06/04/2025
# নাকের অ্যালার্জি #
এটি বাংলাদেশে খুব কমন একটি সমস্যা, যা পরিবেশের বিভিন্ন অ্যালার্জেন (অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ) দ্বারা সৃষ্টি হয়।
নাকের অ্যালার্জির প্রধান কারণ:
১. পরাগ রেণু (পোলেন)– গাছ, ঘাস, ফুলের পরাগ।
২. ধুলো ও মাইট – ঘরের ধুলো, বিছানার অতি ক্ষুদ্র মাইট।
৩. পশুর লোম বা খুশকি – বিড়াল, কুকুর, পাখির লোম/খুশকি।
৪. ফাঙ্গাস– স্যাঁতসেঁতে জায়গায় জন্মানো ছত্রাক।
৫. সিগারেটের ধোঁয়া, দূষণ ও রাসায়নিক গন্ধ – পারফিউম, ক্লিনিং প্রোডাক্ট।
৬. ঠান্ডা বা শুষ্ক বাতাস– আবহাওয়ার পরিবর্তন।
লক্ষণ:
- নাক চুলকানো বা বন্ধভাব।
- হাঁচি, সর্দি বা নাক দিয়ে পানি পড়া।
- চোখ লাল হওয়া, চুলকানি বা ফুলে যাওয়া।
- গলা বা কানে চুলকানি।
- ক্লান্তি ও মাথাব্যথা।
চিকিৎসা ও প্রতিকার:
১. অ্যালার্জেন এড়ানো:
- ধুলো-মাইট থেকে বাঁচতে বিছানা নিয়মিত পরিষ্কার করুন, কার্পেট কম ব্যবহার করুন।
- পশুদের থেকে দূরে থাকুন (প্রয়োজনে)।
- ধূমপান ও দূষিত এলাকা এড়িয়ে চলুন।
২. ঔষধ:
- অ্যান্টিহিস্টামিন (সেটিরিজিন, লোরাটাডিন) – হাঁচি-চুলকানি কমায়।
- নাকের স্প্রে (ফ্লুটিকাসোন, মোমেটাসোন) – প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- ডিকনজেস্ট্যান্ট (সিউডোইফেড্রিন) – নাকের বন্ধভাব কমায় (অল্প সময়ের জন্য)।
৩. প্রাকৃতিক উপায়:
- সলাইন নাকের ড্রপ– নাক পরিষ্কারে সাহায্য করে।
- স্টিম ইনহেলেশন– গরম পানির ভাপ নেওয়া।
- হাইড্রেশন– বেশি পানি পান করুন।
৫. দীর্ঘমেয়াদী সমাধান:
- ইমিউনোথেরাপি (অ্যালার্জি শট)– ধীরে ধীরে অ্যালার্জেনের প্রতি সহনশীলতা তৈরি করে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন?
- লক্ষণগুলি দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হলে।
- অ্যাজমা বা সাইনাস ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে।
অ্যালার্জি পুরোপুরি নির্মূল করা কঠিন, তবে সঠিক ব্যবস্থাপনায় এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।