Sirajganj Online Homoeopathic School

Sirajganj Online Homoeopathic School Online Homeopathy Learning Center Homeopathy Learning Centre

আধুনিক সমাজের বহল ব্যবহৃত একটি ঔষধ- এবিস নায়াগ্রাABIES NIGRA এবিস নাইগ্রাউৎস: ব্ল্যাক প্রুসএকটি শক্তিশালী এবং দীর্ঘকালস্...
30/11/2025

আধুনিক সমাজের বহল ব্যবহৃত একটি ঔষধ- এবিস নায়াগ্রা

ABIES NIGRA এবিস নাইগ্রা
উৎস: ব্ল্যাক প্রুস

একটি শক্তিশালী এবং দীর্ঘকালস্থায়ী ঔষধ বিশেষ, নানা প্রকার রোগে ব্যবহার হয়ে থাকে, যেখানে ঔষধটির পাকস্থলীর চরিত্রগত লক্ষণগুলি বর্তমান থাকে। অধিকাংশ লক্ষণের সঙ্গে পাকস্থলীর রোগ লক্ষণযুক্ত থাকে। বয়স্কদের অজীর্ণ রোগের সঙ্গে হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বৈকল্যের লক্ষণ থাকে; চা অথবা তামাক সেবনের পর। কোষ্ঠকাঠিণ্য । প্রস্রাব নালীর বাইরের দিকে বেদনা।

মাথা- গরম, লালচে মুখমণ্ডল, বিষন্ন, দুপুরের দিকে ক্লান্ত, রাত্রে জাগ্রত অবস্থা, চিন্তা করতে অক্ষম।

পাকস্থলী- পাকস্থলীর যন্ত্রণা সর্বদা খাবার পর দেখা দেয়। হৃদপিণ্ডের নিকটবর্তী স্থানে পাকস্থলীর প্রান্তভাগে একটি পিণ্ডের ন্যায় অনুভূতি রোগী মনে করে ঐ অংশে একটি বড়ো এবং সিদ্ধ, শক্ত ডিম রয়েছে; পেটের উপরের অংশের একটানা হয়ে থাকা কষ্টদায়ক সঙ্কোচণ, রোগীর মনে হয় ঐ অংশের সব কিছু গিটবাঁধা। সকালের দিকে একদম খিদে থাকে না কিন্তু দুপুরের ও রাত্রে অতিরিক্ত খিদে পায়। মুখ থেকে যে বাতাস বেরিয়ে থাকে ও ঢেকুর দুর্গন্ধযুক্ত।

বুক - বুকের ভিতর কিছু আটকিয়ে থাকার ন্যায় বেদনাদায়ক অনুভূতি এবং রোগী মনে করে ঐ আটকিয়ে থাকা খণ্ডটি কেশে বাইরে বার করে ফেলতে হবে; ফুসফুসে চাপবোধ। সম্পূর্ণভাবে ফুসফুস প্রসারিত করা যায় না। কাশির পর বৃদ্ধি মুখ দিয়ে জল ওঠে। শ্বাসরুদ্ধকর অনুভূতি। শ্বাসকষ্ট; শোবার পর বাড়ে। হৃদপিণ্ডে তীব্র কেটে ফেলার ন্যায় যন্ত্রনা; হৃদপিণ্ডের কাজ ভারবোধযুক্ত এবং ধীর, নাডীর গতি স্বাভাবিক থেকে বেশি, অথবা কম।

পিঠ – পিঠের একটি ক্ষুদ্র অংশে বেদনা। বাতজ যন্ত্রণা, অস্থি বেদনা।

ঘুম- দিনের বেলা ঘুমঘুমভাব, রাত্রে জেগে থাকা এবং ছটফট ভাব। তৎসহ ক্ষুধা। কুস্বপ্ন।

জ্বর-শীত এবং উত্তাপ অবস্থা পর পর দেখা দেয়, পুরাতন সবিরাম জ্বর, তৎসহ পাকস্থলীর যন্ত্রণা।

কমা-বাড়া— খাবার পর বৃদ্ধি।

সম্বন্ধ – তুলনীয়;(পাকস্থলীতে পিণ্ড-চায়না, ব্রায়ো, পালস) আরও তুলনীয়, থুজা, স্যাবাইনা, কিউপ্রেসাস (যন্ত্রণাদায়ক বদহজম), এছাড়া নাক্সভমিকা, ক্যালি কার্ব)।

শক্তি- — ১ম থেকে ৩০ শক্তি
উইলিয়ম বোরিক

এবিস নায়গ্রা ( Abies Nigra )
( আমেরিকার ঝাউগাছের মত একপ্রকার গাছের আটা হইতে প্রস্তুত )

ইহা একটি দীর্ঘক্রিয় ঔষধ এবং পাকস্থলীর উপরেই ইহার ক্রিয়া অধিক। কোনও পীড়ার সহিত বায়ু ও অম্লের লক্ষণ থাকিলে, বৃদ্ধদের অম্ল ও অজীর্ণ পীড়ার সহিত হৃৎপিণ্ডের কোনও পীড়া থাকিলে এবং অতিরিক্ত চা পান ও তামাক খাওয়ার জন্য ডিস্পেসিয়া পীড়া হইলে ইহাতে অধিক উপকার হয় ।
নার্ভাস, লেখাপড়ার কার্য্য বা চিন্তা করিবার ক্ষমতালোপ, দিবসে নিদ্রালু – রাত্রিতে অনিদ্রা, কোষ্ঠবদ্ধতা, আহারের পর পেটে বেদনা, ভুক্তদ্রব্য পেটে গোলার মত হইয়া থাকা কিম্বা জড়াইয়া উঠা, বেদনা প্রভৃতি ইহার চরিত্রগত লক্ষণ ।

অম্লশূল-বেদনা—একটু পেট ভরিয়া আহার করিলেই পেটে এক প্রকার যন্ত্রণাদায়ক বেদনা উপস্থিত হয়, মনে হয় পাকস্থলীর মুখে ( in-cardia ) যেন কি একটা গোলার মত শক্ত পদার্থ আটকাইয়া আছে ( এনাকার্ডিয়ম ও সিঙ্কোনা অধ্যায় দেখুন )।
এবিসের রোগীর এক অদ্ভুত লক্ষণ—বেলা দ্বিপ্রহরে ও রাত্রিতে অত্যন্ত ক্ষুধা হয়, এমন কি ক্ষুধার জন্য নিদ্রা হয় না ; কিন্তু প্রাতঃকালে কিছুমাত্র ক্ষুধা থাকে না ।

হৃৎপিণ্ডের পীড়া—বুকের ভিতর এক প্রকার যন্ত্রণা হয় ও সেখানে বোধ হয় যেন কিছু আটকাইয়া আছে, রোগী তাহার জন্য পুনঃ পুনঃ কাশে, কাশির সময় মুখ দিয়া অনবরত জল উঠে, গলা যেন কেহ চাপিয়া ধরিয়াছে, তাহাতে দম বন্ধ হইয়া যাইবে এইরূপ বিবেচনা হয়। হৃৎপিণ্ডে তীক্ষ্ণ বেদনা, হৃৎপিণ্ড ভারী ও হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া ধীর হয় ; ট্যাকিকার্ডিয়া, ব্র্যাডিকার্ডিয়া।

ঋতুস্রাব—দুই তিন মাস অন্তর হয় ও পুনরায় বন্ধ হইয়া যায় ।

সম্বন্ধ — ব্রায়োনিয়া, নক্স, থুজা, ক্যালি-কাৰ্ব্ব ।
বৃদ্ধি —আহারের পরক্ষণেই ।
ক্রম —১ম হইতে ৩০ শক্তি । ফরমূলা –৬-এ।

