04/12/2025
শ্রীবিষ্ণুর নবগুঞ্জর অবতার🙏🌸🌸🙏🐚
মহাভারতের ওড়িয়া সংস্করণে শ্রীবিষ্ণুর এক বৈচিত্র্যময় অবতারের উল্লেখ রয়েছে যা নবগুঞ্জর নামে পরিচিত। এই অবতারটি মূলত নয়টি ভিন্নপ্রাণীর শরীরের সমন্বয়ে গঠিত,যাঁর মস্তক মোরগের ন্যায়, বৃষের ন্যায় কুঁজ বিদ্যমান,কেয়ূর (ময়ূর) সাদৃশ্য স্কন্দ, সিংহের ন্যায় কটিদেশ,সর্পের ন্যায় লেজ এবং ব্যাঘ্র,হস্তী,অশ্ব ও মৃগের ( মতভেদে মানুষের )ন্যায় চারটি পদ পরিলক্ষিত। মহাভারতের ওড়িয়া সংস্করণ অনুসারে এই স্বরূপে ভগবান বিষ্ণু পাহাড়ে অর্জুনকে দর্শন দিয়েছিলেন। এই স্বরূপের মাধ্যমে ভগবান বিষ্ণু বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বিষয়টি প্রতিস্থাপিত করেন।এই স্বরূপে উল্লিখিত প্রতিটি প্রাণীর এক বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই তাৎপর্যসমূহ হল - মোরগ অজ্ঞানতার অন্ধকার দূরীকরণের প্রতীক, বৃষ প্রাচুর্য ও উর্বরতার প্রতীক, ময়ূর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতীক, সিংহ সার্বভৌমত্ব ও রাজকীয়তাকে নির্দেশিত করে,হাতি শক্তির প্রতীক, ব্যাঘ্র সাহসিকতার প্রতীক, হরিণ সৌন্দর্যের প্রতীক,( মতভেদে মানবপদ করুণা ও ভালোবাসার প্রতীক) সর্প অন্ততের প্রতীক ও অশ্ব অশুভের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। উড়িষ্যার পটচিত্রের এক উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম হল এই ভগবান নবগুঞ্জরের চিত্র অঙ্কণ। উড়িষ্যার জগন্নাথ মন্দিরের উত্তরে অর্জুন সহিত ভগবান নবগুঞ্জরের মূর্তি রযেছে এবং মন্দিরের শীর্ষে থাকা নীলপতাকা তেও অর্জুন ও নবগুঞ্জরের মূর্তি অঙ্কিত রয়েছে।
ওঁ নমঃ ভগবতে বাসুদেবায় 🙏🌸🌸🙏🐚
ছবি- সংগৃহীত ও Ai দ্বারা এডিটেড
( অধমের জ্ঞান সীমিত ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন ভালো লাগলে শেয়ার করুন কপি পেস্ট করবেন না)