12/10/2025
সেদিন চেম্বারে এক মা এলেন – বাচ্চা ১২ দিনের।
গায়ে র্যাশ, ফুসকুড়ি, দাগ, আর সারা শরীরে এক ধরনের তীব্র গন্ধ।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তেল দেন?”
মা হাসলেন “জি ডাক্তার, সরিষার তেল দেই রোজ সকালে, রোদে বসাই, ঠান্ডা লাগে না তো!”
আমি চুপ করে বাচ্চার ত্বকটা দেখছিলাম… লাল, জ্বালা ধরছে, সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে।
এটাই আমাদের বাস্তবতা।
বাচ্চা জন্ম নিলেই যেন সরিষার তেলের পূজা শুরু হয়!
দাদী-নানীরা তো পারলে শিশুটাকে তেলের ড্রামে ডুবিয়ে রাখে, আর বিশ্বাসটা এমন
“তেল না দিলে বাচ্চা বড়ই হইবো না!”
কিন্তু সত্যি কী জানেন?
সরিষার তেল শিশুর ত্বকের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর তেলগুলোর একটি।
এর ঝাঁজ বেশি, তেল ঘন ফলে
➡ ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়
➡ র্যাশ হয়, ফুসকুড়ি হয়
➡ঘাম বেরোতে না পারায় শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে
➡সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে
তারপর মা-বাবা দৌড়ায় ডাক্তারখানায়
“ডাক্তার, ওষুধ দেন, বাচ্চার গায়ে ফুসকুড়ি উঠছে…”
আর কারণটা?
আপনাদের প্রিয় সেই সরিষার তেল!
মা-বাবা, ভালোবাসুন, অবশ্যই ভালোবাসুন।
কিন্তু ভালোবাসার নামে যেন ক্ষতি না করেন।
বাচ্চার ত্বক ফুলের থেকেও কোমল
সেখানে ঝাঁজালো সরিষার তেল নয়, ব্যবহার করুন বেবি অয়েল বা নারকেল তেল, যা ত্বক-বান্ধব।
ভালোবাসা মানে শুধু যত্ন নয়, সচেতন যত্ন।
চলুন, মিথ নয়, বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করি। শেয়ার করে সচেতন করি মা দের। পেইজটি ফলো করতে ভুলবেন না।
সংগৃহীত পোস্ট........