28/09/2022
পূজো আসছে।
অভিজ্ঞতা - ২
“ইলেকট্রিক কাটার নিয়ে কাজ করছিলাম, হটাৎ হাত আলগা হয়ে চলন্ত অবস্থায় ছিটকে গেলো। পরেশ প্রায় সাথে সাথে ইলেক্ট্রিক সুইচ বন্ধ করে দেয়, তাই রক্ষা পেয়েছি সে যাত্রায়। দুই তিন রাত তো ঠিক ঘুম হয় নাই, তাই চোখ বুঁজে আসছিল।“ প্রায় একটানা কথাগুলো বলেন ভুবন মণ্ডল। মেদিনীপুর থেকে আসা কলকাতার এক পূজো মন্ডপের কর্মী।
ভুবনবাবু যে ঘটনার কথা বললেন, সুরক্ষার পরিভাষায় তাকে বলে নিয়ার মিস। কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয় নি। কিন্তু হতে পারত অনেক কিছুই।
দুর্গাপূজোতে মণ্ডপ নির্মাণে নিযুক্ত কর্মীদের বিনিদ্র রজনী কাটানো কোন নতুন ব্যাপার নয়। শুরুর দিন যত এগিয়ে আসে, কাজের চাপ বাড়ে। ঘুম বিশেষ হয় না, দিনে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা কাজ করে মন্ডপের নির্মাণ শেষ করতে হয়। - এ কথা আমাদের নয়, বলেছেন অনেক দুর্গাপূজা কমিটির সদস্যরা, মণ্ডপ নির্মাণের দায়িত্বে থাকা প্রধান শিল্পীরা।
ফাউন্ডেশন ফর অকুপেশনাল হেলথ পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে গবেষণার কাজ করে আসছে গত ১২ বছর। তাদের গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে দেশ বিদেশের নানা পত্রিকায়।
নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে রাতে না ঘুমিয়ে অকান্ত পরিশ্রম শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তবে বিশেষ উপায়ে, বৈজ্ঞানিক নিয়ম মেনে, কাজও হবে, ঘুমও হবে, এমনটিও করা সম্ভব। তবে তার জন্য যেটা প্রধান দরকার তা হল সচেতনতা।
আমরা মনে করি শারদোৎসবের রুপায়নে নিয়োজিত শিল্পীদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য আরও সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে। সে কারণে এই সংস্থা চালু করেছে এক বিশেষ পুরস্কার - পেশাগত স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্মান”, শিল্পের রুপায়ণে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি।
দুর্গাপূজোর ইতিহাসে এমন পুরষ্কার এই প্রথম।
আপনারাও সামিল হোন এই সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়াসে।