25/06/2019
★হোমিওপ্যাথিক দর্শনের সংক্ষিপ্ত সার★★
*রোগ সমূহের শ্রেণীবিভাগঃ-
সার্জারীর আওতা বহির্বুক্ত রোগ সমূহ ( no surgical diseases) নিম্নোক্ত যে কোন একটি শ্রেনীভুক্ত; যথা ক) অ্যাকিউট খ) ক্রনিক এবং গ) ওষুধের অপব্যবহার,অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় বসবাস,ইত্যাদি জনিত।
★ ক) অ্যাকিউট রোগঃ -
১। অ্যাকিউট রোগসমূহের ভোগকাল নিতান্ত সীমাবদ্ধ এবং যদি কোনো চিকিৎসাই অবলম্বিত না হয়, তবু তা আপনাতেই সেরে যায় অথবা রোগীর মৃত্যুর মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটে।
এ জন্যই অ্যাকিউট রোগের পরিণাম কোনা 'জের'(sequele) থাকে না। অ্যাকিউট রোগের তথাকথিত 'জের' প্রকৃতপক্ষে অ্যাকিউট রোগের দ্বারা জেগে ওঠা কোনো একটি ক্রনিক মায়াজমের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
২। অ্যাকিউট রোগের যে কোন স্তরে সদৃশ ওষুধ ( the similar remedy) দ্বারা নিরাময় করা যায়।
৩। সংক্রামক অ্যাকিউট রোগসমূহে সদৃশতম ওষুধ ( the similimum)প্রয়োগে সকল সংক্রমণ অচিরেই দূরীভূত হয়।
৪।এপিডেমিক রেমিডিই (the epidemic remedy)হচ্ছে অ্যাকিউট রোগের প্রতিষেধক।
কোনো ক্রনিক রোগের চিকিৎসাকালে যদি কোন নগন্য ধরনের অ্যাকিউট রোগ বাড়তি হিসাবে এসে পড়ে,তা হলে সদৃণ লক্ষনে নির্বাচিত একটি ওষুধ নিম্ন শক্তিতে প্রয়োগ করাই বিধেয়।যদি এরুপ করা হয়, তাহলে প্রায় দেখা যায় যে, সেই বাড়তি অ্যাকিউট রোগটি আরোগ্য হয়ে গেছে। অথচ সেই স্বল্পক্রিয় ( short acting)ওষুধ দ্বারা পূর্বের দীর্ঘক্রিয়(deep acting)ওষুধের ক্রিয়ার কোনো ব্যাঘাত ঘটে এবং অব্যাহতভাবে তা ক্রিয়াশীল রয়ে গেছে।[ বাড়তি
অ্যাকিউট রোগটি যদি ভীষন প্রকৃতির হয়, তা হলে এরুপ হবে না। ভীষন প্রকৃতির অ্যাকিউট রোগের বেলায় এরুপ আশা কোরো না এবং তখন নির্বাচিত ওষুধটি উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ করো।( জেমস টেলর কেন্ট) ]
৫। বাড়তি হিসেবে আগমনকারী অ্যাকিউট রোগটি (the acute supervening disease) আরোগ্যের পর,ক্রনিক রোগের জন্য ওষুধ পুনঃপ্রয়োগের আগে চিকিৎসককে এ বিষয়ে ণিশ্চত হতে হবে যে,অ্যাকিউট রোগের চিকিৎসার ফলে বা স্বয়ং অ্যাকিউট রোগটিে দ্বারা ক্রনিক রোগটি কোনোরুপ পরির্বতন ঘটেনি এবং পূর্বে নির্বিচিত ওষুধটির পরির্বতে বর্তমানে ভিন্ণ কোনো ওষুধ নির্দেশ করছে না।
৭।সক্রিয় ক্রনিক রোগের তরুণ উচ্ছ্বাস(acute exacerbation of active chronic disease) হলে,তার চিকিতসা কিন্তু বাড়কি হিসেবে আগমনকারী অ্যাকিউট রোগের ( acute supervening disease) চিকিৎসা থেকে ভিন্নতর ভাবে করতে হবে।এক্ষেত্রে কোনো ওষুধের প্রয়োজন আদৌ নাও হতে পারে। তবে প্রায় ক্ষেত্রেই ক্রনিক রোগে প্রয়োজনীয় কোনো দীর্ঘক্রিয় ওষুদের কোনো তরুন পরিপূরক ওষুধ (the acute complement)উপযোগী বিবেচিত হয়; কিন্তু সেটা যদি একটি অ্যান্টিসোরিক হয়, তাহলে কোনো ওষুধ না দেওয়াই উত্তম।
৮। সাধারনত, যখন ক্রনিক রোগটি কেবল আংশিকবাবে সক্রিয় থাকে, তখন সামান্য কারনে পুনঃপুনঃ তরুণ রোগাক্রমনের অসুস্থতা ব্যতীত রোগী বাহ্যত সুস্থই থাকে। এ ক্ষেত্রে, তরুন রোগলক্ষন সমূহের দ্বারা যে ওষুধ নির্দেশিত হয়,তার পরিপুরক কোনো দীর্ঘক্রিয় ওষুধ প্রয়োগ দ্বারাই কেবল রোগীর অন্তর্নিহিত ক্রনিক রোগটির আরোগ্য সম্বব হয়।
ডাঃ আর গিবসন মিলার( এম ডি)