15/09/2025
পশ্চিমবঙ্গে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের প্রকোপ সম্পর্কিত নির্দিষ্ট এবং সাম্প্রতিক ডেটা খুঁজে পাওয়া কঠিন, কারণ এই বিষয়ে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে কোনো একক এবং নিয়মিত ডেটাবেস নেই। তবে, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মতো পশ্চিমবঙ্গেও মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার এবং জরায়ুমুখের ক্যান্সারের পর ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার (ovarian cancer) অন্যতম প্রধান একটি স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত ক্যান্সার হিসেবে চিহ্নিত।
সাধারণ প্রবণতা
নীরব ঘাতক (Silent Killer): ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারকে অনেক সময় "নীরব ঘাতক" বলা হয়, কারণ এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো অস্পষ্ট এবং সাধারণ পেটের সমস্যা বা অন্যান্য রোগের মতো মনে হতে পারে। যেমন— পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি। এই কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগটি যখন নির্ণয় করা হয়, তখন তা উন্নত বা অ্যাডভান্সড পর্যায়ে (advanced stage) পৌঁছে যায়, যার ফলে চিকিৎসার সাফল্য কমে আসে।
ঝুঁকির কারণ (Risk Factors):
বয়স: সাধারণত ৫০-৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের মহিলাদের মধ্যে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়, বিশেষ করে মেনোপজের (menopause) পর।
পারিবারিক ইতিহাস (Family History): পরিবারের কারও যদি স্তন বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার থাকে (বিশেষ করে BRCA1 এবং BRCA2 জিন মিউটেশনের কারণে), তাহলে ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
প্রজনন সংক্রান্ত বিষয়: যারা কোনো সন্তানের জন্ম দেননি (nulliparous women) বা দেরিতে প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তাদের ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতির চিত্র
পশ্চিমবঙ্গে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে কিছু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া যায়। শহরের জীবনযাত্রা, ভুল খাদ্যাভ্যাস, ওজন বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ই এই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। তাই, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং শরীরের অস্বাভাবিক লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।