27/09/2025
রুকইয়াহ করার পর সুস্থ হওয়ার লক্ষণগুলো ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হতে পারে। কারণ সমস্যাটা (হাসদ, সিহর, জ্বিনের প্রভাব, বা শুধুই মানসিক চাপ) যেমন ভিন্ন, তেমনি আরোগ্য লাভের ধরনও আলাদা হয়। তবে সাধারণভাবে কিছু ইতিবাচক লক্ষণ দেখা যায় যেগুলো থেকে বোঝা যায় যে আপনি সুস্থতার দিকে যাচ্ছেন বা সুস্থ হয়েছেন—
শারীরিক লক্ষণ
1. বেদনা ও ভারমুক্তি – বুক, মাথা, পেট বা শরীরের যেখানেই অস্বাভাবিক চাপ বা ব্যথা ছিল তা ধীরে ধীরে হালকা বা পুরোপুরি চলে যাবে।
2. স্বাভাবিক ঘুম – দুঃস্বপ্ন, আতঙ্ক বা রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যা কমে গিয়ে শান্তিতে ঘুম হবে।
3. শক্তি ফিরে আসা – শরীর হালকা লাগবে, দুর্বলতা ও ক্লান্তি কমবে।
মানসিক/আত্মিক লক্ষণ
4. মনের প্রশান্তি – মন অকারণে ভয় বা দুশ্চিন্তায় ভারাক্রান্ত থাকবে না; স্বস্তি ও শান্তি অনুভূত হবে।
5. ইবাদতে আগ্রহ বৃদ্ধি – নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির ইত্যাদিতে মন টানবে এবং এগুলো করতে কষ্ট লাগবে না।
6. রাগ, দুঃখ বা হঠাৎ মেজাজ খারাপ হওয়া কমবে – স্বাভাবিকভাবে ধৈর্যশীল ও হাসিখুশি বোধ করবেন।
আচরণগত লক্ষণ
7. নেগেটিভ চিন্তা কমে যাওয়া – আত্মঘাতী, ভয় বা হতাশাজনক চিন্তা দূর হবে।
8. সতর্ক মনোযোগ – কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়বে, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
9. সমাজ ও পরিবারে স্বাভাবিক মেলামেশা – একাকিত্ব বা অকারণ বিরক্তি কমবে।
⚡ মনে রাখবেন
রুকইয়াহ মানেই হঠাৎ অলৌকিকভাবে সব সমস্যা উধাও হয়ে যাবে এমন নয়।
কারো কারো ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়। কখনো আবার মানসিক চাপ বা শারীরিক অসুস্থতা (যেমন গ্যাস্ট্রিক, হরমোন, ডিপ্রেশন) থেকেও সমস্যা হতে পারে।
নিয়মিত নামাজ, দোয়া, সকাল-সন্ধ্যার আযকার চালিয়ে যেতে হবে, সুস্থতার পরও।
যদি শারীরিক বা মানসিক কোনো অসুস্থতা থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হবে।
আপনি যদি এরকম সমস্যার সম্মুখীন হোন, তাহলে দ্রুত অভিজ্ঞ রাক্বীদের মাধ্যমে ডায়াগনোসিস করে চেক করুন সমস্যা আসলে কী.? জ্বী*ন যা*দু বা বদনজরের কোনো ইফেক্ট আছে কি না, তা নিশ্চিত হোন।
ডায়াগনোসিস রুকইয়াহ করতে হোয়াটসঅ্যাপ: 01711-753835
বিস্তারিত জানতে ফলো করুন : Saleheen Life