02/10/2025
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ডেইরি খামারিরা বিশেষ করে পাঞ্জাব, হরিয়ানার বাণিজ্যিক খামারিরা পিওর ব্লাড লাইন ছাড়া সিমেন ব্যবহার করে না। হোক সেটা এইচএফ অথবা জার্সি। অনেক খামারে তো প্রায় বিশ প্রজন্ম ধরে পিওর এইচএফ এর সিমেন থেকে জন্ম নেওয়া গাভিও আছে। ওইসব গাভী থেকেই তারা অনেকেই প্রথমবারই ৫৫ থেকে ৬০ লিটার দুধ উৎপাদন পাচ্ছে। আর পরিপূর্ণ বয়স্ক গাভী থেকে সর্বোচ্চ ৮২ লিটার দুধ পেয়েছে। এক লেকটেশনে ১৪ হাজার কেজি উৎপাদনক্ষম গাভী তৈরি করেছে। সবগুলো কিন্তু তাদের দেশেই জন্ম নেওয়া এবং জাত উন্নয়ন করা । এখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো তারা সব সময় অধিক জেনেটিক গুণমানসম্পন্ন আমদানিকৃত সিমেন ব্যবহার করে এই জায়গায় পৌঁছেছে।
পক্ষান্তরে আমাদের দেশে তৃতীয় প্রজন্ম তথা ৭৫% ব্লাড লাইনের বেশি অতিক্রম করাও পাপের সমতুল্য মনে করেন অনেকেই।আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের খামারীরা যদি পারে তাহলে আমরা তাদের মত পুরোপুরি না পারলেও তাদের ধারে কাছে তো যেতে পারবো, প্রথমবারই ৫৫/৬০ কেজি না হোক ৪০ থেকে ৪৫ কেজি তো আশা করতে পারি।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দেশে বর্তমানে কিছু খামারি তৈরি হয়েছে যারা এই পাপ কাজকরার সাহস দেখিয়েছেন, এবং তাদের খামারে প্রথমবারই ৩৫ থেকে ৪০ কেজি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন গাভী তৈরি হয়েছে।এই পাপীদের দলে আমিও আছি, আমাকে আমাদের দেশের কিছু বিজ্ঞানী এবং কিছু বিশেষজ্ঞ প্রতিনিয়ত ভয় দেখায় আপনি সপ্তম জেনারেশন পার হলেই ধ্বংসের মুখে পড়বেন, আমিও তাদেরকে বলেছি আল্লাহ যদি আমার ধ্বংস রাখে তাহলে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না আর যদি সফলতা রাখে তাও কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা। সকলের কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন আমাদেরকে সফলতার পথ দেখান।
Shahzadi Dairy Farm