06/10/2025
🌊 সমুদ্র পথে সাহায্য দেখেই যারা প্রশ্ন তোলে “হুজুররা কই?”
প্রিয় ভাই! ফিলিস্তিনের প্রতি মমতা শুধু সাগরপথে পাঠানো সাহায্যের প্যাকেটের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথ সবই এর অন্তর্ভুক্ত।
সুমূদ ফ্লোটিলায় বাংলাদেশের কোনো আলেমের অংশ না নেওয়া নিয়ে বামপন্থী দলগুলোর টিটকারি চোখে পড়ার মতো ছিল। আরও বেদনাদায়ক হলো প্রায় দুই বছর পর হঠাৎ কিছু ভাইয়ের কুটিল ও সংকীর্ণ মনোভাব প্রকাশ পাওয়া। এবং দীর্ঘ দুই বছরে মাত্র একটা কাজ করে অন্যকে তাচ্ছিল্য করা! এর বিপরীতে প্রায় ২ বছর পূর্বে ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ঈ. তারিখে BPFO-এর সাবেক সভাপতি ও একজন আলেমের ভারসাম্যপূর্ণ বক্তব্য স্মরণযোগ্যঃ
❝আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দেশবাসী! আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের পতাকা সম্বলিত গাড়ি। আপনাদের দান, ভালোবাসা শীঘ্রই......একটা গাড়ির স্থানে যদি আমাদের ১০ টা গাড়ি থাকতো খুব ভালো লাগতো। এই গাড়িগুলো যখন সিরিয়াল দিয়ে গাযযার দিকে যেত তখন আমাদেরও খুব ভালো লাগতো যে, বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ, প্রতিটা ঘরানার মানুষ, ধারনা-বিশ্বাসের মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে আছে।❞
এখানেই শালীনতা, সভ্যতা, উদারতা ও চিন্তাশক্তির পার্থক্য ফুটে ওঠে।
যুদ্ধে যখন গাজার মাটি রক্তে ভিজেছে সেই প্রথমদিন হতে মুসলিম বিশ্বের আলেম, দ্বীনদার, অমুসলিম, ই য়া হু দী নির্বিশেষে বিবেকসম্পন্ন সকল মতাদর্শের মানুষ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ফি লি স্তি নের পাশে থেকেছেন। কখনো সরাসরি, কখনো নীরবে, কিন্তু নিরন্তরভাবে। সকল মতাদর্শের মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি ইউরোপ, আমেরিকা ও অসংখ্য অমুসলিম রাষ্ট্রগুলো মানবতার দায়বোধ থেকে তাদের দায়িত্ব পালনে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। এমনকি কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম বিদ্বেষী সরকার ও রাষ্ট্র ইন্ডিয়ার মুসলিম, অমুসলিমরাও অবদান রেখেছেন। আমরা তাদেরকেও শ্রদ্ধা জানাই।
আমরা বামপন্থী, কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী, বাংলাদেশী সেকুলার ভাবাপণ্য ভাইদের বক্তব্যের বিরোধিতা করছি না; বরং বাস্তবতা তুলে তাদের ধরে ভুল ধারণা দূর করতে চাই। দ্বন্দ্ব নয়, বরং সবাই মিলে ভালো কাজের প্রতিযোগিতায় নামাটাই আমাদের কাম্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো সুমূদ ফ্লোটিলার আগে কি গাজায় সহযোগিতা প্রেরণ বন্ধ ছিল?
🔸 যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই মিসর, সিরিয়া, জর্ডান ও লেবাননের সীমান্ত ঘেঁষে বহু ইসলামিক সংস্থা, তাবলীগ, ওয়াকফ, দাওয়াহ কেন্দ্র, ধর্মপ্রাণ সাধারন জনগণ আশ্রয় ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে আসছে।
🔸 বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তুরকী ও মালয়েশিয়াসহ বহু দেশের আলেমরা আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ ও সচেতনতা গড়ে তুলেছেন।
🔸 মিশরের এক আল-আযহার হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো ই স রা ই লের মাথা ব্যাথার কারন।
🔸 বাংলাদেশের অসংখ্য মাদরাসা ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে “ফিলিস্তিন দিবস”, দোয়া ও তহবিল কার্যক্রম নিয়মিত চলছে যা মিডিয়ায় আসে না। কারণ তারা প্রচার নয় সওয়াবের আশায় কাজ করে।
তাদের কাজটা হয়তো ক্যামেরা সামনে নয়, কিন্তু আল্লাহর জন্য চুপচাপ, আন্তরিক ভাবে। আর এটাই নিরব যুদ্ধ। যখন গা যার শিশুরা বো মার নিচে ঘুমিয়েছে তখন মাদরাসার শিশুরা তাদের জন্য রাত্রি জেগে কেঁদেছে। বাংলার হতদরিদ্র তাওহিদী জনতা অর্ধেক রুটির জন্য ১০ টাকা করে চাদা পাঠিয়েছে। হুজুর নিজের সামান্য বেতন থেকে গোপনে পাঠিয়েছে এক মুঠো টাকা, এক থলে দোয়া।
ইউরোপিয়ান রাষ্ট্র, ডিপ্লোম্যাটিক ব্যক্তিত্ব, ই স রা ইলের বন্ধু রাষ্ট্র তার বিরোধী রূপ নেয়ায় এই ক্যাটাগরিতে আমাদের আলেমদের সমুদ্র পাড়ি দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। বাংলাদেশের থেকে একজন জার্নালিস্ট জনাব শহিদুল আলম যথেষ্ট। কিন্তু স্থলপথের প্রতিযোগিতায় এই দ্বীনদার মানুষদের সমকক্ষ কেউ ছিল না এবং আমরা প্রতিরাতে আত্মা দিয়ে পাড়ি দিই সেই দূরত্ব যেখানে “ফিলিস্তিন” শব্দটা মানে আমাদের হৃদয়ের ক্ষত। তোমরা যাদেরকে অনুপস্থিত ভাবছো, তারা আসলে মাঠেই আছে শব্দ ছাড়া, ক্যামেরা ছাড়া, তবুও মানবতা ও আল্লাহর জন্য নিরলসভাবে। ফিলিস্তিনে সহযোগিতা যে পথেই পৌঁছাক সমুদ্র, স্থল বা দোয়ার মাধ্যমে, সবই আল্লাহর রাস্তায় আমল। কেউ নৌকায় চড়ে যায়, কেউ স্থলপথে, কেউ নিঃশব্দে সেজদায় কাঁদে। কাজের মর্যাদা কাজের আকারে নয় নিয়তের বিশুদ্ধতায়। তাই অন্যের ত্যাগকে ছোট করে নিজেকে বড় দেখানো, আসলে নিজের হৃদয়ের ক্ষুদ্রতাকেই প্রকাশ করে।
আমাদের স্বল্প জ্ঞানে বাংলাদেশী যে সকল সংগঠন উল্লেখযোগ্য ও নিরলসভাবে গা য যা র জন্য কাজ করে যাচ্ছেঃ
১/ BPFO
ফেসবুকঃ Bangladesh Palestine Friendship Organization-BPFO
২/ ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ
ফেসবুকঃ World One Ummah Foundation
৩/ MYDO
ফেসবুকঃ MY Development Organization - MYDO
৪/ Mojo
ফেসবুকঃ Akij-Monowara Trust
৫/ আশ ফাউন্ডেশন
ফেসবুকঃ Alhaj Shamsul Hoque Foundation
৬/ হাফেজ্জি চ্যারিটেবল
ফেসসবুকঃ Hafezzi Charitable Society Of Bangladesh
৭/ হাফেজ্জি সেবা ফাউন্ডেশন
ফেসবুকঃ হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা ফাউন্ডেশন
৮/ বি এম শাবাব
ফেসবুকঃ B.M. Sabab Foundation
৯/ পিসব
ফেসবুকঃ People’s Improvement Society of Bangladesh PISOB পিসব
আমাদের জানার বাহিরে আরও অনেক উল্লেখযোগ্য সেবা সংস্থা নিয়মতান্ত্রিক ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমন কোনো সংগঠন সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে অনুগ্রহ করে তাদের নাম মেনশন করুন। যাচাই-বাছাই পূর্বক তাদের নামও পোস্টে সংযোজন করা হবে।
ভিডিওঃ সাবেক সভাপতির নিজেস্ব আইডি থেকে সংগ্রহীত।
শুভকামনায়
প্রচার বিভাগ, Bangladesh Palestinian friendship organisation (BPFO)