29/11/2025
শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনী (শান্তিপুর, নদিয়া)-এর উদ্যোগে আগামী ২০২৬ সালের “ভাঙ্গারাসের পূজা ও শোভাযাত্রা” চন্দননগরের ন্যায় সংগঠিত, সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটিকে তাঁদের আলোচনা সভায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে গতকাল ২৮/১১/২০২৫ (শুক্রবার) আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধিদল উক্ত সভায় উপস্থিত হয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, শান্তিপুর অঞ্চলে প্রায় ৫৫টি পূজা কমিটি এই ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব পালন করে থাকেন, যার মধ্যে প্রায় ৩৫টি পূজা কমিটি প্রতি বছর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় উপস্থিত পূজা কমিটির প্রতিনিধিরা এ বছরের শোভাযাত্রা সংক্রান্ত তাঁদের নানান অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনী-র সম্মানীয় সম্পাদক শ্রী রূপায়ন চৌধুরী জানান যে, এ বছরের রাস উৎসবের শোভাযাত্রার পর নদীয়ার মাননীয় ডিএসপি মহাশয় চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির কাজ ও ব্যবস্থাপনাকে অত্যন্ত প্রশংসা করেন এবং শান্তিপুরেও চন্দননগরের অনুরূপ একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন।
সমস্ত পূজা কমিটির বক্তব্য শোনার পর আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধিগণ চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির সারা বছরের কার্যপ্রণালী এবং শোভাযাত্রা পরিচালনার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাস উৎসবের সার্বিক স্বচ্ছতা, শৃঙ্খলা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের সুপরামর্শ প্রদান করেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত সকল সদস্য এই প্রস্তাবের উপকারিতা উপলব্ধি করেন এবং শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনী-র উদ্যোগে রাস উৎসব পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিষয়টি, আমাদের দুই প্রিয় শহর চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের জন্য অত্যন্ত গর্বের, তাই সকল জগদ্ধাত্রী পূজা প্রেমী মানুষ ও চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির শুভানুধ্যায়ীদের অবগতির জন্য এই পোস্টটি করা হলো।