Dr. T. Tamanna

Dr. T. Tamanna Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr. T. Tamanna, Obstetrician-gynaecologist, MH Tower, Jogaimore, Sirajganj.

সেদিন ছিল উপজেলা হাসপাতালে আমার ইমার্জেন্সি নাইট ডিউটি।পুরো হাসপাতালে আমি একাই ডাক্তার। রাত তখন প্রায় ১টা।হঠাৎ এক লোক দৌ...
18/10/2025

সেদিন ছিল উপজেলা হাসপাতালে আমার ইমার্জেন্সি নাইট ডিউটি।
পুরো হাসপাতালে আমি একাই ডাক্তার। রাত তখন প্রায় ১টা।
হঠাৎ এক লোক দৌঁড়ে এসে বললো
“স্যার, আমার রোগীর অবস্থা খুব খারাপ!”

দ্রুত ওয়ার্ডে গিয়ে দেখি ৩০ বছরের মতো এক মহিলা রোগী।
ফাইলে লেখা Acute Appendicitis (?) – Conservative Management চলতেছে।
কিন্তু রোগীর পেটের ব্যথা কমার বদলে আরও বেড়ে যাচ্ছে, মুখ একদম নিস্তেজ, ঘামতে শুরু করেছে।
পালস-বিপি দেখে সন্দেহ হলো রোগী Shock এ চলে যাচ্ছে।

মাথায় ঘুরে উঠলো ইন্টার্নি জীবনের সেই শিক্ষা
“Acute appendicitis মনে হলেও, মহিলা রোগীর ক্ষেত্রে Ruptured Ectopic Pregnancy বাদ দিতে ভুলো না!”

তৎক্ষণাৎ menstrual history নিলাম
রোগীর শেষ মাসিক দেড় মাস আগে হয়েছিল।
উপজেলাতে এত রাতে আল্ট্রাসাউন্ড করার সুযোগ নেই, তাই তাড়াতাড়ি Pregnancy Strip Test করতে দিলাম।
মাত্র পাঁচ মিনিট পর নার্স এসে বললো “স্যার, টেস্টটা Positive।”

ডায়াগনোসিস বদলে গেল মুহূর্তেই।
Strongly suggestive of Ruptured Ectopic Pregnancy!

রোগীকে Shock এর চিকিৎসা দিয়ে কাউন্সেলিং করলাম এবং রাতের মধ্যেই মেডিকেল কলেজে রেফার করলাম।
এক সপ্তাহ পর সেই রোগী নিজে এসে ধন্যবাদ জানালেন
সত্যিই সেটা Ruptured Ectopic ছিল, রাতেই তার অপারেশন হয়।
সেই হাসিটা কৃতজ্ঞতার, জীবনের মনে গেঁথে আছে আজও।

প্রজনন বয়সী যেকোনো মহিলার ডান দিকের পেটের ব্যথা মানেই “অ্যাপেন্ডিসাইটিস” ধরে নিলে মারাত্মক ভুল হতে পারে।
কারণ Ectopic Pregnancy অনেক সময় হুবহু একই রকম উপসর্গ দেয়।
তাই যেকোনো reproductive age female রোগী যদি abdominal pain নিয়ে আসে
Pregnancy test অবশ্যই করতে হবে।

দেরি করলে এই রোগ প্রাণঘাতী “rupture” হয়ে Hypovolemic shock এ মৃত্যু ঘটাতে পারে।

সব পেটব্যথা এক নয়।
সঠিক ইতিহাস, সচেতনতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত একজন নারীর জীবন বাঁচাতে পারে।

কেস সামারি: ডা: মুস্তাফিজুর রহমান মিঠু ভাই।

৩০ বছরের এক মা, সদ্য সন্তান জন্ম দিয়েছেন।তিন দিন আগে ক্লিনিকে সিজার হয়েছিল।আজ তাঁর মুখে ভয়, চোখে পানি, হাসপাতালে আসছে পে...
06/10/2025

৩০ বছরের এক মা, সদ্য সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
তিন দিন আগে ক্লিনিকে সিজার হয়েছিল।
আজ তাঁর মুখে ভয়, চোখে পানি, হাসপাতালে আসছে
পেটটা ফুলে আছে, বমি থামছে না, পায়খানা হচ্ছে না।
এক্সরে করে দেখা গেল
Intestinal obstruction.
অর্থাৎ তাঁর অন্ত্রের ভেতর পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
কেন এমন হলো?

