13/04/2017
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত প্রতিটি হার্বালেরই রয়েছে নানা গুণ। অনেক সময় এক হার্বালের সঙ্গে অন্য হার্বালের গুণাগুণের ক্ষেত্রে কমবেশি মিলও খুঁজে পাওয়া যায়। ওলট কমল, ঘৃতকমল, ইসবগুল খেলে আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা নিরাময় হয়। ইসবগুল হাস্ক- জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উপাদান। অনেক স্থানে মানুষ এ উপাদানকে ইসাবগুল, ইসাবগুল ইত্যাদিও বলে থাকে। ইসবগুল যেমন সহজে পাওয়া যায় তেমনি অনেকেই এর সঙ্গে পরিচিতি। বিশেষ করে গরমের সময় বেশি চলে ইসবগুল। এটি সাশ্রয়ীও।
যার কোনো পার্শ্চপ্রতিক্রিয়া নেই। অথচ রোগ নিরাময়ে এর রয়েছে যাদুকরি গুণ।
ইসবগুল ডালপালাবিহীন এক ধরনের হার্বস। যা আবৃত্ত ছোট নরম লোম দ্বারা। ওষধি উপাদান হিসেবে ইসবগুল ব্যবহারের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে দেশে-বিদেশে, যেটাকে ইসবগুলের ভূষিও বলা হয়ে থাকে। এতে বিদ্যমান (পর্যাপ্ত পরিমাণে) মিউসিলেজ ও হলোসাইড প্ল্যানটিওসসহ বিভিন্ন ধরনের এমাইনো এসিড। এসব এসিডই আমাশয় দূর করে। আর এ হাস্ক বা ভূষি দূর করে কষা বা কোষ্ঠকাঠিন্য।
ইসবগুলের ভূষিতে রয়েছে কুলিং বা শান্তকারক ভূমিকা। এটি খেলে অন্ত্র ঠান্ডা বা শীতল থাকে।
অনেক সময় বেশি তেল ও মসলা জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে পেটে সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকরা ইসবগুল খাওয়ার পরামর্শ দেন। অনেকে তা নিয়মমাফিক খেয়ে উপকার পান। প্রায় ২-৩ টেবিল চামচ পরিমাণের ভূষি এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম দুধ বা ওই পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে দৈনিক এক থেকে দু'বার খাওয়া যেতে পারে।
তবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা একটু বেশি তারা দিনে তিনবারও তা সেবন করতে পারেন। এটি স্বাদ ও গন্ধহীন একটি ভেষজ উপাদান। দেখতে সাদা, হালকা ও ঝরঝরে শুকনো।
পেট ব্যথা বা এবডোমিনাল পেইন দেখা দিলে ইসবগুল খেলেও দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
যাদের পাইলস সমস্যা আছে তাদের ইসবগুলের ভূষি প্রতিদিন ৩-৪ বার খাওয়া উচিত।
এই ভূষি হজম শক্তিজনিত নানা সমস্যা দূর করে। ফলে ফিরে আসে শারীরিক সুস্থতা। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে মানসিক সুস্থতার ওপরও। সুস্থ-সবল থাকার জন্য হোম রিমেডি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ
এই উপাদান হতে পারে পরিবারিক চিকিৎসার অন্যতম উপকরণ। এর প্রতি কেজির দাম ৬০০-১,০০০ টাকা। কিনতে পাওয়া যায় সাধারণ মুদি দোকানে। তবে খাবেন যখন, ভালটাই খাবেন। দেখে শুনে কিনবেন আর নিজের হাতেই তৈরী করে খাবেন।
#ধন্যবাদ_সুস্থ_থাকুন_ভাল_থাকুন।