10/02/2023
জিপিএ ফাইভ না পাওয়ার জন্য যে সকল বাবা মা কিংবা আত্মীয় স্বজন নিজেদের কিংবা তাদের আত্মীয় স্বজনের বাচ্চাদের অপদস্থ করছেন, আমার ধারনা এবং অভিজ্ঞতা বলে তাদের অধিকাংশই ব্যাক্তিগত শিক্ষাজীবনে চরম মাত্রায় ব্যার্থ ছিলেন। আপনাদের সময় এত্ত সুযোগ সুবিধা ছিলনা, দিয়াশলাই এর কাঠি জ্বালাইয়া তার আগুনে পড়েছেন, খাটের উপর তলা থেকে খাঠের নিচের তলায় বসে পড়েছেন, এমন কি মাঝে মধ্যে মাটির তলায় গিয়ে ও পড়েছেন, কিংবা চান্দি ফাটা রোদের মধ্যে বিশ চল্লিশ মাইল হাইটা, সাতরাইয়া কাত্রাইয়া ইসকুলে গেছেন, এই সব গাজাখুরি গল্প বাদ দেন।
আপনারা যা পারেন নাই আপনাদের বাচ্চা কাচ্চাদের উপর দিয়া এসব করাইতে যাইয়েন না। ত্রিশ চল্লিশ বছরের আগের জামানা আর এখনকার জামানা সেইম না। কেবল জিপিএ ফাইব একটা বাচ্চার ভবিষ্যৎ কোন ভাবেই নির্ধারন করতে পারে না,এই সহজ সত্য টা যত তারাতারি উপলব্ধি করতে পারবেন, দেশ ও জাতির জন্য ততই মংগল।
যে ছেলে বা যে মেয়ে ভাল গান গাইতে পারে, তাকে ওই দিকে ইনভেস্ট করেন, যে ভালো আর্ট করতে পারে তার মেধা অইদিকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিন, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন সহ বিভিন্ন আপডেডেট ফিল্ডে যাদের আগ্রহ তাদেরকে সেদিকে কাজ করতে দিন। আর যে আসলেই পড়াশোনা করতে চায়,রিসার্চার হতে চায়, সাইনন্টিস্ট হতে চায় তাদেরকে তাদের অনুকুল পরিবেশ তৈরি করে দিন। এতে করে দিন শেষে সবাই সুখি থাকবে। প্যাশন বলে যে একটা বিষয় আছে অইটা বুঝতে চেস্টা করুন।
সবাইকে এক কাতারে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার বানাইতে গিয়া বাচ্চা কাচ্চার জীবন ত্যানা ত্যানা বানাইতে যাইয়েন না । অন্যথায়, কেবল সরকারি চাকরির আসায় বর্তমান সময়ের মত ভবিষ্যতেও গ্রেজুয়েশন কিংবা, পোস্ট গ্রেজুয়েশন করা আয় রোজগারহীন, বেকার, নিদারুন অর্থকষ্টে ভোগা, জীবনের প্রকৃত সাধ উপলব্ধি থেকে বঞ্চিত হওয়া, চরম ভাবে মানসিক হতাশাগ্রস্ত, অসুস্থ সমাজের দায়ভার থেকে এই দেশ কখনো মুক্তি পাবে না।