এন,সি,ঘোষ
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

আর্নিকা ARNICAউৎস: "Leopard's Bane" বা Arnica montana নামক একটি বহুবর্ষজীবী ফুল গাছ।শরীরের উপর আঘাত পাওয়া, পড়ে যাওয়া, ...
17/11/2025

আর্নিকা ARNICA
উৎস: "Leopard's Bane" বা Arnica montana নামক একটি বহুবর্ষজীবী ফুল গাছ।

শরীরের উপর আঘাত পাওয়া, পড়ে যাওয়া, মারা, থেঁৎলিয়ে যাওয়া প্রভৃতির ফলে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায়, এই ঔষধ ঐ একই জাতীয় লক্ষণ তৈরী করে। কানের ভিতর ভোঁ ভোঁ শব্দ। পচন-প্রক্রিয়া। বিষাক্ত বা সেপটিক অবস্থা, পুঁজ জাতীয় রোগ সংক্রমনের প্রতিষেধক। সন্ন্যাস রোগ, মুখমণ্ডল ভরাট, লালবর্ণযুক্ত।
এই ঔষধ বিশেষভাবে উপযুক্ত সেইসব ক্ষেত্রে, যেখানে কোন আঘাত, তা সে যতই পুরাতন হোক, বর্তমান উপসর্গের কারণ বলে বিবেচিত হয়। কোন প্রকার শারীরিক আঘাতের পরে। কোন শারীরিক যন্ত্রের অতি ব্যবহারের পরে। মুচকিয়ে যাওয়ার পরে ভালো কাজ করে। আর্নিকা মস্তিষ্কের রক্তাধিক্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি খুব ভালো কাজ করে রক্তপ্রধান ধাতু, দুর্বল তৎসহ অপুষ্ট রক্ত, হৃদপিণ্ডের শোথসহ শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে। এটি পেশীর বলকারক ঔষধ বিশেষ।
শোক, দুঃখ অথবা হঠাৎ কোন কারণে ধনসম্পত্তি নষ্ট হবার ফলে যে মানসিক আঘাত দেখা দেয়, সেই ক্ষেত্রেও আর্নিকা ভালো কাজ। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, যেন মারা হয়েছে। সন্ধিস্থানে মোচড়িয়ে যাওয়ার মত কোনো ব্যথা। বিছানা খুব শক্ত বলে মনে হয়।
রক্তের উপর খুব ভালো কাজ করে। শিরাতন্ত্রের উপর ভালো কাজ করে, বিশেষ করে যেখানে শিরা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। কালশিরা ও রক্তস্রাব। রক্তবহানলীর শিথিলতা, শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো ও নীলচে ছোপ। রক্তস্রাব প্রবণতাযুক্ত ও ঘুষঘুষে জ্বর। শারীরিক তন্তুর ধ্বংসপ্রবণতা, বিষাক্ত বা সেপটিক অবস্থা, সেই সকল ফোঁড়া যা পাকে না। টাটানি, খঞ্জবোধ ও থেঁতলিয়ে যাওয়ার মত অনুভূতি। স্নায়ুশূল, উৎপত্তি নিউমো-গ্যাসট্রিক স্নায়ুর গোলযোগ থেকে। পিঠ ও ঘাড়ের পেশী ও টেন্ডনের বাতজনিত রোগ। তামাকে বিতৃষ্ণা।
ইনফ্লুয়েঞ্জা (ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু হলো একটি ভাইরাসজনিত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ রোগ, যা সাধারণত নাক, গলা এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, সর্দি, পেশী বা শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি। এটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং বিভিন্ন ধরনের উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে।)।
থ্রম্বোসিস্ (রক্তনালীর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধার একটি অবস্থা, যা রক্ত প্রবাহকে সীমিত করে)।
হেমাটোসিল (শরীরের কোনো গহ্বরে রক্ত জমাট বাঁধা)।

(উইলিয়ম বোরিক)

আটিস্টা ইন্ডিকা (Atista Indica)[৩য় প্রক্রিয়ামতে শক্তিকৃত করিতে হয়।]প্রস্তুত প্রণালী- ইহার বাংলা নাম আশ শেওড়া। এই গাছ...
14/09/2025

আটিস্টা ইন্ডিকা (Atista Indica)

[৩য় প্রক্রিয়ামতে শক্তিকৃত করিতে হয়।]
প্রস্তুত প্রণালী- ইহার বাংলা নাম আশ শেওড়া। এই গাছড়ার পূর্ণত্বপ্রাপ্ত পাতা হইতে ঔষধ প্রস্তুত হইয়া থাকে ।
প্রয়োগ- পালাজ্বর, আমরক্ত ও কৃমি উপসর্গে ইহা ব্যবহৃত হয় ।
চরিত্রগত লক্ষণ-
১) রোগী উদাসীন ও বিষন্ন, স্মরণশক্তি দুর্বল।
২) মাড়ি হইতে রক্তস্রাব হয়, দাঁতের গোড়ায় হাত দিলে বেদনা অনুভব ।
৩) অত্যন্ত ক্ষুধাবোধ, পাঁঠার মাংস, ক্ষীর, লেবু খাওয়ার আকাংখা, তরল খাদ্যে অনীহা ।
৪) জিহ্বায় সাদা ময়লা, মুখে তিক্তাস্বাদ।
৫) সকাল বেলায় থুথু উঠে, লবণাক্ত জল টক জল উঠে । বুক জ্বালা ।
৬) ঢেকুর দিলে পেট ফাঁপার উপশম ।
৭) আলোক অসহ্য, চোখে জ্বালা ।
৮) নাভির চতুর্দিকে খামচানি বেদনা ।

পালাজ্বর- একদিন পর পর প্রাতে শীত সহ জ্বরের আক্রমণ, বিকালে ছাড়িয়া যায়। উত্তাপাবস্থায় অত্যন্ত পিপাসা। জ্বরের পরদিন প্রাতঃকালে মুখ তিক্তাস্বাদ ও দুর্গন্ধ । জিহ্বায় সাদা লেপ, প্লীহা এবং যকৃত প্রদেশে জ্বালা ।

শূলবেদনা- অম্লশূল বা পিত্তশূলে ইহা বিশেষ উপকার করিয়া থাকে। পেট ফাঁপা অজীর্ণ, অম্লোদার, অম্লবমন, বুক জ্বালা প্রভৃতি উপসর্গসমূহ থাকিলে ইহা অত্যন্ত উপযোগী ।

রক্ত আমাশয়- সর্বপ্রকার আমযুক্ত মলে, শুধু রক্ত বা আম ও রক্ত, নাভিমূলে বেদনা প্রভৃতিতে আটিষ্টা অমোঘ ঔষধ ।

ক্রিমি- বড় ও ছোট সকল প্রকার কৃমিতে ইহা উপকারী। ক্রিমিজনিত পেট বেদনা, বিকার, তড়কা, অরুচি। মলদ্বারে ছোট ছোট ক্রিমির উৎপাত, নাসিকা কণ্ডুয়ন প্রভৃতি উপসর্গে ইহা বিশেষ কার্যকরী।

ক্রম- Q, ১x, ৩x, ৬।

ডা, আবু হোসেন সরকার
হোমিও কম্পারেটিভ মেটেরিয়া মেডিকা
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

ANTIPYRINE- ফেনাজোন আলকাতরা থেকে উৎপন্ন বস্তু বিশেষ।যে সকল ঔষধ রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে থাকে, এন্টিপাইরিন সেইগু...
14/09/2025

