Good Health and Family Wellbeing.

Good Health and Family Wellbeing. Family Planning Department is responsible for implementing the FP-MCH Program throughout the country.

The page 'Family Planning for happy families' is controlled by Iftekhar Ahmed Chowdhury, Feni.It is about family planning, maternal and child health and adolescent health related matters. Bangladesh Ministry of Health and Family Welfare and Family Planning Directorate are responsible for formulating and executing policies and overall administrative guidance. The present Family planning services to Ensure safe motherhood including Emergency Obstetrics Care (EOC) services with provision of Skilled Birth Attendants (SBA), Increase male involvement in reproductive health especially in Family Planning, Increase acceptance of FP methods among low parity couples, Prevention of RTIs/STIs & HIV/AIDS etc. We are running our services from house to house at root level to national level. Around fifty thousand service providers and officials are doing their job to ensure FP-MCH needs of their clients. Family Planning Program has made remarkable progress over the last forty years due to continuous political commitment, innovative program approach, government and non-government collaboration, strong IEC program, method-mix cafeteria approach and commitment of the field-level functionaries. Our present vision is to achieve SDG goals and also HPNSP projection with our utmost efforts and with the support of all sorts of people of the society. We need support from all corners of the society other government, non-government organization. You may get any time FP-MCH supports by make a phone call to 16767 (Call centre number)

Directorate General of Family Planning
6 Kawran Bazar, Dhaka-1215, Bangladesh
Phone: +(88 02) 9119568, 9119463, 9119572, 9142642, 9135858
Fax: +(88 02) 9124523

19/11/2025

ফ্যাটি লিভারে যে খাবারগুলো ভুলেও খাওয়া যাবে না. সামান্য অসাবধানতাই লিভারকে নষ্ট করে দিতে পারে চিরতরে

আপনি কি জানেন ফ্যাটি লিভার পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোগগুলোর একটি? সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানবদেহে লিভার এমন একটি অঙ্গ যা চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে রক্ত পরিষ্কার করে, টক্সিন ফিল্টার করে, হরমোন ঠিক রাখে, হজম সম্পন্ন করে, শক্তি তৈরি করে। কিন্তু এই লিভারেই যখন চর্বি জমতে শুরু করে তখন শরীর নীরবে নষ্ট হতে থাকে। ভয়ংকর বিষয় হলো, ফ্যাটি লিভার প্রথম ৮০ শতাংশ নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত কোনো লক্ষণ প্রকাশ করে না।

ভয় আরও বাড়ে যখন জানা যায় যে মানুষের দৈনন্দিন খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে এমন কিছু উপাদান যা লিভারে চর্বি জমার সবচেয়ে বড় কারণ। খাবার ঠিক না থাকলে লিভারে ধীরে ধীরে ফ্যাট জমতে থাকে। এতে লিভার ভারী হয়ে যায়। রক্ত পরিষ্কার করতে পারে না। হজম দুর্বল হয়ে যায়। অ্যাসিডিটি বাড়ে। শরীরে ক্লান্তি আসে। ঘুম নষ্ট হয়। এমনকি হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, থাইরয়েড ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স পর্যন্ত তৈরি হয়।

গবেষণা বলছে পৃথিবীর মোট ফ্যাটি লিভার রোগীর ৬০ শতাংশই জানেই না যে তাদের এই সমস্যা আছে। কারণ ফ্যাটি লিভারের মূল কারণ খাবার। আর সঠিক খাবার এড়িয়ে যেতে পারলেই লিভার আবার আগের মতো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

এখন দেখে নিন কোন কোন খাবার ফ্যাটি লিভারে একদমই খাওয়া যাবে না।

সবচেয়ে বিপজ্জনক খাবার হলো সাদা চিনি। চিনি লিভারে সরাসরি চর্বি তৈরি করে। চিনি যখন রক্তে যায় তখন ইনসুলিন বাড়ে এবং লিভারকে জোর করে সেই অতিরিক্ত চিনিকে ফ্যাটে রূপান্তরিত করতে হয়। গবেষণা বলছে প্রতিদিন ৩ চামচের বেশি চিনি লিভারের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। এতে লিভারে ফ্যাট জমা হয় এবং সময়ের সাথে লিভার ফুলে যায়।

দ্বিতীয় বিপজ্জনক খাবার হলো ময়দা এবং ময়দাজাত খাবার। বিস্কুট, রুটি, নান, তন্দুরি, কেক, পাউরুটি, প্যাস্ট্রি এসব খাবার দ্রুত রক্তে গ্লুকোজ বাড়ায়। এতে ইনসুলিন বাড়ে এবং লিভারের ফ্যাট জমা দ্বিগুণ হয়। ফ্যাটি লিভারে ময়দা পুরোপুরি বন্ধ করা জরুরি।

তৃতীয় ভয়ংকর খাবার হলো ফাস্টফুড। বার্গার, পিজা, ফ্রাইড চিকেন, নুডলস, রোল, চিপস, সসেজ এসব খাবারে থাকে ট্রান্স ফ্যাট, কৃত্রিম রঙ, প্রিজারভেটিভ এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম। গবেষণা বলছে এই খাবারগুলো লিভারে প্রদাহ তৈরি করে। প্রদাহ বাড়লে লিভারের কোষ ভেঙে যায় এবং ফ্যাট দ্রুত জমে। এভাবেই ফ্যাটি লিভার থেকে সিরোসিস পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব।

চতুর্থ খাবার হলো কোল্ড ড্রিঙ্কস। কোল্ড ড্রিঙ্কস বা যে কোনো ফ্লেভার্ড পানীয়তে থাকে হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ। এটি লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু। ফ্রুক্টোজ এমন একটি চিনি যা লিভার ছাড়া শরীরের আর কোনো অঙ্গ ভাঙতে পারে না। তাই সমস্ত চাপ পড়ে লিভারের ওপর। লিভার যখন অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ সামলাতে পারে না তখন দ্রুত ফ্যাট জমতে শুরু করে।

পঞ্চম খাবার হলো ডিপ ফ্রাই ভাজাপোড়া। তেল বারবার ব্যবহার করে ভাজা খাবারে অ্যাক্রিলামাইড তৈরি হয় যা লিভারের কোষ নষ্ট করে। লিভারের কোষ নষ্ট হলে ফ্যাট জমে যায়। যারা প্রতিদিন ভাজাপোড়া খান তারা সবচেয়ে দ্রুত ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হন।

ষষ্ঠ খাবার হলো বহু প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবার। চিপস, নুডলস, সস, প্যাকেট স্যুপ, স্ন্যাকস, টোকেন খাবার এসবের ভিতরে থাকে সোডিয়াম, কেমিক্যাল, প্রিজারভেটিভ এবং ফ্যাট, যা লিভারের ভেতরে প্রদাহ বাড়ায়। লিভারের যেকোনো প্রদাহই ভবিষ্যতে ফ্যাটি লিভারকে খারাপ অবস্থায় ঠেলে দেয়।

সপ্তম বিপজ্জনক খাবার হলো অতিরিক্ত লাল মাংস। রেড মিট শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বাড়ায়। লিভার যখন এই ফ্যাট ভাঙতে পারে না তখন সেই ফ্যাট লিভারের ভেতর জমা হয়। এতে লিভার ফুলে যায় এবং কাজ ধীর হয়ে যায়।

আরও একটি গোপন সত্য হলো রাতে দেরি করে খাওয়া ফ্যাটি লিভারের সবচেয়ে বড় কারণ। লিভার রাতে বিশ্রাম নিতে চায়। কিন্তু রাত ১১টার পর খাবার খেলে লিভারকে টক্সিন ভাঙতে হয়। এতে ফ্যাট জমা শুরু হয়।

চমকপ্রদ তথ্য হলো, ফ্যাটি লিভার ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই উল্টানো সম্ভব যদি সঠিক খাবার খাওয়া যায়। তবে ভুল খাবার ছাড়ার আগে কোনো কিছুই কাজ করবে না। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানবদেহ এমনভাবে বানানো যেখানে লিভার নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে। কিন্তু এর জন্য ক্ষতিকর খাবার বন্ধ করতে হবে।

এখন সমাধানে আসি। ফ্যাটি লিভার হলে প্রথমেই বন্ধ করুন চিনি, ময়দা, ভাজাপোড়া, পিজা বার্গার, কোল্ড ড্রিঙ্কস, নুডলস। প্রতিদিন খাবেন ফল, সবজি, ডাল, বাদাম, লেবু পানি, কাঁচা রসুন, উষ্ণ পানি এবং উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার। এগুলো লিভারের প্রদাহ কমায় এবং চর্বি গলিয়ে ফেলে।

ফ্যাটি লিভার কোনো সাধারণ অসুখ নয়। এটি ধীরে ধীরে লিভারের কোষ মেরে ফেলে। লিভার পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার আগেই সচেতন হোন। আপনার লিভারই আপনার জীবন। লিভার সুস্থ মানে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সুস্থ।

