25/07/2023
ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত রোগ এটি মুলত ডেঙ্গু ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়।
ডেঙ্গুর লক্ষণ:
ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হওয়ার প্রথম কিছু ঘণ্টায় পায়ে ও হাড়ের সংযোগস্থানে ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে। জ্বর খুব দ্রুত বেড়ে গিয়ে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হতে পারে। এসময় হৃদস্পন্দন হার ও রক্তচাপ কম থাকে। মুখমণ্ডলে লাল অথবা গোলাপী র্যাশ ওঠে, যা পরে অদৃশ্য হয়ে যায়। ঘাড় ও কুঁচকির লসিকাগ্রন্থি প্রায়সময় ফুলে থাকে।ডেঙ্গু জ্বর হলে,তা ডেঙ্গু জ্বর কিনা তা যে সব উপসর্গ দেখে বুঝতে পারবেন যেমন-
১। শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি পায়।
২। মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, পেটে ব্যথা, মাংসপেশি ও মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
৩। বমি বমি ভাব এবং বমি।
৪। রক্তচাপ হ্রাস, নাড়ির গতি দ্রুত হওয়া, ছটফট করা, শরীরে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট বা অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
৫। লালচে বা কালো রঙের পায়খানা হওয়া।
৬। চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ, চোখে রক্ত জমাট বাঁধা, নাক, মুখ, দাঁতের মাড়ি বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
৭। রোগী শিশু হলে অতিরিক্ত কান্না বা অস্থিরতা এমনকি অজ্ঞান হয়ে পড়া;
৮। শরীরে হামের মতো দানা দেখা দিতে পারে।
৯। হেমোরেজিক ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ এবং পেটে ও ফুসফুসে পানি জমতে পারে
ডেঙ্গুজ্বরে করণীয়:
আমাদের দেশে ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত জুন-জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্ষাকালে যে কোনো জ্বর হলেই আমাদের দেশে ডেঙ্গুর কথা মাথায় রাখতে হবে। সাধারণত এই জ্বর হয়ে থাকে অতিরিক্ত মাত্রার, ১০২ থেকে ১০৫ ফারেনহাইট। জ্বরের সঙ্গে আরও যেসব উপসর্গ থাকে, তা হলো তীব্র শরীরব্যথা, পিঠে এবং মাংসে ব্যথা, চোখের চারপাশে এবং পেছনে ব্যথা, বমি বমি ভাব অথবা বমি, পেটে ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্বাদের পরিবর্তন এবং গায়ে লালচে ভাব। এ সময় জ্বরে আক্রান্ত হলে কালক্ষেপণ না করে জ্বরের শুরুতেই প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু এনএসওয়ান টেস্ট করে নেওয়া প্রয়োজন। এর সঙ্গে প্রয়োজন CBC (সিবিসি), IgG (আইজিজি), IgM (আইজিএম), SGPT (এসজিপিটি), SGOT (এসজিওটি), Dengue NS1 etc টেস্ট করা। কারণ, এবার একটু দ্রুতই কিছু বুঝে ওঠার আগেই জটিলতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।