ANTIPYRINE- ফেনাজোন আলকাতরা থেকে উৎপন্ন বস্তু বিশেষ।

যে সকল ঔষধ রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে থাকে, এন্টিপাইরিন সেইগুলির মধ্যে একটি, অনেকটা আরগোটিন, স্যালিসাইলেটস্ এবং টিউবারকিউলিনের সদৃশ।
মূলতঃ ভেসো-মোটর সেন্সরের উপর কাজ করে, চামড়ায় থাকা কৈশিক শিরাগুলির প্রসারণ ঘটায় এবং এর ফলে চামড়ার উপর উজ্জ্বল লাল রঙের ছোপ ও ফোলা অংশ দেখা যায়। অধিক মাত্রায় এই ঔষধ প্রচুর ঘাম, মাথাঘোরা, চামড়ার উপর নীলচে আভা এবং নিদ্রালুতা এবং প্রস্রাবে অ্যালবুমিন ও রক্ত উৎপন্ন করে থাকে। নানাপ্রকার তরুণ আমবাত।

মন - পাগল হয়ে যাবে বলে আতঙ্ক, স্নায়বিক আতঙ্ক, দৃষ্টি ও শ্রবণ সম্বন্ধীয় বিভ্রান্তি।

মাথা – দপদপ কর মাথার যন্ত্রণা, সংকোচনের অনুভূতি। উত্তাপের হল্কা। কানের নীচের অংশের মাথায় যন্ত্রণা তৎসহ কানের বেদনা।

চোখ - চোখের পাতাগুলি ফোলা ফোলা। কনজাংটিভা লালচে ও শোথযুক্ত, তৎসহ অশ্রুস্রাব। লাল দাগসমূহ। (এপিস)।

কান – কানে যন্ত্রণা ও কানের ভিতর জল ঢোকার ন্যায় অবস্থা। কানের ভিতর ভোঁ-ভোঁ শব্দ হওয়া।

মুখমণ্ডল - শোথ ও ফোলা ফোলা ভাব যুক্ত। লাল ও ফোলা।

মুখগহ্বর — ঠোঁটগুলি ফোলা। মুখের ভিতর ও মাড়ীতে জ্বালা জিহ্বা ও ঠোটে ক্ষত। ছোট ছোট ও বড়ো বড়ো ফোস্কা। গালের ভিতর ছোট পিণ্ড। জিহ্বা ফোলা। লালা রক্তযুক্ত। নিম্ন চোয়াল বরাবর দাঁতের যন্ত্রণা।

গলা — ঢোক গেলার সময় বেদনা। দূর্গন্ধ পুঁজ নির্গমন। ফোড়া, সাদা কৃত্রিম পর্দাযুক্ত। জ্বালাকর অনুভূতি।

পাকস্থলী - - বমি ও বমি বমি ভাব, জ্বালা ও যন্ত্রণা।

প্রস্রাব – পরিমান কমে যায়। লিঙ্গ কালোবর্ণের পর্দাযুক্ত।

স্ত্রীরোগ – যোনির চুলকানি ও জ্বালা ধাতুস্রাব অবরুদ্ধ। জলের মত পাতলা প্রদর স্রাব।

শ্বাস-প্রশ্বাস - তরল সর্দি। নাকের শ্লেষ্মাঝিল্লী ফুলে ওঠে। কপাল অংশে থাকা সাইনাসে অস্বস্তিকর বেদনা। স্বরভঙ্গ। বুকের ভিতর ভারবোধ ও শ্বাসকষ্ট। ছন্দ-বদ্ধ শ্বাস-প্রশ্বাস।

হৃদপিণ্ড — মূৰ্চ্ছভাব, তৎসহ হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে এরূপ অনুভূতি। সমগ্র শরীরে দপদপ কর অনুভূতি। নাড়ী দ্রুত, দুর্বল ও অনিয়মিত।

স্নায়ু — মৃগীরোগীর মত আক্ষেপ। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মোচড়ানি। কাপুনি ও খিলধরা। সুড়সুড় করে ও আড়ষ্ট বলে মনে হয়। সার্বিক দুর্বলতা।

চামড়া -- লাল রঙের আমবাতের ন্যায় উত্তো, একজিমা ছোট ছোট ফুসকুড়ি। তীব্র চুলকানি, আমবাত, হঠাৎ দেখা দেয় এবং হঠাৎ করে চলে যায়। তৎসহ শরীরের ভিতর শীতবোধ। অ্যানজিয়োনিউরোটিক ইডিমা। লিঙ্গের উপর কালো রঙের উদ্ভেদ, কোন কোন সময় শোথযুক্ত হয়।

শক্তি: ২য় ডেসিবল শক্তি।

ডা. উইলিয়ম বোরিক
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

অভিজ্ঞতার ফল—মূত্রনলীর সরু ছিদ্রের মধ্য দিয়া পাথরী ( stone ) নির্গমনকালে যে কি একপ্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা হয়, ভুক্তভোগী...
22/07/2025

অভিজ্ঞতার ফল—
মূত্রনলীর সরু ছিদ্রের মধ্য দিয়া পাথরী ( stone ) নির্গমনকালে যে কি একপ্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা হয়, ভুক্তভোগী রোগীমাত্রেই তাহা অবগত আছেন । এলোপ্যাথগণকে সেই যন্ত্রণা নিবারণার্থে প্রায়ই তখন বাধ্য হইয়া মর্ফিয়াদি অজ্ঞানকারক কোনও ঔষধের সাহায্য গ্রহণ করিতে হয়। আমরা হোমিওপ্যাথিতে শুধু আভ্যন্তরিক ঔষধ সেবন করাইয়া অনেকস্থলে অল্প সময়ের মধ্যে ঐ যন্ত্রণা নিবারণ করিতে সমর্থ হই।
আমি পূর্ব্বে উক্ত পাথরী পীড়ার যন্ত্রণা নিবারণের নিমিত্ত—বার্ব্বেরিস, লাইকো, ক্যালকেরিয়া, কার্ডয়াস, থ্যাম্পি, চায়না, ডায়স্কোরিয়া প্রভৃতি কতকগুলি ঔষধই সচরাচর ব্যবহার করিতাম ; কিন্তু যে দিন পূজ্যপাদ ফ্যারিংটনের “ক্লিনিক্যাল মেটিরিয়া মেডিকায়” নিম্নলিখিত মন্তব্যটি প্রাপ্ত হই, সেই দিন হইতে মূত্র-পাথরীর ( Renal-colic ) যন্ত্রণায় প্রপীড়িত কোনও রোগীকে ছটফট করিতে দেখিলে প্রায় কোনও দিক লক্ষ্য না করিয়া সর্ব্বাগ্রে— ক্যান্থারিস—৬ষ্ঠ শক্তির ৫/৬ মাত্রা, ১০/১৫ মিনিট অন্তর ব্যবস্থা করি এবং তাহাতে কত রোগীকে যে অত্যল্প সময়ের মধ্যে ভীষণ যন্ত্রণার হাত হইতে অব্যাহতি দিতে সমর্থ হইয়াছি তাহার ইয়ত্তা নাই । এই ঔষধের প্রায় ৩/৪ মাত্রা সেবনের পরই রোগী নিদ্রিত হইয়া পড়ে।

ডাঃ ফ্যারিংটন—“Cantheris is a valuable remedy in the passage of renal-calculi, specially when the pain are very violent. It has been stated in controversy that it was nonsense to talk about reliving the pains from the passage of renal-calculi by Homoeopathic medication. The ureter is a narrow tube and the stone is frequently large, and it is said that this can not be passed without pain. This is a mistake. The indicated remedy may so lesson local irritability that the pain attendant on the passage of renal-calculi may be greatly modified."

উক্ত ঔষধে কেবলমাত্র যে মূত্র-পাথরীর যন্ত্রণা নিবারিত হয় তাহা নহে— প্রস্রাবের পরিমাণ ও বেগ বৰ্দ্ধিত হইয়া বড় বড় পাথরী নিষ্ক্রান্ত হইতেও বহুবার দর্শন করিয়াছি। অতএব যাঁহারা এই পীড়ায় কেবলমাত্র— বার্ব্বেরিস, লাইকোপোডিয়ম ইত্যাদি ঔষধগুলি শিখিয়া রাখিয়াছেন, তাঁহাদিগকে একবার ক্যান্থারিস ব্যবহার করিতে অনুরোধ করি ।
ডাঃ ফ্যারিংটন আরও বলেন—ছেলেদের পাথরীরোগে যখন প্রদাহ লিঙ্গ পর্য্যন্ত পরিচালিত হয় এবং ছেলে কেবল লিঙ্গ ধরিয়া টানে, তখন ক্যান্থারিসে বিশেষ উপকার হয়।

কম্পারেটিভ মেটেরিয়া মেডিকা-(পৃষ্ঠা-২১২)
ডা, এন সি ঘোষ প্রনীত
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

ধ্বজভঙ্গ, লিঙ্গ শিথিল ও ক্ষুদ্র হইয়া যাওয়া- লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। যে সকল যুবক অল্প বয়সে হস্তমৈথু...
15/07/2025

ধ্বজভঙ্গ, লিঙ্গ শিথিল ও ক্ষুদ্র হইয়া যাওয়া-
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। যে সকল যুবক অল্প বয়সে হস্তমৈথুন হেতু বা অস্বাভাবিক উপায়ে ইন্দ্রিয় চালনা করিয়া মেরুদণ্ড মস্তিষ্ক ও লিঙ্গে অত্যাধিক দুর্বলতা বোধ করে, তাহাদের পক্ষে লাইকোপোডিয়াম উত্তম। অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জন্য অত্যধিক ধাতুক্ষয়ে যাহাদের লিঙ্গ শিথিল, ক্ষুদ্র ও বক্র হইয়া গিয়াছে, কিন্তু সঙ্গমে ইচ্ছা পূর্বের ন্যায় প্রবল আছে বা পূর্ব হইতেও বেশী হইয়াছে অথচ শক্তি থাকেনা তাহাদের পক্ষে এই ঔষধ অধিকতর ফলপ্রদ । যে সকল ব্যক্তির অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ ও অসাড়ে শুক্রক্ষয় হইয়া ক্রমশঃ পুরুষত্বহীনতা উপস্থিত হয়, এমনকি লিঙ্গের উত্থান পর্যন্ত হয়না অথবা যদিও হয় পরক্ষণেই নিস্তেজ হইয়া পড়ে এবং লিঙ্গ সর্বদাই শীতল বোধ করে তাহাদের জন্য লাইকো একমাত্র ঔষধ। উপরোক্ত লক্ষণ সমূহে উচ্চশক্তির লাইকো উপযুক্ত সময় অন্তর প্রয়োগ করিলে আশ্চর্য্য ফল দর্শিয়া থাকে। বৃদ্ধদিগের ধ্বজভঙ্গেও ইহা খুব উপকারী। বৃদ্ধ স্বামীর পুরুষত্বহীনতা জন্য তরুণী স্ত্রীর মনন্তুষ্টি করিতে না পারিলে উচ্চ শক্তির লাইকো সেবন করিতে দিলে সে অভাব দূর হওয়া সম্ভব।
কামেচ্ছা অত্যধিক কিন্তু ক্ষমতার সম্পূর্ণ অভাব লক্ষণে সেলিনিয়াম উপকারী।
মানসিক অবসাদ, লিঙ্গ শিথিল কিন্তু সঙ্গমের ইচ্ছা ও উত্তেজনা আছে লক্ষণে ক্যালাডিয়াম উপযোগী।
ধ্বজভঙ্গের সহিত কামেচ্ছা না থাকিলে এগ্নাস ক্যাষ্ট ভাল ঔষধ।
অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করিয়া যে সকল যুবক অল্পবয়সে বৃদ্ধের মত অবস্থাপ্রাপ্ত হইয়াছে তাহাদের পক্ষে এগ্নাস পরম বন্ধু।
লিঙ্গ এত দুর্বল ও শিথিল যে, স্ত্রীলোক লইয়া নানা প্রকার চেষ্টা বা কল্পনা করিয়াও লিঙ্গ খাড়া হয় না লক্ষণে এগারিকাস বা কোনিয়াম ভাল কাজ করে।

ডা, আবু হোসেন সরকার
হোমিও কম্পারেটিভ মেটেরিয়া মেডিকা (পৃষ্ঠা-৬৫৫)
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

যাদের এনাটমি ও ফিজিওলজি সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান খুবই কম তাদের জন্য মানবদেহের বিভিন্ন সিস্টেম এবং তাদের কাজগুলো নিচে সংক্ষে...
29/06/2025

যাদের এনাটমি ও ফিজিওলজি সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান খুবই কম তাদের জন্য মানবদেহের বিভিন্ন সিস্টেম এবং তাদের কাজগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো: (নীচে পিডিএফ ফাইল লিংক দেওয়া হলো)

১. পরিপাকতন্ত্র: খাদ্য গ্রহণ, হজম এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। এই তন্ত্রে মুখ, খাদ্যনালী, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, যকৃত, অগ্ন্যাশয় এবং পিত্তথলি অন্তর্ভুক্ত।
২. সংবহনতন্ত্র: হৃদপিণ্ড, রক্তনালী (ধমনী, শিরা, কৈশিক জালিকা) এবং রক্তের সমন্বয়ে গঠিত। এটি শরীরের চারপাশে অক্সিজেন, পুষ্টি, হরমোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে।
৩. শ্বাসতন্ত্র: ফুসফুস, শ্বাসনালী, এবং বায়ুপথের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড (বর্জ্য গ্যাস) অপসারণ করে।
৪. স্নায়ুতন্ত্র: মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকাণ্ড এবং স্নায়ুর সমন্বয়ে গঠিত। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এবং সংবেদী অঙ্গ থেকে আসা সংকেত গ্রহণ ও প্রেরণ করে।
৫. রেচনতন্ত্র: কিডনি, মূত্রথলি, এবং মূত্রনালীর সমন্বয়ে গঠিত। এটি শরীরের বর্জ্য পদার্থ (যেমন: মূত্র) নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
৬. অন্তঃস্রাবী তন্ত্র: হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এই তন্ত্রে গ্রন্থি (যেমন: পিটুইটারি, থাইরয়েড, অ্যাড্রেনাল) অন্তর্ভুক্ত।
৭. কঙ্কালতন্ত্র: হাড়, তরুণাস্থি, এবং লিগামেন্ট দ্বারা গঠিত। এটি শরীরের কাঠামো গঠন করে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সুরক্ষা দেয় এবং নড়াচড়ায় সহায়তা করে।
৮. পেশীতন্ত্র: পেশী দ্বারা গঠিত, যা নড়াচড়া, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
৯. প্রজননতন্ত্র: পুরুষ এবং মহিলার প্রজনন অঙ্গ নিয়ে গঠিত, যা বংশবৃদ্ধি এবং প্রজননে সহায়তা করে।
১০. ত্বক তন্ত্র: ত্বক শরীরের বাইরের আবরণ তৈরি করে যা বাইরের পরিবেশ থেকে রক্ষা করে।
১১. লসিকা তন্ত্র: লসিকা তন্ত্র শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই প্রতিটি তন্ত্র একে অপরের সাথে সম্পর্কিত এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে একসাথে কাজ করে।
---------------------------------------
১. পরিপাকতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলি হলো মুখ, খাদ্যনালী, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, এবং মলদ্বার। এছাড়াও, যকৃত, অগ্ন্যাশয় ও পিত্তথলি পরিপাক কার্যে সহায়তা করে।
পরিপাকতন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
মুখ ও মুখবিবর: খাদ্য গ্রহণ ও চর্বণ করা হয় এখানে। লালা গ্রন্থি থেকে লালা নিঃসৃত হয়ে খাদ্যকে ভিজিয়ে নরম করে এবং কিছু খাদ্য উপাদান হজম হতে শুরু করে।
অন্ননালী: মুখ থেকে খাদ্য পাকস্থলীতে পৌঁছানোর পথ।
পাকস্থলী: খাদ্য জমা থাকে এবং এখানে খাদ্য আরও হজম হয়। এখানে অ্যাসিড ও এনজাইম খাদ্যকে ভেঙে তরল অবস্থায় নিয়ে যায়।
ক্ষুদ্রান্ত্র: এখানে হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং খাদ্য থেকে পুষ্টি উপাদান শোষিত হয়। ক্ষুদ্রান্ত্রের তিনটি অংশ রয়েছে: ডিওডেনাম, জেজুনাম এবং ইলিয়াম।
বৃহদন্ত্র: এখানে পানি ও কিছু পুষ্টি উপাদান শোষিত হয় এবং মল তৈরি হয়।
মলদ্বার: মলের নিঃসরণের স্থান।
যকৃত, অগ্ন্যাশয় ও পিত্তথলি: এগুলো পরিপাকতন্ত্রের আনুষঙ্গিক অঙ্গ। যকৃত পিত্তরস তৈরি করে যা চর্বি হজমে সাহায্য করে। অগ্ন্যাশয় বিভিন্ন পাচক রস তৈরি করে। পিত্তথলি পিত্তরস জমা রাখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষুদ্রান্তে সরবরাহ করে।
---------------------------------------------------------
২. সংবহনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী (ধমনী, শিরা, কৈশিক জালিকা) এবং রক্ত। এই অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন, পুষ্টি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে।
সংক্ষেপে, সংবহনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
হৃৎপিণ্ড: এটি সংবহনতন্ত্রের পাম্পিং যন্ত্র, যা রক্তকে পাম্প করে শরীরের বিভিন্ন অংশে পাঠায়।
রক্তনালী: ধমনী: হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত বহন করে নিয়ে যায়।
শিরা: শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে রক্তকে হৃৎপিণ্ডে ফিরিয়ে আনে।
কৈশিক জালিকা: ধমনী ও শিরার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং টিস্যুগুলোর চারপাশে জাল তৈরি করে, যেখানে গ্যাস, পুষ্টি এবং বর্জ্য পদার্থের আদান-প্রদান ঘটে।
রক্ত: এটি একটি তরল মাধ্যম যা পুষ্টি, অক্সিজেন, হরমোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদার্থ বহন করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করে।
এছাড়াও, সংবহনতন্ত্রের সাথে লসিকা সংবহনতন্ত্রও জড়িত, যা লসিকা, লসিকা নালী এবং ল্যাকটিয়াল নিয়ে গঠিত। এটি ইমিউন সিস্টেমের সাথেও সম্পর্কিত।
----------------------------------------------------
৩. শ্বাসতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলি হলো: নাক (নাসারন্ধ্র ও নাসাপথ), গলবিল (ফ্যারিংক্স), স্বরযন্ত্র (লারিংস), শ্বাসনালী (ট্রাকিয়া), ব্রঙ্কাস, ব্রঙ্কিওল এবং ফুসফুস। এছাড়াও, মধ্যচ্ছদা (ডায়াফ্রাম) শ্বাসকার্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই অঙ্গগুলির বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
নাক (নাসারন্ধ্র ও নাসাপথ): বাতাস ফুসফুসে প্রবেশের প্রধান পথ। এটি বাতাসকে ফিল্টার করে, গরম করে এবং আর্দ্র করে।
গলবিল (ফ্যারিংক্স): এটি খাদ্যনালী এবং শ্বাসনালীর একটি সাধারণ পথ।
স্বরযন্ত্র (লারিংস): এটি "ভয়েস বক্স" নামেও পরিচিত, যা শব্দ উৎপাদনে সহায়তা করে।
শ্বাসনালী (ট্রাকিয়া): এটি একটি লম্বা নালী যা স্বরযন্ত্র থেকে ফুসফুস পর্যন্ত বিস্তৃত।
ব্রঙ্কাস: শ্বাসনালী দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত হয়ে ডান এবং বাম ফুসফুসে প্রবেশ করে।
ব্রঙ্কিওল: ব্রঙ্কাস আরও ছোট ছোট শাখায় বিভক্ত হয়ে ফুসফুসের ভেতরে প্রবেশ করে, এগুলোকে ব্রঙ্কিওল বলে।
ফুসফুস: এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রধান অঙ্গ, যেখানে গ্যাস বিনিময় (অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ) ঘটে।
মধ্যচ্ছদা (ডায়াফ্রাম): এটি একটি প্রধান শ্বাস-প্রশ্বাসের পেশী যা বক্ষ গহ্বর এবং পেটের গহ্বরকে পৃথক করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় এটি সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়ে ফুসফুসের আয়তন পরিবর্তনে সাহায্য করে।
------------------------------------------------------------
৪. স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকাণ্ড, এবং স্নায়ু। এই অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে শরীরের বিভিন্ন কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
মস্তিষ্ক: এটি স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ এবং শরীরের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি স্মৃতি, বুদ্ধি, ভাষা এবং অন্যান্য মানসিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে।
সুষুম্নাকাণ্ড: এটি মস্তিষ্ক থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে বার্তা প্রেরণ করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
স্নায়ু: স্নায়ু হলো স্নায়ুতন্ত্রের মৌলিক উপাদান, যা মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ড থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে বার্তা বহন করে। স্নায়ু প্রধানত দুই প্রকার: করোটি স্নায়ু এবং মেরুরজ্জুর স্নায়ু।
এছাড়াও, স্নায়ুতন্ত্রকে দুটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়:
১) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (Central Nervous System): এটি মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ড নিয়ে গঠিত।
২) প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র (Peripheral Nervous System): এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বাইরে অবস্থিত স্নায়ু এবং গ্যাংলিয়া নিয়ে গঠিত, যা শরীরের বিভিন্ন অংশের সাথে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সংযোগ স্থাপন করে।
-------------------------------------------------------------------
৫. মানবদেহের রেচনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো: বৃক্ক (কিডনি), ইউরেটার (সংগ্রহী নালী), মূত্রথলি (ইউরিনারি ব্লাডার) এবং মূত্রনালী (ইউরেথ্রা)। এই অঙ্গগুলো একসাথে কাজ করে শরীরের বর্জ্য পদার্থ (যেমন: ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড) নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
রেচনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গসমূহ:
বৃক্ক (Kidney): এটি প্রধান রেচন অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন করে এবং মূত্র তৈরি করে।
ইউরেটার (Ureter): এটি বৃক্ক থেকে মূত্রথলিতে মূত্র বয়ে নিয়ে যায়।
মূত্রথলি (Urinary Bladder): এটি মূত্র জমা করে রাখে।
মূত্রনালী (Urethra): এটি মূত্রথলি থেকে মূত্র শরীরের বাইরে বের করে দেয়।
--------------------------------------------------------------------
৬. অন্তঃস্রাবী তন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো: হাইপোথ্যালামাস, পিটুইটারি গ্রন্থি, পাইনাল গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি, প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি, থাইমাস গ্রন্থি, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং অগ্ন্যাশয়। এই অঙ্গগুলো হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
এখানে প্রধান অঙ্গগুলির একটি তালিকা দেওয়া হলো:
1. হাইপোথ্যালামাস (Hypothalamus): মস্তিষ্কের একটি অংশ যা পিটুইটারি গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ঘুম এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
2. পিটুইটারি গ্রন্থি (Pituitary Gland): একে মাস্টার গ্রন্থি বলা হয়, যা অন্যান্য গ্রন্থিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের বৃদ্ধি, প্রজনন এবং বিপাক সহ বিভিন্ন কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে।
3. পাইনাল গ্রন্থি (Pineal Gland): মস্তিষ্কের একটি ছোট গ্রন্থি যা মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ করে, যা ঘুম এবং জাগ্রত হওয়ার চক্র নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
4. থাইরয়েড গ্রন্থি (Thyroid Gland): ঘাড়ে অবস্থিত একটি গ্রন্থি যা থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ করে, যা বিপাক এবং শরীরের অন্যান্য কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
5. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি (Parathyroid Glands): থাইরয়েড গ্রন্থির সাথে সংযুক্ত ছোট গ্রন্থি যা প্যারাথাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ করে, যা ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
6. থাইমাস গ্রন্থি (Thymus Gland): বুকের মধ্যে অবস্থিত একটি গ্রন্থি যা শ্বেত রক্তকণিকা (টি-কোষ) তৈরিতে সহায়তা করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ।
7. অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি (Adrenal Glands): কিডনির উপরে অবস্থিত গ্রন্থি যা অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসলের মতো বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ করে, যা স্ট্রেস মোকাবেলা, বিপাক এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
8. অগ্ন্যাশয় (Pancreas): এটি একটি মিশ্র গ্রন্থি যা হজমে সহায়তা করার জন্য এনজাইম এবং ইনসুলিন ও গ্লুকাগন এর মতো হরমোন নিঃসরণ করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
এই গ্রন্থিগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন বৃদ্ধি, প্রজনন, বিপাক, মানসিক এবং শারীরিক চাপ মোকাবেলা, ঘুম, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়তা করে।
-------------------------------------------------------------------
৭. মানব কঙ্কালতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো অস্থি (হাড়), তরুণাস্থি (cartilage), এবং লিগামেন্ট। কঙ্কালতন্ত্রের প্রধান কাজগুলো হলো দেহের কাঠামো তৈরি করা, অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া, এবং নড়াচড়া করতে সহায়তা করা।

কঙ্কালতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
অস্থি (Bone): মানবদেহের মূল কাঠামো তৈরি করে এবং বিভিন্ন অঙ্গকে সুরক্ষা দেয়।
তরুণাস্থি (Cartilage): অস্থিসন্ধিগুলোতে থাকে এবং ঘর্ষণ কমিয়ে নড়াচড়া সহজ করে।
লিগামেন্ট (Ligament): অস্থিসন্ধিগুলোকে একসাথে ধরে রাখে এবং অস্থির নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অস্থিসন্ধি (Joint): যেখানে দুটি বা তার বেশি অস্থির মিলন ঘটে, সেগুলোকে অস্থিসন্ধি বলে।

কঙ্কালতন্ত্রকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়:
1. অক্ষীয় কঙ্কাল (Axial Skeleton): করোটি, মেরুদণ্ড, এবং বক্ষপিঞ্জর নিয়ে গঠিত।
2. উপাঙ্গীয় কঙ্কাল (Appendicular Skeleton): হাত, পা, এবং এদের সাথে সংশ্লিষ্ট অস্থিচক্র (যেমন: স্ক্যাপুলা, কলারবোন, পেলভিস) নিয়ে গঠিত।
কঙ্কালতন্ত্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ:
করোটি (Skull): মস্তিষ্ককে রক্ষা করে।
মেরুদণ্ড (Vertebral column): দেহের মূল কাঠামো তৈরি করে এবং স্নায়ুকে সুরক্ষা দেয়।
বক্ষপিঞ্জর (Rib cage): হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসকে রক্ষা করে।
হাত ও পায়ের অস্থি (Bones of limbs): অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সাহায্য করে।
পেলভিস (Pelvis): শরীরের নিচের অংশকে সমর্থন করে এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে।
কঙ্কালতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ:
কঙ্কালতন্ত্র শরীরের কাঠামো তৈরি করে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সঠিক অবস্থানে রাখে।
পেশী এবং অস্থির সংযোগের মাধ্যমে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সাহায্য করে।
গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে রক্ষা করা:-করোটি মস্তিষ্ককে, বক্ষপিঞ্জর হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসকে রক্ষা করে।
রক্তকণিকা উৎপাদন করা:
কিছু অস্থির মধ্যে অস্থিমজ্জা লোহিত রক্তকণিকা এবং শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করে।
-------------------------------------------------------
৮. পেশীতন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো কঙ্কালের পেশী, হৃদপেশী এবং মসৃণ পেশী। এই অঙ্গগুলো শরীরের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে, যেমন নড়াচড়া, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন, এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গের কার্যক্রম।
পেশীতন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
কঙ্কালের পেশী: এগুলি হাড়ের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং স্বেচ্ছায় নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। যেমন, হাত ও পায়ের পেশী।
হৃদপেশী: হৃদপিণ্ডের প্রাচীরে অবস্থিত এই পেশী হৃদযন্ত্রকে সংকুচিত ও প্রসারিত করে রক্ত পাম্প করতে সাহায্য করে।
মসৃণ পেশী: খাদ্যনালী, পাকস্থলী, অন্ত্র, মূত্রাশয় এবং রক্তনালীর মতো অঙ্গের প্রাচীরে মসৃণ পেশী পাওয়া যায়। এগুলি অনৈচ্ছিক নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে খাদ্যবস্তু সঞ্চালন।
পেশীতন্ত্রের কাজ:
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সহায়তা করা।
শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করা।
রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করা।
পরিপাক, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা।
দেহের গঠন এবং সুরক্ষা প্রদান করা।
পেশী বিভিন্নভাবে কাজ করে, যেমন:
ঐচ্ছিক পেশী (যেমন কঙ্কালের পেশী) আমাদের ইচ্ছানুযায়ী নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
অনৈচ্ছিক পেশী (যেমন হৃদপেশী এবং মসৃণ পেশী) আমাদের ইচ্ছার বাইরে স্বাধীনভাবে কাজ করে।
পেশী ও কঙ্কালতন্ত্র একসাথে কাজ করে দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।
--------------------------------------------------------------
৯. প্রজননতন্ত্র মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এটি প্রধানত দুই প্রকার: পুরুষ প্রজননতন্ত্র এবং স্ত্রী প্রজননতন্ত্র। উভয় প্রজননতন্ত্রেই কিছু প্রধান অঙ্গ এবং সহযোগী অঙ্গ থাকে।
প্রজননতন্ত্রের প্রকারভেদ:
পুরুষ প্রজননতন্ত্র: এটি শুক্রাণু তৈরি, পরিবহন এবং যৌন মিলনের জন্য দায়ী।
স্ত্রী প্রজননতন্ত্র: এটি ডিম্বাণু তৈরি, নিষেক, ভ্রূণের বিকাশ এবং প্রসবের জন্য দায়ী।
এই অঙ্গগুলো একে অপরের সাথে মিলিতভাবে কাজ করে এবং প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