এমন ঘটনা শুধু "ভাগ্য খারাপ" না
এর পেছনে কারণ আছে।

সিজারের সময় অন্ত্রের কোন অংশে টান বা আঘাত লাগলে
বা ভিতরে “আঠালো দাগ” (adhesion) তৈরি হলে
কয়েকদিনের মধ্যেই অন্ত্রের পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে
অস্ত্রোপচারের পরে
অনেক মা সিজারের পর সাথে সাথে ভারী খাবার খেয়ে ফেলেন,
হাঁটাহাঁটি করেন না, পানি খান কম,
পায়খানা শক্ত হয়ে যায়
আর সেই কোষ্ঠকাঠিন্যই একসময় অন্ত্রের গতি থামিয়ে দেয়।

তাহলে দোষ কার?
শুধু ডাক্তার না, শুধু রোগীও না।
এটা দুই পক্ষেরই দায়িত্বের ঘাটতি।

ডাক্তারের দায়িত্ব:

সঠিক surgical technique ব্যবহার করা

অন্ত্রের যত্নে মনোযোগ দেয়া

রোগীকে postoperative নিয়ম ভালোভাবে বুঝিয়ে বলা

রোগীর দায়িত্ব:

নিয়ম মানা (হালকা খাবার, পানি, হাঁটাহাঁটি)

কোষ্ঠকাঠিন্য না হতে দেয়া

অস্বাভাবিক পেট ফাঁপা বা বমি হলে সাথে সাথে জানানো

কিন্তু বাস্তবতা কী?

আমরা “সিজার”কে এত সাধারণভাবে নিই, যেন এটা ইনজেকশন দেয়ার মতো কাজ।
কিন্তু প্রতিটি সিজারই একেকটা বড় অপারেশন।
এর পরের কয়েকটা দিনই নির্ধারণ করে মা বাঁচবেন কি না।

তাই বলছি
অযথা সিজার করবেন না, আর যদি সিজার হয়,
তাহলে পরের যত্নটুকু নিজের জীবনের মতো গুরুত্ব দিন।

গর্ভাবস্থায় কিছু উপসর্গকে মামুলি ভাবার কোনো সুযোগ নেই। প্রি-এক্লাম্পসিয়া (গর্ভাবস্থার একটি গুরুতর রক্তচাপজনিত সমস্যা) ...
02/10/2025

গর্ভাবস্থায় কিছু উপসর্গকে মামুলি ভাবার কোনো সুযোগ নেই। প্রি-এক্লাম্পসিয়া (গর্ভাবস্থার একটি গুরুতর রক্তচাপজনিত সমস্যা) এবং এর চরম পর্যায় এক্লাম্পসিয়া মা ও শিশু উভয়ের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

⚠️ প্রধান সতর্কীকরণ লক্ষণগুলো:
▪️ তীব্র ও অবিরাম মাথাব্যথা
যা সাধারণ ব্যথানাশক ওষুধে কমে না।

▪️ দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন:
◾ ঝাপসা দেখা বা আলোর ঝলকানি
◾ এক জিনিস দুটি দেখা (ডাবল ভিশন)
◾ হঠাৎ সাময়িকভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো

▪️ হঠাৎ ও অস্বাভাবিক ফোলা:
◾ মুখ, চোখের চারপাশ, হাত ও আঙুল ফোলা
◾ পা ফোলা গর্ভাবস্থায় সাধারণ হতে পারে কিন্তু হঠাৎ তীব্র বা বিশ্রামের পরও না কমলে সতর্ক হোন

▪️ পেটের ওপরের অংশে তীব্র ব্যথা:
সাধারণত পাঁজরের ডান দিকের নিচে। এটি লিভারের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।

