07/12/2013
৭ ডিসেম্বর শেরপুর মুক্ত দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের প্রিয় জন্মভুমি শেরপুর পাক হানাদার বাহিনী হতে মুক্ত হয় । এদিনে বাংলার দামাল ছেলে বীরমুক্তিযুদ্ধারা শেরপুরের সকল যুদ্ধে হানাদার বাহিনীকে বীর বিক্রমে হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে শেরপুর কে মুক্ত করে ।
১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পাক বাহিনী শেরপুরে প্রবেশ করে । আহাম্মদ নগর কামালপুর সহ বিভিন্নস্থানে ঘাটি গড়ে তুলে । এ অঞ্চলে প্রায় ৩০/৪০ টির মত খন্ড যুদ্ধ সংঘঠিত হয় । এসব যুদ্ধে ৫৯ জন বীর সন্তান শাহাদাৎ বরণ করেন । যুদ্ধ সংঘঠিত হওয়ার উল্লেখ যোগ্য স্থানগুলো হলো সূর্যদী, নালিতাবাড়ী, ফরেষ্ট ক্যাম্প, তন্তুর, বারোমারী, নন্নী, ঝিনাইগাতী, নাচনমহুরী, শ্রীবরদী, কর্ণঝোরা, কামালপুর, টিকরকান্দি, নারায়ণখোলা, নকলা।
মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শেরপুর অঞ্চল ছিল ১১ নং সেক্টরের অধীন। এই সেক্টরে কমান্ডার ছিলেন কর্ণেল তাহের । তিনি আহত হলে পরে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন ফ্লাইট লেঃ হামিদুল্লাহ খান । ৪ ডিসেম্বর কমলাপুর পাক বাহিনীর শক্তিশালী ঘাটির পতন হলে তাদের মনোবল ভেঙ্গে যায় । মূলত ৩ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর সহায়তায় প্রচন্ড আক্রমন পাক বাহিনী পুরো নাস্তানাবুদ হয়ে যায় । ফলে অনেকটা বিনা বাধায় ৪ ডিসেম্বর ঝিনাইগাতী এবং ৬ ডিসেম্বর শ্রীবরদী উপজেলা শত্রু মুক্ত হয় । ৭ ডিসেম্বর মিত্রবাহীনির সর্বাধিনায়ক জগৎসিং অরোর শেরপুর শহীদ দারোগা আলী পৌরপার্ক মাঠে এক সভায় শেরপুর কে মুক্ত ঘোষনা করেন । এখানে শেরপুরে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় । মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য এ জেলায় ১ জন বীর বিক্রম ও ২ জন বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন । এরা হলেন শহীদ মু’তাসিম বিললাহ খুররম (বীর বীক্রম) এবং কমানন্ডার জহুরুল হক মুন্সী ( বীর প্রতীক) ও ডাঃ মাহমুদুর রহমান (বীর প্রতীক) । আজকের এই দিনে আমরা Sherpur, Dhaka, Bangladesh গভীর শ্রদ্ধার সাথে শহীদ মুক্তিযুদ্ধা ও বীর মুক্তিযুদ্ধাদের স্মরণ করছি।