আজ থেকেই ভুল খাবার বাদ দিন। সঠিক খাবার খান। এবং সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এই দেহকে তার স্বাভাবিক ছন্দে চলতে দিন। এতে লিভার আবার শক্তিশালী হবে এবং আপনি ফিরে পাবেন সুস্থ জীবন।

18/11/2025

আজীবনেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না. ঔষধ কিনে না খেয়ে প্রতিদিন পাঁচটি খাবার খেলেই হাড় থাকবে লো*হার মতো শক্ত

আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি কোথায় লুকিয়ে আছে? উত্তর হলো হাড়ে। হাড় শুধু শরীরকে দাঁড় করিয়ে রাখে না, বরং রক্ত তৈরি করে, স্নায়ুর কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, দাঁতকে শক্ত রাখে এবং পুরো শরীরকে নিরাপদ রাখে। কিন্তু ভয়ংকর সত্য হলো, আজকের যুগে ৩০ বছর পার হওয়ার পর থেকেই মানুষের হাড় দ্রুত দুর্বল হয়ে যায়। ক্যালসিয়াম কমে যায়। হাড়ের ঘনত্ব নষ্ট হয়ে যায়। হাঁটু ব্যথা, কোমর ব্যথা, কাঁধে ব্যথা, হাড় ভাঙা, দাঁত নরম হয়ে যাওয়া—এসব সমস্যাই দেখা দিতে থাকে।

আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, অনেকেই মনে করেন শুধু বৃদ্ধ বয়সে ক্যালসিয়াম কমে। কিন্তু গবেষণা বলছে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সেই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি শুরু হয়ে যায়, যদি সঠিক খাবার না খাওয়া হয়। অনেকে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি টেরই পান না। মাথা ঘোরা, হালকা ব্যথা, দাঁতে সংবেদনশীলতা, নখ ভেঙে যাওয়া, পেশীতে টান—এসবই ক্যালসিয়াম কমার নীরব সংকেত।

চমকপ্রদ তথ্য হলো, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খায় কিন্তু তবুও ক্যালসিয়াম ঘাটতি কমে না। কারণ ট্যাবলেটে থাকা ক্যালসিয়াম শরীর পুরোপুরি শোষণ করতে পারে না। বরং অতিরিক্ত ট্যাবলেট কিডনিতে জমে পাথর পর্যন্ত তৈরি করে। প্রকৃত ক্যালসিয়াম আসে খাবার থেকে, যা শরীরে সহজে শোষিত হয় এবং হাড়কে ভিতর থেকে শক্ত করে।

গবেষণা বলছে প্রতিদিন পাঁচটি নির্দিষ্ট খাবার খেলে সারা জীবনে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না। এই খাবারগুলো শুধু ক্যালসিয়ামই দেয় না, সাথে দেয় ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়াম এবং প্রাকৃতিক মিনারেল যা ক্যালসিয়ামকে হাড়ে স্থায়ীভাবে ধরে রাখে।

প্রথম খাদ্য হলো তিল। ছোট্ট এই বীজে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ দুধের চেয়েও বেশি। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্ক হাড়কে পুনর্গঠন করে। গবেষণা বলছে প্রতিদিন এক চামচ তিল খেলে হাড়ের ঘনত্ব ১২ শতাংশ বাড়ে। এটি হাঁটু ও কোমরের ব্যথা কমাতে অসাধারণভাবে কাজ করে।

দ্বিতীয় খাদ্য হলো ছোলা। ছোলায় থাকে উচ্চমানের ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ফাইবার। ছোলা শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায়। যারা নিয়মিত ছোলা খায় তাদের হাড়ের শক্তি দীর্ঘদিন বজায় থাকে। ছোলার ক্যালসিয়াম এমনভাবে কাজ করে যা কোনো ট্যাবলেট করতে পারে না।

তৃতীয় খাদ্য হলো কাঁচা দই। দই হলো এমন একটি খাবার যা ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি দেয় ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি না থাকলে ক্যালসিয়াম কখনোই হাড়ে পৌঁছাতে পারে না। গবেষণা বলছে দই খাওয়া মানুষের হাড় তুলনামূলক ৪০ শতাংশ বেশি শক্তিশালী হয়। যারা প্রতিদিন দই খান তাদের হাড় ভাঙার ঝুঁকি অনেক কম।

চতুর্থ খাদ্য হলো মরিঙ্গা পাতা, যাকে অনেকে সজিনা পাতা বলে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর শাকগুলোর এক নম্বর। এতে দুধের চেয়ে ৭ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম আছে। এতে থাকা আয়রন, ভিটামিন সি এবং অ্যামিনো অ্যাসিড হাড়কে মজবুত করে। গবেষণা বলছে মরিঙ্গা নিয়মিত খেলে অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

