Dr. D.Sasmal's Homoeopathy

28/10/2025

বাচ্চাদের বারবার ঠান্ডা লাগা (Recurrent Cold) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ও স্থায়ীভাবে ভালো করা সম্ভব — যদি কারণটা সঠিকভাবে নির্ণয় করে ব্যক্তিগতভাবে উপযুক্ত ওষুধ নির্বাচন করা হয়।
■ কেন বাচ্চাদের বারবার ঠান্ডা লাগে:
1. দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা (Low immunity)
2. ঠান্ডা আবহাওয়া বা ধুলাবালি সংবেদনশীলতা
3. অ্যালার্জিক প্রবণতা
4. দুধ দাঁত ওঠা / খাবারের পরিবর্তন / টনসিল সমস্যা
5. জেনেটিক প্রবণতা (বংশগত অ্যালার্জি বা ঠান্ডা ধরার প্রবণতা)

■ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সুবিধা:

●মূল কারণ অনুযায়ী কাজ করে (surface নয়, ভিতর থেকে শক্তি দেয়)
●শিশুর ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
●ঘন ঘন ঠান্ডা, কাশি, টনসিলাইটিস, সাইনুসাইটিস — সবই কমে আসে
●পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই

■কিছু সাধারণভাবে ব্যবহৃত ঔষধ (উদাহরণস্বরূপ):

উপসর্গ সম্ভাব্য ঔষধ

সামান্য ঠান্ডা হলেই নাক বন্ধ, হাঁচি Natrium muriaticum
ঠান্ডা লাগলে কাশি, নাক দিয়ে জল পড়ে Sabadilla, Allium cepa
বারবার সর্দি, টনসিল ফুলে যাওয়া Calcarea carb., Baryta carb.
ঠান্ডা থেকে সাইনুসাইটিস Kali bichromicum
ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেশি কাশি, শ্বাসকষ্ট Silicea, Tuberculinum (constitutionally)
(চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়)
■ চিকিৎসার মূলনীতি:
👉 “One child – one remedy” — প্রতিটি শিশুর শরীর, মানসিক গঠন ও প্রতিক্রিয়া আলাদা, তাই ওষুধও আলাদা হয়।
👉 নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও ফলো-আপে ধীরে ধীরে ইমিউনিটি বাড়ে এবং ঠান্ডা লাগা কমে যায়।

20/10/2025

15/10/2025

A warty growth at nostril ,completely cured with in a week after taking Calcarea Carb 200 , only two doses. This is the magic of Homoeopathy.

14/10/2025

Once upon a time ........

22/09/2025

সায়াটিকা ব্যথা কি?
আমাদের মেরুদণ্ডের নিচের দিক থেকে কোমর, নিতম্ব হয়ে পা পর্যন্ত একটি বড় স্নায়ু যায়, যার নাম সায়াটিক নার্ভ।
যখন এই স্নায়ুতে চাপ পড়ে বা প্রদাহ হয়, তখন কোমর থেকে নিতম্ব হয়ে পা পর্যন্ত টানটান ব্যথা অনুভূত হয়। একে বলা হয় সায়াটিকা ব্যথা।
লক্ষণ
কোমর থেকে নিতম্ব হয়ে এক পা পর্যন্ত ব্যথা যাওয়া।
ব্যথা কখনো ঝিনঝিনি বা বিদ্যুতের শকের মতো লাগে।বসলে বা ভারী কাজ করলে ব্যথা বেড়ে যায়।কখনো পা অবশ বা দুর্বল মনে হতে পারে।

সায়াটিকা ব্যথার জন্য হোমিওপ্যাথিতে বেশ কিছু কার্যকর ওষুধ আছে। রোগীর লক্ষণ, ব্যথার ধরণ ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ওষুধ নির্বাচন করা হয়। কয়েকটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত ঔষধ হলো—