▪️ বমি বমি ভাব বা বমি:
◾ গর্ভাবস্থার শুরুতে স্বাভাবিক (Morning Sickness)
◾ দ্বিতীয় বা তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে হঠাৎ তীব্র বমি বা বমি বমি ভাব প্রি-এক্লাম্পসিয়ার লক্ষণ হতে পারে

▪️ শ্বাসকষ্ট:
ফুসফুসে পানি জমার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। এটি খুবই বিপজ্জনক লক্ষণ।
▪️ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া
.T.Tamanna
#চিকিৎসা

প্রাইভেসির কারনে রোগীর ছবি পোস্ট করলাম না । আজ একটা চমৎকার ঘটনার সাক্ষী হলাম !! আমার এক ছোট‌ ভাই - বন্ধুর মা অসুস্থ, হাস...
18/09/2025

প্রাইভেসির কারনে রোগীর ছবি পোস্ট করলাম না । আজ একটা চমৎকার ঘটনার সাক্ষী হলাম !!

আমার এক ছোট‌ ভাই - বন্ধুর মা অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি তাই দেখতে গেছিলাম । দেখলাম একটা অসুস্থ রোগীর পাশে একটা বিড়াল অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । ওনার পাশে এক বৃদ্ধার কাছে জানতে পারলাম ওনার তিন ছেলে দুই মেয়ে কিন্তু অসুস্থ হয়ে চারদিন হাসপাতালে ভর্তি, কেউ কেউ দেখতে এসেছে ক্ষনিকের জন্য কিন্তু এসে কয়েক ঘন্টা পাশে থাকেনি । হয়তো তারা অনেক ব্যাস্ত। বাড়িতে তার একটা পোষা বিড়াল ছিলো " মিনু " । মিনুকে বাড়িতে খেতে দেওয়ার মতো অনেক মানুষ আছে কিন্তু মিনু পুরা দুইদিন কিচ্ছু খাইনি আর কান্না করেছে মানে দিনরাত ডেকেছে । পরে তার একটা নাতি হাসপাতালে দেওয়ার পরে মিনু শান্ত হয় , আর এই দুই দিন এক রাত মিনু তার পাশেই আছে ।

হাসপাতালে মিনু প্রথম দিন আসলেও বাইরে গিয়ে আবার গন্ধ শুঁকে চলে আসে । আর মিনু কে দেখে চান মিয়া বেশ ভালোই মনোবল দেখাচ্ছেন হাসিখুশি আছেন । এজন্যই হয়তো কেউ বলেছিলেন ," বিশ্বাসঘাতক মানুষের থেকে অবলা প্রাণীকে ভালোবাসা উত্তম । বিপদের দিনে পাশে থাকে "
Copy post

16/09/2025

সেদিন চেম্বারে একজন রোগীর মাকে খুব বকাঝকা করলাম।

মেয়েটা ক্লাস নাইনে পড়ে, তাকে দিনে প্রায় ১৬ ঘন্টা তার মা ব্যস্ত রাখেন।

রুটিনটা বলিঃ
সকাল ৬টাঃ ঘুম থেকে ওঠা
৭টাঃ স্কুলের জন্য বাসা থেকে বের হওয়া
১টাঃ স্কুল শেষে বাসায় ফেরা
২টাঃ দুপুরের খাবার
৩টাঃ কোচিং
৬টাঃ কোচিং থেকে বাসায় ফেরা
৬ঃ৩০ প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে বসা
৯ঃ৩০ নিজে পড়া রিভিশন দেয়া
১১টাঃ রাতের খাবার

এটা তার সপ্তাহে ৬ দিনের রুটিন।

মেয়েটা সারাক্ষন ঝিমায়। তার কোন এনার্জি নেই, কোন ফোকাস নেই, জীবন নিয়ে চিন্তা করার কোন সময় নেই। স্মৃতিশক্তি বেশ খারাপ হয়ে গেছে, হাত পা সারাক্ষনই ব্যথা করে। কোন কিছুই একবার বললে ভাল করে বোঝে না।

পিরিয়ড ভীষন অনিয়মিত, কিন্তু ওভারিতে সিস্ট নেই, এনিমিয়াও নেই। ওজন বেড়েছে গত তিন বছরে ২৩ কেজি, কিন্তু ইটিং ডিজর্ডার। কিছু ব্যাপার অবজার্ভ করে বোঝা গেল, ক্রনিক স্ট্রেস, ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি।

আচ্ছা, আপনারা কি ভাবেন শিশুদের?? তারা আপনাদের সো কল্ড আশা আকাঙ্ক্ষা পুরনের মেশিন?? আপনি জীবনে যা করতে পারেন নি, সেই অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা পুরনের হাতিয়ার??

