Dr. Rajib Bhattacharjee, Cancer Specialist, MD, ECMO

Dr. Rajib Bhattacharjee, Cancer Specialist, MD, ECMO I am a medical oncologist. This page is for cancer awareness generation

02/12/2025

দৈনিক সংবাদ উত্তর-পূর্ব ভারতের সর্বাধিক বিক্রিত বাংলা সংবাদপত্র। তাদের একটি ওয়েব চ্যানেলে গত শনিবার বসেছিলাম ক্যান্সার নিয়ে আলোচনায়। সঞ্চালক শ্রী সুমিত চক্রবর্তীর সঙ্গে আন্তরিক আলাপচারিতায় উঠে এল ক্যান্সার চিকিৎসার নানা দিক। আধুনিক ক্যান্সারের ওষুধ, ইমিউনোথেরাপি, অ্যান্টিবডি ড্রাগ কনজুগেট— আরও অনেক কিছু।

সুমিতবাবু প্রশ্ন তুললেন ক্যান্সারের নতুন ওষুধগুলোর দাতভাঙা নাম নিয়ে। তা নিয়ে একটু হাসাহাসিও হল। ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যালিয়েটিভ কেয়ারের গুরুত্ব, এবং রোগী পরামর্শের (counselling) বিষয়েও আলোচনা হল।

সব শেষে কথা হল কীভাবে ক্যান্সারকে আটকানো যায়, সেই নিয়ে।

ভিডিওটা পুরোটাই দেখার অনুরোধ রইল।

বায়োপসি রিপোর্ট হাতে পেলেন ক্যান্সার?? এখন কী করবেন?জেনে নিন প্রখ্যাত মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট, ডাঃ রাজীব ভট্টাচার্য্যের কা...
29/11/2025

বায়োপসি রিপোর্ট হাতে পেলেন ক্যান্সার?? এখন কী করবেন?

জেনে নিন প্রখ্যাত মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট, ডাঃ রাজীব ভট্টাচার্য্যের কাছ থেকে.

“আপনার ক্যান্সার ধরা পড়েছে”—এই কথাটা শোনার মুহূর্তে মনে হয় পৃথিবী থমকে গেল। বুকের ভেতর চাপা ভয়, অসহায়তা, চোখে অন্ধকার—সব একসঙ্গে নেমে আসে। খুব স্বাভাবিক। কারণ ক্যান্সার শব্দটার সাথেই আমাদের মনে এক অদৃশ্য আতঙ্ক জড়িয়ে আছে।

কিন্তু সত্যিটা হলো—ক্যান্সার মানেই শেষ নয়। বরং আধুনিক চিকিৎসার যুগে এটা অনেক সময়ই একটি চিকিৎসাযোগ্য, নিয়ন্ত্রিত, এমনকি সম্পূর্ণ সেরে ওঠার মতো রোগ।

অনেকেই বলেন—বায়োপসি রিপোর্ট হাতে পাওয়ার মুহূর্তটাই সবচেয়ে দুশ্চিন্তার। রিপোর্ট খুলে দেখলেই মাথার ভেতর হাজারটা প্রশ্ন ঘুরতে থাকে—“এখন কী? কার কাছে যাব? কোন পরীক্ষা লাগবে? অপারেশন কি দরকার?”
এ রকম ভয় খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু একটু ধীরে, একটু ঠান্ডা মাথায় এগোলে পরের পথটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

নীচে খুব সহজ ভাষায় বলা হলো—বায়োপসি রিপোর্ট পাওয়ার পর কী করবেন।

১. নিজের থেকে রিপোর্ট ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবেন না

রিপোর্টে অনেক জটিল শব্দ থাকে—carcinoma, grade, receptor, margin, infiltration ইত্যাদি। এগুলোর মানে জানলে রোগ নির্ণয় হয় না, আর ভুল বোঝার সম্ভাবনা থাকে।
রিপোর্ট দেখে মনে আতঙ্ক বাড়ানোর দরকার নেই। এটা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারই ব্যাখ্যা করতে পারবেন।

২. দ্রুত একজন অনকোলজিস্টের কাছে যান

বায়োপসি রিপোর্ট যদি ক্যান্সার নির্দেশ করে, তাহলে প্রথম কাজ—একজন মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট বা সার্জিক্যাল অনকোলজিস্টের কাছে যাওয়া।
যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে পৌঁছবেন, তত তাড়াতাড়ি সঠিক স্টেজিং ও চিকিৎসা শুরু হবে।

৩. স্টেজিং টেস্টগুলো সম্পূর্ণ করুন

বায়োপসি শুধু বলে—রোগটা কী।
কিন্তু রোগটা কতদূর ছড়িয়েছে সেটা জানার জন্য করতে হয়— • CT scan,• PET-CT,• MRI,• রক্ত পরীক্ষা, এগুলো রোগের “স্টেজ” নির্ধারণ করে। স্টেজ না জানা পর্যন্ত চিকিৎসা শুরু করা উচিত নয়।

৪. টিউমার বোর্ডে মূল্যায়ন খুব গুরুত্বপূর্ণ

টিউমার বোর্ড মানে একদল বিশেষজ্ঞ—মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট, সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট, রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট, প্যাথোলজিস্ট, রেডিওলজিস্ট—মিলে বসে সিদ্ধান্ত নেয় কোন চিকিৎসা পথ সবচেয়ে ভালো।চিকিৎসার প্রথম দিনেই বহু ভুল এভাবেই ধরা পড়ে।
যে হাসপাতালে ভালো টিউমার বোর্ড আছে, সেখানে চিকিৎসা নিলে রোগীর লাভ অনেক বেশি।

৫. চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করুন

স্টেজিংয়ের পর ডাক্তার ঠিক করবেন— • আগে অপারেশন হবে,• নাকি আগে কেমো/ইমিউনোথেরাপিl• রেডিয়েশন কি দরকার?• টার্গেটেড থেরাপি/ADC লাগবে কি না - প্রতিটি রোগীর চিকিৎসা আলাদা—একজনের চিকিৎসা আরেকজনের সঙ্গে মিলবে না।

৬. দ্বিতীয় মতামত চাইলে নিন

বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে দ্বিতীয় মতামত নেওয়া ভুল নয়।
কিন্তু চিকিৎসা শুরু করতে দেরি করবেন না—দ্বিতীয় মতামত শোনার পর দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন।

৭. গুগলে না ঘেঁটে ডাক্তারকে প্রশ্ন করুন

অনেকেই গুগল সার্চ করে ভয় পেয়ে যান।
মনে রাখবেন—ইন্টারনেট সাধারণ তথ্য দেয়, আপনার ব্যক্তিগত রোগের বাস্তব চিত্র নয়।
সব প্রশ্ন ডাক্তারকে বলুন। সত্যি, পরিষ্কার, বিজ্ঞানসম্মত উত্তর পাবেন।

শেষ কথা

বায়োপসি রিপোর্ট মানেই ভয় নয়—এটা একটা শুরু।
যেমন রোগ নির্ণয় হয়েছে, তেমনই পরিষ্কার চিকিৎসার পথও তৈরি হবে।
সঠিক চিকিৎসক, সময়মতো পরীক্ষা, টিউমার বোর্ডের মতামত—এসব মিললেই রোগী সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা পান।

সবচেয়ে বড় কথা—
রোগী কখনই একা নন।
পরিবার, চিকিৎসক, নার্স, কাউন্সিলর, বন্ধু—সবার সম্মিলিত ভালোবাসা আর সমর্থন ক্যান্সারের যুদ্ধে দারুণ শক্তি দেয়। একজনের ওপর একজনের ভরসা এই যাত্রাকে অনেক সহজ করে।

তাই ক্যান্সার ধরা পড়লে প্রথমেই মনে রাখুন—
বায়োপসি রিপোর্ট কোনো সমাপ্তি নয়।
এটা একটা চ্যালেঞ্জ, যার মোকাবিলা করা যায়।
আজকের বিজ্ঞান আর চিকিৎসা প্রতিদিনই নতুন নতুন দরজা খুলছে।

আশা রাখুন।
ঠিক সময়ে চিকিৎসা নিন।
আর বিশ্বাস রাখুন—ক্যান্সারকে হারানো যায়।

মূত্রাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন আশাদিনটা ছিল পরশু — ২৩ নভেম্বর। আমি গিয়েছিলাম একটা বিশেষ বৈজ্ঞানিক বৈঠকে। দেশের না...
25/11/2025

মূত্রাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন আশা

দিনটা ছিল পরশু — ২৩ নভেম্বর। আমি গিয়েছিলাম একটা বিশেষ বৈজ্ঞানিক বৈঠকে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে মূত্রাশয় ক্যান্সারের চিকিৎসায় দক্ষ মেডিক্যাল অনকোলজিস্টরা একত্র হয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সত্যিই অনেক নতুন তথ্য শিখলাম।

আমাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল — কীভাবে অ্যাডভান্সড ব্লাডার ক্যান্সারের চিকিৎসাকে আরও শক্তিশালী ও সফল করা যায়।

আমরা সবাই জানি, এই রোগ ধরা পড়লে রোগীরা ভয় পেয়ে যান। কেমোথেরাপি কিছুদিন কাজ করে, তারপর বিকল্প কমে আসে। পরিবারের মনে হয়— “আর কিছু করার নেই হয়তো।”

কিন্তু সভা থেকে উঠে আসা বার্তা একটাই — এখন আর তা নয়। চিকিৎসায় বিপুল অগ্রগতি হয়েছে।

গল্পের নায়ক — Enfortumab Vedotin (EV)

এই ওষুধটার নাম শুনতে বড়, কিন্তু কাজটা খুব চমৎকার।

ক্যান্সার কোষের গায়ে একটা বিশেষ চিহ্ন থাকে — Nectin-4 নামে। EV ঠিক সেই চিহ্ন দেখে ক্যান্সার কোষের গায়ে গিয়ে জুড়ে বসে। তারপর চুপচাপ ক্যান্সার কোষের ভিতরে ঢুকে ওই কোষটাকেই মেরে ফেলে। বাইরের সুস্থ কোষকে খুব বেশি ধাক্কা দেয় না।

এক কথায় —
"সার্জিক্যাল স্ট্রাইক"।

EV-301 ট্রায়ালে দেখা গেছে — আগের চিকিৎসা কাজ না করলেও EV অনেক রোগীর ক্যান্সার কমাতে সাহায্য করেছে। অনেক রোগী বেশি দিন ভালো থেকেছেন। পরিবারের মুখে আবার একটু হাসি ফিরেছে।

যখন দু’জন মিলে লড়ে — EV + Pembrolizumab

সভায় সবাই আলোচনা করলেন EV-302 ট্রায়াল নিয়ে।

এখানে চিকিৎসার একেবারে শুরুতেই EV ও Pembrolizumab একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে।
মানে দুই দিক থেকে আক্রমণ! ফল? চিকিৎসার সেরা ফল পাওয়া গেছে।
তাই এখন এটি নতুন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে — শুরুতেই শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করো।

অপারেশনের আগের জয় — EV-303

আরেকটা আলোচনা হয় — যদি অপারেশনের আগেই EV দেওয়া হয়?

• টিউমার ছোট হয়ে যায়
• অপারেশন সহজ হয়
• সুস্থ হওয়ার সুযোগও বাড়ে

এই বিষয়টি নিয়ে EV-303 ট্রায়াল চলছে।

রোগীদের জন্য এর মানে কী?

মূত্রাশয় ক্যান্সার মানে হাল ছেড়ে দেওয়ার গল্প নয় বরং আধুনিক চিকিৎসায় নতুন লড়াইয়ের গল্প।
রোগী যদি দেরি না করে দ্রুত মেডিক্যাল অনকোলজিস্টের কাছে আসেন — এই উন্নত চিকিৎসাগুলো পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়।

পরশুর বৈঠকটি আমাকে সত্যিই নতুনভাবে ভাবিয়েছে। দেশের সেরা অনকোলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আমার জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হলো। এই জ্ঞান আমি ব্যবহার করব আমার রোগীদের ভালো রাখতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে, তাদের জীবনকে দীর্ঘ ও সুন্দর করতে।

অ্যাডভান্সড ব্লাডার ক্যান্সার মানেই হার মানা নয়। নতুন ওষুধের জন্য চিকিৎসায় এসেছে বিরাট অগ্রগতি। রোগী যত দ্রুত একজন মেডিক্যাল অনকোলজিস্টের কাছে পৌঁছান — সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ ততই বাড়ে।

এ ধরনের মিটিং আমাদের চিকিৎসকদের জ্ঞান বাড়ায় — যাতে আমরা রোগীদের সর্বাধুনিক ও সঠিক চিকিৎসা দিতে পারি।

সব মিলিয়ে বার্তা খুব স্পষ্ট —

অ্যাডভান্সড ব্লাডার ক্যান্সার মানেই পথের শেষ নয়। সময়মতো সঠিক ডাক্তার ও সঠিক চিকিৎসা রোগীদের জীবন বদলে দিতে পারে।

এই বৈঠকটি আমাকে আবার মনে করিয়ে দিল — বিজ্ঞান প্রতিদিন এগোচ্ছে। আমাদের শেখা থেমে নেই।

আর প্রতিটি নতুন তথ্য মানে আমাদের রোগীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা, নতুন আশা।

HER2-পজিটিভ স্তন ক্যান্সার ও আধুনিক চিকিৎসাস্তন ক্যান্সার এখন ভারতের মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় দেখতে পাওয়া য...
23/11/2025

HER2-পজিটিভ স্তন ক্যান্সার ও আধুনিক চিকিৎসা

স্তন ক্যান্সার এখন ভারতের মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সুখের খবর হলো—আজকের দিনে এর চিকিৎসা অনেক উন্নত হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে এখন অনেক রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন ফিরে পাচ্ছেন।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—সব স্তন ক্যান্সার একরকম নয়। কোষের জিনগত গঠন ও প্রোটিন অনুযায়ী স্তন ক্যান্সারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। তার মধ্যে একটি হলো HER2-পজিটিভ স্তন ক্যান্সার।

HER2 কী?

HER2 (Human Epidermal Growth Factor Receptor 2) হলো এক ধরনের প্রোটিন, যা ক্যান্সার কোষের গায়ে থাকে। এই প্রোটিন বেশি পরিমাণে থাকলে কোষ দ্রুত বাড়তে থাকে, ফলে টিউমার দ্রুত বড় হয়। আগে এই ধরনের ক্যান্সারকে “aggressive” ধরা হতো, কিন্তু এখন লক্ষ্যভিত্তিক (targeted) চিকিৎসার কারণে এর ফলাফল অনেক ভালো।
চিকিৎসার মূলভিত্তি
HER2-পজিটিভ ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় anti-HER2 থেরাপি, অর্থাৎ এমন ওষুধ যা সরাসরি এই প্রোটিনকে আক্রমণ করে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হলো

Trastuzumab (Herceptin)। এটি HER2 প্রোটিনের কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয়, ফলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি থেমে যায়। এরপর এসেছে Pertuzumab, যা Trastuzumab-এর সঙ্গে মিলিয়ে দিলে আরও কার্যকর হয়। এই যুগল ওষুধকে এখন বলা হয় “dual HER2 blockade।”

Neoadjuvant চিকিৎসার গুরুত্ব

যখন টিউমার বড় থাকে, তখন অপারেশনের আগে chemotherapy-র সঙ্গে anti-HER2 ওষুধ দেওয়া হয় — একে বলা হয় Neoadjuvant therapy। এতে টিউমারের আকার ছোট হয়, অপারেশন সহজ হয়, এবং অনেক সময় টিউমার পুরোপুরি অদৃশ্যও হয়ে যায়।
এই অবস্থাকে বলে pathological complete response (pCR), যা ভবিষ্যতে রোগমুক্ত জীবনের সম্ভাবনা বাড়ায়।

T-DM1 ও অবশিষ্ট রোগের চিকিৎসা

কখনও কখনও Neoadjuvant চিকিৎসার পরও কিছু ক্যান্সার কোষ থেকে যায়। এই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় T-DM1 (Trastuzumab Emtansine) — এটি এক ধরনের antibody-drug conjugate, অর্থাৎ Trastuzumab-এর সঙ্গে কেমো ওষুধ যুক্ত থাকে। এটি সরাসরি ক্যান্সার কোষের ভিতরে গিয়ে ওষুধ ছেড়ে দেয়, ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং কার্যকারিতা বেশি।

নতুন ওষুধের যুগ

চিকিৎসা এখানেই থেমে নেই। HER2-পজিটিভ মেটাস্ট্যাটিক (অর্থাৎ ছড়িয়ে পড়া) ক্যান্সারে এখন আসছে আরও আধুনিক ওষুধ —

• Trastuzumab Deruxtecan (Enhertu) : এটি এক অত্যাধুনিক antibody-drug conjugate, যা এমন রোগীদেরও সাহায্য করছে যাদের রোগ Trastuzumab-এ সাড়া দেয়নি।

• Tucatinib : এটি একটি ছোট মলিকিউল ওষুধ (HER2 TKI), যা মস্তিষ্কে ছড়ানো ক্যান্সারেও কাজ করে — যা আগে চিকিৎসকদের জন্য খুব কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল।

Trastuzumab Deruxtecan — এক নতুন দিগন্ত

এই ওষুধের নাম শুনতে বড়, কিন্তু এর কাজ অসাধারণ।
Trastuzumab Deruxtecan (Enhertu) হলো এক আধুনিক “antibody-drug conjugate” — মানে এটি একদিকে Trastuzumab-এর মতো HER2 প্রোটিন চিনে নেয়, আর অন্যদিকে একটি শক্তিশালী কেমো ওষুধ নিয়ে যায় ঠিক ক্যান্সার কোষের ভিতরে।
এই ওষুধের বিশেষত্ব হলো —
• এটি এমন রোগীদের মধ্যেও কাজ করে, যাদের ক্যান্সার আগের সব ওষুধে সাড়া দিচ্ছিল না।
• এমনকি HER2-low (অল্প HER2 প্রোটিন থাকা) রোগীদের মধ্যেও এর ফল চমকপ্রদ।
• এটি অনেক ক্ষেত্রেই মেটাস্ট্যাটিক বা ছড়িয়ে পড়া স্তন ক্যান্সারে নতুন আশার আলো এনে দিয়েছে, যেখানে আগে খুব কম বিকল্প ছিল।
এই ওষুধ এতটাই কার্যকর যে আজ অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, Trastuzumab Deruxtecan স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
আরও আশার কথা হলো — সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, শুধু মেটাস্ট্যাটিক নয়, ভবিষ্যতে এই ওষুধ curative setting অর্থাৎ সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভের চিকিৎসাতেও ব্যবহার হতে পারে। ইতিমধ্যেই কিছু ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, অপারেশনের আগে বা পরে এই ওষুধ দিলে রোগীরা আরও ভালো ফল পাচ্ছেন।

শেষ কথা

HER2-পজিটিভ স্তন ক্যান্সার একসময় ভয়ের নাম ছিল। কিন্তু আজ এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও উন্নত। সঠিক সময়ে নির্ণয়, বায়োপসি ও HER2 পরীক্ষা (IHC বা FISH দ্বারা), এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকল্পনা — এই তিনটি জিনিসই রোগীকে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন উপহার দিতে পারে।
চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত ফলো-আপ, ব্যায়াম ও মানসিক শক্তি — এসবও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আজ বিজ্ঞান বলছে — HER2-পজিটিভ মানেই ভয় নয়, বরং আধুনিক চিকিৎসায় নতুন জীবন পাওয়া সম্ভব।
একটাই শর্ত — সচেতনতা, সঠিক সময়ে চিকিৎসা, আর বিশ্বাস যে ক্যান্সারকে হারানো যায়।

মৌখিক ক্যান্সার সম্মেলনে আমার অভিজ্ঞতাডাঃ রাজীব ভট্টাচার্য্য, মেডিক্যাল অনকোলজিস্টগতকাল, ২২শে নভেম্বর, পশ্চিমবঙ্গ হেড অ্...
23/11/2025

মৌখিক ক্যান্সার সম্মেলনে আমার অভিজ্ঞতা

ডাঃ রাজীব ভট্টাচার্য্য, মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট

গতকাল, ২২শে নভেম্বর, পশ্চিমবঙ্গ হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার সোসাইটির আয়োজিত এক সম্মেলনে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে মৌখিক ক্যান্সারের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল অনকোলজির দৃষ্টিভঙ্গি ও চিকিৎসা–পদ্ধতি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাই। সত্যি বলতে কি, এই মঞ্চে উপস্থিত থাকা ছিল আমার কাছে যেমন সম্মানের, তেমনই শিক্ষণীয় এক অভিজ্ঞতা।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট হেড-অ্যান্ড-নেক সার্জন, প্লাস্টিক সার্জন, রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ। তাঁদের আলোচনায় ছিল বাস্তব অভিজ্ঞতার দারুণ সমাহার—কোন অবস্থায় কীভাবে অস্ত্রোপচার করা উচিত, পুনর্গঠন (reconstruction)-এর সূক্ষ্ম দিকগুলো, আধুনিক রেডিয়েশন পদ্ধতি, আর চিকিৎসার সময় রোগীর জীবনের গুণগত মান কীভাবে বজায় রাখা যায়—এসব বিষয়ে অনেক নতুন বিষয় জানার সুযোগ হলো।

আমিও আমার দিক থেকে নতুন যুগের চিকিৎসা—ইমিউনোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, নিওঅ্যাডজুভ্যান্ট কেমো-ইমিউনো পদ্ধতির উপকারিতা—এসব নিয়ে আলোকপাত করি। আলোচনা চলাকালীন বুঝলাম, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মিলে একসঙ্গে কাজ করাই আসলে মাথা-গলা ক্যান্সারের চিকিৎসার মূল শক্তি।

আজ ভারত বিশ্বের অন্যতম “oral cancer capital”। তামাক, গুটখা, পানের সুপারি—এসবের বিপুল ব্যবহারের ফলে আমাদের দেশে মৌখিক ক্যান্সারের হার ভয়াবহভাবে বেশি। দুঃখজনকভাবে এর বেশিরভাগ রোগীই দেরিতে আসে, যখন রোগ অনেকটাই ছড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতি বদলাতে হলে আমাদের সবাইকে আরও এগিয়ে আসতে হবে—
• সচেতনতা বাড়াতে হবে
• তামাকবিরোধী প্রচার আরও জোরদার করতে হবে
• উপসর্গ দেখলে দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে
• এবং সবচেয়ে জরুরি—সার্জন, মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট, রেডিয়েশন বিশেষজ্ঞ—সবাই মিলে একটি শক্তিশালী টিম হিসেবে কাজ করতে হবে।

সম্মেলন শেষে আমার মনে হলো—আমরা যদি সত্যিই হাত ধরে এগোতে পারি, তাহলে মৌখিক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারব।

১৫ ও ১৬ নভেম্বর আমি কার্ডিও-অঙ্কোলজি কনফারেন্সে (2nd Asia Pacific Cardio-oncology Summit, 15th - 16th November,  2025) অ...
17/11/2025

১৫ ও ১৬ নভেম্বর আমি কার্ডিও-অঙ্কোলজি কনফারেন্সে (2nd Asia Pacific Cardio-oncology Summit, 15th - 16th November, 2025) অংশগ্রহণ করেছি। এই কনফারেন্সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কার্ডিওলজিস্ট, অঙ্কোলজিস্ট, রেডিয়েশন বিশেষজ্ঞ, গবেষক এবং ট্রেইনি ডাক্তাররা একত্রিত হয়ে ক্যান্সার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত হৃদরোগজনিত জটিলতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

এই দু’দিনে ইমিউনোথেরাপির কার্ডিয়াক টক্সিসিটি, BTK ইনহিবিটরের সঙ্গে অ্যারিদমিয়া, অ্যানথ্রাসাইক্লিনের দীর্ঘমেয়াদি হার্ট ড্যামেজ, ট্রাস্টুজুম্যাব-জনিত ডিসফাংশন, এবং ক্যান্সার রোগীদের হার্ট ফেইলিউরের আধুনিক ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বহু বৈজ্ঞানিক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। আমি নিজেও বেশ কয়েকটি আলোচনায় অংশ নিই এবং ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ভাগ করে নিই।

কার্ডিও-অঙ্কোলজি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
আগে মানুষ ভাবত ক্যান্সার মানেই জীবন শেষ। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা—কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি—অনেক রোগীকে দীর্ঘদিন ভালো রাখতে পারছে। ফলে এখন ক্যান্সার চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে হৃদ্‌রোগ, একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনেক ওষুধ ও রেডিয়েশনের প্রভাব হৃদপিণ্ডে পড়ে—হার্ট ফাংশন কমে যেতে পারে, অ্যারিদমিয়া হতে পারে, রক্তচাপ বাড়তে পারে, এমনকি আকস্মিক হার্ট ফেলিওরও হতে পারে।

ঠিক এই কারণে কার্ডিও-অঙ্কোলজি এখন ক্যান্সার চিকিৎসার অপরিহার্য অঙ্গ।
এটি নিশ্চিত করে—

রোগীর হার্ট সুরক্ষিত রেখে ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা যায়

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আগেভাগে ধরা পড়ে

জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়

রোগীরা দীর্ঘমেয়াদে ভালো থাকেন

এই কনফারেন্সের আলোচনা থেকে নতুন জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া গেছে, যা আমার দৈনন্দিন চিকিৎসা-প্রয়োগে রোগীদের আরও নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা দিতে সাহায্য করবে।

কার্ডিও-অঙ্কোলজি ভবিষ্যতের চিকিৎসায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে—এটা নিশ্চিত।

ক্যান্সার এর চিকিৎসা টিউমার বোর্ড ছাড়া? সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন তো?ধরুন, হঠাৎ আপনার বা আপনার কাছের কারও ক্যান্সার ধরা পড়ল। ...
15/11/2025

ক্যান্সার এর চিকিৎসা টিউমার বোর্ড ছাড়া? সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন তো?

ধরুন, হঠাৎ আপনার বা আপনার কাছের কারও ক্যান্সার ধরা পড়ল। তখন যেন মাথার উপর আকাশটা ভেঙে পড়ে — কী করব এখন? কাকে দেখাব? অপারেশন দরকার নাকি আগে কেমোথেরাপি? রেডিয়েশন কখন শুরু হবে? এত প্রশ্নের উত্তর একা একজন ডাক্তার দিতে গেলেও সব দিক একসঙ্গে দেখা কঠিন। ঠিক এখানেই আসে “মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিউমার বোর্ড” — মানে একদল বিশেষজ্ঞ ডাক্তার একসঙ্গে বসে আলোচনা করে ঠিক করেন, রোগীর জন্য কোন চিকিৎসা পথ সবচেয়ে উপযুক্ত।
এই বোর্ডে থাকেন নানা ক্ষেত্রের ডাক্তার —
একজন মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট, যিনি কেমোথেরাপি ও নতুন টার্গেটেড ওষুধ বোঝেন, একজন সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট, যিনি জানেন কবে ও কীভাবে অপারেশন করলে ঝুঁকি কম, একজন রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট, যিনি বিকিরণ চিকিৎসার দিকটা দেখেন,
সঙ্গে থাকেন প্যাথোলজিস্ট, রেডিওলজিস্ট, কখনও ডায়েটিশিয়ান ও সাইকোলজিস্টও।
ভাবুন তো — একজন ডাক্তার যা একা ভাবতে পারেন, সেখানে পাঁচজন স্পেশালিস্ট মিলে ভাবলে কত বেশি পরিষ্কার ধারণা তৈরি হয়! কেউ বলে দেয়, “এখনই অপারেশন নয়, আগে কিছু কেমো দেওয়া যাক,” কেউ বলেন, “এই রিপোর্টে ইমিউনোথেরাপি ভালো কাজ করবে।” এইভাবে বোর্ডে সবাই আলোচনা করে, আর শেষে তৈরি হয় রোগীর জন্য একেবারে নিজস্ব, মাপমতো চিকিৎসা পরিকল্পনা।
এই কারণেই এখন বলা হয় — ক্যান্সারের চিকিৎসা কখনো একার কাজ নয়, এটা আসলে টিমওয়ার্ক।
তাই যেখানেই চিকিৎসা নিন না কেন, দেখবেন সেই হাসপাতাল বা ক্যান্সার সেন্টারে নিয়মিত টিউমার বোর্ড হয় কি না।
কারণ একটা ভালো টিউমার বোর্ড মানে শুধু ডাক্তারদের মিটিং নয় —
এটাই রোগীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ, সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত, আর সবচেয়ে মানবিক চিকিৎসার প্রথম ধাপ।

শিশু দিবস ও শিশুক্যান্সার: এক মা–বাবার গল্প, আর একটু সচেতনতার কথাধরুন আজ শিশু দিবস। আপনার ছোট্ট ছেলেটা বা মেয়েটা সকাল থে...
14/11/2025

শিশু দিবস ও শিশুক্যান্সার: এক মা–বাবার গল্প, আর একটু সচেতনতার কথা

ধরুন আজ শিশু দিবস। আপনার ছোট্ট ছেলেটা বা মেয়েটা সকাল থেকেই উচ্ছ্বসিত—স্কুলে অনুষ্ঠান, বন্ধুরা, উৎসবের আমেজ। এমন দিনের মাঝেই ভাবুন এক পরিবারকে—হঠাৎ তারা লক্ষ্য করল, তাদের চঞ্চল ছেলেটা এখন অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে, বারবার জ্বর আসছে, খেলতে গেলেই হাড়ে ব্যথা বলে।

মা–বাবা প্রথমে ভাবলেন সাধারণ সর্দি–জ্বর। কিন্তু দু’-একদিনের মধ্যেই তাঁদের মনে হল, “না… কিছু একটা ঠিক নেই।” তাঁরা দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখালেন। এই দ্রুত সিদ্ধান্তটাই ভবিষ্যতে তাঁদের ছেলেকে বাঁচানোর বড় কারণ হয়ে দাঁড়াল।

রক্ত পরীক্ষা, কিছু স্ক্যানের পর রিপোর্ট এল—লিউকেমিয়া, অর্থাৎ শিশুদের সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার।

মা–বাবার পৃথিবিটা মুহূর্তে যেন থেমে গেল।

এমন পরিস্থিতি যে কারও সঙ্গেই ঘটতে পারে। শিশুক্যান্সার খুব বিরল হলেও, হতেই পারে। কিন্তু সুখের খবর হলো—বেশিরভাগ শিশুই চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।

কোন কোন ক্যান্সার শিশুদের হয়?

ডাক্তারবাবু ধীরে ধীরে বোঝাতে শুরু করেন—
“ভয় পাবেন না। শিশুদের ক্যান্সার বড়দের মতো নয়। এগুলো দ্রুত বাড়ে ঠিকই, কিন্তু চিকিৎসায় দারুণ সাড়া দেয়।”

তারপর একে একে বলেন—

লিউকেমিয়া — ছোটদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। জ্বর, দুর্বলতা, হাড়ে ব্যথা—এসব লক্ষণে ধরা পড়ে।
ব্রেইন টিউমার — মাথা ব্যথা, বমি, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া।
লিম্ফোমা — গলায় বা বগলে গাঁট, রাতের ঘাম, ওজন কমে যাওয়া।
নিউরোব্লাস্টোমা — ছোটদের পেটে গাঁট বা চোখে ফোলা।
উইলম্‌স টিউমার — কিডনির টিউমার; সাধারণত ৩–৪ বছরের শিশুতে।
হাড়ের ক্যান্সার — কিশোর-কিশোরীদের হাঁটু বা পায়ে ব্যথা।

শুনতে কঠিন লাগলেও ডাক্তার বলেন—

“ভাগ্য ভালো, আজকাল চিকিৎসা খুব এগিয়েছে। কেমোথেরাপি, সার্জারি, রেডিয়েশন—সব মিলিয়ে ৭০–৮০ শতাংশ শিশুই পুরোপুরি সেরে ওঠে।”

শিশু দিবসের আসল বার্তা
অনেক সময় পরিবার ভাবে—“ও তো ছোট, এত গুরুতর রোগ কী করে হবে?”
এই ভুল ধারণার কারণেই অনেক দেরিতে ধরা পড়ে।

শিশু দিবসে এক মা বলেন—
“আমার ছেলে এখন দৌড়ে বেড়ায়। এক বছর আগেও ভাবিনি ও আবার খেলবে! কিন্তু ডাক্তার আর চিকিৎসা আমাদের জীবন পাল্টে দিল।”

কেন সচেতনতা জরুরি?
কারণ—
• শিশুদের ক্যান্সার দ্রুত বাড়ে
• কিন্তু সময়মতো ধরা পড়লে দারুণভাবে সারে
• আর শিশুরা মানসিকভাবে খুব শক্ত, দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে

শেষ কথা
শিশু দিবসে সব শিশু যেন হাসতে পারে—এটাই কামনা।
যদি কখনও মনে হয় শরীরে কিছু বদল হচ্ছে, দেরি না করে ডাক্তার দেখান।

ক্যান্সার মানেই শেষ নয়।
একটু সচেতনতা, একটু সাহস আর সময়মতো চিকিৎসাই পারে একটি শিশুর জীবন আবার আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে।

শিশুদের হাসিই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি—আজও, আগামীকালও।

ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যালিয়েটিভ কেয়ার — আশার আরেক নামসম্প্রতি আমি মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে ন্যাশনাল ক্যান্...
09/11/2025

ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যালিয়েটিভ কেয়ার — আশার আরেক নাম

সম্প্রতি আমি মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে ন্যাশনাল ক্যান্সার গ্রিড ও ASCO (American Society of Clinical Oncology) আয়োজিত Palliative Care Training Course-এ অংশগ্রহণের সুযোগ পাই (৪–৬ নভেম্বর, ২০২৫)। তিন দিনের এই প্রশিক্ষণ আমার চিকিৎসা জীবনের এক গভীর অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। এখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অনকোলজিস্ট, নার্স, সাইকোলজিস্ট, ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝতে পারলাম — ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যালিয়েটিভ কেয়ার শুধুমাত্র “শেষের সময়ের চিকিৎসা” নয়, বরং চিকিৎসারই অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আমরা প্রায়ই ক্যান্সারকে শুধুই “বেঁচে থাকার লড়াই” হিসেবে দেখি। কিন্তু এই লড়াইয়ের ভেতরে থাকে অসহ্য শারীরিক ব্যথা, মানসিক চাপ, আর পারিবারিক উদ্বেগ। প্যালিয়েটিভ কেয়ারের মূল উদ্দেশ্য হলো — রোগীর জীবনের মান ভালো রাখা, শুধুমাত্র বেঁচে থাকা নয়। এই যত্ন শুরু হয় রোগ নির্ণয়ের দিন থেকেই, এবং চলতে থাকে চিকিৎসার পুরোটা সময় জুড়ে — কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন, সার্জারি কিংবা টার্গেটেড থেরাপি—যেখানেই হোক।

টাটা মেমোরিয়ালে প্রশিক্ষণের সময় আমি প্রত্যক্ষ করলাম কীভাবে প্যালিয়েটিভ টিম একসঙ্গে কাজ করে — ডাক্তার, নার্স, সোশ্যাল ওয়ার্কার, সাইকোলজিস্ট, এমনকি স্বেচ্ছাসেবকরাও। একজন রোগীর ব্যথা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তার ঘুম, খাওয়া, মানসিক শান্তি, এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ — সবটাই তাঁদের যত্নের অংশ। সেখানে শিখেছি, Morphine বা pain medicine ক্যান্সার রোগীর শত্রু নয়, বরং তার প্রাপ্য অধিকার। সঠিক ব্যবহারে এই ওষুধ ব্যথা অনেকটাই কমিয়ে রোগীকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করে।

প্যালিয়েটিভ কেয়ার শুধু রোগীর নয়, তাঁর পরিবারেরও পাশে থাকে। ক্যান্সার যখন দীর্ঘমেয়াদি রোগ, তখন পরিবারও ক্লান্ত, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। প্যালিয়েটিভ টিম তাঁদেরকেও শেখায় কীভাবে প্রিয়জনের যত্ন নিতে হয়, এবং কীভাবে নিজেদের মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়।

এই প্রশিক্ষণ আমাকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে — বুঝিয়েছে যে “চিকিৎসা মানে শুধু টিউমার ছোট করা নয়, মানুষের কষ্ট কমানোও চিকিৎসারই অংশ।”

আজ আমি মনে করি, প্রত্যেক ক্যান্সার সেন্টারে একটি শক্তিশালী প্যালিয়েটিভ কেয়ার টিম থাকা অত্যন্ত জরুরি। এতে রোগী শুধুমাত্র বাঁচেন না, মানুষ হিসেবেও বেঁচে থাকেন।

আমার এই তিন দিনের শেখা একটাই বার্তা দেয় —
ক্যান্সার চিকিৎসার শেষ শব্দটা ‘End’ নয়, ‘Ease’।
আর প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেই স্বস্তির হাত, যা রোগীকে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মর্যাদা, ভালোবাসা ও শান্তি দেয়।

08/11/2025

Early detection can save lives! Listen to expert doctors share vital insights on recognizing symptoms, timely diagnosis, and effective care for bladder cancer. Awareness is the first step toward prevention and recovery. 💪🎗️

কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের কয়েকজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ (অনকোলজিস্ট) স্তন ক্যান্সার নিয়ে খুব দরকারি কিছু কথা বলেছেন — ভয় নয়, সচেত...
08/11/2025

কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের কয়েকজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ (অনকোলজিস্ট) স্তন ক্যান্সার নিয়ে খুব দরকারি কিছু কথা বলেছেন — ভয় নয়, সচেতনতা আর নিয়ম মেনে চলাই সবচেয়ে বড় শক্তি।

---

ডা. প্রলয় বসু, ডা. ভিক্টর মণ্ডল

তাঁরা বলেছেন —
স্তন ক্যান্সারের তিনটি প্রধান কারণ —

1. বয়স,

2. পারিবারিক জিন বা বংশগত কারণ,

3. জীবনযাপনের ধরণ।

বয়স ও জিন বদলানো যায় না, কিন্তু নিজের জীবনযাপন ঠিক রাখা যায়।
শরীরচর্চার অভাব, অতিরিক্ত ওজন, মদ্যপান বা ধূমপান — এগুলো ঝুঁকি বাড়ায়।
তাই নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার, ও সময়মতো চেক-আপ খুব গুরুত্বপূর্ণ।

---

ডা. দেবপ্রিয় মণ্ডল, ডা. প্রদীপ কুমার মণ্ডল, ডা. কানিষ্ক সরকার

তাঁরা বলেছেন — “ম্যামোগ্রাফি” ক্যান্সার ধরা পড়ার সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য উপায়।
এটা মাত্র ১৫ মিনিটের টেস্ট, ব্যথাও কম।
৪০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর একবার ম্যামোগ্রাফি করানো উচিত।
আগে ধরা পড়লে ক্যান্সার পুরোপুরি সারানো সম্ভব।

---

ডা. চঞ্চল গোস্বামী, ডা. চিনু জোমি, ডা. ডি. এস. নিহানথি

তাঁরা বলেছেন — ক্যান্সারের চিকিৎসা এখন অনেক উন্নত।
এখন শুধু কেমোথেরাপি নয়, আছে
লক্ষ্যভিত্তিক ওষুধ,
হরমোন থেরাপি,
ইমিউনোথেরাপি।
চিকিৎসা এখন টিমওয়ার্ক — ডাক্তার, নার্স, কাউন্সেলর, পুষ্টিবিদ—সবাই মিলে রোগীর পাশে থাকেন।

---

ডা. দেবান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়

তিনি বলেছেন — স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মানে শুধু প্রচার নয়, এটা সাহসের প্রতীক।
প্রতিটি পিঙ্ক রিবনের পেছনে থাকে একেকটা সংগ্রামের গল্প, একেকটা আশার বার্তা।

---

ডা. রাজীব ভট্টাচার্য

ডা. রাজীব ভট্টাচার্য বিশেষভাবে বলেছেন —
“ক্যান্সার মানেই শেষ নয়, বরং নতুনভাবে বাঁচার শুরু।”

তাঁর মতে, আজকের দিনে HER2-পজিটিভ স্তন ক্যান্সার বা আগের যেসব ‘ভয়ংকর’ ধরন বলা হতো, সেগুলোর চিকিৎসা এখন অনেক সফল।
ট্রাস্টুজুম্যাব (Trastuzumab), পার্টুজুম্যাব (Pertuzumab), ট্রাস্টুজুম্যাব ডেরুক্সটেক্যান (Trastuzumab Deruxtecan) ও টুকাটিনিব (Tucatinib)–এর মতো আধুনিক ওষুধ এখন রোগীদের নতুন জীবন দিচ্ছে।

তিনি বলেন —
“রোগীরা যখন জানেন যে আধুনিক চিকিৎসায় তাঁরও সুস্থ হওয়া সম্ভব, তখন তাঁর মানসিক শক্তি বহুগুণ বেড়ে যায়। সেই মানসিক শক্তিটাই অনেক সময় ওষুধের থেকেও বড় ভূমিকা নেয়।”

ডা. রাজীব ভট্টাচার্যের মতে,
ক্যান্সার চিকিৎসায় সঠিক সময়ে নির্ণয়,
বায়োপসি ও টেস্ট ঠিকভাবে করা,
চিকিৎসকের প্রতি বিশ্বাস —
এই তিনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

শেষে তিনি বলেন —
“বিজ্ঞান আমাদের পথ দেখায়, কিন্তু সাহস আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়।”
সচেতনতা, সাহস আর সময়মতো চিকিৎসাই ক্যান্সার জয় করার আসল পথ।

---

সব ডাক্তাররাই একবাক্যে বলেছেন —
“স্তন ক্যান্সার মানেই ভয় নয়,
সঠিক সময়ে ধরা পড়লে সম্পূর্ণ সুস্থ জীবন সম্ভব।”

05/11/2025

Witness the incredible journey of a brave soul who turned pain into power and fear into faith. This story reminds us that every battle can be won with hope, courage, and determination. 🌈💖

Address

242, AJC Bose Road
Kolkata

Opening Hours

Monday 9am - 5pm
Tuesday 9am - 5pm
Wednesday 9am - 5pm
Thursday 9am - 5pm
Friday 9am - 5pm
Saturday 9am - 5pm

Telephone

+919674446399

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Rajib Bhattacharjee, Cancer Specialist, MD, ECMO posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Rajib Bhattacharjee, Cancer Specialist, MD, ECMO:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category