পুরুষ প্রজননতন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
শুক্রাশয় (Te**es): এখানে শুক্রাণু তৈরি হয়।
এপিডিডাইমিস (Epididymis): এখানে শুক্রাণু জমা ও পরিপক্ব হয়।
শুক্রনালী (Vas deferens): শুক্রাণু এখান থেকে শরীরের বাইরে বের হয়ে আসে।
পুরুষাঙ্গ (P***s): যৌন মিলনের সময় সঙ্গমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
শুক্রথলি (Seminal vesicles): গ্রন্থি যা বীর্য তৈরিতে সাহায্য করে।
প্রোস্টেট গ্রন্থি (Prostate gland): গ্রন্থি যা বীর্য তৈরিতে সাহায্য করে।
কাওপার্স গ্রন্থি (Cowper's gland): গ্রন্থি যা সঙ্গমের সময় পিচ্ছিল পদার্থ ক্ষরণ করে।

স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
ডিম্বাশয় (O***y): ডিম্বাণু তৈরি হয়।
ডিম্বনালী (Fallopian tube/Oviduct): ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে জরায়ুতে যায়।
জরায়ু (Uterus): এখানে ভ্রূণ বৃদ্ধি পায়।
যোনি (Va**na): যৌন মিলন এবং প্রসবের পথ।

সহযোগী অঙ্গ:
ভালভা (V***a): বাইরের অঙ্গ, যার মধ্যে রয়েছে মনস পিউবিস, ল্যাবিয়া মেজোরা, ল্যাবিয়া মাইনোরা, ক্লিটোরিস ইত্যাদি।
স্তন (Breasts): যা সন্তান জন্মের পর দুধ তৈরি করে।
-------------------------------------------------------------
১০. ত্বক (Skin) মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ এবং এটি আচ্ছাদন তন্ত্রের একটি অংশ। ত্বক প্রধানত তিনটি স্তরে গঠিত: এপিডার্মিস, ডার্মিস এবং হাইপোডার্মিস। এই স্তরগুলো ছাড়াও, ত্বকের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য অঙ্গ যেমন - চুল, নখ, এবং বিভিন্ন গ্রন্থি (যেমন ঘর্মগ্রন্থি ও তৈলগ্রন্থি) রয়েছে।
ত্বক তন্ত্রের অঙ্গসমূহ:
ত্বক (Skin): মানবদেহের বৃহত্তম অঙ্গ, যা বাহ্যিক পরিবেশ থেকে অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিস (Epidermis): ত্বকের সবচেয়ে বাইরের স্তর, যা সুরক্ষা প্রদান করে এবং ত্বকের রঙ নির্ধারণে সাহায্য করে।
ডার্মিস (Dermis): এপিডার্মিসের নিচে অবস্থিত স্তর, যা চুলের গোড়া ধারণ করে এবং এপিডার্মিসে পুষ্টি সরবরাহ করে।
হাইপোডার্মিস (Hypodermis): ত্বকের সবচেয়ে ভেতরের স্তর, যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
চুল (Hair): ত্বক থেকে উৎপন্ন এক ধরনের আঁশযুক্ত পদার্থ, যা ত্বককে উত্তাপ থেকে রক্ষা করে এবং সংবেদনশীলতা প্রদান করে।
নখ (Nails): হাতের আঙুল এবং পায়ের আঙুলের ডগায় অবস্থিত শক্ত প্লেট যা আঙুলকে রক্ষা করে।
গ্রন্থি (Glands): ত্বকের গ্রন্থিগুলির মধ্যে
১) ঘর্মগ্রন্থি (sweat glands) : ঘর্মগ্রন্থি ঘাম নিঃসরণের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
২) তৈলগ্রন্থি (sebaceous glands) : তৈলগ্রন্থি তেল নিঃসরণের মাধ্যমে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
এই অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে ত্বক তন্ত্র গঠন করে এবং শরীরের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
--------------------------------------------------------------
১১. লসিকা তন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো লসিকা, লসিকা বাহ, এবং লসিকা গ্রন্থি। এছাড়াও, টনসিল, থাইমাস, প্লীহা, অস্থিমজ্জা এবং কিছু নির্দিষ্ট টিস্যু লসিকা তন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজ করে।
লসিকা তন্ত্রের প্রধান অঙ্গগুলো হলো:
লসিকা (Lymph): এটি এক ধরনের স্বচ্ছ তরল যা রক্ত থেকে উৎপন্ন হয় এবং টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং রোগ প্রতিরোধকারী কোষ বহন করে।
লসিকা বাহ (Lymph vessels): এগুলি লসিকা বহনকারী নালী যা সারা শরীরে জালকের মতো বিস্তৃত।
লসিকা গ্রন্থি (Lymph nodes): এগুলি ছোট ছোট বিন্যাস্ত গ্রন্থি যা লসিকা নালীর পথে অবস্থিত এবং লসিকা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
টনসিল (Tonsils): এটি হল গ্রন্থি যা মুখ ও গলার পেছনের দিকে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
থাইমাস (Thymus): এটি বুকের মধ্যে অবস্থিত একটি গ্রন্থি যা লিম্ফোসাইট (এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা) তৈরিতে সাহায্য করে।
প্লীহা (Spleen): এটি পেটের বাম দিকে অবস্থিত একটি অঙ্গ যা রক্ত পরিশোধন করে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
অস্থিমজ্জা (Bone marrow): এটি হাড়ের ভিতরে অবস্থিত একটি নরম টিস্যু যা লিম্ফোসাইট সহ বিভিন্ন ধরণের রক্তকণিকা তৈরি করে।
কিছু নির্দিষ্ট টিস্যু (Certain tissues): অন্ত্রের (intestine) লসিকা কলা- যা MALT (mucosa-associated lymphoid tissue) নামে পরিচিত, এরাও লসিকা তন্ত্রের অংশ।
এই অঙ্গগুলো collectively, লসিকা তন্ত্র গঠন করে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ এবং তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(ছবিগুলো অনলাইন থেকে সংগৃহীত)
পিডিএফ ফাইল-৩এমবি
https://drive.google.com/file/d/1WTyry7S47D_Yxy2NX9oIne7LEfX3Z5YT/view?usp=sharing

ডাঃ মোঃ ফারুক আহমেদ
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

আর্কটিয়াম লাপ্পা (Arctium Lappa), অপর নাম-লাপ্পা মেজরঃএই ঔষধটি রক্তশোধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। জরায়ু-চ্যুতি, বন্ধ্যাত্ব ও ...
27/06/2025

আর্কটিয়াম লাপ্পা (Arctium Lappa), অপর নাম-লাপ্পা মেজরঃ
এই ঔষধটি রক্তশোধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। জরায়ু-চ্যুতি, বন্ধ্যাত্ব ও দুধের মত মূত্র রোগেও ঔষধটি বহু পূর্বে হইতে ব্যবহৃত হয়।
ডাঃ বার্ট বলেন- আর্কটিয়াম বৃক্ষের পাতার ক্বাথ কিছুদিন ব্যবহার করার পর উগ্রজাতীয় চর্মরোগ আরোগ্য হয়।
ডাঃ হেল্ বলেন– যাদের বারংবার ফোঁড়া হয় তাহাদিগকে এই ঔষধ সেবন করতে দিলে ফোঁড়া হওয়ার প্রবণতা দূর হয়ে থাকে।
ডাঃ ফ্যারিংটন বলেন-যে সকল একজিমা সর্বদা রসে ভিজে থাকে এবং উপরে সাদা সাদা মামড়ি পড়ে সেইসঙ্গে গ্রন্থি ফোলে তাতে এই ঔষধটি উপযোগী।
টিনিয়া-স্ক্যাপিটিস নামক চর্মরোগ যখন শিশুদের কানের পাশে বা মুখে আরম্ভ হয়ে মাথায় ছড়িয়ে পড়ে ও ঘায়ের উপর সাদা চটা পড়ে, তখন ডাঃ বার্ট আর্কটিয়াম প্রয়োগ করতে উপদেশ দেন।

আর্কটিয়াম গ্রীষ্মকালীন ফোঁড়ার জন্যও ফলপ্রদ ঔষধ। গ্রীষ্মকালে একটি একটি করে অনেকগুলি ফোঁড়া হয়ে পেকে শুকিয়ে গিয়া আবার নূতন করে ফোঁড়া বের হওয়া এটার নির্দেশক।

সদৃশ—আর্ণিকা – গ্রীষ্মকালীন ছোট ছোট ফোঁড়ায় আর্ণিকা উৎকৃষ্ট ঔষধ। উপকার না হলে আর্কটিয়াম দিবেন।
এম, ভট্টাচার্য
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

আর্ণিকার রোগীলিপি-১৯১৪-১৯১৮ সালের মধ্যে বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন একজন ফরাসি মহিলা টাইফয়েডের ভীষণ খারাপ অবস্থায় আমাদের হাসপাতা...
26/06/2025

আর্ণিকার রোগীলিপি-
১৯১৪-১৯১৮ সালের মধ্যে বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন একজন ফরাসি মহিলা টাইফয়েডের ভীষণ খারাপ অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আসেন। তার রোগ বেড়েই চলল। রোগের চরম অবস্থায় তিনি বলা শুরু করলেন-"আমি খুব ভাল আছি"। তাকে আর্ণিকা দেওয়া হল।
আর্ণিকায় একথাটির জন্য দুটি চমত্কার রুব্রিক আছে- Delusion, well he is (সে সুস্থ আছে/ভাল আছে এরূপ ভ্রান্তবিশ্বাস)।
Well, says he is when very sick (অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায়ও বলে সে ভালো/সুস্থ আছে)।
ডিলিরিয়ামও থাকতে পারে। রুব্রিক : Delirium, well declare she is (প্রলাপ, দাবি করে সে ভালো আছে)।
আর্ণিকার আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ রুব্রিক :
Fear, paralysis of (পক্ষাঘাতের ভয়)।
Fear, hurt of being (আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ভয়)।
Fear, touch of (স্পর্শের ভয়)।
Fear of being hurt (আঘাত বা চোট লাগার ভয়)।
Refuses, to take the medicine (ঔষধ খেতে অস্বীকার করে)।
Mood, repulsive, to take medicine (ঔষধ খেতে মেজাজ খারাপ হয়)।
Obstinate, headstrong , declares there nothing wrong with him (একগুয়ে, দাবি করে তার কিছু হয়নি)।
Irritability, send the doctor home, says he is not sick(খিটখিটে, ডাক্তারকে বাড়ি যেতে নির্দেশ দেয়,বলে সে অসুস্থ নয়)
Praying, quietly (নীরবে, অনুরোধ/প্রার্থনা/মিনতি করে)।
Dictatorial, command talking with air of (একনায়কসুলভ, কর্তৃত্বপরায়ণ/আদেশের সুরে কথা বলে)।
Flatterer (চাটুকার)।
Mood, repulsive (মেজাজ, বিরক্তিকর)।

কেন্ট আর্নিকা সম্পর্কে বলেছেন-"এটি একটি আশ্চার্যজনক ঔষধ কিন্তু এর সম্পর্কে ভুল বোঝা হয় এবং এটি অপব্যবহার হয়। কারণ এটি প্রায় কালশিরা চিকিত্সায় সীমিত ব্যবহার। রেপার্টরিতে আর্নিকার প্রায় ৫৯৪-টি রুব্রিক আছে। তাই এটিকে শুধু আঘাতের ঔষধ হিসেবে চিন্তা না করে আরো ব্যাপকভাবে চর্চা করা ও ব্যবহার করা উচিত।

আর্ণিকার রোগী বিষন্ন, সে একাকী থাকিতে চায়, সে চায় না যে কেহ তাহার সহিত কথা বলুক; কেহ তাহার কাছে আসুক। সে কাহাকেও কাছে আসিতে দিতে চায় না দুই কারণে, প্রথম তাহার মানসিক অবস্থা—সে কাহারও সহিত কথাবার্তায় প্রবৃত্ত হইতে চায় না, দ্বিতীয়তঃ তাহার দেহে অত্যন্ত ক্ষতবৎ বেদনা থাকার জন্য, সে চাহে না যে, কেহ তাহাকে স্পর্শ করুক। এই ঔষধে এই দুইটি বিশেষ লক্ষণীয় ব্যাপার। উত্তেজনাপ্রবণ, বিষন্ন, দুঃখিত, ভয়পূর্ণ, সহজেই ভীত; নানারূপ কল্পনা করে, বিশেষতঃ ভাবে যে, তাহার কোন হৃৎরোগ হইয়াছে অথবা তাহাকে পচনশীল ক্ষতরোগে মরিতে হইবে অথবা তাহাকে কোন গভীরমূল রোগে আক্রমণ করিয়াছে। সে বুকচাপা স্বপ্ন দেখে, ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখে, কর্দমাক্ত জল, দস্যু প্রভৃতির স্বপ্ন দেখে। রাত্রিকালে ভয় পায়। মাঝে মাঝেই সে রাত্রে জাগিয়া উঠে, হৃৎপিন্ডস্থানে হাত দিয়া চাপিয়া ধরে, অত্যন্ত ভয় পাওয়ার ন্যায় চেহারা হয়, ভয় করে, যেন কোন সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার ঘটিবে। এই সময় অকস্মাৎ তাহার মৃত্যুভয় দেখা দেয়, সে জাগিয়া উঠে, হৃৎপিন্ডস্থানটি চাপিয়া ধরে। এবং মনে করে যে, সে মরিতে চলিয়াছে। তাহার দুঃসহ কষ্ট হয়, কিন্তু অবশেষে সে প্রকৃতিস্থ হয়, শুইয়া পড়ে এবং ভীতিপূর্ণ নিদ্রা যায়, আবার অকস্মাৎ মৃত্যুভয়ে লাফাইয়া উঠে এবং বলেও “এখনই একজন ডাক্তার ডাকিয়া আন।” এই সকল লোক দিনের বেলায় বেশ ভাল থাকে, কিন্তু রাতের পর রাত এইরূপ চলিতে থাকে; ইহারা অপরের সহানুভূতি হারায়; কারণ, মনে হয় যে, তাহাদের বাস্তবিক কোন রোগ নাই, এটি তাহাদের মানসিক অবস্থা মাত্র। যে সকল লোক কোন রেল দুর্ঘটনায় পড়িয়াছিল অথবা কোন আকস্মিক সঙ্ঘাতের ফলে আহত হইয়া বেদনা ও চোট পাইয়াছিল, তাহাদের মধ্যেও এরূপ অবস্থা দেখা যায়। তাহারা রাত্রিকালে অকস্মাৎ মৃত্যুর ভয়ে জাগিয়া উঠে, চেহারাটি ভীতিপূর্ণ হইয়া উঠে এবং পূর্বে তাহারা যেরূপ ভয় পাইয়াছিল, সেইরূপ অবস্থারই পুনরাবির্ভাব হয়। ইহা ‘ওপিয়াম সদৃশ অবস্থা, কেবলমাত্র ‘ওপিয়ামের ক্ষেত্রে ভয়টি দিনের বেলাতেই থাকে আর আর্ণিকা উহার স্বপ্ন দেখে।
J.T. Kent
{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

Address

Sirajganj
6700

Telephone

+8801736945626

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sirajganj Online Homoeopathic School posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sirajganj Online Homoeopathic School:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category