🔹 হোমিওপ্যাথিক ঔষধসমূহ (symptom অনুযায়ী)
1. Colocynthis
হঠাৎ তীব্র ব্যথা, চাপ দিলে আরাম
রাগ বা মানসিক উত্তেজনার পর ব্যথা বাড়ে।
2. Magnesium Phosphoricum
খিঁচ ধরা, ক্র্যাম্প জাতীয় ব্যথা।
গরম সেঁক দিলে আরাম হয়।
3. Gnaphalium
কোমর থেকে পায়ে নামা টানটান ব্যথা
পায়ের আঙুল অবশ বা ঝিনঝিন করা।
4. Arsenicum Album
রাতে ব্যথা বেড়ে যায়, অস্থিরতা থাকে।
উষ্ণ সেঁক পছন্দ করে।
5. Rhus Toxicodendron
বসে থাকলে ব্যথা বাড়ে, চলাফেরা করলে কমে।
ঠান্ডা ও ভিজে আবহাওয়ায় খারাপ হয়।
6. Nux Vomica
যারা বেশি মানসিক চাপ, অতিরিক্ত কাজ বা অনিয়মিত জীবনযাপন করেন, তাদের সায়াটিকায় কার্যকর।
মনে রাখবেন: সঠিক ঔষধ বেছে নিতে রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণ, মানসিক অবস্থা, ব্যথার ধরণ—সব বিবেচনা করতে হয়। তাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াই নিরাপদ।

20/09/2025

Molluscum contagiosum (মলাস্কাম কনটাজিওসম)
👉 এটি একটি ভাইরাসজনিত চর্মরোগ (skin infection), যেটি poxvirus family দ্বারা হয়।
👉 সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে বড়দেরও হতে পারে।

লক্ষণ (Symptoms)

ত্বকে ছোট ছোট গুটি/দানা (pearly or flesh-colored papules) ওঠে।

দানাগুলো সাধারণত গোলাকার, মসৃণ ও মাঝখানে খানিকটা দেবে যাওয়া (umbilicated) থাকে।

চুলকানি বা সামান্য ব্যথা হতে পারে, তবে অনেক সময় কোনো অস্বস্তি থাকে না।

মুখ, গলা, বুকে, বাহু, পা বা যৌনাঙ্গের চারপাশে দেখা দিতে পারে।

ছড়ানোর উপায় (Mode of spread)

সরাসরি স্পর্শে (skin-to-skin contact)

তোয়ালে, জামাকাপড়, খেলনা ইত্যাদি ব্যবহার ভাগাভাগি করলে

শিশুদের মধ্যে খেলার সময় সহজে ছড়ায়

প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অনেক সময় যৌন সংস্পর্শে ছড়ায়
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাতে খুব সহজেই সারানো সম্ভব

15/09/2025

Only internal Homeopathic medicine, no external application

13/09/2025

অলোপ্যাথিক ডাক্তাররা যারা পরবর্তীতে হোমিওপ্যাথিতে রূপান্তরিত হন

আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত
1.ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (১৭৫৫–১৮৪৩) – হোমিওপ্যাথির জনক। তিনি জার্মানিতে চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রি (M.D.) লাভ করে অলোপ্যাথি চর্চা করতেন। পরে অলোপ্যাথির সীমাবদ্ধতায় অসন্তুষ্ট হয়ে হোমিওপ্যাথি আবিষ্কার করেন।
2.ডা. জেমস টাইলার কেন্ট (১৮৪৯–১৯১৬) – আমেরিকান অলোপ্যাথিক ডাক্তার। নিজের স্ত্রীর দীর্ঘ অসুস্থতা হোমিওপ্যাথিতে সেরে ওঠায় তিনি হোমিওপ্যাথিতে মনোনিবেশ করেন। পরে Kent’s Repertory লিখে বিশ্ববিখ্যাত হন।
3.ডা. সি.এম. বোগার (১৮৬১–১৯৩৫) – প্রথমে অলোপ্যাথি চর্চা করতেন, পরে হোমিওপ্যাথি গ্রহণ করেন। Boger’s Synoptic Key তাঁর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ।
4.ডা. জন হেনরি ক্লার্ক (১৮৫৩–১৯৩১) – এম.বি.বি.এস ডাক্তার, পরে সম্পূর্ণভাবে হোমিওপ্যাথি চর্চায় যুক্ত হন।
5.ডা. রিচার্ড হিউজ (১৮৩৬–১৯০২) – ব্রিটিশ অলোপ্যাথিক চিকিৎসক, পরে হোমিওপ্যাথির অন্যতম প্রচারক।
6.ডা. ই.বি. ন্যাশ (১৮৩৮–১৯১৭) – অলোপ্যাথিক চিকিৎসক, পরে হোমিওপ্যাথি গ্রহণ করে বিখ্যাত Leaders in Therapeutics লেখেন।

ভারতে-
1.ডা. বি.কে. সরকার (১৮৯৬–১৯৭২) – কলকাতার চিকিৎসক, যিনি অলোপ্যাথি থেকে হোমিওপ্যাথিতে আসেন এবং পরবর্তীতে শিক্ষক, গবেষক ও লেখক হিসেবে খ্যাতি পান।
2.ডা. কে.জি. সাক্সেনা – এম.বি.বি.এস ডাক্তার, পরে হোমিওপ্যাথির প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত হন।
3.ডা. জে.এন. মজুমদার – প্রথমে অলোপ্যাথিক ডাক্তার ছিলেন, পরে হোমিওপ্যাথির শিক্ষক ও লেখক হিসেবে পরিচিত হন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এঁরা অলোপ্যাথির সীমাবদ্ধতা দেখে অথবা কোনো জটিল রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির আশ্চর্যজনক ফলাফল দেখে স্থায়ীভাবে হোমিওপ্যাথিতে চলে আসেন।

10/08/2025

Acidity বা অম্বল (Homeopathy-তে dyspepsia / hyperacidity হিসেবে ধরা হয়) চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি অনেক সময় বেশ কার্যকর হতে পারে—যদি সঠিকভাবে রোগীর লক্ষণ (সিম্পটম), কারণ এবং শরীরের মোট প্রকৃতি (Constitution) বুঝে ওষুধ নির্বাচন করা হয়।

09/08/2025

"জল বাহি রোগ" বলতে সাধারণত এমন রোগ বোঝানো হয় যেগুলো জলের মাধ্যমে ছড়ায় — বিশেষ করে দূষিত জল (contaminated water) খাওয়া বা ব্যবহার করার ফলে। এগুলোকে Water-borne diseases বলা হয়।
রোগের নাম প্রধান জীবাণু/কারণ ও লক্ষণ-
1. রোগ (Cholera)- Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়া, প্রচুর পাতলা ডায়রিয়া, বমি, জলশূন্যতা, দুর্বলতা
2.টাইফয়েড জ্বর (Typhoid fever)- Salmonella typhi ব্যাকটেরিয়া, দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, দুর্বলতা
3.অ্যামিবিক আমাশয় (Amoebic dysentery)- Entamoeba histolytica প্রোটোজোয়া রক্তমিশ্রিত ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, জ্বর
4.ব্যাসিলারি আমাশয় (Bacillary dysentery)- Shigella ব্যাকটেরিয়া রক্ত ও শ্লেষ্মাযুক্ত ডায়রিয়া, পেট ব্যথা
5.হেপাটাইটিস এ ও ই (Hepatitis A, E)- ভাইরাস, জন্ডিস, দুর্বলতা, বমি, পেট ব্যথা
6.গিয়ার্ডিয়াসিস (Giardiasis)- Giardia lamblia প্রোটোজোয়া, দীর্ঘস্থায়ী পাতলা পায়খানা, গ্যাস, দুর্বলতা
7.পোলিও (Poliomyelitis)- পোলিও ভাইরাস, পক্ষাঘাত, পেশি দুর্বলতা (শিশুদের বেশি হয়) |