সে একটা জীবন না?? তার একটা শরীর, একটা মন এবং একটা আত্মা কি নেই??

বিশেষভাবে, মেয়েরা তো কিশোর বয়সে এতটা মানসিক চাপ নেয়ার অবস্থায় থাকে না। তাদের এস্ট্রোজেন-প্রজেস্টেরন লেভেল বাড়ে, তারা আনন্দে থাকতে চায়, উচ্ছল থাকতে চায়। সেটাকে জোর করে বিষন্নতায় পরিনত করলে তারা রোগীতে পরিনত হবে আপনার অজান্তে।
প্রতিটি ডিপ্রেশন-ইনফারটিলিটিতে ভোগা মেয়ের কান্নার পেছনে কোন না কোন অসচেতন অভিভাবকের ভুমিকা থাকে।
কথাটা মনে রাখলে ভাল করবেন।
মেটাবলিক ও হরমোনাল ডিজিজের সফল ব্যবস্থাপনা করতে
আপনার প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন্স, ম্যাগনেসিয়াম নিন।
খাবারের অন্তত ৫০ শতাংশ শাকসবজি ও ডাল-বীজ জাতীয় খাবার থেকে নিন, পাশাপাশি গ্রহন করুন যথেষ্ট ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিন, চেষ্টা করুন ইলিশ বা দেশীয় নদীর মাছ খেতে।

Fun postনরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা সুস্থ হলেও বাবার এখনো জ্ঞান ফেরেনি 😒😒
02/09/2025

Fun post

নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা সুস্থ হলেও বাবার এখনো জ্ঞান ফেরেনি 😒😒

এই সূঁই টা শুধু ব্যথার নয়, এর আড়ালে লুকানো থাকে একজন মায়ের প্রচুর সাহস আর ত্যাগ। ❤️Respect C-section Mothers 🫡💙
31/08/2025

এই সূঁই টা শুধু ব্যথার নয়, এর আড়ালে লুকানো থাকে একজন মায়ের প্রচুর সাহস আর ত্যাগ। ❤️
Respect C-section Mothers 🫡💙

"রানী মুখার্জি কী খাটো! এতো উঁচু হিল পরেও নায়কের বুকের সমান! নায়িকা নায়িকা লাগেই না।""কাজল তো একেবারে কুচকুচে কালো! হাত ...
28/08/2025

"রানী মুখার্জি কী খাটো! এতো উঁচু হিল পরেও নায়কের বুকের সমান! নায়িকা নায়িকা লাগেই না।"
"কাজল তো একেবারে কুচকুচে কালো! হাত পা কী কালো! একে নায়িকা বানাইসে কে?"
"সুস্মিতা সেনের চেহারায় তো কোন মায়ার ছিরি নাই। কেমন ব্যাটা ব্যাটা লাগে! কী দেখে নায়িকা বানাইসে ওকে?"
ছোটবেলায় বড়দের সাথে যখন বসে টিভি দেখতাম, এসব কমেন্ট আমাকে শোনানোর জন্য না বললেও আমার কানে ঠিকই আসতো। শুধু কানে না, আমার মনে গেঁথে গেছিল কথাগুলো। বড়রা তো ভুল বলে না, তাহলে নিশ্চয়ই বেটে, কালো, একটা নির্দিষ্ট বিউটি স্ট্যান্ডার্ডের বাইরের মানুষ অসুন্দর। মানুষকে জাজ করা তো পরে শিখেছি, আগে নিজেকে জাজ করা শিখেছি। মেয়ে মানুষ হিসেবে আমার 'খুঁত" গুলো চোখে ধরিয়ে দেয়ার মানুষের তো অভাব ছিল না! বলা বাহুল্য, তারা ওসব নিতান্ত "ভালো চায়" বলে বলতো। তাতে আমাদের কী ভালো হত? নিজেকে সুন্দর ভাবতে না পারা, ফলে অন্যের ভেতরেও খুঁত ধরে বেড়ানোর অভ্যাস।
বড়দের এই "ভালো চাওয়ার" লিস্ট আরও লম্বা! ওরা আপনার লুক নিয়ে বাজে মন্তব্য করবে আপনার "ভালো চায়" বলে। আপনার দুর্বলতা নিয়ে সকলের কাছে ঢোল পেটাবে, আপনার কাটা ঘায়ে লবণ ছেটাবে "ভালো চায়" বলে। আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাবে "ভালো চায়" বলে। এতো এতো "ভালো চাওয়া" মানুষের কারণে আমরা নিজের ভালোটা বোঝা ভুলে যাই। অনেক বছর লেগেছে আমার নিজেকে "সুন্দর" ভাবতে। আয়নার সামনে দাঁড়ালে সমাজের, "ভালো চাওয়া" মানুষের দেখিয়ে দেয়া "খুঁত" গুলোই শুধু চোখে পড়তো। অনেকটা সময় লেগে গেছে বুঝতে, আমি অসুন্দর নই, ওদের দৃষ্টি অসুন্দর। ঠিক যেমন রঙকানা লোকে বাছা বাছা কিছু সব রঙ চেনে, ওরাও বাছা বাছা সৌন্দর্য চেনে। সংকীর্ণ মানসিকতা।
আচ্ছা, আমরা ওদের মতো রঙকানা নইতো? আমরা মনের ভুলে, নিজের অজান্তে ছোটদের সামনে বলে ফেলি নাতো? "এহ আমার কপালটা কী বড়!" "হলুদ রঙটা পরিস না, আরও কালো দেখাবে।" "কত মোটা হয়ে গেছে পলাশের বউ!" "এই বুঁচি এদিকে আয়!" "রাফি তো ওর ওয়াইফের চেয়েও খাটো!"
বলবেন না। মনে আসলেও মুখে আসতে দেবেন না। বিশেষ করে শিশুর সামনে তো অবশ্যই না! সৌন্দর্যের মাপকাঠির বিষাক্ত চক্রটা আমাকে, আপনাকে ভাঙতে হবে। আমাদেরকে প্রোটেক্ট করতে হবে, শেখাতে হবে নেক্সট জেনারেশনকে- সকল সৃষ্টি সুন্দর। কাক সুন্দর, দেশি কুকুর সুন্দর, পোকা সুন্দর, বাদুড় সুন্দর, সাপ সুন্দর, গাছ সুন্দর, যেকোনো উচ্চতা সুন্দর, সকল স্কিন কালার সুন্দর, সব রকম চুল সুন্দর - সকল সৃষ্টি সুন্দর।

25/08/2025

মায়ের জরায়ুতে ভ্রূণ সংস্থাপিত হওয়ার পর থেকে গর্ভকালীন ৮ম সপ্তাহের শিশুকে ভ্রূণ এবং এর পর থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শিশুকে ফিটাস বলে। মাতৃগর্ভে শিশু প্রায় ৯ মাস (৩৬-৪০ সপ্তাহ) এবং ধারাবাহিকভাবে বিকশিত হয়। এসময় যেসব পরিবর্তন ঘটে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো।

১ম সপ্তাহ: নিষেক, ক্লিভেজের ফলে নিষেকের ৪-৫ দিন পর ব্লাস্টোসিস্টের উৎপত্তি। কোষ সংখ্যা ১০০ এর অধিক। ৬-৯ দিন পর ইমপ্ল্যান্টেশন।

২য় সপ্তাহ: এক্টোডার্ম, এন্ডোডার্ম ও মেসোডার্ম গঠন। এ পর্যায়ের পর মানব ভ্রূণ নিয়ে গবেষণা নিষিদ্ধ।

৩য় সপ্তাহ: গর্ভবতীর মাসিক বন্ধ। গর্ভাবস্থায় এটিই প্রথম লক্ষণ। মেরুদণ্ড, মস্তিষ্ক এবং সুষমা স্নায়ুর উৎপত্তি শুরু। ভ্রূণ ২ মিলিমিটার।

৪র্থ সপ্তাহ: হৃৎপিণ্ড, রক্তনালি, রক্ত এবং অন্ত্রের উৎপত্তি শুরু। আমবিলিক্যাল কর্ড বৃদ্ধিরত। ভ্রূণ ৫ মিলিমিটার।

৫ম সপ্তাহ: মস্তিষ্ক বৃদ্ধিরত। পদকুঁড়ি (limb bud) এর উৎপত্তি যা থেকে হাত এবং পা তৈরি হবে।

৬ষ্ঠ সপ্তাহ: চোখ এবং কান গঠনের সূত্রপাত।

৭ম সপ্তাহ: মুখমণ্ডল তৈরি হয়। চোখে রঙ দেখা যায়।

১২তম সপ্তাহ: সকল অঙ্গ, পেশি, হাড়, হাত ও পায়ের আঙ্গুলসহ পরিণত ভ্রূণ। জনন অঙ্গ সুগঠিত।

২০তম সপ্তাহ: ভ্রু এবং অক্ষিপক্ষ (চোখের পাতার লোম) সহ লোমের উৎপত্তি শুরু। হাতের আঙ্গুলের রেখার বিকাশ।

২৪তম সপ্তাহ: চোখের পাতা খুলতে পারে।

২৬তম সপ্তাহ: অপ্রাপ্তকালে জন্ম হলে বেঁচে থাকার যথেষ্ট।

২৮তম সপ্তাহ: বলিষ্ঠভাবে নড়াচড়ায় সক্ষম। স্পর্শ ও অতিশব্দ অনুভব করে এবং মূত্র ত্যাগ করে।

৩০তম সপ্তাহ: মাথা নিচ দিকে, জন্মের জন্য প্রস্তুত।

৩৮তম সপ্তাহ: সাধারণত ৯ মাসের শিশু জন্মগ্রহণ করে।

25/08/2025
ছবিটা কোন এক তোলা হাসপাতালে এবং গল্পটি কেউ লিখেছে। যারা টেস্ট করাবে তারা সিরিয়াল ধরে বসে আছেন। ছবিতে কাঁধে ব্যাগ নেওয়া ভ...
22/08/2025

ছবিটা কোন এক তোলা হাসপাতালে এবং গল্পটি কেউ লিখেছে।

যারা টেস্ট করাবে তারা সিরিয়াল ধরে বসে আছেন। ছবিতে কাঁধে ব্যাগ নেওয়া ভদ্রলোকটা তার স্ত্রী"র সাথে ছিলেন, তার স্ত্রী অসুস্থ ওনাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো।
আমার পাশাপাশি তারা বসে ছিলো হাত ধরে, প্রথম থেকেই ওনার স্ত্রী'র ব্যাগ ওনার কাঁধে ওনি নিয়ে নেয়, ওনার হাসবেন্ড ওনাকে একটু পর পর পানি দিচ্ছে একটু পরপর কিছু খাবে কিনা জিজ্ঞেস করছে, দু'ষ্টুমি করতেছে যাতে ওনার মন একটু ভালো হয়, টেস্ট রুমের পাশে ঘুরঘুর করতেছিলো অনেকক্ষণ, আর স্ত্রী'র মন ভালো করার জন্য চেষ্টা করতেছিলেন।

অনেকে বলে নিজের ভালোবাসার মানুষের ব্যাগ carry করা লজ্জার বিষয় কিন্তু ওনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাগ কাঁধে নিয়ে পুরো হাসপাতাল ঘুরলেন।

Man can do anything for the one they love, putting their male ego aside. They don't care about what people will say.

~Aka Rani Das.

Address

MH Tower, Jogaimore
Sirajganj
6700

Opening Hours

Monday 16:00 - 21:00
Tuesday 16:00 - 21:00
Wednesday 16:00 - 21:00
Thursday 16:00 - 21:00
Saturday 16:00 - 21:00
Sunday 16:00 - 21:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. T. Tamanna posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram