আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট

আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট তাবিজ-তুমার, শিরক কুফর মুক্ত কুরআন সুন্নাহভিত্তিক একটি রুকইয়াহ চিকিৎসা কেন্দ্র -

Raqi Mufti Abdul Malek
01974-151654 (WhatsApp)

26/11/2025

লাইভ সেশন চলছে

রোগীকে মসজিদের ইমাম সাব দিছে। এটা সাথে রাখলে কিভাবে সে সুস্থ হতে পারে?কিভাবে তার আমলগুলো কবুল হতে পারে? কিভাবে তার দেয়াগ...
20/11/2025

রোগীকে মসজিদের ইমাম সাব দিছে। এটা সাথে রাখলে কিভাবে সে সুস্থ হতে পারে?
কিভাবে তার আমলগুলো কবুল হতে পারে?
কিভাবে তার দেয়াগুলো আল্লাহর দরবারে কবুল হতে পারে?

মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্তও যদি কবিরাজ, তান্ত্রিক, জ্বিন হুজুর এদের মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়া হয় তারপরও সুস্থতার মুখ দেখা সম্ভব নয়।

আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।

Raqi M***i Abdul Malek
01974-151654

কোনো বাড়িতে যদি জ্বিনের উৎপাত থাকে, তাহলে তাড়াবেন কিভাবে?এর বেশ কয়েকটি বৈধ পদ্ধতি আছে, সবগুলোই কমবেশি ফলপ্রসূ।প্রথম পদ্ধ...
16/11/2025

কোনো বাড়িতে যদি জ্বিনের উৎপাত থাকে, তাহলে তাড়াবেন কিভাবে?

এর বেশ কয়েকটি বৈধ পদ্ধতি আছে, সবগুলোই কমবেশি ফলপ্রসূ।

প্রথম পদ্ধতি: আপনি আরো দুজন লোক সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে যাবেন, তারপর জোরে জোরে কয়েকবার বলবেনঃ

أُنَاشِدُكُمْ بِالْعَهْدِ الَّذِيْ أَخَذَهُ عَلَيْكُمْ سُلَيْمَانَ أَنْ تَرْحَلُوْا وَتَخْرُجُوْا مِنْ بَيْتِنَا أُنَاشِدُكُمُ اللّٰهُ أَنْ تَخْرُجُوْا وَلَا تُؤْذُوْا أحَدًا

অর্থাৎ: “আমি তোমাদের সেই ওয়াদার জন্য আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যে ওয়াদা সুলাইমান আ. তোমাদের থেকে নিয়েছেন। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, তোমরা বের হয়ে যাও এবং কারো ক্ষতি করো না।”

পরপর তিনদিন এরকম করবেন, আরবিও বলবেন, বাংলাও বলবেন। ইনশাআল্লাহ! জ্বিনেরা বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। এরপরেও যদি কোনো সমস্যা টের পান, তাহলে দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

দ্বিতীয় পদ্ধতি: একটা বড় পাত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি নিন, এরপর পানির কাছে মুখ নিয়ে নিচের দু’আটি পড়ুন-

بِسْمِ اللّٰهِ ، اَمْسِيْنَا بِا للّٰهِ الَّذِيْ لَيْسَ مِنْهُ شَيْءٌ مُمْتَنِعٌ ، وَبِعِزَّةِ اللّٰهِ الَّتِيْ لَا تُرَامُ وَلَا تُضَامُ، وَبِسُلْطَانِ اللّٰهِ الْمُنِيْعِ نَحْتَجِبُ، وَبِأَسْمَائِهِ الْحُسْنٰى كُلِّهَا عَائِذٌ مِّنَ الْأَبَالِسَةِ ، وَمِنْ شَرِّ شَيَاطِيِنِ الْإِنْسِ وَالْجِنِّ ، وَمِنْ شَرِّ كُلَّ مُعْلِنٌ اَوْ مُسِرٌّ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ بِاللَّيْلِ وَيَكْمُنُ بِالنَّهَارِ ، ويَكْمُنُ بِاللَّيْلِ و يَخْرُجُ بِالنَّهَارِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ اِبْلِيْسِ وَجُنُوْدِهِ ، وَمِنْ شَرِّ دَابَّةٍ اَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّيْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ ، اَعُوْ بِمَا اسْتَعَاذَ بِهٖ مُوْسٰى ، وَعِيْسٰى ، وَاِبْرَاهِيْمَ الَّذِيْ وَفّٰى ، وَمِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ اِبْلِيْسِ وَجُنُوْدِهِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَبْغٰي

এরপর আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহ (২৩ পারায়) সুরা সফফাত এর প্রথম ১০ আয়াত পড়ুন,

اعوذ بالله من الشيطن الرجيم – بسم الله الرحمن الرحيم
وَالصَّافَّاتِ صَفًّا (1) فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا (2) فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا (3) إِنَّ إِلَهَكُمْ لَوَاحِدٌ (4) رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ (5) إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ (6) وَحِفْظًا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ مَارِدٍ (7) لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ (8) دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ (9) إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ (10)

সব পড়ে পানিতে ফুঁ দিবেন। এবং ওই পানি পুরো বাড়ীতে ছিটিয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ আর কোনো সমস্যা থাকবে না। বাড়িতে দুষ্ট জ্বিন থাকলে চলে যাবে।

(উপরিউক্ত পদ্ধতি ইবনুল কায়্যিম রহ. উনার ﺍﻟﻮﺍﺑﻞ ﺍﻟﺼﻴﺐ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻠﻢ ﺍﻟﻄﻴﺐ ‏ কিতাবে বর্ণনা করেছেন, বিন বায রহ. থেকেও এই আলোচনা পাওয়া যায়। আমার মনে হয়, উপরের পদ্ধতি অনুসরণ করে পানি ছিটানোর পর একবার আযান দেয়া উত্তম)

তৃতীয় (সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তি) পদ্ধতি:

এটা গত ২রা মার্চ মুন্সিগঞ্জের মাহফিলে সাইয়্যেদ আসজাদ মাদানী দা.বা. বয়ান করেছেন। কোনো বাড়িতে জ্বিনের উৎপাত থাকলে সেই বাড়িতে পরপর তিনদিন সুরা বাক্বারা তিলাওয়াত করতে হবে। আর নতুন বাড়ি করার পর যদি পরপর তিনদিন সুরা বাক্বারা তিলাওয়াত করা হয়, তাহলে আগে থেকে কোনো জ্বিন বা অন্য ক্ষতিকর মাখলুক থাকলে চলে যাবে। এর সমর্থনে হাদিসও আছে।

তো, এই হচ্ছে বাড়ি থেকে খবিস জ্বিন তাড়ানোর সমাধান। তবে এসব করার পরে আর যেন সমস্যা না হয়, এজন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেনঃ

১. বাড়িতে ইসলামী পরিবেশ চালু রাখার চেষ্টা করা, বিশেষতঃ কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য বা ছবি যেন ঘরে টাঙানো না থাকে। রাসুল সা. বলেছেন যে ঘরে কুকুর বা জীবজন্তুর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।

২. আর নফল – সুন্নাত নামাজ সম্ভব হলে ঘরে পড়বেন। আহলিয়া থাকলে বলবেন, যে ঘরে সবসময় নামাজ পড়া হয়, সেটা বাদে অন্যান্য ঘরেও যেন মাঝেমাঝে পড়ে।

৩. সম্ভব হলে প্রতিমাসে ১-২বার সুরা বাক্বারা পড়া।

৪. বিসমিল্লাহ বলে বাড়িতে প্রবেশ করা, বিসমিল্লাহ বলে দরজা – জানালা বন্ধ করা।

৫. টয়লেটের দরজা বন্ধ রাখা।

আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন, আ-মীন।

[খ]

কোনো জ্বিনে ধরা রুগীর চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো ব্যাপার থাকে, যেসব চিকিৎসককে খেয়াল রাখতে হয়। প্রথমত: উপস্থিত বুদ্ধি এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাহোক, এখন আমরা জানবো যিনি চিকিৎসা করবেন তার কি কি গুন থাকা উচিত-

১. আকিদা বিশুদ্ধ হওয়া, শিরক-বিদআতমুক্ত পরিচ্ছন্ন ইসলামী আক্বিদার অনুসারী হওয়া।

২. মৌলিক ইবাদাতগুলো তথা নামাজ-কালাম, মাহরাম-গাইরে মাহরাম এসব বিষয়ে যত্নবান হওয়া। হালাল-হারামের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া, হারাম থেকে বেঁচে থাকা।

৩. অধিক পরিমাণে জিকির-আজকার, রোজা, তাহাজ্জুদ ইত্যাদির মাধ্যমে আত্মিকভাবে দৃঢ় হওয়া।

৪. আল্লাহর কালাম যে জ্বিন-শয়তানের ওপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম, এব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস (ইয়াক্বীন) রাখা।

৫. জ্বিন জাতির অবস্থা তথা: প্রকারভেদ, জাতপাত, কাজকর্ম, সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, কিভাবে মানুষের ওপর আসর করে, কিভাবে কিভাবে বের হয়… ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকা।

৬. জ্বিনদের মাঝে মিথ্যা বলার প্রবণতা খুবই বেশি! এজন্য জ্বিনদের স্বভাব, ধোঁকাবাজি, কূটকৌশলের ব্যাপারে সতর্ক থাকা। (যেমন: দ্বিতীয় পর্বে বলা ইবনে তাইমিয়া রহ. এর ঘটনায়… জ্বিন বলেছিল আপনার কথা মেনে চলে যাচ্ছি। ইবনে তাইমিয়া রহ. বললেন, না! তুমি আল্লাহ এবং রাসুল স. এর আনুগত্য করে চলে যাও। এখানে উনি এই কথা না বললে সম্ভাবনা ছিল, হয়তো উনার মৃত্যুর পর আবার জ্বিন ফিরে আসতো। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের ঘটনায় যেমনটা আমরা দেখেছি!)

৭. রাসুল সা. এর শিখিয়ে দেয়া দু’আগুলো যেমন: ঘরে – মসজিদে ঢোকার দোয়া, বের হওয়ার দোয়া, কুকুর ডাকতে শুনলে দোয়া (আ’উযুবিল্লাহ পড়তে হয়) কাক ডাকতে শুনলে দোয়া, টয়লেটে ঢোকার-বের হবার দোয়া, এসবের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া। এজন্য বিশুদ্ধ এবং নির্ভরযোগ্য কোনো গ্রন্থের সহায়তা নেয়া যেতে পারে।

৮. নিজের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকা। কারণ, আপনি নিজেই দুর্বল হলে অন্যের ওপর ভর করা শয়তানকে শায়েস্তা করবেন কিভাবে? এজন্য খারাপ জ্বিন-শয়তান থেকে বাঁচার জন্য যা যা করনীয় আছে, সেসব গুরুত্ব সহকারে করা। (এক শায়খের ঘটনা আগেও বলা হয়েছে। জ্বিন ছাড়ানোর সময় উনার ওপরেই আসর করার চেষ্টা করেছিলো জ্বিন, কিন্তু সকালে দুয়া পড়ার কারণে পারেনি)

৯. আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, জ্বিন ছাড়াতে গিয়ে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী অবৈধ কোনো পন্থার অনুসরণ না করা। সম্পূর্ণ আল্লাহর ওপর তাওয়াককুল (ভরসা) রাখা। যে, আল্লাহ অবশ্যই এই বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। সমস্যার সমাধান করবেন।

১০. চিকিৎসক ব্যক্তি বিবাহিত পুরুষ হওয়া উচিত। আবশ্যক নয়, তবে হলে ভাল হয়।

আর হ্যাঁ! সমস্যা সমাধানে চিকিৎসককে অবশ্যই আন্তরিক হতে হবে, মনে রাখবেন এটাও একটা রোগ। শারিরীক না হলেও আত্মীক রোগ।

বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল করা আবশ্যক। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন।

Raqi M***i Abdul Malek
01974-151654
আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট

#রুকইয়াহ

12/11/2025

আপনার ঈমান ও নিরাপত্তার জন্য জরুরি সতর্কবার্তা

বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ “রুকইয়াহ”, “জ্বীন ধরা”, “জ্বীন তাড়ানো”, বা “আধ্যাত্মিক চিকিৎসা”র নামে প্রতারণা করছে। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে এমন কাজ করতে বাধ্য করছে, যা ইসলাম ও তাওহীদের বিরুদ্ধে যায়।

যেসব কাজ থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন:

1. জ্বীন বোতলে ভরা বা বন্দি করা:
কিছু লোক দাবি করে যে তারা “জ্বীন বোতলে ভরে রাখে” বা “জ্বীনকে বন্দি করে ফেলে”।
2. বাস্তবে এটি এক ধরনের জাদুকরী প্রতারণা।
3. এতে জ্বীনের সঙ্গে চুক্তি, শিরক ও কুফরি কাজ জড়িয়ে থাকে।
4.এমন কাজ করলে ঈমান হারানোর আশঙ্কা থাকে।
5. জ্বীন জবাই করা বা হত্যা করার কথা বলা:
এটি শরীয়তে নিষিদ্ধ ও ভিত্তিহীন দাবি।
কেউ জ্বীনকে “জবাই” করতে বা “মেরে ফেলতে” পারে না, কারণ তারা অদৃশ্য জগতের সৃষ্টি।

এই ধরনের কথা সাধারণত সেইসব ব্যক্তিরা বলে, যারা নিজেরা জাদুকর, কাহিন, বা জ্বীনের সাহায্যকারী।
6. বাবা-মায়ের নাম ও জন্মতারিখ চাওয়া:
যে ব্যক্তি চিকিৎসা বা দোয়ার আগে আপনার বা আপনার বাবা-মায়ের নাম, জন্মতারিখ, বা পোশাকের কোনো অংশ চায় —
বুঝে নিন, সে রুকইয়াহ শরইয়্যাহ নয়, বরং জাদুর পথে কাজ করছে।
এটি **সাহির (যাদুকর)**দের পদ্ধতি।

কী করবেন:
1.শুধুমাত্র বিশুদ্ধ রুকইয়াহ শরইয়্যাহ-র মাধ্যমে চিকিৎসা করুন।
2. কুরআন ও দোয়া নিজে পড়ুন — যেমন: সূরা আল-বাকারা, আল-ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, আল-ইখলাস, আল-ফালাক, আন-নাস।
3.সব সময় অজু অবস্থায় থাকুন, যিকির করুন, এবং গুনাহ থেকে বিরত থাকুন।
4.কোনো ব্যক্তির কাছে নিজের বা পরিবারের নাম-তারিখ দেবেন না।

আপনার ঈমানই আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ।
সুতরাং, যে কোনো ব্যক্তি জ্বীন বোতলে ভরার কথা বলে, জ্বীন জবাইয়ের দাবি করে, বা আপনার বাবা-মায়ের নাম চায় — তার কাছ থেকে দূরে থাকুন।
এমন মানুষরা আপনাকে এমন বিপদের মধ্যে ফেলতে পারে যা আপনার কল্পনারও বাইরে।

©️

Raqi M***i Abdul Malek
01974-151654
আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট

10/11/2025

আজ সারাদিন আছি
বাঁশখালী, চট্টগ্রাম

09/11/2025

রুকইয়াহ লাইভ সেশন চলছে

প্রশ্ন:কোনো ব্যক্তির অজান্তে কি রুকইয়াহ করা যায়? যখন প্রচুর সমস্যা থাকা সত্ত্বেও রোগী সেটা স্বীকার করতে বা চিকিৎসা নিত...
09/11/2025

প্রশ্ন:
কোনো ব্যক্তির অজান্তে কি রুকইয়াহ করা যায়? যখন প্রচুর সমস্যা থাকা সত্ত্বেও রোগী সেটা স্বীকার করতে বা চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানায়; এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী পরামর্শ দেবেন?

উত্তর:
রুকইয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটা হলো, যখন রোগী কোনো সহযোগিতা করতে চায় না। সত্যি বলতে এটা বেশ বিব্রতকর একটা সিচুয়েশন। যাহোক, আমাদের মনে রাখা উচিত, বেশিরভাগ দেশে সাধারণতঃ রুকইয়াকে মেইনস্ট্রিম চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নাই। মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী যেমন কাউকে জোর করে চিকিৎসার আওতায় আনা যায়, সেকুলার রাষ্ট্রে রুকইয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনো আইনি সাপোর্ট নেই।

অনেক দেশে কারও অনুমতি ছাড়া রুকইয়াহ করা বা জোরপূর্বক চিকিৎসা করানোর জন্য আইনি ঝামেলা হতে পারে। এমনটি করলে রোগী এবং রুকইয়াকারি ব্যক্তি উভয়ের জন্যই বিপদের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। এমনকি সেটা ওই দেশে রুকইয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বা কঠোর রেস্ট্রিকশন (বিধিনিষেধ) আরোপের কারণও হতে পারে। তাই, রোগীর অনুমতি ছাড়া বা তার অজান্তে রুকইয়া করার কোনো প্রচেষ্টা থেকে আমরা কঠোরভাবে বিরত থাকার পরামর্শ দিই।

এধরণের রোগীদের ক্ষেত্রে আমাদের করণীয়:
১. আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন:
আপনার সাহায্য কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। তাঁর কাছে দোয়া করুন এবং গভীর রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে সাহায্য প্রার্থনা করুন। মনে রাখুন, যদি আল্লাহ তাআলা রোগীর অন্তরকে ইসলাম এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার প্রতি ফিরিয়ে দেন, তাহলে জাদু বা কোনো বাধা সেটি ঠেকাতে পারবে না।

২. রোগীদের উৎসাহ দিন, প্রয়োজনে অন্যের সহায়তা নিন:
রোগী যদি আপনার কথা শুনতে না চায়, তাহলে এমন কারো সাহায্য নিন, যাকে তারা বিশ্বাস করে বা যার কথা শুনতে পারে। কাউকে বোঝানোর পদ্ধতি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হয়।

কিছু মানুষ চ্যালেঞ্জ করলে ভালোভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, যেমন আপনি বলতে পারেন, “তোমার যদি সত্যিই কিছু না হয়ে থাকে, তবে কুরআন তেলাওয়াত শুনতে সমস্যা কোথায়?” তখন হয়তো কিছুটা রুকইয়াহ করতে পারবেন। তবে কেউ কেউ এমন কথায় বিরক্তও হতে পারে, তাদের জন্য নরম এবং উৎসাহমূলক পদ্ধতি কার্যকর।

৩. শুধু রুকইয়ার দিকে ফোকাস না রেখে সার্বিক দ্বীনদারির উন্নতি প্রতি মনোযোগ দিন:
রোগী যদি ঠিকমত দ্বীন না মানে, তবে রুকইয়া থেকে পুরাপুরি ফায়দা নাও হতে পারে। তখন এমনিতেই শয়তানের প্রভাব তার ওপর বেশি থাকে। তাই প্রথমে রোগীর হৃদয়কে আল্লাহর প্রতি ঝুঁকাতে চেষ্টা করুন। যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অভ্যাস না থাকে, তবে সেদিকে মনোযোগ দিন। কিছুদিন গেলে এরপর অন্যান্য ইবাদত, যেমন পর্দা, মাসনুন যিকর, কুরআন তেলাওয়াত, ইত্যাদি শেখানোর মাধ্যমে আল্লাহর ওপর ভরসা বৃদ্ধির চেষ্টা করুন। এভাবে তারা স্বাভাবিকভাবেই আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে আগ্রহী হবে ইনশাআল্লাহ।

৪. আকিদার সমস্যা দূর করুন:
রোগীর আকিদা বা বিশ্বাসে কোনো ত্রুটি থাকলে, যেমন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়া বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক ভুল ধারণা, এসব আগে ঠিক করুন। প্রচলিত কবিরাজি ঝাড়ফুঁক এবং রুকইয়ার মাঝে পার্থক্য জানা না থাকলে এব্যাপারে স্পষ্ট করুন। রুকইয়া শুরুর আগে এই সমস্যাগুলো ঠিক করা জরুরি। প্রয়োজনে এক্ষেত্রে সিনিয়র কারও সহায়তা নিন।

৫. পরিবারের অন্যরা রোগীর জন্য রুকইয়াহ করতে পারে, তবে…
উপরের বিষয়গুলো খেয়াল রাখার পাশাপাশি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যদিও এইভাবে উপকার তুলনামূলক ধীরে হয়, তবুও একেবারে না করার চেয়ে এসব করা উত্তম হতে পারে।

এক. রোগীর অজান্তে তাকে রুকইয়ার পানি খাওয়ানো বা গোসল করানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। পরিবারের সবাই যে জগ বা পাত্র থেকে পানি পান করে সেখানে রুকইয়ার দোয়া পড়ে রাখা যায়, কিংবা রুকইয়ার পানি মিশিয়ে রাখা যায়। একইভাবে রোগীকে না জানিয়ে গোসল, কাপড়ধোয়া ইত্যাদির পানিতে কিংবা ওষুধপত্রের মাঝেও রুকইয়ার আয়াত বা দোয়া পড়ে ব্যবহার করানো যায়। আল্লাহ চাইলে এভাবেও অবস্থার উন্নতি হতে পারে।

দুই. যদি অন্য কোনো উপায় না থাকে, তবে পরিবারের কেউ রোগীর নিয়তে রুকইয়াহ করতে পারে। এটি অনেকটা নিজের জন্য সেলফ রুকইয়া করার মতোই। এখানে নিয়মকানুন একই থাকবে, তবে নিয়ত হবে রোগীর সুস্থতার জন্য। মনে রাখা উচিত, এভাবে রুকইয়া করতে গেলে বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। তাই একান্তই অপারগতা ছাড়া এমন করে নিরুৎসাহিত করা হয়।

শেষ কথা:
উপরের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার পর যদি রোগীর অবস্থার উন্নতি দেখা যায়, তাহলে তাকে কোনো জোরজবরদস্তি ছাড়া ধীরেসুস্থে ভালোভাবে বুঝিয়ে রুকইয়াহ করা বা করানোর জন্য রাজি করানো উচিত।

আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন, তিনিই আমাদের সর্বোত্তম সাহায্যকারী।

09/11/2025

রুকইয়াহ সফর
ঢাকা - বরিশাল - ঝালকাঠি

08/11/2025

চলছে রিজিকে বাঁধার রুকইয়াহ সেশন...

07/11/2025

আগামীকালের রুকইয়াহ
ঢাকা - কুমিল্লা - লক্ষীপুর

04/11/2025

বিচ্ছেদের জাদুর রুকইয়াহ চলছে

বদনজরের লক্ষন -১.চোখে সর্বদায় তন্দ্রাচ্ছন থাকা।২.শরীরের বিভিন্ন স্থানে মাংস লাফানো।(এটা গিটের কারনেও হয়)৩.চোখ গরম হয়ে যা...
03/11/2025

বদনজরের লক্ষন -

১.চোখে সর্বদায় তন্দ্রাচ্ছন থাকা।
২.শরীরের বিভিন্ন স্থানে মাংস লাফানো।(এটা গিটের কারনেও হয়)
৩.চোখ গরম হয়ে যাওয়া।
৪.অতিরিক্ত ভয় কাজ করা।
৫.স্বলাত পড়তে গেলে চোখ সিজদার স্থানে বেশিক্ষন স্থির না রাখা এবং চোখে বেশি ঘুমঘুম ভাব পাওয়া।
৬.কুরআন পড়তে গেলে চোখে ঘুম চলে আসা।
৭.হার্টের স্পন্দন বেশি হওয়া।
৮.হাতের আঙ্গুল ও পায়ের আঙ্গুল মাঝে মাঝে অটোমেটিক নড়াচড়া করা।
৯.রুকইয়াহ এর অডিও শুনা কালীন সময়ে প্রচুর হাই আসা ও সালাতে দাড়ালে বেশি হাই আসা,কুরআন পড়তে গেলে বেশি হাই হওয়া।
১০.কাধ ভারি ভারি লাগা।
১১.কোনো কাজ করতে গেলেই বাধা পাওয়া।
১২.চোখে সবসময় পানি টলমল করা।
১৩.চোখ দিয়ে প্রায়ই কোনো কারন ছাড়া পানি বের হওয়া।
১৪.চোখ হলুদ হয়ে থাকা(শত ট্রিটমেন্ট করলেও সুস্থ না হওয়া)
১৫.কাজ করতে গেলেই প্রচুর অলস লাগা।
১৬.ঘুম থেকে উঠার পর শরীর প্রচুর ভার ভার লাগে এমন অনুভব হওয়া।
১৭.সারাদিনে একটু পর পর ঘুম চলে আসা (অথচ সুস্থ অবস্থা এমনটা ছিল না)।
১৮.শরীর প্রচুর দুর্বল লাগা।
১৯.সকালে ঘুম থেকে উঠতে না পারা।(মনে হয় চোখে প্রচুর ঘুম জমে আছে..ঘুমের তীব্রতায় উঠতে না পারা)
২০.সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে হয় অনেক শক্ত কাজ করে ফেলেছি, মনে হয় যেনো অনেক পরিশ্রম করেছি।
২১.ঘুমিয়েও তৃপ্তি পায় না।

লক্ষনগুলো মিললে ধরে নিবেন শরীরে জিন আছে এবং শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন রোগের পয়েন্টে জিন কন্ট্রোল নিয়ে রেখেছে।

আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট
01974-151654
Raqi M***i Abdul Malek

Address

Rangpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to আশ-শিফা রুকইয়াহ পয়েন্ট:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram