আল-ইসলাম ফার্মেসী/ Al-Islam Pharmacy

আল-ইসলাম ফার্মেসী/ Al-Islam Pharmacy সকল ঔষধের বিশাল সমাহার
,বেবী কিডস সহ স?

জরুরী প্রয়োজনে মানসম্পন্ন অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে কল করুন : 01863425299
17/01/2023

জরুরী প্রয়োজনে মানসম্পন্ন অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে কল করুন : 01863425299

Viva Check Ino Blood Glucose MeterProduct Details:10 pcs strip free.10 pcs lancets freeBrand: VivaChek InoThe device is ...
17/01/2023

Viva Check Ino Blood Glucose Meter

Product Details:
10 pcs strip free.

10 pcs lancets free

Brand: VivaChek Ino

The device is easy to hold on your hand – a solidly and precisely profiled glucometer is perfect for large and small hands..

Patented stable mediator.

Easy to keep clean.

Two buttons for quick configuration and operation.

If you need plase contact with us
+8801863425299

Check Ino Blood Glucose Meter

Home delivery দেওয়া হয়বাসায় বসে পেতে ইনবক্স করুন
30/05/2022

Home delivery দেওয়া হয়
বাসায় বসে পেতে ইনবক্স করুন

22/03/2022

উকুন (ইংরেজি: Lice) :
বলা হয় তিন হাজারেরও বেশি প্রজাতির পাখাহীন থির‍্যাপটেরা (Phthiraptera) বর্গভুক্ত পোকাকে। এদের মধ্যে মাত্র তিনটি প্রজাতি মানুষের ক্ষতি করে। এরা সকল পাখি এবং সকল স্তন্যপায়ী বর্গের গায়ে 'আবশ্যিক-বহিঃপরজীবি' হিসেবে বাস করে।

উকুন আক্রান্ত হওয়াকে ইংরেজিতে পেডিকুলোসিস (Pediculosis) বলা হয়। আরো স্পষ্টভাবে বলা যায়, থির‍্যাপটেরা বর্গভুক্ত রক্তচোষা উকুনের আক্রমনকে পেডিকুলোসিস বলা হয়। মানুষসহ গরম রক্তবিশিষ্ট যে কোনো স্তন্যপায়ী এবং পাখি উকুনে আক্রান্ত হয়।
পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি উকুনে আক্রান্ত হন। মাথার উকুন সরাসরি স্পর্শের মাধ্যমে একজনের মাথা থেকে আরেক জনের মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। উকুনের ডিমকে নিট বলা হয়; যা থেকে একটি নিম্ফ বা বাচ্চা জন্মে, পরে সেটা পূর্ণ বয়স্ক উকুনে পরিণত হয়।

উকুন প্রতি রাতে এক বা একাধিক বার খাদ্য গ্রহণ করে। সূঁচের মত মুখ উপাঙ্গ ব্যবহার করে তারা মানুষের মাথার চামড়া ছিদ্র করে রক্ত খেয়ে থাকে। সেসময় তাদের লালা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে; এতে চুলকানি সৃষ্টি হয়। উকুন মানুষের চামড়ায় গর্ত তৈরি করতে পারেনা।

Rx,
Alice lotion
সম্পূর্ণ লোশনটি শুকনো চুল এবং মাথার স্কাল্পে ভালো করে লাগাবে।
১০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলবে।

১০-১৫ দিন পর উপরোক্ত নিয়মে পুনরায় ব্যবহার করবে৷

নিয়মিত লাইক কমেন্ট না করলে আমাদের গ্রুপের পোস্ট আপনি আর দেখতে পারবেন না।

28/02/2022

কালেমা-ই-আস্তাগফের - Kalima-e-Astaghfar

اسْتَغْفِرُ اللّهَ رَبِّىْ مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ اَذْنَبْتُه عَمَدًا اَوْ خَطَاً سِرًّا اَوْ عَلَانِيَةً وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ مِنْ الذَّنْبِ الَّذِىْ اَعْلَمُ وَ مِنْ الذَّنْبِ الَّذِىْ لا اَعْلَمُ اِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الغُيُبِ وَ سَتَّارُ الْعُيُوْبِ و َغَفَّارُ الذُّنُوْبِ وَ لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ اِلَّا بِاللّهِ الْعَلِىِّ العَظِيْم'

উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জামবি আয নাবতুহু আমাদান আওখাতাআন সিররান আওয়ালা নিয়াতান ওয়াতুবু ইলাইহি মিনাযযামবিল্লাজি ওয়ামিনাযযামবিল্লাজি লা আলামু ইন্নাকা আনতা আল্লামুল গুয়ুবী ওয়া সাত্তারুল উইয়ুবী ওয়া গাফফারুজজুনুবি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আযীম।

বাংলা অনুবাদঃ আমি আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাই সকল পাপ থেকে, যা আমি সংঘটিত করেছি আমার জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে, গোপনে বা প্রকাশ্যে এবং আমি আমার পালনকর্তার আশ্রয় চাই সেই পাপ থেকে, যে পাপ আমি জানি এবং যে পাপ আমি জানিনা। অবশ্যই আপনি লুকানো এবং গোপন (ভুল) পাপ সম্পর্কে জানেন এবং ক্ষমাশীল। আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন শক্তি নেই, কোন ক্ষমতা নেই, তিনি সম্মানিত, তিনি মহান।

  AGAIN Tightening & Rejuvenating Herbal Creamসারাদেশে হোম ডেলিভারী দেওয়া হয়।সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত কাঁচামালের প্র...
27/02/2022

AGAIN Tightening & Rejuvenating Herbal Cream
সারাদেশে হোম ডেলিভারী দেওয়া হয়।
সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত কাঁচামালের প্রস্তুত একটি আয়ুর্বেদিক প্রোডাক্ট।
ব্যাপারটা খুবই স্পর্শকাতর হলেও,,,আমাদের নারীদের জীবনের অনেক বড় এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বাস্তবতা..
বিবাহিত নারীদের যাদের বিয়ের অনেক বছর পার হয়ে যায়,,তাদের ১/২টা বাচ্চা হওয়ার পর অনেক সময় যোনীপথ আর আগের মতো স্বাভাবিক থাকে না…এই কারণে অনেক সময় বিবাহিত জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়.
তাই এই সমস্যার সমাধান করতে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এমন এক ক্রিম আবিষ্কার করেছেন ,,যেটি অনেকটা কুমারীত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার মতো জাদুকরী অবদান রাখে…এটি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর জীবনকে পুনঃউদ্ধৃত করা খুব সহজেই সম্ভব…।
আপনার গোপন অঙ্গ আগের মতন টাইট।
যৌনাঙ্গের চারপাশ ফর্সা করবে।

#ভার্জিন এগেইন ব্যবহারবিধি-
সকাল ও সন্ধ্যা দুই বেলা পরিমাণমত ক্রিম নিয়ে এইটা যোনিপথের মুখে ..
যোনিপথের ভিতরে না, মুখে দুই পাশে আঙুল দিয়ে মাসাজ করবেন
অবশ্যই এটা পিরিয়ড এর সময় ব্যবহার করবেন না

বাসায় বসে ওষুধ পেতে 'Prescription "Inbox করুন
30/08/2020

বাসায় বসে ওষুধ পেতে 'Prescription "Inbox করুন

30/08/2020
30/06/2020

এখন ফার্মাসি থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন আপনার প্রয়োজনীয় সব ঔষধগুলো এবং ঔষধগুলো বুঝে নিন ঘরে বসেই। ঔষধের গুনগতমানের নিশ্চয়তা দিতে আমরা সবসময় সরাসরি উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঔষধ সংগ্রহ করি। ঔষধ অর্ডার করতে আজই আমাদের Facebook messenger ও নাম্বারে মেসেজ করুন

15/06/2020

ঘরে বসে ঔষধ পেতে কল করুন বা ইনবক্স করুন।

15/05/2020

১৫-০৫-২০২০.
নতুন নমুনা পরীক্ষা -৮৫৮২টি।
মোট নমুনা পরীক্ষা -১৬০৫১২টি।
নতুন আক্রান্ত -১২০২জন।
মোট আক্রান্ত -২০০৬৫জন।
নতুন মৃত-১৫জন।
মোট মৃত-২৯৮জন।
নতুন সুস্থ-২৭৯জন।
মোট সুস্থ-৩৭০৬জন।
সূত্রঃ আইইডিসিআর

আজকের করোনায় মৃত্যুর  সংখ্যা সর্ব্বোচ্চ ১৯ ।নতুন জামা ছাড়া ঈদ করতে পারবেন, এমন অবস্থা হয়নি যে আপনার বাসায় পড়ার মতো কিছু ...
13/05/2020

আজকের করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সর্ব্বোচ্চ ১৯ ।

নতুন জামা ছাড়া ঈদ করতে পারবেন, এমন অবস্থা হয়নি যে আপনার বাসায় পড়ার মতো কিছু নাই, কিন্তু বাসার একজনের যদি করোনা হয় বা একজন যদি মারা যায় কিসের আর ঈদ করবেন ?

৭৯০০ টেস্টে ১১৬২ জন আক্রান্ত, চিন্তা করেন যদি এক লাখ লোক টেস্ট করা হত কত জন আক্রান্ত হতো !
সময় থাকতে সাধু সাবধান হোন ।

28/03/2018

ভিটামিন -ই
কাজঃ-প্রাণীর প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
অভাব জনিত রোগঃ
সাময়িকভাবে বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে।
দৈনিক প্রয়োজনঃ-১৫ মি.গ্রাম।
উৎসঃ-
ডিমের কুসুম,মটরশুটি,গম,যব,সূর্যমুখী তেল ইত্যাদি।

01/03/2018

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০১ মার্চ ২০১৮ | ১৭ ফাল্গুন ১৪২৪

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২৮ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২৮ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ
অনলাইন ডেস্ক | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৪:২৩ | আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:৫০

আসছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২৮ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিলেন হাইকার্ট। সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মুহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই ২৮ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিক্যানসার ও হরমোন-জাতীয় ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। ওই আবেদনের শুনানি শেষে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করেন আদালত।
ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পনিগুলো শনাক্তকরনে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির দেয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত এ আদেশ দিলেন।
স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক ও ওষুধ অধিপ্তরের মহাপরিচালককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২৮ কোম্পানির ওষুধ উৎপাধন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয়া ২৮ কোম্পানি হলো- অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস, অ‌্যাজটেক ফার্মাসিউটিক্যালস, বেঙ্গল টেকনো ফার্মা, বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ডিসেন্ট ফার্মা, ডা. টিমস ফার্মাসিউটিক্যাল, গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যাল, গ্রিনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল, ইনোভা ফার্মাসিউটিক্যাল, ম্যাক্স ড্রাগস, ম্যাডিমেট ল্যাবোরেটরিজ, মডার্ন ফার্মাসিউটিক্যাল, মিসটিক ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ, অর্গানিক হেলথকেয়ার, ওয়েস্টার ফার্মা, প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যাল, সীমা ফার্মাসিউটিক্যাল, হোয়াইট হর্স ফার্মাসিউটিক্যাল, মমতাজ ফার্মাসিউটিক্যাল, ইউনিক ফার্মাসিউটিক্যাল, ইউনাইটেড ক্যামিকেলস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যাল, টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ইউনিট-১, ২ ও ৩।

এর আগে হাইকোর্ট ২০টি কোম্পানির সকল ধরণের ওষুধ ও ১৪টি কোম্পানির সব ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে রায় দেয়।

23/02/2018

সন্তান না হওয়ার কিছু বিশেষ কারণ।
লেখাটি পড়ুন এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় জেনে নিন।
===============================
ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব এটি একটি গুরুতর সমস্যা। আমাদের দেশে এমন অনেক দম্পতি আছে যাদের ইচ্ছা থাকলেও সন্তান হয় না। বর্তমানে এই রোগের অনেক চিকিৎসা তৈরি হয়েছে এবং বাংলাদেশে এর অনেক ভালো চিকিৎসাও হচ্ছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ১৯৪৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ল্যাবএইড ফার্টিলিটি সেন্টারের সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম এম মোরতায়েজ আমিন।

প্রশ্ন : ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব বিষয়টি কী এবং সেখানে নারীর অবস্থান কোথায়?

উত্তর : যদি এক বছর কোনো দম্পতি একসাথে থাকেন এবং কোনোরকম বাধা ছাড়া (প্রোটেকশন) শারীরিক মেলামেশা করে, এরপরও যদি তাদের সন্তান না হয় তাহলে আমরা বলতে পারি তারা ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগছে।

প্রশ্ন : এদের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী এবং বিশেষ করে নারী পুরুষ ভেদটা কেমন?
উত্তর : নারী-পুরুষ এখন সমানভাবেই এই সমস্যার জন্য দায়ী বা ভুক্তভোগী। ১০০ জন নিঃসন্তান দম্পতির মধ্যে ৫০টি দম্পতির ক্ষেত্রে পুরুষের সমস্যা আর বাকি ৫০টি দম্পতির ক্ষেত্রে নারীর সমস্যা হয়ে থাকে। এর মধ্যে দুজনেরই সমস্যা আছে এমন দম্পতি রয়েছে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ।

বর্তমানে মানুষের এ ব্যাপারে সচেতনতা বেড়েছে, ডাক্তারের সংখ্যা বেড়েছে, প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে তারপরও বাংলাদেশে সমস্যাটি বাড়ছে দিন দিন। এর কিছু কারণও রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের এখন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশের বাইরে থাকে। এরমধ্যে ৩০ লাখ মানুষ এমন যারা দু-এক বছর পরপর দেশে আসে, থাকে, আবার চলে যায়। তারা এসেই বিয়ে করে, বিয়ে করে কিছুদিন থেকে আবার চলে যায়।

অনেকদিন পর এসে এক মাস বা দুই মাস থাকে। আমি যেমন বলেছি, কম করে হলেও এক বছর একসাথে থাকতে হবে এবং বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেটা হয় তো আর হয় না। হয় তো দেখা যাচ্ছে তাদের কোনো সমস্যা নেই। এই দূরে থাকাটাই তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

প্রশ্ন : অনেক সময় পরীক্ষা করে স্বামী-স্ত্রী কারোই সমস্যা পাওয়া যাচ্ছে না কিন্তু সন্তান হচ্ছে না- এর কারণ কী?

উত্তর : প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো সমস্যা নেই তারপরও সন্তান হচ্ছে না। পৃথিবীর সব দেশেই এ ধরনের সমস্যার জন্য পরীক্ষা করা হয়। প্রায় একই ধরনের পরীক্ষা থাকে। সেগুলোতে কারোটা ধরা পড়ে আর কারোটা ধরা পড়ে না। এর মধ্যে কোনো কোনো সমস্যার চিকিৎসা করা যায় আবার কোনো কোনো সমস্যার চিকিৎসা করা যায় না।

প্রশ্ন : নারীরা প্রধানত কী কারণে বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভোগে থাকে?

উত্তর : আমার নিজস্ব একটা মত রয়েছে এ ব্যাপারে। হয় তো অনেকেই আমার কথাটি নাও মানতে পারে। সেটা হলো পলিসিস্টিক ওভারি একটা কারণ হতে পারে। আমি মনে করি, ফলিকুলার সিনড্রম নামে একটি সিনড্রম রয়েছে, যেখানে নারীদের মাসিক নিয়মিতই হচ্ছে, অন্য সবকিছুই স্বাভাবিক, কিন্তু ওই সিন্ড্রমের ফলে যে ডিমটি বের হবে সেই ডিম বের হচ্ছে না এবং এটার হার ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ। যেখানে পলিসিস্টিক ওভারির শতাংশ অনেক কম। তাই সিনড্রম একটা বড় কারণ হতে পারে যা আমরা হয়তো খেয়াল করছি না। আর দ্বিতীয় হচ্ছে পিসিও(পলিসিস্টিক ওভারি) যেখানে অনেক সিস্ট হয় যে সিস্টগুলো পরিণত হয়ে ফেটে ডিম বের হয়। অনেকের এই সিস্ট পরিণত হয়ে ফেটে ডিমে বের হয় না তখনই সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সে।

আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, ইউটেরাস যেখানে বাচ্চা থাকে বা বড় হয় সেটার দুই পাশে দুটি নল থাকে আমরা সেটাকে ফেডোপেন টিউব বলে থাকি। এই ফেডোপেন টিউব ওভারির কাছাকাছি গিয়ে শেষ হয়। ওভারি থেকে ডিম ফেডোপেন টিউবে আসে। সেখানে স্পার্ম গিয়ে ফার্টিলাইজেশন করে। অনেক সময় এই ফেডোপেন টিউব বন্ধ হয়ে যায় আর এটার প্রধান কারণ হলো ইনফেকশন। মেয়েদের ইনফেকশন বেশি হয় এবং অনেকেই ঠিকমতো এর চিকিৎসা করে না। সে কারণে টিউবটা বন্ধ হয়ে যায়। আর এর ফলে ডিম আসতে পারে না আবার স্পার্মও যেতে পারে না। এর ফলে বন্ধ্যত্ব সমস্যা দেখা দেয়।

প্রশ্ন : এই সমস্যার ক্ষেত্রে নারীদের বয়স কোনো প্রভাব ফেলে কি?

উত্তর : মেয়েদের প্রতি মাসে একটা করে ডিম বের হয়। বলা হয়ে থাকে ৩৫ বছররের পর নারীদের এই ক্ষমতা কমতে থাকে। কিন্তু আমি বলব ৩২ বছর পর থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়ে থাকে। একটা পরিসংখ্যানের কথা বলি যেখান থেকে সহজেই বুঝে যাবেন বয়সের সাথে ডিমের গুণাগুণ কতটা সম্পর্কযুক্ত। ৩৫ বছর বয়সের মায়েদের ৮০০ সন্তানের মধ্যে ১টা বাচ্চা হবে ডাউন সিনড্রম, যা একটি জেনেটিক রোগ। এই রোগ ভালো হয় না।

মায়ের বয়স যদি ৩৮ বছর হয় ডাউন সিনড্রম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রতি ৪০০ জনে একজন, মায়ের বয়স যদি ৪০ হয় ডাউন সিনড্রম প্রতি ২০০ জনে একজন এবং যদি বয়স ৪২ হয় তাহলে প্রতি ১০০টা বাচ্চার মধ্যে একটা ডাউন সিনড্রম হবে। আর যদি বয়স ৪২ এর বেশি হয় তাহলে প্রতি ৫০টা বাচ্চার মধ্যে একটা হবে ডাউন সিনড্রম। আর যাদের সন্তান হয় না তাদের ক্ষেত্রে, ৩৫ বছরের পর প্রথমত ফার্টিলাইজেশন রেট কমে যায়, দ্বিতীয়ত ইনপ্লান্টেশনের রেট কমে যায় অর্থাৎ ভ্রুনটা পাঁচ-ছয়দিন পর এসে ইউটেরাসে জমা হয় তার পরিমাণ কমে যায়। তখন নারীদের বন্ধ্যত্ব সমস্যা দেখা দেয়।

প্রশ্ন : ইনফার্টিলিটি সমস্যা যদি নারীদের ক্ষেত্রে হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে কী ধরনের চিকিৎসা রয়েছে?

উত্তর : এ ক্ষেত্রে বলব, একেকজনের সমস্যা একেক ধরনের হয়। আর এর চিকিৎসা পদ্ধতিও একেক রকমের হয়ে থাকে। তাই প্রথমেই জেনে নিতে হবে কী কারণে এ সমস্যা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।

প্রশ্ন : ”টেস্টটিউব বেবি” কি বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে সম্ভব?

উত্তর : ”টেস্টটিউব বেবি” বাংলাদেশে সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে বলব, সরকারের উচিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা। এটা খুবই স্পর্শকাতর একটা ব্যাপার। টেস্টটিউব বেবি সেন্টারের মান কেমন হবে, সেখানে প্রশিক্ষিত ডাক্তার কেমন থাকবে তার ওপর নীতিমালা আরোপ করা দরকার। সেটা ঠিকমতো অভিজ্ঞদের হাতে পরিচালিত হচ্ছে কি না সেদিকেও নজর রাখা উচিত।

(অনলাইন কালেকশন।)

23/02/2018

কোমর ব্যথা নিয়ে আমাদের যত ভুল বিশ্বাস ...
=============================
১। রেস্টঃ আমরা অনেকে বলে থাকি কোমর ব্যথা মানেই বেড রেস্ট । এটা এক ধরনের ক্ষতি , রেস্টে ব্যথা কম লাগতে পারে , তবে ডিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় , মাসল দুর্বল হয়ে যায়। ফলে ব্যথা আর সারতে চায় না । কোমর ব্যথা হলেই রেস্ট আর ব্যথার ওষুধ, এই রকম ইভিডেন্স আমি কোথাও পাই নাই । যদি কারও কাছে থেকে থাকে , আমাকে পাঠাতে পারেন । তবে হ্যাঁ , হাড় ভেংগে গেলে বা সফট টিস্যূ ইনজুরি হলে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক রেস্ট দেওয়া যেতে পারে ।

২। লাম্বার সার্পোটঃ আজকাল কোমর ব্যথা মানেই কোমরের বেল্ট , চেয়ারে বিভিন্ন সাপোর্ট । এই গুলো ইভিডেন্স বিহীন । ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ ছাড়া এইসব ভুলেও ব্যবহার করবেন না ।

৩। কিছু ইলেক্ট্রোথেরাপি ব্যবহার মানেই সময় এবং টাকার অপচয় , যেমন UST, SWD, LASER , IFT etc.

৪। ব্যথার ওষুধঃ ব্যথার ওষুধ মানেই উপসর্গকে সাময়িক দমিয়ে রাখা । ব্যথার কারণকে চিকিৎসা করা নয় । সাময়িক ব্যথা কমলেও পরবর্তিতে স্থায়ি অনেক ক্ষতির কারন এই ব্যথার ওষুধ ।

৫। কোমর ব্যথা মানেই এমআরআই করতে হবে ! আমরা অনেকেই ভেবে থাকি এমআরআই করলেই রোগ নির্নয় পানির মত সহজ হয়ে যাবে। এটা একটা ভ্রান্ত এবং ব্যবসায়িক ধারনা । রোগ নির্নয় নির্ভর করে আপনার সমস্যার ইতিহাস শু্নার উপর এবং ফিজিক্যালি ভাল্ভাবে এসেসম্যান্টের উপর । এমআরআই , এক্সরে রোগ নির্নয়ে সহায়ক হতে পারে , তবে সেটা পরে ।

ধন্যবাদ
ডা সাইফুল ইসলাম, পিটি
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার, উত্তরা ।

17/02/2018

ডা. নওশিন শারমিন পুরবী :: প্রকৃতির অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় মানবশিশুর অপেক্ষাকৃত অসহায় অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। পরিবার-পরিজন বিশেষ করে মায়ের পরিচর্যায় এই শিশুটি পরবর্তীতে বেড়ে ওঠে স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিরূপে। এই বেড়ে ওঠার পেছনে মায়ের দুধের অবদান অপরিসীম। এটি এমনই এক সুষম খাদ্য যা ১ম ৬ মাস খাওয়ালে সে সময়ে অন্য কোনো খাবার, পানীয়, মধু, চালের গুঁড়োর সুজি, চিনির পানি, এমনকি সাধারণ পানি- কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই।
মাতৃস্তনে ১ম যে দুধ আসে তার নাম শাল দুধ। এটি হালকা হলুদ বর্ণের, আঠালো, পরিমাণে কম। এটি শিশুর প্রথম খাবার এবং প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে। এতে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন থাকে। পরিমাণে কম হলেও এতে আছে এৎড়ঃিয ঋধপঃড়ৎ যা শরীরকে সুগঠিত করে। আছে এমন সব উপাদান যা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে। ফলে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কানপাকা, মেনিনজাইটিস, এলার্জি বা এক্সিমা কম হয় বা হলেও তাড়াতাড়ি আরাগ্য লাভ করে।

শাল দুধ অনেকটা জোলাপের মতো কাজ করে পেট পরিষ্কার করে ফলে শিশুর জন্ডিস কম হয়। ভিটামিন ‘এ’ থাকার কারণে অন্ধত্ব দূর হয়। শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়িয়ে দিয়ে হাড়ের গঠন মজবুত করে। মুখম-লের হাড় ও মাংশপেশি সুগঠিত হয়। এ ছাড়া শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে শিশুর ওছ বা বুদ্ধি ধার ১০ মাত্রা বৃদ্ধি করে।

জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যদি বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ দেয়া যায় তবে গর্ভফুল তাড়াতাড়ি পড়ে যায় এবং প্রসব পরবর্তী রক্তপাত কম হয়। ফলে মায়ের রক্তস্বল্পতা তৈরি হয় না এবং জরায়ু খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। প্রসবের পরবর্তী আধ ঘণ্টার মধ্যে যারা শিশুকে বুকের দুধ দেন তাদের দুধ তৈরি ও দুধ খাওয়াতে পরবর্তীতে অসুবিধা কম হয় এবং তারা অনেকদিন পর্যন্ত বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারেন।

১ম ৬ মাস পর্যন্ত মা যদি শিশুকে রাতদিন শুধু বুকের দুধ খাওয়ান তবে তা শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে এ শিশুরা যদি বুকের দুধের পাশাপাশি অন্য কোনো কিছু খায় বা ৬ মাসের আগে মাসিক ফিরে আসে বা বাচ্চার বয়স যদি ৬ মাসের বেশি হয় তবে তা কার্যকর নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কপারটি, মিনিপিল, ইনজেকশন, কনডম বা ক্ষেত্রবিশেষে স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ ব্যবস্থা নিতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মা বেশিরভাগ সময় শিশুর সঙ্গে কাটায়। ফলে মা ও শিশুর মাঝে ১টি নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়। অন্যথায় শিশুর সঙ্গে মায়ের একটি দূরত্বের তৈরি হয় যা কারোই কাম্য নয়।

মায়ের বুকের দুধ এবং কৌটার দুধের (বিকল্প দুধ) তুলনামূলক অবস্থান :
বিকল্প দুধে সবসময় রোগজীবাণু বহন করার ভয় থাকে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণ ও বর্জনের সমন্বয়ে তৈরি হয় কৌটার দুধ। এতে অর্থ ব্যয় হয়। সময়ের অপচয় ঘটে। রাসায়নিক ও অজৈব পদার্থ থেকে যেতে পারে। এছাড়া বোতল বা নিপল পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করাও বেশ কষ্টসাধ্য।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে জন্মের পর থেকে যারা শিশুদের বিকল্প দুধ পান করিয়েছেন মাতৃদুগ্ধ পানকারী শিশুর তুলনায় তাদের ডায়রিয়া ২৫ গুণ বেশি এবং শ্বসনতন্ত্রের ইনফেকশনে মৃত্যর সম্ভাবনা ৪ গুণ বেশি।

গরুর দুধে আয়রন থাকলেও মাতৃদুগ্ধের মতো তা শোষণ হয় না। মায়ের দুধের আয়রন শতকরা ৫০ ভাগ আর গরুর দুধের আয়রন শতকরা ১০ ভাগ কাজে লাগে।

গরুর দুধে ভিটামিন-সি থাকে না। এছাড়া ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে বলে শিশুর কোনো কোনো সময় খিঁচুনি তৈরি হতে পারে।

গরুর দুধের অতিরিক্ত আমিষ থাকে যা শিশুর অপরিপক্ব কিডনি দিয়ে বের হয়ে যাওয়া কঠিন। এছাড়া হজমও কষ্টকর। গরুর দুধ, মধু, গ্লুকোজ দিলে হজম হতে বেশি সময় লাগে। অনেক সময় পেট ফেঁপে থাকে। শিশু দেরিতে খেতে চায়। পায়খানা শক্ত হয়, প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পায়।

গরুর দুধ বেশি খেলে প্রায়ই শরীরে পানি জমে ফলে শিশুটিকে মোটাসোটা দেখা যায়।

অন্যদিকে মায়ের বুকের দুধ এ সকল ঝামেলামুক্ত এবং নিরাপদ। তাছাড়া অর্র্র্র্র্থ সাশ্রয়ের কথা যদি বিবেচনা করি তবে স্তন্যদায়ী মায়ের বাড়তি খাবারের পেছনে যে খরচ হয় তা কৌটার দুধের খরচের তুলনায় অনেক কম।

তাছাড়া কৌটার দুধ তৈরিতে প্রয়োজন হয় জ্বালানি, বিশুদ্ধ পানি, পাশাপাশি সঠিক নিয়মে তৈরি করতেও জানতে হয়।

স্তন্যদায়ী মায়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

# প্রসবের ৩০ থেকে ৪০ ঘণ্টা পর স্তনে প্রচুর দুধ তৈরি হয়। মাতৃদুগ্ধ তৈরি কখনই স্তনের গঠন বা আয়তনের ওপর নির্ভর করে না। এটি নির্ভর করে ২টি হরমোনের ওপর। এছাড়া মায়ের মানসিক অবস্থা এবং নিয়মিত বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো এ ক্ষেত্রে দায়ী।

# মাতৃস্তনের বোঁটা ও বোতলের বোটা বা চুষনি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির বলে শিশুরা বিভ্রান্ত হয়। বোতলের দুধ মুখে দিলেই টপটপ করে দুধ আসে। অথচ বুকের দুধ টানতে শিশুকে বেশি পরিশ্রম করতে হয় তখন আর মায়ের দুধ খেতে চায় না।

# শিশুরা যতোবার খেতে চায় ততোবার এবং যতোক্ষণ খেতে চায় ততোক্ষণ খাওয়াতে হবে। মোটামুটি দিনে-রাতে ৮ থেকে ১২ বার খেতে দিতে হবে।

# প্রসবের পর কিছুদিন দুধ খাওয়ানোর সময় জরায়ুতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে, পানির পিপাসা লাগতে পারে, অন্য বুক দিয়ে দুধ ঝরতে থাকেÑ এর সবই স্বাভাবিক। দুধ খাওয়ানোর আগে শরবত বা পানি খেয়ে নেবেন।

# মায়ের বুকে শিশুর সংস্থাপন ও সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। মা শিশুকে কোলে নিয়ে নিশ্চিন্তে আরাম করে বসবেন। হেলান দিয়ে পিঠের পেছনে ১টি বালিশ নেবেন যেন কোমর বাঁকা না হয়। হাতের নিচে ১টি বালিশ নেবেন।

# শুয়ে খাওয়াতে শিশুকে পুরোপুরি মায়ের দিকে ঘুরায়ে যথাসম্ভব বুকের কাছে টেনে নিতে হবে যেন শিশুর পেট মায়ের পেটে এবং শিশুর বুক মায়ের বুকে লেগে থাকে। শিশুর মাথা, ঘাড়, শরীর যেন ১ সরল রেখায় থাকে। ঘাড় বাঁকা অবস্থায় শিশু আরাম করে খেতে পারে না।

# সিজারিয়ান মা যেভাবে আরাম পান সেভাবে বসে বা শুয়ে খাওয়াবেন। প্রয়োজনে সেলাইয়ের জায়গার ওপর বালিশ দিয়ে বা বসার অবস্থায় হাঁটুর ভাঁজের নিচে বালিশ দিয়ে আরামদায়ক পোশাক পরে বসবেন।

# বুকের বোঁটা শিশুর ওপরের ঠোঁটে কয়েকবার লাগাবেন। তাতে শিশু বড় হা করবে। বোঁটার চারদিকের কালো অংশে দুধ জমা থাকে। শুধু বোটা মুখে দিলে পেট ভরবে না এবং মাও বোঁটায় ব্যথা পাবেন। তাই বোটার চার পাশের কালো অংশসহ মুখে দিতে হবে।

# ঘাড়ের নিচে হাত দিতে পারেন তবে মাথায় নয়। মনে রাখবেন শিশু দুধ টানে তারপর পান করে অতঃপর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার জন্য থামে। তাই অনেক মা শিশুটি কিছু সময় চুপ করে থাকলে মনে করেন পেট ভরে গেছে। তাই বুক ছাড়িয়ে নেন। এটি ঠিক নয়।

# জোর করে স্তন ছাড়াতে নেই যদি মাঝে উঠতে হয় তবে আঙুল ঠোঁটের পাশ দিয়ে ঢুকিয়ে দিলে শিশু ধীরে ধীরে ছেড়ে দেবে।

# শিশুর দুধ খাবার শব্দ অনেক সময় বাইরে থেকে শোনা যায়। দুধ খাওয়ানোর পর শিশু পরিতৃপ্ত থাকবে এবং কান্নাকাটি করবে না।

# তাড়াহুড়া করে খাওয়াতে চাইবেন না। এতে হরমোন কাজ করতে পারে না প্রয়োজনে বাটি চামচে খাওয়ানো যেতে পারে।

স্তন্যদায়ী মায়ের পুষ্টি :

বাংলাদেশী মহিলাদের প্রতিদিন ২০০০ থেকে ২২০০ কিলোক্যালরি শক্তির প্রয়োজন হয়। স্তন্যদায়ী মায়ের অতিরিক্ত প্রয়োজন হয় ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোক্যালরি। প্রতিদিনের খাবার থেকে ৫০০ কিলোক্যালরি এবং বাকি ২০০ কিলোক্যালরি শরীরে জমান চর্বি থেকে সরবরাহ হয়।

যেভাবে খাবারের মাধ্যমে এই ৫০০ কিলোক্যালরি পূরণ সম্ভব :

অতিরিক্ত-১ মুঠো চালের ভাত ২৪০ কিলোক্যালরি

১/২ মুঠো ডাল ১২০ কিলোক্যালরি

১ মুঠো সবজি ১ চামচ তেল ৫০ কিলোক্যালরি

হলুদ ফলমুল ৯০ কিলোক্যালরি

মোট= ৫০০ কিলোক্যালরি

হলুদ ফলমুলের মধ্যে পাকা আম, গাজর, মিষ্টি কুমড়া উল্লেখ্যযোগ্য। ভিটামিন-এ আয়রন ব্যবহারে সহায়তা করে। আমলকী, বাতাবি লেবু, কামরাঙা, পেয়ারা, ভিটামিন-সি আয়রন শোষিত হতে সাহায্য করে। ছোট মাছ, শাক-সবজি, কচু শাক, মুলা, ডিম, দুধে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সম্ভব হলে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ খেতে হবে।

মায়ের অপুষ্টির কারণে বুকের দুধের পরিমাণ ও গুণগত মান কমে যায়। ১ম ৬ মাসে মা প্রতিদিন ৯০০ থেকে ১০০০ সিসি দুধ তৈরি করেন। কিন্তু অপুষ্টিতে ভোগা মা ৫০০ সিসি’র বেশি দুধ তৈরি করতে পারেন না।

তখন শিশুর ওজন কমে যায়। শিশুর পুষ্টির ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

* অন্ধ-কুসংস্কার, পুষ্টিজ্ঞানের অভাব, দারিদ্র্য, পারিবারিক অসহযোগিতা, স্তন্যদায়ী মা নিজে না খেয়ে অন্যদের মাঝে খাবার বিতরণের সংস্কৃতি, অতিরিক্ত পরিশ্রমের সবই আমাদের বর্তমান সমাজচিত্র। মায়েরা যেখানে কাজ করেনÑ তার কর্ম ক্ষেত্রটিও মাতৃবান্ধব নয়। শিশুকে খাওয়ানোর পরিবেশ তারা পায় না। এরপর আছে গুঁড়ো দুধের বাজার প্রচার। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে জনসাধারণ, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করে মাকে প্রলুব্ধ করে। মায়ের দুধের প্রচার অভিযানের ক্ষেত্রে এটিও আরেকটি অন্তরায়।

* জাতীয় পর্যায়ে নীতি-নির্ধারণ এবং আইনের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, দাইসহ তৃণমূল পর্যায়ের যারা স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত তাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জনসাধারণের মাঝে এসব তথ্য পৌঁছে দিতে প্রচার মাধ্যমকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

* আমাদের সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় আমাদের আগামী প্রজন্ম তৈরি হবে সুস্থ, সবল, উন্নত জাতি হিসেবে।

22/07/2017

চিকনগুনিয়া জ্বর হলে যা করবেন

চিকনগুনিয়া জ্বর হলে যা করবেন

রাজধানীসহ সারাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উপদ্রব। অতিরিক্ত এই মশার কারণে হঠাৎ করেই বেড়েছে চিকনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ।

রোগের কারণ

চিকনগুনিয়া নামে ভাইরাসজনিত রোগটি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস যে এডিস মশা বহন করে, সেই মশাই চিকুনগুনিয়া ভাইরাসও বহন করে। চিকনগুনিয়া ভাইরাসবাহী মশার কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির তিন থেকে চার দিনের মতো শরীরের জ্বর থাকে।

জ্বরের লক্ষণ

এ জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো হঠাৎ তীব্র জ্বর। যা ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে।

এ সময় অস্থি সন্ধিতে, হাত বা পায়ের আঙুলের সন্ধিগুলোতে ব্যথা হয়। বড় অস্থিসন্ধিতেও ব্যথা হতে পারে।

জ্বর চলে যাওয়ার পরও ব্যথা থাকতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যথা এক দেড় মাস বা তারও বেশি স্থায়ী হতে পারে।

মাথা ব্যাথা করে। বমি বমি ভাব হয়। শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে যায়।

জ্বর ভালো হলেও শারীরিক দুর্বলতা বহাল থাকতে পারে বেশ কিছু দিন।’

চিকনগুনিয়া জ্বর হলে করণীয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন আর সব ভাইরাসজনিত জ্বরের মতোই এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এ জ্বর হলে –

প্রচুর পানি, সরবত, ওরস্যালাইন, ডাবের পানি পান করতে হবে।

জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।

বমি বা অন্যান্য উপসর্গের জন্য সে অনুযায়ী কিছু ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।

এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে আসে না। বিশেষ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

চিকুনগুনিয়ার কোনো ভ্যাক্সিন এখন পর্যন্ত নেই।’

02/02/2017

ল্যানসেটের গবেষণা

শিশুদের খালি পেটে লিচু খাওয়াবেন না

অনলাইন ডেস্ক | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২০:১৫

ভারতের বিহারে রহস্যজনক অসুস্থতায় এক বছরে শতাধিক শিশুর মৃত্যুর কারণ বের করতে সক্ষম হয়েছেন মার্কিন ও ভারতীয় একদল বিজ্ঞানী। খালি পেটে লিচু খেয়ে এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেছেন। তাদের গবেষণাটি বিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। খবর বিবিসির।

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিহারের শিশুরা একটি অজ্ঞাত অসুস্থতায় আক্রান্ত হচ্ছিল। এই অসুস্থতার প্রধান উপসর্গ হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়া। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশুই মারা যায়। এমন মৃত্যু নিয়ে ধাঁধায় ছিলেন চিকিৎসকেরাও।

নতুন গবেষণার কারণে ধাঁধা থেকে মুক্ত হতে পারেন ওই সব চিকিৎসকেরা। গবেষণায় বলা হয়েছে, বিহারের যেসব এলাকার শিশুরা এমন অসুস্থতায় ভুগত তাদের বাড়ি বা আশপাশে লিচু গাছ বেশ সহজলভ্য। আর এমন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শিশুরা দরিদ্র ঘরের ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, দরিদ্র এসব শিশু বাড়ি বা বাড়ির পাশের গাছের নিচে পড়ে থাকা লিচু খালি পেটে খেয়ে আক্রান্ত হতো। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়, লিচুতে হাইপোগ্লিসিন নামের একটি উপাদান থাকে যেটি শরীরে গ্লুকোজ উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করে। একে তো শিশুদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে, তার মধ্যে খালি পেটে লিচু খাওয়ার ফলে গ্লুকোজ উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে শিশুদের পেশির সংকোচন হয়, মস্তিষ্ক স্ফীত হয়ে যায় এবং তীব্র আর্তনাদ করতে করতে একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

গবেষক দল ২০১৪ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত মোজাফফরপুরের হাসপাতালে এসব উপসর্গ নিয়ে আসা শিশুদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

অভিভাবকদের প্রতি গবেষকদের পরামর্শ, ভরা পেট ছাড়া শিশুদের লিচু খেতে দেওয়া উচিত নয়। খেতে দেওয়া লিচুর সংখ্যা যাতে কম হয়, সেটির প্রতি কড়া নজর রাখতে হবে।

15/11/2016

স্বাস্থ্যকর পালং শাকের ১০টি চমকপ্রদ উপকারিতা

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক-সব্জি থাকা এক কথায় বাঞ্ছনীয়। কারণ এটি ছাড়া সুষম খাবারের শর্তই পূরণ হয়না। আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক সবজি রাখা। তাই যে খাবারটি প্রতিদিনের তালিকায় থাকবে সেটি সম্পর্কেও আমাদের সবারই কিছু ধারনা রাখা উচিত। আজ তাই পালং শাকের কিছু উপকারিতা জানাতে চাই। এটি এমন একটি সবজি যার রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা এবং এটি নিয়মিতভাবে খেলে কখনোই আফসোস করবেন না। চলুন, জেনে নিই।
পুষ্টিগুণে ভরপুর-
এক কাপ পালং শাক খাদ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২০% পূরণ করার সাথে সাথে ভিটামিন এ ও কে-এর দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এতে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক এসিড ও সেলেনিয়াম রয়েছে। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম এর জন্য অপরিহার্য।
কম ক্যালরি যুক্ত-
কম ক্যালরি যুক্ত খাবার বাছাই করার ক্ষেত্রে পালং শাক হচ্ছে উপযুক্ত একটি সবজি। কারণ ১০০গ্রাম পালং শাকে রয়েছে মাত্র ৭ কিলোক্যালরি।
রক্তচাপ কমায়-
এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়ামের কারনে পালং শাক রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে-
এই সবজিতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকার ভালো মাত্রা বজায় রাখে যা দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার মূল উপদান। এবং তা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে-
পালং শাকে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই পলিনিউট্রিয়েন্টস গুলো দেহের ফ্রি র‍্যাডিকেলকে নিরপেক্ষ করে।
চোখের সুরক্ষায়-
সাধারণত সবুজ শাক সবজিতে লুটেন সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা দৃষ্টি শক্তির ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে সাহায্য করে।পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন যা চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের সুরক্ষায়-
পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, বলিরেখা পড়া ইত্যাদির দূরীকরণেও বেশ কার্যকর। এছাড়া এটা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করে এবং ত্বককে নরম ও স্থিতিস্থাপক অবস্থা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে-
এটা শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার আয়রন যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এতে রয়েছে লিম্ফোবিক এসিড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি ও ই কে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এটা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং দিনের বেলার ক্লান্তিভাব দূর করে।
প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য-
পালং শাকে আছে নিওজেন্থিন যা প্রদাহ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাদের জয়েন্টে ব্যাথা আছে তারা অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি রাখলে উপকার পাবেন।
হৃদ যন্ত্রের সুরক্ষায়-
এই সবজিতে থাকা ফলিক এসিড সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের সকলেরই উচিত, যে সবজির এতো উপকারিতা সেই সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য সবজিটি আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিতভাবে রাখার।
লেখক শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ এক্স ডায়েটিশিয়ান,
পারসোনা হেল্‌থ খাদ্য ও
পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)

তথ্য সূত্র- হেলদি ফুড অ্যাডভাইস

13/10/2016

জেনে নিন ফিস্টুলা রোগ সম্পর্কে

Published: 12 October 2016
মলদ্বারের একটি বিশেষ রোগ ফিস্টুলা। একে ভগন্দর বা নালী ঘা রোগও বলা হয়। পায়ুপথের ভিতরে গ্রন্থির সংক্রমণের ফলে ফিস্টুলা হয়। প্রথমে মলদ্বারের পাশে ফোঁড়া হয়ে অনেক দিন ধরে ব্যথা হয় এবং ফুলে যায়। পরে এটি ফেটে মলদ্বারের পাশের একটি জায়গা দিয়ে পুঁজ বের হয়ে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়। এতে কিছুদিনের জন্য রোগী আরামবোধ করেন। কিন্তু কিছুদিন পর আবার হঠাৎ করে মলদ্বার ফুলে ব্যথা হয়।

fistula disease
চার-পাঁচ দিন পর আবার মত পুঁজ বের হয়। চিকিৎসা করালে এটি বারবার হতে থাকে। শুধু পুঁজের তারতম্য হয়। পুঁজ সামান্য হলে রোগীরা এটিকে গুরুত্ব দেন না। কখনও কখনও পুঁজের সাথে অল্প অল্প রক্তও যেতে পারে। ফিস্টুলা হলে মলদ্বারের চারপাশে এক কিংবা একাধিক মুখ দেখা যায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করালে ফিস্টুলা থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হতেও পারে।


advertisement
ফিস্টুলার চিকিৎসা হল অপারেশন। ফিস্টুলার প্রকারভেদ এবং কি কারণে ফিস্টুলা হয়েছে তার উপর চিকিৎসা নির্ভর করে। ফিস্টুলা দুই প্রকার, সাধারণ ফিস্টুলা এবং জটিল ফিস্টুলা। সাধারণ ফিস্টুলার চিকিৎসা সহজসাধ্য। জটিল ফিস্টুলা মলদ্বারের ভিতরে মাংসপেশীর গভীরে হয় তাই এটির চিকিৎসাও জটিল। অপারেশনের সময় ফিস্টুলার ভেতরের মুখটি শনাক্ত করতে হয় কারণ অনেক সময় তা খুঁজে পাওয়া যায় না।

যথেষ্ট সময় নিয়ে ধৈর্যসহকারে জটিল ফিস্টুলা অপারেশন সম্পাদন করা উচিত। প্রথম যে সার্জন অপারেশন করবেন তার হাতেই বার বার অপারেশনে সাফল্য এবং ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।

অপারেশনের পর বায়েপ্সি করা উচিত। যদি যক্ষ্মার কারণে এটি হয় তবে যক্ষ্মার ওষুধ খেতে হবে না হলে বার বার এটি হতে থাকবে। যদি বায়েপ্সিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে তবে বড় ধরনের অপারেশন জরুরি। পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ আছে বলে সন্দেহ করা হয় তবে কোলনস্কপি করে নেয়া উচিত। যদি এ রোগ থেকে থাকে তাহলে ফিস্টুলা অপারেশনে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ফিস্টুলা হলে বা এর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

06/01/2016

টুথপেস্টের উপকারী ফ্লোরাইড যখন বিষ!
সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

দাঁত মাজতে আমরা সবাইই টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। আর সেই টুথপেস্টের বেশিরভাগেই মজুদ থাকে ফ্লোরাইড। সত্যিকার অর্থে ফ্লোরাইড টুথপেস্টে ব্যবহার করা হয় দাঁতকে সুস্থ রাখার তাগিদেই। এটি মানুষের দাঁতের এনামেল ঠিকঠাক রেখে ক্যাভিটির সংক্রমণ না করেই দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। কিন্তু এই অত্যন্ত উপকারী জিনিসটির রয়েছে আরেকটি ভয়ংকর দিকও। আপনি কি জানেন যে আপনার কোনরকমের সাবধানতা ছাড়াই এই অত্যন্ত উপকারী ফ্লোরাইডও অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহারের কারণে পরিণত হতে পারে বিষে?
অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি অনুসারে, টুথপেস্টের ফ্লোরাইড কম পরিমাণে দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভালো হয়ে থাকলে এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষের শরীরে বিষাক্ততার সৃষ্টি করতে পারে ( টুডেইস ডেন্টিস্ট্রি )। ১৯৯৭ সাল থেকে ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএর নির্দেশানুযায়ী আমেরিকার সব ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্টেই সতর্কতাবাণী লিখে দিতে বলা হয়েছে ( হাউ স্টাফ ওয়ার্কস )। শুধু তাই নয়, ২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করা উচিত না বলে মনে করেন চিকিত্সকেরা।
এমনিতে হয়তো মনে হতে পারে যে একটুখানি টুথপেস্ট খেলে কিছু হবেনা। কিন্তু বাস্তবে এই সামান্য ফ্লোরাইড পেটে যাওয়ার মাধ্যমে বেশ কিছু ঝামেলা হতে পারে আপনার কিংবা আপনার শিশুটির। ফ্লোরাইড দাঁতের ওপর ছোপ ফেলে দিতে পারে। দাঁতে ছোট ছোট বাদামী চিহ্ন পাকাপাকিভাবে তৈরি করে ফ্লোরাইড। বিশেষ করে যদি টুথপেস্টের সাথে সাথে পানি কিংবা মাউথওয়াশ থেকেও ফ্লোরাইড গ্রহণ করা হয় তাহলে এর পরিনাম হয়ে দাড়ায় আরো খারাপ।
শুধু দাঁতের ছোপই নয়, প্রতিদিন একটু একটু করে গ্রহণ করা ফ্লোরাইড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। তৈরি হয় বাচ্চাদের ভেতরে অরুচি, বমিভাব আর ডায়রিয়ার সমস্যা। এছাড়াও পরবর্তীতে বাচ্চাদের হাড়কেও দূর্বল করে গড়ে তুলতে পারে প্রতিদিনের এই একটু করে নেওয়া ফ্লোরাইড।
কিন্তু অনেকটা সাবধানতার পরেও মাঝে মাঝে ভুল হয়েই যায়। হয়তো একটু বেশিই ফ্লোরাইড খেয়ে ফেললো আপনার সন্তান কোন একদিন। কি করবেন তখন? কি করবেন যখন আপনার সন্তান বেশি পরিমাণে ফ্লোরাইড গ্রহণ করে ফেলবে? এমনটাই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে তো? আপনার এই প্রশ্নের জবাবটা খুবই স্বস্তিকর। আর সেটা হচ্ছে এই যে, আপনি জেনে খুশি হবেন যে একটি পুঁতি-সাইজের টুথপেস্টের ভেতরে সাধারনত ০.২৪ মিলিগ্রাম ফ্লোরাইড থাকে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডেন্টাল মেডিসিন অনুসারে, ৪৫ পাউন্ডের অধিকারী ৮ বছরের একটি বাচ্চার ক্ষেত্রে তখনই টুথপেস্ট ভয়ের কারণ হবে যখন এই ফ্রোরাইডের পরিমাণ ৬৫৫ হবে। আর তাই আপনার সন্তানকে অসুস্থ করে দিতে হলে ২ থেকে ৪ টি টুথপেস্টের টিউব শেষ করতে হবে। তবে তারপরেও খানিকটা বেশি ফ্লোরাইড আপনার সন্তানের সার্বক্ষণিক মাথাব্যথারও কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর তাই যদি কখনো আপনার সন্তান একটু বেশি টুথপেস্ট খেয়ে ফেলে আর অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে সরাসরি চিকিত্সকের কাছে তাকে নিয়ে যান। আর এক গ্লাস দুধ পান করতে দিন ( কিড এমারজেন্সিস )।
ছোট-বড়, আমাদের অনেকেরই টুথপেস্ট খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষ করে নানারকম ফলের ফ্লেভার দেওয়া টুথপেস্ট বাজারে আসার পর থেকে বাচ্চাদের লুকিয়ে টুথপেস্ট খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অনেকটা বেশি। তবে বড়রাও এদিক দিয়ে কম যান না। সেটা কখনো খেতে মজা লাগে বলে, কখনো মুখের দুর্গন্ধ তাড়ানোর জন্যে বড়রাও খেয়ে থাকেন টুথপেস্ট কিংবা অনেকবার দাঁত মেজে থাকেন। কিন্তু এরপরের বার থেকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন আপনার টুথপেস্টে ফ্লোরাইড রয়েছে কিনা। আর থাকলে একটু সাবধান হয়েই ব্যবহার করুন সেটা।

Address

Dhaka
Dhaka

Opening Hours

Monday 07:00 - 23:59
Tuesday 07:30 - 00:15
Wednesday 07:30 - 00:15
Thursday 07:30 - 00:15
Friday 08:00 - 12:45
14:00 - 12:00
Saturday 07:30 - 13:10
14:00 - 00:15
Sunday 07:30 - 00:15

Telephone

+8801954237513

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আল-ইসলাম ফার্মেসী/ Al-Islam Pharmacy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram