06/12/2025
ছবিতে দেখছেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা, যার নাম ‘এলার্জি স্কিন টেস্ট (Allergy Skin Test)’।
আমরা অনেকেই বছরের পর বছর সর্দি, কাশি বা পেটের সমস্যায় ভুগি। আমরা ভাবি—“আরে, এই বুঝি ঠান্ডা লাগল” কিংবা "বাইরের খাবার খেয়ে পেট খারাপ হলো"। কিন্তু সব সময় দোষ আবহাওয়া বা জীবাণুর নয়, সমস্যাটা হতে পারে আপনার শরীরের নিজস্ব ‘ডিফেন্স সিস্টেম’ বা এলার্জির!
চিকিৎসা বিজ্ঞান যা বলে:
ডাক্তাররা সন্দেহভাজন কিছু এলার্জেন (যেমন—ধুলো, ফুলের রেণু, কোনো কেমিক্যাল বা খাবারের নির্যাস) চামড়ার ওপর বা সামান্য নিচে প্রয়োগ করেন। এরপর নাম্বারিং করে রাখা হয় দেখার জন্য যে, শরীর কোন উপাদানটিতে রিয়েক্ট করে (লাল হয়ে ফুলে যায় কি না)।
প্রধানত দুই ধরণের স্কিন টেস্ট হয়:
১. প্যাচ টেস্ট (Patch Test):
● এতে কোনো সুঁই ফোটানো হয় না!
● চামড়ার ওপর এলার্জেন লাগিয়ে বিশেষ টেপ দিয়ে
আটকে রাখা হয় (সাধারণত পিঠে)।
● এটি মূলত কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস (Contact
Dermatitis) বা চামড়ার এলার্জি ধরার জন্য করা
হয়। যেমন: হেয়ার ডাই, কসমেটিকস, সাবান বা
গয়নার মেটাল থেকে এলার্জি।
● ফলাফল পেতে ২ থেকে ৪ দিন সময় লাগে।
২. প্রিক টেস্ট (Prick Test):
● এতে খুব সামান্য সুঁইয়ের খোঁচা বা আঁচড় দেওয়া
হয়।
● এটি হাপানি (Asthma), ধুলোবালি বা খাবারের
এলার্জি (Type I Allergy) ধরার জন্য সেরা।
● মজার ব্যাপার হলো, মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই এর
রেজাল্ট পাওয়া যায়।
©