সিন + নিউরোটক্সিক উপাদান
---
✅ মনে রাখুন:
এন্টিভেনম না দিলে কোনো বিষই থামে না।
সাপে কাটলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে — ওঝা নয়, হাসপাতালই জীবন বাঁচাতে পারে।