30/10/2025
গণভোটের দাবিতে নতুন সুর: নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান
📅 প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
(নিজস্ব প্রতিবেদক)
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠেছে গণভোটের দাবি। বিভিন্ন দল ও নাগরিক সংগঠন বলছে— নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, সংবিধান পরিমার্জন এবং ভোটিং সিস্টেমে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
তাদের মতে, গণভোট আয়োজন এখন কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন হলে জনগণ সরাসরি অংশ নিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ শাসন কাঠামো নির্ধারণের সুযোগ পাবে। এতে করে ভোটারদের আস্থা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দুটোই বৃদ্ধি পাবে।
গণভোটপন্থী রাজনৈতিক মহল মনে করে, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, প্রশাসন ও সংবিধানে সংস্কার, এবং ভোটিং ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনাই দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের মূল শর্ত।
তারা অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি এসব সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে গণভোট এড়াতে চাচ্ছে। তাদের দাবি, এতে দেশ আবারও পুরোনো রাজনৈতিক অচলাবস্থায় পড়ে যেতে পারে।
গণভোটের পক্ষে থাকা নেতারা বলছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌম অবস্থান ও জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় জনগণের সরাসরি মতামত নেওয়া জরুরি।
তারা মনে করেন, গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে বিদেশনির্ভরতা ও রাজনৈতিক দখলদারিত্বের পথ বন্ধ করা সম্ভব হবে।
এক তরুণ রাজনৈতিক কর্মী বলেন,
“যেভাবে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে, ঠিক সেভাবেই গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। তারুণ্যের প্রথম ভোট হোক ‘হ্যাঁ’— একটি স্বাবলম্বী, স্বাধীন ও ন্যায়ের বাংলাদেশ গঠনের পক্ষে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন নিয়ে যে জনচাপ তৈরি হচ্ছে, তা এখন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গণভোট হলে জনগণের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে, আর না হলে এই ইস্যু আগাম নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
#গণভোট #জাতীয়_নির্বাচন #জুলাই_সনদ #সংবিধান_সংস্কার #জনগণের_অংশগ্রহণ #বাংলাদেশ_রাজনীতি