পঞ্চম খাদ্য হলো খেজুর। খেজুরে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস মিলেমিশে হাড়কে পুনর্গঠন করে। যারা বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুর্বল হয়ে পড়েন তারা নিয়মিত খেজুর খেলে হাড়ের শক্তি ফিরে পান। খেজুর হরমোন ঠিক রাখে এবং শরীরকে প্রদাহমুক্ত করে। প্রদাহ কমলে হাড়ের ব্যথাও কমে যায়।

সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানবদেহ ক্যালসিয়াম জমা করে রাখে না। প্রতিদিন খাবার থেকে ক্যালসিয়াম নিতে হয়। আপনি যদি প্রতিদিন এই পাঁচটি খাবার খান তাহলে আপনার হাড় লোহার মতো শক্ত থাকবে। বয়স যতই বাড়ুক না কেন আপনার হাড় দুর্বল হবে না। হাঁটুর ব্যথা, কোমরের ব্যথা, পেশীর টান এসব সমস্যা কমে যাবে।

গবেষণা বলছে, খাবারের মাধ্যমে নেওয়া ক্যালসিয়াম শরীর ৭৫ শতাংশ শোষণ করতে পারে, যেখানে ট্যাবলেট থেকে পাওয়া ক্যালসিয়ামের শোষণ মাত্র ২০ শতাংশ। তাই আজ থেকেই খাবারই হোক আপনার শক্তির উৎস। ওষুধ নয়, প্রকৃত খাবারই আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ রাখবে।

হাড়ের স্বাস্থ্য বাড়ানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রোদে থাকা। সূর্যের সকালের আলোতে পাওয়া ভিটামিন ডি ক্যালসিয়ামকে হাড়ে ধরে রাখে। যারা রোদে থাকে না তাদের ক্যালসিয়াম কোনোভাবেই স্থায়ী হয় না। তাই প্রতিদিন ১৫ মিনিট রোদে দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক।

আপনার হাড় আপনার জীবনের ভিত্তি। এগুলো দুর্বল হলে পুরো শরীর ভেঙে পড়ে। তাই খাবারে ক্যালসিয়াম রাখুন। তিল, ছোলা, দই, মরিঙ্গা ও খেজুর—এই পাঁচটি খাবারকে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন। এতে আপনার হাড় শক্ত থাকবে, দাঁত ভালো থাকবে, পেশী শক্ত হবে এবং সারা জীবনে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আর কখনোই হবে না।

30/09/2025

১. বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মানুষের প্রথম হার্ট এটাক হওয়ার বয়স সাধারণত ৫১/৫২ বছর। অথচ ইউরোপ-এমেরিকায় সাধারণত এটি ৬৫ বছরের আশাপাশে গিয়ে হয়।

২. সাধারণ মানুষ তো বটেই হার্টের রোগীরাও ডিম খেতে পারবে। কুসুমসহই খাবে। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন, কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট। দুটোই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী ও প্রয়োজনীয়। তবে পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে।

৩. হার্টের রোগীদের গরু ও খাসির মাংস খাওয়া যাবে। তবে অল্প পরিমাণে খেতে বলা হয়। ঝোল যতোটা সম্ভব কম খেতে হবে। অনেকে বলে থাকে, আমি মাংস খাই না, শুধু মাংসের ঝোল দিয়ে রুটি খাই। এটা বরং আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে। যে বেলায় রেড মিট খাবে, সে বেলায় চিনি/মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

৪. হার্টের রোগীদের লবণ পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে। রান্নায় কম লবণ ব্যবহার করতে হবে। পাতে আলাদা করে লবণ খাবার অভ্যেস পরিহার করতে হবে। যেসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে যেমন : চিপস, ফাস্ট ফুড ইত্যাদির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কাঁচা লবণ, পাকা লবণ, ভাজা লবণ, টালা লবণ--সব লবণই ক্ষতিকর।

চিনিকে বলা হয় হোয়াইট পয়জন। এটি যতো কম খাওয়া যাবে ততোই মঙ্গল। অতিরিক্ত ভাত, রুটি, নুডলস, পাস্তা খাবার প্রবণতা কমাতে হবে। এগুলো ডায়াবেটিস ডেকে আনতে পারে।

৫. সেদিন সিসিউতে রাউন্ডে গিয়ে দেখি ২৫, ২৮ ও ৩০ বছর বয়সী ৩ জন পুরুষ একইদিনে গুরুতর হার্ট এটাক নিয়ে শুয়ে আছে। এমন কম বয়সী হার্ট এটাকের রোগী অহরহই পাওয়া যাচ্ছে। এদের না আছে ডায়াবেটিস, না আছে হাই ব্লাড প্রেশার, না আছে রক্তে অত্যধিক কোলেস্টেরল, না অতিরিক্ত ওজন, না অপরিশ্রমী। তাহলে কেন এমন বড়ো হার্ট এটাক? এর মূল কারণ ধূমপান। ধূমপান যে কী ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনা তা কল্পনাই করা যায় না।

ধূমপান ছাড়ার কোনো বিকল্প নেই। ধূমপান ছাড়ার দুই বছরের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে।

৬. এক সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট হাঁটতে হবে।

-তার মানে হচ্ছে কেউ যদি ৩০ মিনিট করে হাঁটে, তবে সপ্তাহে ৫ দিন হাঁটতে হবে।

-১ দিন পরপর হাঁটলে ৫০ মিনিট করে হাঁটতে হবে।

-একসাথে টানা দুদিন বা ৪৮ ঘণ্টা হাঁটা বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।

- একনাগাড়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট না হাঁটলে সাধারণত সেটাতে কোনো উপকার হয় না।

একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, হাঁটা শুরু করার সাথে সাথেই খুব জোরে হাঁটা শুরু না করতে বলা হয়ে থাকে। কেউ যদি ৩০ মিনিট হাঁটে, তাহলে প্রথম ৫-৭ মিনিট ওয়ার্ম আপ করে নেবে, তারপরের ১৫-২০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটবে, আবার তারপরের ৫-৭ মিনিট ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে নিয়ে আসবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরকে এডজাস্ট হবার সময় না দিয়ে সাথেসাথেই হাঁটা শুরু করা যাবে না। এতে হার্ট এটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। সকালের চেয়ে বিকেল/সন্ধ্যায় হাঁটাকে অনেক গবেষণা বেশি উপকারী হিসেবে বিবেচনা করে।

রিসেন্ট গাইডলাইনগুলোতে রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং-এর ব্যাপারটি আলাদা করে উঠে এসেছে। কম সময়ে খুব ভালো বেনিফিট দিতে পারে এটি।

৭. রাত তিনটা থেকে সকাল নয়টা--এই সময়টুকুতে হার্ট এটাক ও স্ট্রোক হবার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।

৮. বুকে তীব্র ব্যথা,

কিংবা এমন বুকে চাপ যেন বুকের ওপর একটা পাথর বসে আছে,

ব্যথা/চাপ কিছুতেই কমে না,

ব্যথা ছড়িয়ে যাচ্ছে চোয়ালে, গলায়, বাহুতে, পিঠে, পেটের উপরিভাগে।

প্রচণ্ড ঘাম দিচ্ছে শরীর।

খুব বমি বমি ভাব কিংবা বমি হয়ে গেছে।

শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।

আগে বুকে ব্যথা উঠলে বিশ্রাম নিলে বা জিহবার নিচে স্প্রে দিলে কমে যেতো আজ কিছুতেই কমছে না।

মনে হচ্ছে মারাই যাবে। এগুলো সবই হার্ট এটাকের লক্ষণ।

এমন লক্ষণ দেখা দিলে প্রথম কাজটিই হবে, যতো দ্রুত সম্ভব হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গিয়ে একটি ইসিজি করা। এর-ওর সঙ্গে নানা পরামর্শ করে সময়ক্ষেপণ করা, মনে হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ঠিক হয়ে যাবে এই ভেবে শুয়ে থাকা, এমনকি চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে গিয়েও সময় নষ্ট করা উচিত না। সরাসরি ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টে।

৯. টাইম ইজ মাসেল। হার্ট এটাক হবার পর যতো সময় যায়, ততো হার্টের মাংসপেশি নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।

যতো তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যায়, ততোই সফলতার সম্ভাবনা বাড়ে এবং জটিলতা তৈরি হবার সম্ভাবনা কমে। দেরি করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে অনেকক্ষেত্রেই ভালো চিকিৎসা অপশনের সুযোগ কমে আসে। যেমন: প্রাইমারি পিসিআই বা থ্রম্বোলাইটিক বারো ঘন্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলে সাধারণভাবে দেওয়া যায় না।

সময়মতো আসতে পারলে সর্বাধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে ক্যাথ ল্যাবে রোগীকে নিয়ে ব্লক থাকলে তা খুলে দেওয়া/রিং স্থাপন করে ফেলা। বাংলাদেশের খুব কম হসপিটালেই এটি সম্ভব।

সেক্ষেত্রে থ্রম্বোলাইটিকস-ই প্রধান চিকিৎসা হয়ে ওঠে। টেনেকটিপ্লেজ সেক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে রোগীর সামর্থ্য থাকলে। উন্নত বিশ্বে নানা কারণে স্ট্রেপটোকাইনেজ এখন আর ব্যবহৃত হয় না।

১০. হার্টের রোগ থেকে বাঁচতে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, ডিজলিপিডেমিয়া (অতিরিক্ত কোলেস্টেরল) ও ওবেসিটির যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে।

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস।
মহান আল্লাহর কাছে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

ডা. মারুফ রায়হান খান
কার্ডিওলজিস্ট
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ফাউন্ডার, NextGen Clinicians
অনলাইন কনসাল্টেশন : 01936533993 (WhatsApp)

26/09/2025

বছরে অন্তত একবার হলেও লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করুন।
📥📥📥📥📥📥📥

লিপিড প্রোফাইল টেস্ট কি ?

এটা হচ্ছে সোজা বাংলায় কোলেস্টেরল টেস্ট। তিন ধরণের কোলেস্টেরল চেক করা হয় এই টেস্টে।

HDL - high-density lipoprotein . ঘণ চর্বি (সোজা বাংলায়)
LDL - ligh-density lipoprotein বা সোজা বাংলায় পাতলা চর্বি।
triglycerides - ট্রাইগ্লিসারাইড

ঘণ চর্বি বেশি থাকলে ভালো। পাতলা চর্বি বেশি থাকা খারাপ। ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি থাকা আরো খারাপ।

HDL বা ঘণ চর্বি থাকে পরিমিত পরিমান ঘিয়ে, বাদামে, ওমেগা ত্রি যুক্ত ডিম, ফ্যাটি এসিড বিশিষ্ট মাছ (তৈলাক্ত মাছ)

LDL বা পাতলা চর্বি বাড়ে বিভিন্ন ভাঁজা পোড়া, ফাস্ট ফুড (পিজ্জা, বার্গার শর্মা ইত্যাদি), ট্রান্সফ্যাট বিশিষ্ট খাবার খেলে। ট্র্যান্স ফ্যাট থাকে সয়াবিন তেলে। তাই এই তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া ঠিক না। সরিষার তেল ব্যবহার করুন।

HDL এবং LDL সম্পর্কে এগুলা হয়তো অনেকেই জানেন, তাই আর বিস্তারিত বললাম না।

বিস্তারিত বলব ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ে। এটা কি ? এটা হচ্ছে এমন একটা ফ্যাট যেটা শরীরের থাকা অতিরিক্ত চিনি বা শর্করা জমিয়ে রাখে যদি তা ব্যবহৃত না হয়।

তাই, আপনি যেই ভাত খাচ্ছেন, মিষ্টি খাচ্ছেন, কেক, বিস্কিট চানাচুর ইত্যাদি খাচ্ছেন, এগুলার মাধ্যমে যেই ক্যালরি নিচ্ছেন (চিনি, শর্করা এগুলা সবই ক্যালরি), চিন্তা করে দেখুন তো সেই পরিমাণ কাজ কি আমরা আসলেই করি ? উত্তর হচ্ছে, না। আমরা বেশিরভাগই ডেস্কজব করি, কিংবা হোমমেকিং করি। অথব আমরা যেই পরিমানে খাই, সাধারণত রিকশা টানা বা কৃষিকাজ বা কুলির কাজ করা ছাড়া এই এনার্জি ব্যয় করা সম্ভব না।

ট্রাইগ্লিসারাইড কেন বেশি খারাপ
ট্রাইগ্লিসারাইড শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরির স্টোরেজ ফ্যাট, যা মূলত ফ্যাট সেল ও লিভারে জমে। লিভারে জমে হলে ফ্যাটি লিভার হয়। আর রক্তে বেশি ট্রাইগ্লিসারাইড থাকলে তা LDL কণার মাধ্যমে ধমনীর দেয়ালে প্লাক জমায়, যা হার্ট ব্লক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাভাবিক সীমার বাইরে যেতে দেয়া যাবে না। ট্রাইগ্লিসারাইডেক অতিরিক্ত মাত্রা HDL কমায় এবং LDL বাড়ায়।

পরিমিত মাত্রা কতটুকু ?
১৫০ এর কম থাকলে তা পরিমিত।
১৫০-১৯৯ এর মধ্যে থাকলে তা বর্ডারলাইন হাই। এতে ভবিষ্যতে হার্ট ও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়তে শুরু করে (আল্লাহ না করুন)
২০০-৪৯৯ঃ হাই। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ফ্যাটি লিভার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি।
৫০০ এর উপরেঃ খুবই বেশি। প্যানক্রিয়াটাইটিস, মারাত্মক হার্ট ও লিভার সমস্যা হতে পারে।

ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে কার্যকরী খাবারঃ
গ্রিন টি
মেথি বীজ
ফ্ল্যাক্সসিড
রসুন
পেয়াজ
কালিজিরা (সীমিত পরিমাণে)
শাকসবজি:
শাক (পালং, লাল শাক, পুঁই শাক), সবুজ শাকসবজি, বরবটি, করলা, লাউ, মুলা, শসা, ফুলকপি, বাঁধাকপি), গাজর, বেগুন, কুমড়া
ফল (সীমিত পরিমাণে)ঃ কমলা, মাল্টা, আপেল, পেয়ারা, জাম, বেরি জাতীয় ফল, কলা ও আম সীমিত, কারণ এগুলোতে চিনি বেশি।
প্রোটিনঃ মাছ (বিশেষ করে নদীর ছোট মাছ, ইলিশ/রুই/কাতলা তেলে ভেজে নয়, সেদ্ধ/ঝোল/গ্রিল), মুরগির বুকের মাংস (চামড়া ছাড়া), ডাল, ছোলা, মসুর, ডিমের সাদা অংশ
তেল: সীমিত পরিমাণে অলিভ অয়েল, সরিষার তেল বা সয়াবিন তেল। দিনে মোট ২–৩ চামচের বেশি তেল খাবেন না
কার্বোহাইড্রেট (শর্করা): লাল চাল/আটা/ওটস/ডালিয়া, ব্রাউন ব্রেড (সীমিত)
আর প্রচুর পানি খাবেন।
বাদাম খাবেন (কাঠ বাদাম, আখরোট) তবে পরমানমত।

যা এভয়েড করবেনঃ
ভাজা-পোড়া খাবার (সিঙ্গারা, সমুচা, পুরি, পরোটা, ফাস্টফুড)
ঘি, মাখন, কেক, বিস্কুট, চকলেট, চানাচুর
লাল মাংস (গরু, খাসি)
চিনিযুক্ত খাবার (মিষ্টি, আইসক্রিম, কোমল পানীয়, মিষ্টি দুধ, কেক)
বেশি চাল, আলু, নুডলস, পাস্তা
ধুমপান (যদি কেউ খান, সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে)

আরেকটা কথা, অনেকেই ডায়েটিং করে জিরো ফিগার করে ফেলেন। শরীরের মাংস চর্বি কিছুই থাকে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ওজন অনুযায়ী শরীরে মাংস থাকা কিন্তু ভালো। কারণ, আপনি যদি অতিরিক্ত চিনি/কার্ব ইনটেক করেন, তবে অতিরিক্ত চিনি লিভার বা ধমনীতে জমার আগেই রক্তের মাধ্যমে মাংস তা নিজের মধ্যে শুষে নেয়। ফলে লিভারে জমার জন্য এক্সট্রা চিনি আর অবশিষ্ট থাকে না বা কম থাকে। (অবশ্যই মাংসের একটা ধারণক্ষমতা আছে, চিনির লিমিট তার বাইরে গেলে তা লিভারে জমবে)

এছাড়া
সাইক্লিং, সাতার, ব্যায়াম, ফুটবল বা অন্যান্য খেলাধুলা
প্রতিদিন ৩০–৪৫ মিনিট হাঁটা
ওজন নিয়ন্ত্রণ (যদি বেশি থাকে)
রাতে দেরি করে খাওয়া কমান
নিয়মিত ঘুম (৬–৮ ঘণ্টা)

পরিশেষে বলতে চাই, রোগ ধরা পড়ার আগে সচেতনতাই কাম্য।
কারণ, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।

ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে মেথি🎗️🎗️🎗️🎗️🎗️🎗️🎗️একসঙ্গে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‍জুড়ি নেই মেথির। প্রতিদ...
29/12/2024

ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে মেথি
🎗️🎗️🎗️🎗️🎗️🎗️🎗️

একসঙ্গে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ‍জুড়ি নেই মেথির।
প্রতিদিন সকালে এক চামচের তিন ভাগের এক ভাগ পরিমাণ মেথি গুড়ো খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে, এছাড়া প্রতিবেলা খাওয়ার আগে ওই একই পরিমাণ মেথি গুড়ো খেলে তা ইনসুলিনের মতোই কাজ করবে। কেননা, মেথিতে থাকা অ্যামিনো এসিড ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। আবার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায় মেথি। এর পটাশিয়াম, শরীরকে বাড়তি সোডিয়ামের হাত থেকে বাঁচায়। এতে করে হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

Galactomannan, a natural soluble fibre present in fenugreek slows down the rate of sugar absorption into blood. Fenugreek also contains amino acid responsible for inducing the production of insulin. It lowers the risk of heart attack. It is also an excellent source of potassium which counters the action of sodium to help control heart rate and blood pressure.

26/12/2024

হঠাৎ হার্ট এটার্ক হলে বাঁচবেন কিভাবে ?

(পোস্টটি শেয়ার করুন, বাঁচাতে পারেন একটি জীবন)

মনে করুন, সন্ধ্যা ছয়টার সময় একা একা বাড়িতে বসে আছেন। বাসার মানুষেরা অন্য কামরাতে বসে টিভি দেখছে। হঠাৎ করে আপনার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলো এবং সেই ব্যথা যেন আস্তে আস্তে করে আপনার নিচের চোয়ালের দিকে হেঁচড়ে আসা শুরু করলো! আপনার কাছাকাছি কেউ নেই। আপনি বুঝতে পারছেন, আপনার হৃদপিণ্ডে ক্রিয়া বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। এখন আপনি কি করবেন??
হার্ট এটাক হবার ফলে অধিকাংশ সময় মানুষ মারা যান, কারণ তারা একা থাকেন। অন্য কারো সাহায্য ছাড়া তাদের বুকের ওপর পাম্প করে হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন সম্ভব হয় না এবং ব্যথা শুরু হবার পরে অজ্ঞান হয়ে যাবার আগ পর্যন্ত সাধারণত তাদের হাতে ১০ সেকেণ্ড সময় থাকে ।
এমতাবস্থায় বুকে ব্যথার শিকার ব্যক্তি নিজেকে সাহায্য করতে পারেন বারংবার জোরে জোরে উচ্চস্বরে কাশি দিয়ে।
- লম্বা করে শ্বাস নিন। আর কাশি দিন।
- শ্বাস – কাশি, শ্বাস – কাশি’ এই প্রক্রিয়া প্রতি দুই সেকেণ্ডে একবার করে করতে থাকুন, যতক্ষণ না কেউ আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসে অথবা যতক্ষণ আপনার হৃদযন্ত্র একা একাই স্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হতে থাকে।
- লম্বা করে শ্বাস নেবার ফলে আপনি পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাবেন। আর কাশির ফলে আপনার হৃদযন্ত্র সংকোচন প্রসারণ হবে যার ফলে আপনার হৃদপিণ্ডের ভিতর দিয়ে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
- এভাবে কয়েকবার কাশির ফলে উৎপন্ন সংকোচন-প্রসারণে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক, স্বয়ংক্রিয় স্পন্দনে ফিরে আসতে সহায়তা করে৷
এরপরে অপর কোনো ব্যক্তির সাহায্যে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছতে চেষ্টা করুন৷

বিষয়টি সবাইকে শিখিয়ে দিন৷ সাহায্যহীনভাবে আর একটি প্রানও যেন না হারাতে হয়৷

অপারেশনের রোগিকে এনেস্থেসিয়া প্রদানে ঔষধের গুণগতমান নিশ্চিকরণে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নির্দেশনা
01/04/2024

অপারেশনের রোগিকে এনেস্থেসিয়া প্রদানে ঔষধের গুণগতমান নিশ্চিকরণে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নির্দেশনা

08/10/2023

আপনি কি জানেন, হিউমান পাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকার একটি ডোজ মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে❓

তাই শুরু হয়েছে এইচপিভি টিকাদান ২০২৩। 💉

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এই টিকা বিনামুল্যে প্রদান করা হবে। প্রাথমিক ভাবে ঢাকায় এবং এর পরে অন্যান্য জেলায় এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

সময়মত টিকা নিতে আজই নিবন্ধন করুন এই লিংকে 👇
https://vaxepi.gov.bd/

W/ Ministry of Health and Family Welfare Directorate General of Health Services World Health Organization Bangladesh Gavi, the Vaccine Alliance EPI Bangladesh

08/09/2023

Address

Maijdee, Noakhali, Maijdee Court
Maijdee Court

Telephone

+88033161179

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Good Health and Family Wellbeing. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Good Health and Family Wellbeing.:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram